নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তামিম আল আদনানী

তামিম আল আদনানী

লেখক, আলেম, দ্বায়ী, মোটিভেশনাল স্পিকার

তামিম আল আদনানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক-একটা হাসিনার জন্য এক-একজন আবু সাঈদই যথেষ্ট।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



এক-একটা হাসিনার জন্য এক-একজন আবু সাঈদই যথেষ্ট।
.
স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার আজ্ঞাবহ পুলিশ বাহিনীর বুলেটের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়া এক যুবক আবু সাঈদ। বাংলার ঘরে ঘরে এ নামটি আজ বেশ সমাদৃত। বিপুল সাহসে ভরা একটি বুক তিনি পেতে দিয়েছিলেন জালিমের বুলেটের সামনে। নির্দয় বুলেট ঢুকে পড়ে আবু সাঈদের বুকে। ঝাঁঝরা হয়ে যায় বুক। তিনি লুটিয়ে পড়েন মাটিতে। চলে যান আপন রবের সান্নিধ্যে। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বিজয়ের এই ক্ষণে আবু সাঈদ নেই আমাদের মাঝে। তিনি নেই বলেই আমরা আজ হাসিনামুক্ত। বুলেটের সামনে তিনি এভাবে দাঁড়িয়ে না গেলে আমরা হয়তো হাসিনামুক্ত হতে পারতাম না। স্বাধীনতা যে ত্যাগ আর কুরবানী চায়, সেই ত্যাগ সবাই দিতে পারে না; দিতে পারে আবু সাঈদরা।
জালিমের বুলেটের সামনে বুক চিতিয়ে কীভাবে দাঁড়িয়ে যেতে হয়, আমাদের যুবকদের সেই শিক্ষা দিয়ে গেছেন আবু সাঈদ। এরপর অসংখ্য যুবককে আমরা দেখেছি, পুলিশের সামনে বুক উঁচু করে দাঁড়িয়ে যেতে; বলতে শুনেছি- গুলি কর, গুলি কর! এ অবদান আবু সাঈদের। আবু সাঈদ আমাদের প্রেরণা। জুলুমকে সয়ে নিতে অভ্যস্ত একটা জাতিকে তিনি টেনে জাগিয়েছেন গভীর নিদ্রা থেকে। যুবকদের অন্তর থেকে মৃত্যুর ভয়কে দূর করেছেন। সমগ্র জাতিকে বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়িয়ে যাওয়ার সাহসী সবক শিখিয়েছেন।
.
আজ আবু সাঈদ নেই আমাদের মাঝে। মূলত আবু সাঈদরা এমনই হয়। বিজয়ের পর তারা আর থাকেন না। অন্যদের বিজয়ের স্বাদ উপভোগ করার পথ সুগম করে তারা চলে যান ওপারে। স্বৈরাচারির বিরুদ্ধে যারা জীবন বিলিয়েছে, আবু সাঈদ সকলের অগ্রজ। প্রেরণার বাতিঘর। চেতনার প্রদীপ্ত মশাল। একটি ঘুমন্ত জাতির জাগ্রত মুয়াজ্জিন। পিছু না হটা অমিততেজা এক বীর। আমি আবু সাঈদকে যতবার দেখি ততবার মুগ্ধ হই। তার বীরত্ব দেখে। তাঁর সাহসিকতা দেখে। এত নির্ভিকও হতে পারে মানুষ! জীবনকে বিলিয়ে দেওয়ার এতো আকাঙ্ক্ষা কখন আসে? যখন সে দেখে দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটি জুলুমে ভরে গেছে। এই জুলুম রক্ত ছাড়া পরিষ্কার হবার নয়। তখন মানুষ রক্ত ঢালে। মাটিকে পবিত্র করে। এ পথ খুব পিচ্ছিল পথ। যুগে যুগে আবু সাঈদরা এপথে রক্ত ঢেলে পথকে পরিষ্কার করে গেছেন।
.
জালিমের বুলেটের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়ার যে সবক আবু সাঈদ আমাদের শিখিয়েছেন, ইনশাআল্লাহ্‌ আগামীতে নতুন কোনো হাসিনাকে হঠানোর ক্ষেত্রে সে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। এক-একটা হাসিনার জন্য এক-একজন আবু সাঈদই যথেষ্ট। বুক ভরা সাহস নিয়ে শুধু দাঁড়িয়ে যেতে হবে। আমি দাঁড়িয়ে গেলে আমার পেছনে দাঁড়িয়ে যাবে গোটা একটা জাতি। এরকম আবু সাঈদ বাংলার ঘরে ঘরে পয়দা হবে ইনশাআল্লাহ্‌।
.
যেদিন এদেশের মানুষ আল্লাহর যমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের বিশুদ্ধ আন্দোলন নিয়ে মাঠে নামবে সেদিন এদেশের প্রতিটি যুবক এক-একজন আবু সাঈদ হয়ে উঠবে, ইনশাআল্লাহ। এরকম হাজারটা আবু সাঈদ সেদিন দাঁড়িয়ে যাবে এক কাতারে। আবু সাঈদদের সামনে আর কোনো জালিম টিকে থাকতে পারবে না। আবু সাঈদরা মরে না; মরেও তারা অমর হয়ে থাকে। বেঁচে থাকে যুগ যুগ ধরে। মানুষের অন্তরে। প্রেরণা হয়ে, সাহসিকতার প্রতীক হয়ে, জালিমের আতঙ্ক হয়ে, মাজলুমানের রাহবার হয়ে। রব্বে কা'বা আবু সাঈদের উপর রহম করুন, রাহিমাহুল্লাহু রাহমাতান ওয়াসি'আহ। আমিন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.