![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আট মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় অবিরাম ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে দখলদার ইস@রায়েলি বাহিনী। ইস@রায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত পুরো গাজা। যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই শুধু ধ্বংস আর ধ্বংস, সারি সারি বিধ্বস্ত ঘরবাড়ী, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া শত শত শহীদের দেহাবশেষ, কংক্রিটের নিচে চাপা পড়া তিলে তিলে গড়ে তোলা হাজারো মানুষের স্বপ্ন। মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, হাসপাতাল কিছুই অক্ষত রাখেনি হায়েনারা। তাদের এমন বর্বরতায় স্তব্ধ পুরো বিশ্ব। হামলায় প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছেন শত শত ফিলি@স্তিনি। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৩৮ হাজার ছাড়িয়েছে, চারদিকে শুধু লাশ আর লাশ। লাশের সারি বড় হতে হতে পাহাড়সম হচ্ছে, তবুও থামছেনা হায়েনাদের ধ্বংসযজ্ঞ। এখনো যারা বেঁচে আছেন তারাও প্রতিনিয়ত ভয় আর উৎকণ্ঠা নিয়েই বেঁচে আছেন। কখন আবার বিমান হামলা হবে, কখন আবার আরো একটি বাড়ি ট্যাংকের গোলার নিশানা হবে, কখন আবার হায়েনার ছোঁড়া গুলিতে প্রিয়জনের বুক ঝাঁঝরা হবে, এমন ভয় প্রতিনিয়ত তাড়া করে বেড়ায় তাঁদের।
.
ইসলামের প্রথম কিবলার প্রতিবেশীদের এই আজ পরিস্থিতি। তবুও আমরা নির্বাক, যেন কিছুই হয়নি। ধ্বংস্তূপের নিচে অবুঝ শিশুদের কান্না এবং অসহায় মা বোনদের আর্তচিৎকারে আকাশ বাতাস ভারি হতে দেখেও তাঁদের সাহায্য করার সম্ভাব্য উপায় খুঁজিনি, নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থেকেছি। ‘মুমিনরা একটি দেহের ন্যায়, এক অংশ আক্রান্ত হলে পুরো শরীরই ব্যাথা অনুভব করে’ রাসুলের এই বাণী শুনেও আমরা একটু নড়েচড়ে বসিনি, যেন আমরা উম্মতের প্যারালাইজড অংশ।
.
হাশরের ময়দানে ফিলি@স্তিনি ভাইরা যদি আল্লাহর কাছে আমাদের নামে নালিশ করে বলে যে, আমরা যখন শতাব্দির নির্মমতম গণহত্যার শিকার হচ্ছিলাম তখন এরা সবাই নিজ নিজ দেশে বসে তামাশা দেখছিল, কেউ এগিয়ে আসেনি। সেসময় কি জবাব দেবো আমরা?
.
তাই আসুন যার যা আছে তাই নিয়ে ভাইদের পাশে দাঁড়াই, যারা বীরদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হায়েনাদের জবাব দিতে সক্ষম, তারা যেন যো@দ্ধাদের কাতারে নাম লেখান। যারা অস্ত্র,অর্থ,পরামর্শ বা অন্য কোনোভাবে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারবেন তারা যেন তাই করেন। যাদের পক্ষে এসবকিছু সম্ভব নয় তারা অন্তত জায়ো@নিস্ট ইস@রায়েল এবং তার সহায়তাকারী দেশসমূহের সব ধরণের পণ্য বয়কট করার মাধ্যমে মজলুম ভাইদের পাশে দাঁড়াবেন।
.
আজ যদি আমরা সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে ভাইদের পাশে না দাঁড়াই, তাহলে দুনিয়া বা আখিরাতে এর প্রতিফল ভোগ করার জন্য যেন প্রস্তুত থাকি। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে হেফাজত করুন। আমীন ইয়া রব্বাল আলামীন
©somewhere in net ltd.