নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আত্মনাং বিধিই হোক যাপিত জীবনের প্রেরণার উৎস।

তাজা কলম

সেই কবে ... সভ্যতার আদিলগ্নে সূচিত হয়েছিল নিজেকে জানার অদম্য বাসনা। গ্রিক দর্শনের ‘know thyself’ কিংবা ভারতবর্ষের প্রাচীন দার্শনিকদের, “আত্মনাং বিধি”–র উত্তর আজো মেলেনি লাখো লাখো বছরের মানব ইতিহাসে। এই আত্মঅন্বেষণই তাজাকলমের জীবন তপস্যা। তবে নিজেকে জানার সাধনা বৈরাগ্যের পথে নয় বরং মানুষের সাথে থেকে, মানুষকে ভালোবেসে, মানুষের মাঝেই তাজা কলম খুজেঁ পেতে চায় আপন অস্তিত্বের ভূভাগ। তবুও তাজা কলম পৃথিবীতে এক গৃহী সন্নাসী কারন সে নিয়ত খুজেঁ ফিরছে শূণ্য খেকে আসা এবং শূণ্যতেই বিলীন হওয়া মানব জীবনের গুঢ় রহস্য। বিশেষ অনুরোধ: এ ব্লগে প্রকাশিত লেখাগুলো কপিরাইটের আওতাভূক্ত । লেখকের অনুমতি ছাড়া এখানে প্রকাশিত কোন লেখা কিংবা লেখার অংশ বিশেষ কেহ অন্য কোথাও প্রকাশ করলে বেআইনি কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রয়োজনে লেখকের সাথে যোগাযোগ করুন।

তাজা কলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিঁড়ি

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩০

বিকেলে চায়ের টেবিলে বসে আসফাকই প্রসঙ্গটা তোলে।

- জহির সাহেবের সাথে তোমার এই মেলামেশাটা কি ঠিক হচ্ছে?
ফোঁস করে উঠে ইলোরা, "তোমার সব কিছুতেই বাড়াবাড়ি, কী হয়েছে এমন, না হয় জহির সাবকে খানিকটা সঙ্গই দেই। বুড়ো মানুষটা বক বক করতে পছন্দ করে, শ্রোতা কাউকে কাছে পেলে উনার ভালো লাগে, এই তো.. এতে করে মহাভারত কি অশুদ্ধ হয়ে গেল?"

আসফাক এবার মিনমিন করে। বলে, 'বুঝোই তো, কলেজ শিক্ষক হিসেবে আমার সামাজিক মর্যাদা আছে। কলিগদের অনেকেই আজ ইঙ্গিত করছিল ফেইসবুকে তোমার সাথে সম্পাদক জহিরের ছবিটা নিয়ে। কি দরকার ছিল ফেইসবুকে দেয়ার!'

স্বামীর কথা শুনে ইলোরার এবার তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে। তারস্বরে বলে উঠে-

- তোমার কলিগরা কি আমাদের বাপ/চাচাদের জেনারেশনের ! কে কার সাথে ফেইসবুকে ছবি তোলে পোষ্ট দিলো তা নিয়ে কানাঘুষার কি আছে ! আমি তো তোমার কাছে ফেইথফুল, তোমাকে তো কিছু লুকাই না। দ্যাটস অল।
- তা ঠিক। কিন্তু মানুষের মুখ বন্ধ করব কি করে। সবাই বলাবলি করছে ইদানিং প্রায়ই তোমার কবিতা উনার পেপারে প্রকাশ হচ্ছে তা নাকি উনার জন্যই।

এবার খুশীতে ডগমগ হয়ে উঠে ইলোরা, "বাহ! তার মানে আমার কবিতাগুলো তোমার কলিগদের নজরে এসেছে। তুমিই তো বলো আমার মা্ঝে প্রতিভার দীপ্তি আছে। কিন্তু শুধু প্রতিভা থাকলেই হয় না। এটা মার্কেটিং-এর যুগ, প্রচারেই পসার। প্রচারের জন্য ব্যাক আপেরও প্রয়োজন। রাগ করো না লক্ষীটি, জহির সাহেবকে জাস্ট সিঁড়ি হিসেবেই ইউজ করছি। আর দু/একটি বছর যাক না ... আমি নিজেই হয়ে উঠবো প্রতিষ্ঠিত কবি। " কথা শেষ করেই আসফাককে আদরে আদরে ভরিয়ে দিতে শুরু করে ইলোরা।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৯

আমিনুর রহমান বলেছেন:



:|| :| B:-/

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.