নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তামিম আল আদনানী

তামিম আল আদনানী

লেখক, আলেম, দ্বায়ী, মোটিভেশনাল স্পিকার

তামিম আল আদনানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশজুড়ে হিন্দুত্ববাদীদের আস্ফালন: কী বার্তা দেয় আমাদের-

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১২

হাসিনা পতনের পর থেকেই হিন্দুদের একটা অংশ দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনেকগুলো সভা সমাবেশ করেছে। বিশেষ করে শাহবাগে তাদের সমাবেশ গুলো ছিল চোখে পড়ার মত। যেখানে তারা নিজেদেরকে নির্যাতিত নিপীড়িত বলে দাবি করেছে। কিন্তু আমরা সাম্প্রতিক সময়ে দেশের কোথাও হিন্দু নির্যাতনের কোন খবর পাইনি। তবে সীমান্তে বিএসএফ কতৃক হিন্দু নিহতের খবর পেয়েছি। অথচ এই নিয়ে তারা একটু উচ্চবাচ্চ্যও করেনি, উলটো নিহতদেরকে নির্যাতিত হয়ে পালাতে গিয়ে গুলি খেয়েছে বলে দাবী করেছে। হিন্দুদের এই অংশটি মূলত হিন্দুত্ববাদী আদর্শ দ্বারা অনুপ্রাণিত, ভারতীয় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও উগ্রবাদী হিন্দু সংগঠন গুলোর দ্বারা পরিচালিত।
.
যে হিন্দুদের বাড়ি-ঘর, জান-মালের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা দেয়ার জন্য এদেশের মুসলিমরা রাত জেগে পাহারা দিলো, সেই মুসলিমদের শেষ করার জন্যই ভারতপন্থী হিন্দুরা এখন আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে। মসজিদের সামনে গিয়ে উগ্রবাদী শ্লোগান দিচ্ছে। হিন্দু নির্যাতনের মিথ্যা গল্প সাজিয়ে ভারতীয় হিন্দুদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে।

গাদ্দারী এবং মুনাফেকী এদের মজ্জাগত স্বভাবে পরিণত হয়েছে। বহুদিন ধরে তারা এই ধরনের ষড়যন্ত্র করে আসছে। তাদের চরিত্র হল, যখন ঘাড়ের উপর লাঠি থাকে তখন ভগবান ডাকতেও দ্বিধা করেনা, কিন্তু যখনই সুযোগ পায় ছোবল মারার চেষ্টা করে। সাপ যেমন দুধ কলা খাওয়ালেও সুযোগ পেলে ছোবল মারে, এদের চরিত্রও ঠিক এরকম।
.
বাংলাদেশে ইসকন কিংবা এধরনের সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত অনেক হিন্দুই বাংলাদেশকে ভারতের অংশ বানানোর স্বপ্ন দেখে। শুধু স্বপ্নই দেখেনা প্রকাশ্যে দাবিও জানায়। অনেকে আবার চট্টগ্রাম অঞ্চল নিয়ে হিন্দুদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র গঠনের দাবি জানাচ্ছে। এই ঘটনাগুলোকে আপাতদৃষ্টিতে ছোটখাটো বা বিচ্ছিন্ন মনে হলেও এর মূল অনেক গভীরে। এগুলো মূলত ভারতীয় উগ্র হিন্দুদের বাংলাদেশ দখল করে অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্রেরই অংশ। আরএসএসের অধীনে এই দেশে অনেকগুলো সংগঠন এই লক্ষ্যে কাজ করছে। তাদের যদি এখনই মূল উপড়ে ফেলা না যায় তাহলে ভবিষ্যতে অনেক বেশি মূল্য চোকাতে হবে। এরজন্য আমাদেরকে শুধু অনলাইনে সীমাবদ্ধ থাকলে হবেনা। আলোচনা পর্যালোচনা করে কার্যকরী ও সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।
.
যাদের ইশারায় তারা এত আস্ফালন করছে তাদের ব্যাপারেও আমাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। তাদের কোমর ভাঙ্গার জন্য সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে। এই লড়াই আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই, এই লড়াইয়ে আমাদের জিততেই হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.