নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আত্মনাং বিধিই হোক যাপিত জীবনের প্রেরণার উৎস।

তাজা কলম

সেই কবে ... সভ্যতার আদিলগ্নে সূচিত হয়েছিল নিজেকে জানার অদম্য বাসনা। গ্রিক দর্শনের ‘know thyself’ কিংবা ভারতবর্ষের প্রাচীন দার্শনিকদের, “আত্মনাং বিধি”–র উত্তর আজো মেলেনি লাখো লাখো বছরের মানব ইতিহাসে। এই আত্মঅন্বেষণই তাজাকলমের জীবন তপস্যা। তবে নিজেকে জানার সাধনা বৈরাগ্যের পথে নয় বরং মানুষের সাথে থেকে, মানুষকে ভালোবেসে, মানুষের মাঝেই তাজা কলম খুজেঁ পেতে চায় আপন অস্তিত্বের ভূভাগ। তবুও তাজা কলম পৃথিবীতে এক গৃহী সন্নাসী কারন সে নিয়ত খুজেঁ ফিরছে শূণ্য খেকে আসা এবং শূণ্যতেই বিলীন হওয়া মানব জীবনের গুঢ় রহস্য। বিশেষ অনুরোধ: এ ব্লগে প্রকাশিত লেখাগুলো কপিরাইটের আওতাভূক্ত । লেখকের অনুমতি ছাড়া এখানে প্রকাশিত কোন লেখা কিংবা লেখার অংশ বিশেষ কেহ অন্য কোথাও প্রকাশ করলে বেআইনি কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রয়োজনে লেখকের সাথে যোগাযোগ করুন।

তাজা কলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

অণুগল্প: কার্যকারণ

১৬ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৯

ফোর-বি র ম্যাডামকে দেখলেই গা শির শির করে উঠে সিকিউরিটি গার্ড জহিরের। তার কি দোষ! সে ভাবে, শরীরের এমন সেক্সি বান্ধন, আর যেভাবে ওড়না এক কান্ধে ফেলাইয়া সামনে দিয়া যায় বুড়ারাও তো না তাকাইয়া পারে না। টু-ইর মাঝবয়সী সাহেব তো চোখ দিয়াই ম্যাডামকে খাইতে থাকে। ম্যাডাম কি কিছুই বুঝবার পারে না!



ম্যাডাম সামনে পড়লে জহির অবশ্য একবারের বেশী তাকায় না। তার তখন মনে পড়ে যায় স্কুলের মৌলানা মহিউদ্দিনের কথা। ক্লাসে তিনি প্রায়ই বলতেন,'বাবারা, দুইটা জিভকে খুব সাবধানে রাখবা। একটা হইলো দুই ঠোঁটের মাঝখানের জিভ। আরেকটা হইলো গিয়া, দুই ঠ্যাং-এর মাঝখানের জিভ"। চৌদ্দ/পনেরো-র বালক জহির তখন অবশ্য বুঝতে পারতো না মৌলবী স্যারের এই বয়ান। ঢাকায় অ্যাপার্টমেন্টে কাজ করতে এসে এখন সে খুব বোঝে।



মাঝেমধ্যে ইচ্ছে হয়, মৌলানা স্যারের বয়ানটা টু-ইর সাহেবকে বলতে। তবে সাহস হয় না। তাছাড়া, সে নিজেও ধর্মের কারণে নাকি চাকরি খোয়ানোর ভয়ে ম্যাডামের দিকে কম তাকায় এ বিষয়ে নিশ্চিত না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.