নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আত্মনাং বিধিই হোক যাপিত জীবনের প্রেরণার উৎস।

তাজা কলম

সেই কবে ... সভ্যতার আদিলগ্নে সূচিত হয়েছিল নিজেকে জানার অদম্য বাসনা। গ্রিক দর্শনের ‘know thyself’ কিংবা ভারতবর্ষের প্রাচীন দার্শনিকদের, “আত্মনাং বিধি”–র উত্তর আজো মেলেনি লাখো লাখো বছরের মানব ইতিহাসে। এই আত্মঅন্বেষণই তাজাকলমের জীবন তপস্যা। তবে নিজেকে জানার সাধনা বৈরাগ্যের পথে নয় বরং মানুষের সাথে থেকে, মানুষকে ভালোবেসে, মানুষের মাঝেই তাজা কলম খুজেঁ পেতে চায় আপন অস্তিত্বের ভূভাগ। তবুও তাজা কলম পৃথিবীতে এক গৃহী সন্নাসী কারন সে নিয়ত খুজেঁ ফিরছে শূণ্য খেকে আসা এবং শূণ্যতেই বিলীন হওয়া মানব জীবনের গুঢ় রহস্য। বিশেষ অনুরোধ: এ ব্লগে প্রকাশিত লেখাগুলো কপিরাইটের আওতাভূক্ত । লেখকের অনুমতি ছাড়া এখানে প্রকাশিত কোন লেখা কিংবা লেখার অংশ বিশেষ কেহ অন্য কোথাও প্রকাশ করলে বেআইনি কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রয়োজনে লেখকের সাথে যোগাযোগ করুন।

তাজা কলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

অণুগল্প: মাইন্ড রিডার

১৯ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৩

যাবো বেলফাস্টে এক সেমিনারে। 'হিউমেন মাইন্ড রিডার' শিরোনামে আমার একটি পেপার ব্রিটিশ কম্পিউটার সোসাইটি-র জর্ণালে প্রকাশ হলে বেশ সাড়া পড়ে যায়। কুইনস ইউনিভার্সিটি বেলফাস্টে আয়োজিত সেমিনারে আমিই একমাত্র কী-নোট স্পিকার। ইউনিভার্সিটি টিকেট পাঠিয়েছে এবং হোটেল হিলটনে থাকার বুকিংও দিয়েছে ওরা। এছাড়া সেমিনারে এটেন্ড করার জন্য দুই হাজার ইউরো অনারিয়ামও দিবে। মনে মনে একটু শ্লাঘা বোধ করছি।



হিথরোতে ইমিগ্রেশনের ঝামেলা শেষ করে লাউনজে হাঁটাহাটি করছি। চেয়ে দেখি, অনেকেই আমাকে দেখছে, বিশেষ করে সাদা চামড়ার লোকগুলো। এর কারণও আমার জানা। ইচ্ছে করেই আজ শাড়ি পড়েছি। তাও আবার ব্রাইট কালারের। মেরুন রঙা এ কটকা শাড়িটি মা পাঠিয়েছে। এ শাড়িতে যে আমার সেক্সি লুক আরো হাজারো গুণ বাড়িয়েছে তা আমি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বেশ বুঝতে পেরেছি।



মনে পড়ছে আমার এক কবি বন্ধুর কবিতার পঙক্তি:



শাড়িতে জড়িয়ে আছে জাদু

জাদু দেখবো আমি -



এ মূহুর্তে যে সব যুবকেরা আমাকে দেখছে ওদের চোখের দিকে তাকিয়ে বেশ বুঝতে পারছি তারাও জাদু দেখতে চায়। ভাবতে মজাই লাগছে আমার।



হঠাৎ নজরে আসে এক ভারতীয় পৌঢ় আমাকে দেখছে তারিয়ে তারিয়ে। যেন গিলে খাবে। মেজাজটা খিঁচড়ে গেলো। বুড়ো বয়সে ভিমরতি! আমার প্রস্তাবিত মাইন্ড রিডার-টি যদি সত্যি সত্যিই ইম্পলিমেনটেশন করা যেতো তবে নিশ্চিত এই বুড়োর নোংরা ভাবনা মনিটরে ভেসে উঠতো।



একী, লোকটা যে আমার দিকেই আসছে ! ভড়কে যাই আমি! কাছে এসেই ভদ্রলোক বলে উঠেন, "অনেকক্ষণ ধরেই দেখছিলাম তোমাকে। মা তুমি কি আফজালের মেয়ে টিনা না? আমি আফজালের বন্ধু, তোমার হিরণ চাচা। অনেক বছর পরে দেখা। কি চিনতে পারছো এখন?"







































































































মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৯

আমি দিহান বলেছেন: পুরোটা কোথায়?

১৯ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৫১

তাজা কলম বলেছেন: অণুগল্প ভাই, সাসপেনসনেই থেকে যায় শেষটায়। :)

২| ১৯ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রস্তাবিত মাইন্ড রিডার-টি যদি সত্যি সত্যিই ইম্পলিমেনটেশন করা যেতো তবে নিশ্চিত এই বুড়োর নোংরা ভাবনা মনিটরে ভেসে উঠতো।

থিসিস আর মাইন্ড রিডাররে দেখি ভয়াবহ ফলাফল...

আর তাই বুজী অনুগল্পের প্রপাত ধরনীতল =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

৩| ১৯ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪১

সিকদারভাই বলেছেন: ধপাস করে পড়িনি কারন কিছুটা আঁচ করতে পেরেছিলাম । সুন্দর হয়েছে ।

৪| ১৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ১১:৫৭

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
সুন্দর লিখেছেন ৷

৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অন্যরকম| মনের আঁড়ালে কত কিছুই না চলে!
সার্থক অনুগল্প

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.