![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেই কবে ... সভ্যতার আদিলগ্নে সূচিত হয়েছিল নিজেকে জানার অদম্য বাসনা। গ্রিক দর্শনের ‘know thyself’ কিংবা ভারতবর্ষের প্রাচীন দার্শনিকদের, “আত্মনাং বিধি”–র উত্তর আজো মেলেনি লাখো লাখো বছরের মানব ইতিহাসে। এই আত্মঅন্বেষণই তাজাকলমের জীবন তপস্যা। তবে নিজেকে জানার সাধনা বৈরাগ্যের পথে নয় বরং মানুষের সাথে থেকে, মানুষকে ভালোবেসে, মানুষের মাঝেই তাজা কলম খুজেঁ পেতে চায় আপন অস্তিত্বের ভূভাগ। তবুও তাজা কলম পৃথিবীতে এক গৃহী সন্নাসী কারন সে নিয়ত খুজেঁ ফিরছে শূণ্য খেকে আসা এবং শূণ্যতেই বিলীন হওয়া মানব জীবনের গুঢ় রহস্য। বিশেষ অনুরোধ: এ ব্লগে প্রকাশিত লেখাগুলো কপিরাইটের আওতাভূক্ত । লেখকের অনুমতি ছাড়া এখানে প্রকাশিত কোন লেখা কিংবা লেখার অংশ বিশেষ কেহ অন্য কোথাও প্রকাশ করলে বেআইনি কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রয়োজনে লেখকের সাথে যোগাযোগ করুন।
খবরে প্রকাশ ইসলাম ধর্ম অবমাননাকারী নাস্তিক ব্লগার ধরতে বিশেষ সাইবার ট্রাইবুনাল গঠন করতে যাচ্ছে সরকার। পাকিস্তানে রয়েছে ব্লাসফেমী আইন । যা সেখানে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যাপক ব্যবহৃত হচ্ছে।
মজার ব্যাপার হলো বিএনপি সরকারের দ্বারা নয় বরং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বজাধারী দাবিদার দল আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই আসন্ন হেফাজত ইসলামীর রাজনৈতিক কর্মসূচি মোকাবেলায় এই ট্রাইবুনাল গঠিন করার প্রস্তাবনা আসে সরকার তরফ থেকে !
উল্লেখ্য, পাকিস্তানী ঔপনিবেশিক শাসনামলের ধর্মান্ধতার বিপরীতে ধর্মনিরপেক্ষতা ছিল বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম চেতনা । হায়রে বঙ্গবন্ধু, হায়রে মুক্তিযুদ্ধ, হায়ের চেতনা, হায়রে প্রগতি ! সত্যিই উদ্ভট উটের পিঠে চলছে স্বদেশ।
যা হোক প্রস্তাবিত সাইবার ট্রাইবুনাল বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কিছু প্রশ্ন এসে যায়-
১। এ ধরণের ট্রাইব্যুনাল গঠন সংসদে কোন বিল আনয়ন না করে প্রাশাসনিক সিদ্ধান্তে করা কতোটুকু প্রযোজ্য?
২। বলা হচ্ছে প্রস্তাবিত সাইবার ট্রাইব্যুনালে ইসলাম ধর্মের অবমাননাকারী
বিচার করা হবে। কথা হচ্ছে, ইসলাম ধর্মের অবমাননার মাপকাঠি কি হবে? ইসলামের বিভিন্ন দল-উপদল-মাজহাবের মাঝে চিন্তাগত পার্থক্য রয়েছে। কোনটি সঠিক, কোনটি ভুল এ সিদ্ধান্ত কে দিবে?
৩। ধর্ম জিনিষটা ব্যক্তিগত বিশ্বাসের উপর নির্ভরশীল। প্রতিটি সমাজে সবকালেই নাস্তিক লোকজন ছিল, আছে এবং থাকবে। তারা কি তাদের মুক্তচিন্তা ভিত্তিক যৌক্তিক আলোচনা করতে পারবে না এই ট্রাইব্যুনালের কারণে?
৪। বলা হচ্ছে শুধু ইসলাম ধর্মের অবমাননার কথা। কিন্তু রাষ্ট্রেল দায়িত্ব দেশের প্রতিটি ধর্মগোষ্ঠির নিজ নিজ ধর্মে বিশ্বাসকরণ সহ ধর্মপালনের নিশ্চয়তা বিধান করা। বিশ্বাসের আলোকে প্রতিটি ধর্মগোষ্ঠীর কাছে তার নিজের ধর্মই সত্য। তাই যদি হয়ে থাকে প্রস্তাবিত ট্রাইব্যুনালটি কেন
বাংলাদেশের অপরাপর ধর্মগুলোর অবমাননাকারীদের আসামী হিসেবে বিচার করার এখতিয়ার পাবে না? এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে বৌদ্ধ মন্দির সহ অনেক হিন্দু মন্দির ভাঙচুর/পোড়ানো হয়েছে। এ জঘন্য কাজগুলোর মাধ্যমে এইসব ধর্মের অবমাননা করা হয়েছে। জানা যায় এসব মন্দির পোড়ানোর কাজে উগ্রসাম্প্রদায়িক গোষ্ঠি ইন্টারনেট/ফেইসবুকের মাধ্যমে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার প্রয়াস চালিয়েছিল। এটিও সাইবার ক্রাইম ।প্রস্তাবিত ট্রাইব্যুনালটি কি অন্যধর্মের অবমাননাকরীদের বিচারের আওতায় আনবে?
যা হোক, মোদ্দাকথা- এ ধরণের ট্রাইব্যুনাল গঠনের পায়তারা দেশের জন্য বড় একটি অশুভ সংকেত।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:১৯
তাজা কলম বলেছেন: Thanks princejohn
২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২১
ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন: খানকির বাচ্চাগুলিরে ফাসি দিয়া নিক, এরপরে এই চুতিয়াগুলির মাঞ্জাবরাবর কষাইয়া একটা লাত্থি লাগামু। দায় ঠেকছে আমাগোর। কাদের মোল্লা ভি সাইন দেখাইলে বঙ্গবন্ধুকণ্যার অপমান লাগে না, লাগে আমাগোর। কিছু কইতাছিনা খালি এই রাজাকারের বাচ্চাগুলির মরণ দেখার লাইগা, নয়তো উপ্তাইয়া লাগাইতাম। আশার কথা কাচা রক্ত সবাই ঠিক পথে আছে, কাদের মোল্লার ভি দেখলে তাগোর রক্তে কামড় মারে। বুইড়াগুলা হেফাজলে ইসলাম লইয়া থাকুক, সমস্যা নাই। এই দেশ আমরা বানাবো, পুরাতন মাল সব বাতিল করতে হবে, নতুন রক্ত চাই। নতুন রক্তের খাই না মিটাইতে পারলে আম্লীগ টিকতে পারবো না। ইতিহাস সাক্ষী, যেই দলই বাতিল মাল নিয়া লাফালাফি করতে গেছে, সেই দলই ডুবছে। শাহবাগে সব ঠিকই ছিল, মাঝখান দিয়া থাবারে মাইরা এইযে ছড়ানি ছড়াইলো নাস্তিক নাস্তিক কইয়া এক্কেরে ডুবাইলো। থাবার বদলে কোন হিন্দু/বৌদ্ধ মরলেও পাবলিক দুঃখে চুক চুক করতো আর আমার পাকিস্তানের চৌদ্ধগুষ্ঠি উদ্ধার করতো। নাস্তিক মইরাই সব ডুবছে।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৯
তাজা কলম বলেছেন: যথার্থ কথা বলেছেন।
৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫১
ফ্রিঞ্জ বলেছেন: আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। তবে যেই দেশের মানুষ চান্দে সাইদী দেখা গেছে শুইনা রায়ট করে সেই দেশের জন্য গভমেন্ট কে এইধরণের সিদ্ধান্ত নেয়া লাগতে পারে।
আমাদের অবস্থান থেকে হয়তো বুঝা যাবেনা। হয়তো টেকনিকালি এইটা দেশের/সরকারের জন্য ভাল।
কিছু সিদ্ধান্ত জাস্ট আইওয়াশ... আশা করবো এইটাও তেমন কিছু একটা হবে মৌলবাদীদের ঠান্ডা রাখার জন্য।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭
তাজা কলম বলেছেন: কিছু সিদ্ধান্ত জাস্ট আইওয়াশ... আশা করবো এইটাও তেমন কিছু একটা হবে মৌলবাদীদের ঠান্ডা রাখার জন্য। সহমত।
৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১৫
আল মামুনুর রশিদ বলেছেন: thaba nastik cilona
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৮
তাজা কলম বলেছেন: থাবা বাবা নাস্তিক ছিল কি ছিল না সেটা তার ব্যাপার। আল্লাহ্তায়ালা আছেন তার বিচারের জন্য। এটা নিয়ে রাষ্ট্রের তো মাথা ব্যথা থাকার কথা না।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:১৫
princejohn বলেছেন: you are alright