![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আচ্ছা বলেন দেখি ৭১এর বুদ্ধিজীবী হত্যার সাথে বর্তমানের কোন জিনিসটার খুব মিল ?
সেটা হল প্রশ্নপত্র ফাঁস। প্রকৃতপক্ষে এটা তার চেয়ে অনেক বেশি ভয়াবহ। ছোট বেলায় পড়েছিলাম কোন জাতিকে ধংস করতে হলে তার সব বই পুড়িয়ে দাও। এটাতো তারই একটা অন্যরূপ। কি অভিনব পন্হায় একটা জাতিতে বই বিমুখ করে ফেলছে। তাই বলে প্রাথমিক শিক্ষাটাও ভাল ভাবে শিখতে দিবে না?
তার বদলে এই বয়সেই চুরি বিদ্যার হাতেখড়ি!নৈতিক অবক্ষয়ের এই দুঃসময়ে শিক্ষক যদি নিজেই তার নীতি নৈতিকতা বজায় রেখে চলতে না পারেন তা হলে আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো?
এখনআর ‘ঘাড় ঘুরালে খাতা নিয়ে যাব’বলার প্রয়োজন পড়ে না। আগের শিক্ষাকদেরএকটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল পরীক্ষায় নকল বন্ধ করা।ছাত্রছাত্রীরা এখন আর নকল করে না,করার প্রয়োজন পড়ে না। কারণ; পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন এবং উত্তর দুটোই তাদের কাছে পৌঁছে যায়!
হঠাত কি এমন হল যে শিক্ষার মত একটা সেক্টরের মানুসের মাঝে নৈতিকতা একদম হারিয়ে গেল!এটা সুধু গুটি কয়েক অসাধু লোকের কাজ না, এটা ভাইরাসের মত ছড়িয়ে গেছে রুইকাতলা থেকে পাড়ার প্রাইভেট মাস্টার পর্যন্ত।
বিগত কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে পর পর তিনবার চ্যাম্পিয়ান হয়েছিল কিন্তু তখনও মানুষ পড়ে পাস করতো। তাহলে অনুমান করতে পারছেন ভবিষত্ কতটা ভয়াবহ।
যে প্রতারণামূলক শিক্ষাপদ্ধতি চালু রাখা হয়েছে,তা শুধু অন্যায়ই নয় বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে ধ্বংস করার এক দুর্বীনিত অপরাধও বটে।আজ সারা জীবনের জন্য মারাত্মক একটা ভুল শিক্ষা তাদের জীবনে থেকে গেল সঠিক উত্তর হিসেবে।
আবার চোরের উপর বাটপারের ও অভাব নাই। আমার পাশের বাসার মেধাবী মেয়ে ২ লাখ টাকা দিয়ে মেডিকেলের ভর্তি প্রশ্ন কিনে দেখে একটা ও কমন পড়ে নাই। অথচ সে যদি প্রশ্নের পিছু না ছুটে নিজে প্রিপারেশন নিত তাহলে হয়ত টিকে যেত। ইন্টারের ইংরেজি পরিক্ষার সময় আমার ছোট ভাইয়ের বন্ধুর সাথেও এমন হয়েছে।
বেশ কয়েকবসর ধরে দ্রুত রেজাল্ট দেওয়ার নিয়ম কিরার কারনে গড়পড়তা নাম্বারদেওয়ার প্রবনতা অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে, যখন একটাক্লাসের ৭০ জনের প্রায় সবাই সমান-সমান গ্রেট পায়, তখন খারাপছাত্রের বাবা গর্ব করে মিস্টি নিলি করে আর ভালো ছাত্রটি ঘরে বসে অভিমানে ফুঁসতে থাকে।যে দেশে গুণীর কদর নাই, সে দেশে গুণী জন্মেও না।
আগে তো প্রায়শই পরিক্ষার সময় এমন খবর দেখা যেত যে নকল সাপ্লাই এর জন্য পুলিসের হাতে ধরা পড়ার খবর। বিগত কয়েক বছর ধরে এমন টা আর চখে পড়ে না।ডিজিটাল বাংলাদেশে ফেসবুকের প্রশ্নের ফাস করা স্ট্যাটাস দাতা কে খুঁজে বার করা খুব কঠিন কিছু না। বর্তমানে অনেক ক্রাইমইতো এভাবে স্লভ করা হচ্ছে।এখন তো সরকার সাইবার ক্রাইম নিয়ে খুব ভাল আইন চালু করেছে।
আর আওয়ামী সরকার তো দেশের শিক্ষার জন্য অনেক ভাল ভাল কার্জক্রম নিয়েছে। যেমন শিক্ষার্থী দের হাতে সঠিক সময়ে বই দেওয়া। এবং কিছুদিন আগেও পরিক্ষার দূর্নীতির ব্যাপার গুলোতে অনেক কড়াকড়ি ছিলো। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ,শিক্ষানীতির জন্য ছাত্রজীবনে যিনি আন্দোলন করেছেন;শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়ে গত অর্ধযুগ ধরে কিছু ভালো কাজও করে সাফল্যও পেয়েছেন।কিন্তু সেগুলো ম্লান হতে খুব বেশি সময় লাগবে না যদি এখনি হাল না ধরেন।
মিডিয়া যেভাবে এই বিষয়টা তুলেধরছে রাতে আশা করা যায়,পরবর্তিতেসরকার এ বিষয় কঠোর হবে। কিন্তু এই ভাইরাস যেভাবে পরিক্ষার সাথেজড়িতদের রন্দ্রে রন্দ্রে ছড়িয়েছে তাতে এটা দূর করতে প্রয়জন সর্বস্তরের সহযোগীতা।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৪
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: একমত
২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৯
দীপংকর চন্দ বলেছেন: ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিতুলনা।
শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৫
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:২৬
ঢাকাবাসী বলেছেন: এমন পাচাটা দুর্ণীতিবাজ শি...ন্ত্রী. থাকলে দেশের শিক্ষা ধ্বংশ হতে বেশীদিন লাগেনা।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৫
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন:
৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪১
নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: ভীষণ ভাল লাগল
লিখায়+++++
বেশি বেশি ভাল থাকা হোক
০৭ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৪
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭
এনামুল রেজা বলেছেন: আদতে এই ক্ষতিটাও অপুরনীয়তেই দাঁড়াবে। নিজেরা নিজের যায়গা থেকে সৎ না হলে প্রশাসনের পক্ষে সম্ভব না দুর্নীতিটা রোধ করা।
বাবা-মা, বড় ভাইয়েরা যখন তাদের সন্তান বা ছোটো ভাইবোনের জন্য নিজ উদ্যোগে প্রশ্নপত্র খুজতে থাকে, তখনি পরিষ্কার হয়ে যায় আমরা নিজেদের যায়গা থেকে কতোটা অসৎ, নীচ!
০৭ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: আসলেই তাই।
৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪০
বাড্ডা ঢাকা বলেছেন: ভালো বলেছেন।
০৭ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৫
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৩
রঙতুলি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
শিক্ষা ব্যবস্থা আজ অশিক্ষার লালনে পরিণত হয়েছে ।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২৭
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: হুম । দেখা যাক এই s.s.c পরিক্ষায় কি হয়। ধন্যবাদ।
৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০৯
নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: "আবার চোরের উপর বাটপারের ও অভাব নাই। আমার পাশের বাসার মেধাবী মেয়ে ২ লাখ টাকা দিয়ে প্রশ্ন কিনে দেখে একটা ও কমন পড়ে নাই। অথচ সে যদি প্রশ্নের পিছু না ছুটে নিজে প্রিপারেশন নিত তাহলে হয়ত টিকে যেত। ইন্টারের ইংরেজি পরিক্ষার সময় আমার ছোট ভাইয়ের বন্ধুর সাথেও এমন হয়েছে।"
দুই লাখ টাকা দিয়ে..................।
অবশ্য মানাও যায়।
কারন যে দুই লাখ টাকায় নকল প্রশ্ন (কাগজ) কিনে সে নিশ্চয়ই ৪ লাখে তার চেয়েও কম দামি কাগজ বিক্রি করে (যদি আপনি কথাটি মিথ্যে ও মনগড়া না বলে থাকেন)।
যে যেমন তার তার স্বভাবটাও তো তেমন হবে।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২৫
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: সুচিন্তিত ম্নন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্রস্ন ২লাখ টাকাই ছিলো, কারণ তা মেডিকেলের ভর্তি প্রশ্নের কথা, আমার উল্লেখ করা উচিৎ ছিলো।
৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৩৪
স্বপ্নাতুর পুরব বলেছেন: ভালো লিখেছেন । আপনার নতুন লেখা পড়ার অপেক্ষায় !
০৭ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১২
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ, আমার লেখাও যে কেউ পড়তে চায় এটা জানলে আলসেমি ছেড়ে আবার কলম ধরতে ইচ্ছা হয়
১০| ০৭ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন:
গ্রেডিং এর সাথে নাম্বারটাও প্রকাশ করা উচিত। গ্রেড দিয়া এখন মেধার লেভেল বোঝা অসম্ভব।
পোস্টে প্লাস। যদিও এইসব পোষ্ট সরকারের লোকজন পড়েনা।
১১ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:২৭
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: সম্পূর্ণ একমত। পড়ার জন্য ধন্যবাদ
১১| ২৭ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৩১
অবিবাহিত জাহিদ বলেছেন: Akhon sadinoter pokkher sokti khomotay ar apni ar majha buddijibe hottar mil kujtacen...
Apni tho basi subidar na
২৭ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৮
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: হায় হায়! কিসের মধ্যে কি! হাহাহাহা ...
১২| ৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ২:০৯
গেম চেঞ্জার বলেছেন: গলদ তো গোড়ায়!! শিক্ষাব্যবস্থার জন্য আন্তরিক কয়জন??
পোস্টে সহমত জানাচ্ছি। কিছু টাইপো আছে ঠিক করে নিতে পারেন।
১৪ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:০৪
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।
অনেক সাধনার পর যখন আবার ব্লগে আসতে পারলাম
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩১
নতুন বলেছেন: এটা আমাদের সমস্টিগত ভন্ডামীর সাইড ইফেক্ট মাত্র...
সব জায়গায় দূনিতি আর সুবিধা নিতে ব্যস্ত আমাদের দেশের মানুষ
দূনিতি করতে করতে এখন বাবা প্রশ্ন কিনে ছেলের হাতে ধরিয়ে দিতে লজ্জা পাচ্ছেন না... ( এটা বড়ই ভয়ংকর একটা বিষয় জাতির জন্য)
সরকার ভন্ডামী করছে শিক্ষার মান বাড়াইতেছে কাগজে কলমে...
আইনের ঠিকাদারেরা টাকা ছাড়া কিছু করা বন্ধকরেছে তাই এই বিষয়ে তাদের খুব একটা সমস্যা নাই... তাদের টাকা পাইলেই তো হইলো...
দেশপ্রেম/নৈতিকতা/মানবতা লোক দেখানো বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে ক্ষমতাবানের জন্য...
আমরা সাধারনেরা ব্লগে প্রতিবাদ করি... আর ক্ষমতাবানেরা আমাদের আতেল বলবে...