নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তামিম আল আদনানী

তামিম আল আদনানী

লেখক, আলেম, দ্বায়ী, মোটিভেশনাল স্পিকার

তামিম আল আদনানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আর্থার বেলফোরের “বেলফোর ঘোষণা” বনাম রাসূল সা. এর “নববী ঘোষণা”

০৪ ঠা জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:১৯

আর্থার বেলফোরের “বেলফোর ঘোষণা” বনাম রাসূল সা. এর “নববী ঘোষণা”
.
আজকের ই&সর|য়েল বিশ্বের বুকে এক ত্রাসের নাম। ইউরোপ আমেরিকার প্রত্যক্ষ মদদে ই&সর|য়েল মধ্যপ্রাচ্যে ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। মধ্যপ্রাচ্যের যখন যেখানে মন চায় হামলে পড়ছে। কী ফি/লি/স্তি/ন, কী সিরিয়া আর কী লেবানন? ব্রিটিশের ঔরশজাত এই জারজ রাষ্ট্রটি চরম পর্যায়ের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। হাজার হাজার বছর ধরে ফি/লি/স্তি/ন ছিল মুসলিমদের ভূখন্ড। আজ সেই ফি/লি/স্তি/নিরাই নাকি বিদ্রোহী; আর উড়ে এসে জুড়ে বসা ই*হু*দিরা নাকি রাষ্ট্রের আসল মালিক। অন্যের দেশ দখল করতে আসা ডাকাতরাই নাকি বলে দেবে কে ডাকাত আর কে মালিক!!
.
ই/হু/দি এই জাতিটা মূলত ছিল ইউরোপে। তাদের স্থায়ী কোনো আবাসভূমি ছিল না। তারা যেখানেই থাকত সেখানেই নিজেদের পৈতৃক চরিত্র ফুটিয়ে তুলত। ফেতনা-ফাসাদ, ঝগড়া-বিবাদ, মারামারি-হানাহানি, নৈরাজ্য-অরাজকতা ই*হু*দিদের জাতিগত চরিত্র। এসব কারণে ইউরোপের জনগণের মাঝে ক্রমশ ই*হু*দিবিদ্বেষ দানা বাঁধতে শুরু করে। তাছাড়া উনবিংশ শতাব্দির শেষের দিকে ইউরোপজুড়ে শুরু হয় জায়নিজম আন্দোলন। জায়নিজম আন্দোলনের মূল দাবী ছিল, ফি/লি/স্তি/নে ই*হু*দিদের জন্য একটি জাতীয় আবাসভূমি গঠন করা। একদিকে ইউরোপ জুড়ে ই*হু*দি -বিরোধী তীব্র জনরোষ অপরদিকে ফি/লি/স্তি/নে নিজেদের আবাসভূমি গড়ার আন্দোলন—সবমিলিয়ে তৎকালীন ব্রিটেন সরকার ফি/লি/স্তি/নে ই*হু*দিদের নিজস্ব রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব মেনে নেয়। এটা সেই সময়কার কথা, যখন ফি/লি/স্তি/ন অঞ্চলটি ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রণে ছিল। সময়টা ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়। ১৯১৭ সাল। ১৯১৭ সালের দোসরা নভেম্বর তৎকালীন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্থার বেলফোর একটি ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করে। ঘোষণাটি প্রেরিত হয় ব্যারন লিওনেল ওয়াল্টার রথসচাইল্ডের প্রতি। রথসচাইল্ড তখন ব্রিটেনে বসবাসকারী ই*হু*দি সম্প্রদায়ের একজন বড় নেতা ছিল। ঘোষণাপত্রটি পরবর্তী সময়ে “বেলফোর ঘোষণা” নামে পরিচিতি লাভ করে। ই&সর|য়েলিরা এই বেলফোর ঘোষণাকে আজকের আধুনিক ই&সর|য়েল গঠনের ভিত্তি বলে মনে করে। আর্থার বেলফোরের সেই ঘোষণাপত্রে মূলত কী ছিল, যে ঘোষণায় ই&সর|য়েল প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেল?
.
অনুবাদটি এরকম:
“প্রিয় লর্ড রথসচাইল্ড!
মহামান্য সরকারের পক্ষ থেকে, নিম্নলিখিত এই বিবৃতিটি আপনাকে পাঠাতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। জায়নবাদী ই*হু*দি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার সমর্থন দেওয়া এই বিবৃতিটি মন্ত্রিসভায় পেশ করা হয়েছে এবং মন্ত্রিসভায় তা অনুমোদিত হয়েছে।
'মহামান্য ব্রিটিশ সরকার ফি/লি/স্তি/নে ই*হু*দি জনগণের জন্য একটি জাতীয় আবাসভূমি প্রতিষ্ঠাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে এবং এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হবে, তবে এটাও নিশ্চিত করা হচ্ছে যে, এমন কিছু করা উচিত হবে না যা ফি/লি/স্তি/নে অবস্থানরত অ-ই*হু*দি সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ও নাগরিক অধিকার কিংবা অন্য দেশে বসবাসকারী ই*হু*দিরা যে অধিকার এবং রাজনৈতিক মর্যাদা ভোগ করছে, তার কোন হানি হয়।'
আপনি যদি জায়নবাদী ফেডারেশনের কাছে এই ঘোষণা পৌঁছে দেন তাহলে আমি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব”।
.
আর্থার বেলফোরের এক ঘোষণায় ই&সর|য়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেল। ই*হু*দিরা দলে দলে পাড়ি জমাতে থাকল ফি/লি/স্তি/নে। আমেরিকার নিষ্কলুষ মদদ পেয়ে একটু একটু করে ফি/লি/স্তি/ন দখলে নিতে শুরু করল। অবস্থা এই পর্যায়ে এসে উপনীত হয়েছে যে, আজকের বিশ্বমানচিত্রে ফি/লি/স্তি/নের অস্তিত্ব খোঁজে পাওয়াই মুশকিল হয়ে পড়েছে। বিশ্ববাসী আর্থার বেলফোরের এই ঘোষণা ভালোভাবে জানলেও সাড়ে চৌদ্দশত বছর পূর্বে প্রদত্ত রাসূল সা. এর ঘোষণা জানে না অনেকেই। সহীহ বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন:
لا تَقُومُ السّاعَةُ حتّى يُقا***تِلَ المُسْلِمُونَ اليَهُودَ، فَيَقْتُلُهُمُ المُسْلِمُونَ حتّى يَخْتَبِئَ اليَهُودِيُّ مِن وراءِ الحَجَرِ والشَّجَرِ، فيَقولُ الحَجَرُ أوِ الشَّجَرُ: يا مُسْلِمُ يا عَبْدَ اللهِ هذا يَهُودِيٌّ خَلْفِي، فَتَعالَ فاقْتُ***لْهُ، إلّا الغَرْقَدَ، فإنَّه مِن شَجَرِ اليَهُودِ.
অর্থাৎ, মুসলিমরা ই*হু*দিদের বিরু***দ্ধে যতদিন যু***দ্ধ না করবে, ততদিন কিয়ামত কায়েম হবে না। মুসলিমরা তাদের হত্যা করতে থাকবে, এমনকি ই*হু*দিরা আত্মরক্ষার জন্য বিভিন্ন গাছ ও পাথরের আড়ালে আশ্রয় নেবে। তখন গাছ বা পাথর বলতে থাকবে: হে মুসলিম! হে আল্লাহর বান্দা! এই যে আমার পেছনে ই*হু*দি আছে, এসো তাকে হত্যা করো, তবে গারক্বাদ বৃক্ষটি এর ব্যতিক্রম হবে। কারণ, এটি ই*হু*দিদের বৃক্ষ। (সহীহ মুসলিম, হাদীস: ২৯২২)
.
আর্থার বেলফোরের ঘোষণায় ই*হু*দি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার বাস্তবতা বিশ্ববাসী দেখেছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ঘোষণায় ই*হু*দি রাষ্ট্রের অস্তিত্ব মিটে যাওয়ার বাস্তবতাও বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করবে। অচিরেই ইনশাআল্লাহ। ই*হু*দিদের দৌরাত্ম্যে যারা হতাশ হয়ে পড়েছেন, রাসূলের এই ভবিষ্যৎবাণীটি তাদের অন্তরে আশার আলো জাগাবে নিশ্চয়। তবে সেই শুভক্ষণটি আসার পূর্বে আল্লাহ তাআলা ঘুমন্ত এই জাতির বিবেককে একটু নাড়া দিতে চান। শতবছরের জি&হ|দ-বিমুখতার অনিবার্য পরিণতি হিসেবে শক্তির যে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়েছে সেটার কারণে এক অসম যুদ্ধ এবং ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করা আমাদের জন্য অবধারিত হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিভিন্ন রকম পরীক্ষা এবং মুসিবতে আক্রান্ত হওয়া আমাদের নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। উম্মাহর সামষ্টিক মুসিবত হিসেবে যা কিছু তাকদিরে লেখা আছে সেগুলোর স্বাদ আমাদেরকে আস্বাদন করতেই হবে। এর মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে পরিশুদ্ধ করতে চান, পুনরুজ্জীবিত করতে চান। তবুও যদি আমরা একটু হলেও বুঝতে পারতাম যে, জি&হ|দ ছাড়া এজাতির মুক্তির ভিন্ন কোনো পথ নেই!! না জ|তি'সঙ্ঘ মুসলিমদের কোনো কাজে আসবে, আর না নামধারী মুসলিম শাসকেরা মুসলিমদের কোনো উপকারে আসবে!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.