![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আল্লাহু আকবারের মর্ম অনুধাবন
দুই রাকাত নামাজে একজন মুসলিম অন্তত এগারোবার আল্লাহু আকবার বলে। পাঁচওয়াক্ত ফরজ নামাজ এবং সুন্নাত ও ওয়াজিব মিলিয়ে একদিনে এই সংখ্যাটা একশো পঞ্চাশের অধিক হয়। এর মানে হল একজন মুসলিম দিনে দেড়শো বারের অধিক তার রবকে সবচেয়ে বড় বলে ঘোষনা দিচ্ছে। সে যেমনি তার রবকে সবচেয়ে বড় বলে ঘোষনা দিচ্ছে তেমনি তার দেয়া শরীয়ত এবং বিধি বিধানকেও সকল ধর্ম ও মতবাদের উপর স্থান দেবে এটাই ছিল স্বাভাবিক।
কিন্তু বাস্তবে ভিন্ন কিছু পরিলক্ষিত হয়, কিছুক্ষণ পুর্বে আল্লাহু আকবার বলে আল্লাহর বড়ত্বের ঘোষনা দিয়ে আসা ব্যাক্তিটাও মসজিদ থেকে বের হয়েই আল্লাহ প্রদত্ত শাসননীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করে আল্লাহ দ্রোহীদের বানানো শাসননীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতিকে সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত করার এবং সে অনুযায়ী রাষ্ট্র, সমাজ পরিচালনা করার শপথ নিচ্ছে।
সমাজ, রাষ্ট্র ও আইন আদালতে ইসলামকে অচল মনে করছে। ইসলামের বিধানকে উন্নতি ও অগ্রগতির অন্তরায় মনে করছে। ইসলাম ধর্ম ও অন্যন্য বাতিল ধর্মকে সমমর্যাদার মনে করছে। ইসলামের অনেক বিধানকে সেকেলে, অচল, পশ্চাতপদ ও বর্বর মনে করছে। ইসলামী বিধানের পরিবর্তে পশ্চিমাদের নোংরামীকে যুগোপযোগী, আধুনিক ও কল্যাণকর মনে করছে।
এর কারণ হল আমরা মুখে আল্লাহ সবচেয়ে বড় বললেও মনেপ্রাণে এই কথা মেনে নিতে পারিনি। যদি মনেপ্রাণে এই কথা মেনে নিতে পারতাম তাহলে কখনো আমাদের পক্ষে আল্লাহর দেয়া সমাজনীতি অর্থনীতি রাষ্ট্রনীতি তথা ইসলামী শরীয়াহর বদলে জমিনে ভিন্ন কোন মতবাদকে মেনে নেয়া সম্ভব হতোনা। এর অধীনে শান্তভাবে জীবন-যাপন করা এবং একে বিনাশ করার পরিবর্তে এর প্রতিরক্ষা করার কথা তো কল্পনাও করতাম না।
সত্যিকার্থেই যে ব্যাক্তি আল্লাহকে সবচেয়ে বড় বলে বিশ্বাস করে সে তার জীবন ব্যয় করে হলেও বাকি সব বাতিল মতবাদকে ধ্বংস করে আল্লাহর দেয়া শরীয়াহকে বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে। এমন কিছু তাওহীদবাদী নির্ভীক যুবক উঠে দাঁড়াবে এই আশায়…
©somewhere in net ltd.