![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
.
আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারীম নাযিল করেছেন আমাদের জন্য। যেন আমরা এর আলোয় জীবন গড়ে দুনিয়া আখিরাতকে সাফল্যমণ্ডিত করতে পারি। সাহাবায়ে কেরাম এই কুরআন ধারণের মাধ্যমেই দুনিয়াতে রাজত্ব এবং আখিরাতে শ্রেষ্ঠত্বের আসন লাভ করেছিলেন।
.
সেই কুর আন এখনো আছে, একেবারে আগের মতই আছে। আমরাও কুরআন পড়ি, কুরআনের অর্থ ব্যখ্যা শানে নুযুল সবই জানি। কুরআনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করি।
.
তবু কেন আমাদের এত দূর্দশা, এত বেহাল অবস্থা! কেন আমাদের মাঝে কুরআনী শিক্ষার তেমন কোন প্রতিফলন নেই? কেন এত চর্চার পরও আমাদের সমাজ কুরআনী সমাজ হয়না? মানবজাতির হেদায়াতের জন্য এক ও একমাত্র কিতাব হল কুরআনুল কারীম, এই কথা জানার পরও কেন আমাদের কাছে পশ্চিমের নোংরা সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা এবং পূঁজিবাদী অর্থব্যবস্থা বেশি প্রিয়?
.
এর একটা কারন হল আমরা কুরআনকে নিজের জন্য, নিজের হেদায়াতের জন্য পড়িনা। কুরআনের শিক্ষা ও আদর্শ যে সর্বপ্রথম নিজের মধ্যেই ধারণ করতে হবে এমনটা মনে করিনা। আমরা কুরআন শিখি অন্যদের ওয়াজ করার জন্য এবং নিজ মতের পক্ষে দলিল খোঁজার জন্য। কিন্তু কুরআন আমাদেরকে যেই আদর্শে গড়ে তুলতে চায় সেই আদর্শ ধারণ করার জন্য পড়িনা।
.
আমরা যদি ব্যক্তি সমাজ রাষ্ট্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন চাই তাহলে আমাদেরকে সাহাবায়ে কেরামের মত কুরআন পড়তে এবং বুঝতে হবে, তাদের মত করে কুরআনকে ধারণ করে এর শিক্ষা ও আদর্শকে বাস্তবায়নের জন্য নিজের জান মাল সব কোরবান করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এভাবে অগ্রসর হলে কুরআনী সমাজ গড়ে উঠবেই ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ তাআলা বলেছেন-
إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَذِكۡرَىٰ لِمَن كَانَ لَهُۥ قَلۡبٌ أَوۡ أَلۡقَى ٱلسَّمۡعَ وَهُوَ شَهِيدٞ [ق: ٣٧]
“নিশ্চয় এতে উপদেশ রয়েছে তার জন্য, যার রয়েছে অন্তর অথবা যে নিবিষ্টচিত্তে শ্রবণ করে।” -সূরা ক্বফ আয়াত: ৩৭
আচ্ছা আমাদের মধ্যে কি ক্বলব আছে? তাহলে কেন এত চর্চা, এত গবেষণা, এত ওয়াজ মাহফিলের পরও আমরা কুরআনী শিক্ষাকে ধারণ করতে পারিনা?
.
সময় বের করে একটু উত্তর খোঁজার চেষ্টা করি…
©somewhere in net ltd.