নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তামিম আল আদনানী

তামিম আল আদনানী

লেখক, আলেম, দ্বায়ী, মোটিভেশনাল স্পিকার

তামিম আল আদনানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে বড় দুই বাধাঃ বিদ্যমান বিশ্বব্যবস্থা ও সুদভিত্তিক পুজিবাদী অর্থব্যবস্থা

১৬ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:০২

বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে বড় দুই বাধাঃ বিদ্যমান বিশ্বব্যবস্থা ও সুদভিত্তিক পুজিবাদী অর্থব্যবস্থা
বাংলাদেশ সহ অধিকাংশ মুসলিম অধ্যুষিত দেশে অর্থব্যবস্থা হিসেবে পুজিবাদ ও সুদভিত্তিক অর্থনীতিকে গ্রহণ করা হয়েছে। মুসলিমদের বড় একটি অংশও তাদের জীবনে সুদকে আপন করে নিয়েছে। ব্যবসা, বাড়ী নির্মাণ, গাড়ি ক্রয় করা সহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে তারা সুদী লেনদেনের সাথে যুক্ত। সুদ একেবারে মহামারীর মত ছড়িয়ে পড়েছে। খোঁজ নিলে দেখা যাবে, মুসলিমদের বিশাল একটা অংশ কোন না কোনভাবে সুদের সাথে যুক্ত হয়ে পড়েছে।
এই হালতে লিপ্ত থাকা অবস্থায় কিভাবে একজন ব্যক্তি আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়ের আশা করতে পারে? যখন আমরা জানি যে, সুদী কারবার করার অর্থ হল আল্লাহর বিরুদ্ধে যু$দ্ধে লিপ্ত হওয়া। সর্বক্ষণ আল্লাহর বিরুদ্ধে যু$দ্ধ করে আবার তাঁর পক্ষ হতে সাহায্য ও বিজয়ের আশা করা কি বোকামী নয়?
যদি আমরা এই অবস্থার পরিবর্তন চাই, তাহলে আমাদেরকে জ|তি"সংঘ ও বিশ্ব মোড়লদের মাধ্যমে গঠিত বিদ্যমান বিশ্বব্যবস্থাকে ভাঙ্গতে হবে। কারণ সুদভিত্তিক অর্থব্যবস্থা সহ আরো অনেক অপরাধ যেমন আল্লাহর বিধান বাদ দিয়ে গণতন্ত্র ও মানবরচিত আইন প্রতিষ্ঠা করা, যিনা ব্যভিচার ও সমকামিতাকে বৈধতা প্রদান করা, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় মদ জুয়াকে ব্যপকতা দান করা, গান কনসার্ট ও অশ্লীলতাকে বৈধতা দান করার মত সকল কিছুর প্রতিরক্ষাকারী হল জ|তি"সংঘ ও পশ্চিম নিয়ন্ত্রিত বিশ্বব্যবস্থা। এই নব্য উপনিবেশবাদী বিশ্বব্যবস্থার প্রভাবেই মানবরচিত বিভিন্ন কুফরী আকিদা ও মতাদর্শে রাষ্ট্র পরিচালনা করা হচ্ছে এবং শিক্ষাব্যবস্থা, মিডিয়া, শিল্প ও সংস্কৃতিসহ সফট পাওয়ারের অসংখ্য টুলস ব্যবহার করে এসব কুফরী আকিদায় মুসলিমদেরকে দীক্ষিত করা হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, পৃথিবীর বিভিন্নস্থানে মুসলিম ও কালোদের উপর নির্য|তন, নি*পী/ড়ন, বৈষম্য ও গণহ/ত্যার জন্যও এই বিশ্বব্যবস্থা দায়ী। এরা কথিত নারী শিক্ষার জন্য হামলার শিকার(!) পাকিস্তানী মালালাকে দেখতে পেলেও ইরাক আ-ফ"গ|নি'স্তান, ক|শ্মীর, পাকিস্তান ফিলিস্তিনে স*ন্ত্রা*সী আ$মেরিকা, ভ|রত, ই/সর|ইল ও পশ্চিমা দেশগুলোর হাতে নির্য|তিত নি/পী/ড়িত লাখ লাখ নারী ও শিশুকে দেখতে পায়না। গাজার চলমান গণহ*ত্যা সবার সামনে দিবালোকের মত পরিষ্কার করে দিয়েছে এই বিশ্বব্যবস্থা কতটা নোংরা, কতটা বর্বর, আর কতটা নৃশংস।
এই কারণে আমরা বলি, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধে যু$দ্ধ বন্ধ করতে হলে এবং দুনিয়ায় শান্তি ফেরাতে চাইলে প্রথমে বিদ্যমান বিশ্বব্যবস্থাকে ভাঙ্গতে হবে। তাহলে আমাদের জন্য কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক ইনসাফ ও সাম্যের পৃথিবী গড়ে তোলা সহজ হবে।
এই কাজটি অনেক কঠিন, কিন্তু আমাদের সামনে এর কোন বিকল্প নেই। বিশ্বে শান্তি ফেরাতে হলে এবং মানুষকে তার যথাযথ অধিকার পৌঁছে দিতে হলে এই ব্যবস্থাকে আমাদের ভাঙ্গতেই হবে। আমরা যদি আল্লাহর উপর ভরসা করে, যথাসাধ্য প্রস্তুতি নিয়ে ময়দানে নামি তাহলে আজ হোক কাল হোক বিজয় আমাদের আসবেই। কিন্তু ভয় পেয়ে ঘরে বসে থাকলে কোনদিন বিজয়ের দেখা পাবোনা। বরং প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম গোলামীই করে যেতে হবে।
আল্লাহর ইচ্ছায় আ-ফ"গ|নি'স্তান এবং সোমালিয়া সহ বেশ কিছু অঞ্চলে ত|লেব|ন-আল-ক|য়ে"দ|র মু/জ|হি"দিনরা এই বিশ্বব্যবস্থার আঙ্গন ও পতনের সুচনা করে দিয়েছেন। ইসলামী মূল্যবোধের উপর প্রতিষ্ঠিত একটি নতুন বিশ্বব্যবস্থা তৈরির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। এই মূহুর্তেই তাদের কাছে পুরো বিশ্বব্যবস্থা পালটে দেওয়ার মত সক্ষমতা না থাকলেও অন্তত নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলকে তারা এই নোংরা সিস্টেম থেকে আজাদ করে শরিয়ার আলোয় আলোকিত করেছেন। সুতরাং নিরাশ হয়ে থেমে যাওয়ার কিছু নেই, বরং তাদের দেখিয়ে দেওয়া পথে চলতে থাকলে আল্লাহর ইচ্ছায় একদিন একের পর এক ইসলামী ভূমিগুলো পুনরুদ্ধার হবে, বিশাল এলাকাজুড়ে ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠিত হলে মুসলিম ভূমিগুলো থেকে পশ্চিমা জাহেলী বিশ্বব্যবস্থার প্রভাব বিলুপ্ত হবে বি ইজনিল্লাহ।
বিষয়গুলো নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করলে আমরা বুঝতে পারবো, আমাদের দায়িত্ব ও লক্ষ্য কত বিশাল। অতএব আমাদের আর নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকার সুযোগ নেই। অস্ত্র, অর্থ, প্রযুক্তি, নিরাপত্তা, ইন্টেলিজেন্স সহ সর্বক্ষেত্রে নিজেদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এই পথের দৈর্ঘ্য ও কাঠিন্য দেখে যেন আমরা থেমে না যাই এবং আশাহত হয়ে ফিরে না যাই। যদি শত ভয় ও বাধা সত্ত্বেও অটল থাকি তাহলে আজ হোক কাল হোক আমরা সফলতার দেখা পাবোই ইনশাআল্লাহ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.