নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আত্মনাং বিধিই হোক যাপিত জীবনের প্রেরণার উৎস।

তাজা কলম

সেই কবে ... সভ্যতার আদিলগ্নে সূচিত হয়েছিল নিজেকে জানার অদম্য বাসনা। গ্রিক দর্শনের ‘know thyself’ কিংবা ভারতবর্ষের প্রাচীন দার্শনিকদের, “আত্মনাং বিধি”–র উত্তর আজো মেলেনি লাখো লাখো বছরের মানব ইতিহাসে। এই আত্মঅন্বেষণই তাজাকলমের জীবন তপস্যা। তবে নিজেকে জানার সাধনা বৈরাগ্যের পথে নয় বরং মানুষের সাথে থেকে, মানুষকে ভালোবেসে, মানুষের মাঝেই তাজা কলম খুজেঁ পেতে চায় আপন অস্তিত্বের ভূভাগ। তবুও তাজা কলম পৃথিবীতে এক গৃহী সন্নাসী কারন সে নিয়ত খুজেঁ ফিরছে শূণ্য খেকে আসা এবং শূণ্যতেই বিলীন হওয়া মানব জীবনের গুঢ় রহস্য। বিশেষ অনুরোধ: এ ব্লগে প্রকাশিত লেখাগুলো কপিরাইটের আওতাভূক্ত । লেখকের অনুমতি ছাড়া এখানে প্রকাশিত কোন লেখা কিংবা লেখার অংশ বিশেষ কেহ অন্য কোথাও প্রকাশ করলে বেআইনি কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রয়োজনে লেখকের সাথে যোগাযোগ করুন।

তাজা কলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বন্ধ করো পান্তাভাত মস্করা !

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯

পহেলা বৈশাখ সমাগত। বাঙালীর প্রাণের উৎসব ।



তবে পহেলা বৈশাখ পালনে বিগত বেশ কিছু বছর ধরে একটি অপসংস্কৃতির দৃষ্টুকটু অনুপ্রবেশের বিষয়ে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। হ্যা, ইতোমধ্যেই এটি আজ পহেলা বৈশাখের 'অপরিহার্য অঙ্গ' হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে এবং তা হলো তথাকথিত 'পান্তা-ইলিশ' ভোজন পর্ব।



প্রথমেই আসা যাক পান্তাভাত প্রসঙ্গ। পান্তাভাত দেশীয় খাদ্য হলেও এটা বাঙালীর কোন শখের খাদ্য নয়। বরং পান্তাভাতে মাখানো রয়েছে আমাদের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর যাপিত জীবনের অর্থনৈতিক অপরাগতার অশ্রুজল। ব্যক্তিবিশেষের হয়তো পান্তাভাত পছন্দের হতে পারে কিন্তু প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দারিদ্রতার কশাঘাতে বাধ্যতামূলক নিত্যদিনের খাদ্য এই পান্তাভাত। উপাদেয় কিংবা পুষ্টিকর খাবার না হওয়া সত্ত্বেও হত দরিদ্র এ জনগোষ্ঠি তাদের পরিবার পরিজনদের নিয়ে নিতান্ত বাধ্য হয়েই দিনের পর দিন খেয়ে যাচ্ছে এই পান্তাভাত। তাদের দারিদ্রতার প্রেক্ষিতেই বাঙলা বাগধারায় প্রচলিত রয়েছে 'নুন আনতে পান্তা ফুরায়' প্রবচন।



হতদরিদ্র প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দারিদ্রতার সিম্বল বলা যায় এ পান্তাভাত। ঢাকাকেন্দ্রিক ছিন্নমূল কতিপয় বাঙালী বাবুর কল্যাণে পায় একদশক যাবত এ হেন পান্তাভাতকে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের একটি উপকরণ হিসেবে আজ প্রায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। আর এর সাথে সংযোজিত হয়েছে ইলিশ মাছ যা ঐ হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর আজ স্বপ্ন খাবার।



পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে চলমান ভোগবাদ নির্দশিত সমাজ (Consumer Driven) সমাজে একধরণের পাগলামি পেয়ে বসেছে। তাই বাজারে বৈশাখ আসতে না আসতেই আট/দশগুণ দামে ইলিশ বিকোয়।



ভাবতে অবাক লাগে বছরের পর বছর পহেলা বৈশাখে এ হেন পান্তাভাতকে নিয়ে ভোজন উৎসব চলছে যা প্রকারান্তরে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দারিদ্রতাকে নিয়ে মস্করা করা!



আসুন এবারের পহেলা বৈশাখেই প্রান্তিক হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর সাথে এ ধরনের মস্করা বন্ধ করি।



এবারের পহেলা বৈশাখের শপথ হোক -



বন্ধ করো পান্তাভাত মস্করা

রুখে দাও সাম্প্রদায়িকতা।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯

ফালতু মিয়া বলেছেন: অসাধারণ কথা বলেছেন। আপনার দৃষ্টিভঙ্গির জন্য ধন্যবাদ। অকাল সময়ে ইলিশ তো বাজারে পাওয়াই যায় না..... তারউপর আবার পহেলা বৈশাখ! মজার ব্যাপার হলো পান্তা যাদের নিত্য খাদ্য তারা মওসুমের সময়ও ইলিশ খেতে পায় না।

২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আবার উল্টোটা ভাবেন- প্রান্তিক দের বহমান রক্তই আজকের উত্তরাধূনিকতায় এসেও তার প্রভাব বা রেশ কাটাতে পারেনি!! ;)

তাই ডিএনএর টানেই পান্তায় ঝুকে পড়ে ;) =p~ =p~ =p~ =p~

আবার ভাবুন প্রান্তিক দের বাস্তব জ্ঞানে তারা যা করত তা না বুঝেই শহুরে বোকারা করছে। মানে- চৈত্রের গরমে সকালে পান্তা খেলে নাড়ী ঠান্ডা থাকে। তাই যারা দিনান্ত পরিশ্রম করে-তারা সকালে পান্তা দিয়েই দিনের শুভারম্ভ করে। আর এরা দেখে দেখে করে :)

নাহ আর কমুনা।

পান্তা ইলিশ কিন্তু খাইতে খুব মজা!! আমি খুবই পছন্দ করি। মচমচে ভাজা ইলিশটি দিয়ে পান্তা.. আহ.. জিভে জল এসে যায়!!!!!!!!!!!!!!!

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:১৩

নেবুলাস বলেছেন: ভাই আমি দেখেছি, গরীবের পান্তা হলো গতকালের গলা ভাত আর বাসি তরকারি। যদি তাও না থাকে তাহলে কাচা মরিচ অথবা শুকনা মরিচ পোড়া। তারা ভাই ইলিশ পাবে কোথায়? ইলিশতো তারও অনেক আগে ১লা বৈশাখের কালচার হয়ে সামর্থবানদের ফ্রিজে ফ্রিজে ঢুকে আছে।

৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১৮

শামীম সুজায়েত বলেছেন: পান্তা আমি খাইনে,
ইলিশ মাছ চাইনে.............. সুন্দর পোস্ট।

বাঙালিত্ব বুকের ভেতর,
নেই কোন ভন্ডামি,

ইলিশ-পান্তা কেনো খাবো
লোক দেখানো একদিনই?

৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৫২

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: পান্তাভাতের বিষয় টাতে একমত !

৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:২৭

তাসজিদ বলেছেন: আর এই পান্তা কালচার যে কোথা থেকে এলো তা আমার মাথায় ধরে না। আমি গ্রামেই বড় হয়েছি। আমি কখনো কাওকে পান্তা খেতে দেখিনি কিংবা শুনিনি।

৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:০৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: তাজা কলম ,



আপনারা অনেকেই হয়তো ঠিকই বলছেন । মষ্করা ।

কিন্তু ব্যাপারটি যদি এভাবে দেখি - হোক ইলিশ দিয়েই শুরু , তবুও তো শুরু । একেবারে না হওয়ার চেয়ে , হওয়াটা কি কাম্য নয় ! কথায় আছে না - বেটার লেট দ্যান নেভার ।
পথটির আনুষাঙ্গিকতা হয়তো ঠিক নয় কিন্তু উদ্দেশ্যে হীনও নয় । এই মরমী ইচ্ছেটাকেই স্বাগত জানানো উচিত মনে হয় । কেন এই পান্তা ভাত ছাড়া বর্ষ বরনের বাকী অনেক কিছুতেই তো বাঙালীর প্রানের ছোঁয়া মেলে । পান্তা ভাতকে বর্জনের নামে আমাদের কি উচিত হবে আমাদের মরমী আর আবেগীয় এই বর্ষ বরন বর্জন ?
যারা পান্তা দিয়ে শুরু করেন তারা হয়তো "মষ্করা"র কথা না ভেবেই করেন । এদেরকে বুঝিয়ে বললেই হয়তো তারা বুঝবেন । কেবল সমালোচনাই নয় ন্যায্য আর শোভন পথটির হদিশও আমাদের বাৎলে দেয়া উচিত ।

সেদিন এক কাগজে আমাদেরই সহ ব্লগার "জুন" এর একটি লেখা প্রকাশিত হতে দেখলুম । প্রাসঙ্গিক বিধায় লিংক দিলুম । আগ্রহীরা দেখতে পারেন ।
Click This Link

বছর শুরুর শুভেচ্ছা আপনাকে সহ সকলকেই .......

৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২৯

মুরশীদ বলেছেন: ইলিশ ভালোবাসলে একে রক্ষা করতে হবে সংযত খাদ্যাচরণের মাধ্যমে। ধনী, উচ্চবিত্ত,স্বচ্ছল পরিবারের লালসায় অথবা হুজুগে ৩০০ টাকার ইলিশ বিক্রি হয় তিন হাজার টাকায়। ইলিশ চাই সকলের নাগালে।আর পান্তার অভ্যাস হয়তো জ্বালানীর কিছুটা সাশ্রয় করবে এক বেলার ভাত না রেধে।
আশা করি হুজুগের এই পান্তা ইলিশ উৎসব একদিন কমে আসবে , ইলিশ সবার নাগালে আসবে।

৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩১

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: বৈশাখী শুভেচ্ছা!!

১০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:১২

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: সহমত পান্তাভাতে

১১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সত্যিই এসব মস্করা ছাড়া আর কিছুই নয়। বাঙালী সংস্কৃতির সাথে পান্তা ভাত আর ইলিশ মাছের কী সম্পর্ক সেটাই তো আমার মতো নাদানের বোধগম্য হয়না। নাকি এ দেশে অভাবী মানুষ (যারা ক্ষুধার জ্বালায় পান্তা ভাত খায়) আর ধনী মানুষ (যারা দু'হাজার টাকা দিয়ে একটা ইলিশ কেনার ক্ষমতা রাখে), এই দুই শ্রেনীর মানুষের পর্বত প্রমান বৈষম্য প্রমানের জন্য এসব করা হয়? কে জানে? 'উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ।'

১২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৯

চাইল্ড লেবার বলেছেন: যে আদরিনিরা একাধিক আইটেমের খাবার না হলে বাসায় না খেয়ে ক্যান্টিনে খায়, তাদের বলছি- তোমরা শাড়ি পড়ে মুখে রিপেয়ারিং করে ঘুরো সারাদিন কোন সমস্যা নেই তাতে। কিন্তু মুখে একবারও ”গরীবের পান্তার কথা” শেয়ার করো না। ও তোমাদের মানায়না।

সহমত

১৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১৬

সকাল রয় বলেছেন:
দারুন বলেছেন___আপনি সরাসরি দিয়েছেন আরআমি খানিক শৈল্পিক ভাবে। আমার লেখাটা পড়ে দেখবার অনুরোধ রইল

১৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৪৩

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন:
পান্তা খেয়ে হয় আলচার
আমরা বলি বাংগালী কালচার

১৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৩৯

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: পান্তার সাথে দরিদ্র মানুষ ইলিশ খায়------আমি গ্রামের মেয়ে হিসেবে এটা শুনে আর দেখে টাস্কিত হই------এটার বন্ধ হওয়া দরকার

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.