![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নামধারী মুসলিম শাসকেরা ইসরায়েলের অপরাধের সহযোগী
গোটা বিশ্বকে সাক্ষী রেখে হামাস-ই/স"র|য়ে*ল যু**দ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছিল। বিশ্ববাসীর আশা ছিল, ই/স"র|য়ে*ল নির্বিচার গ*ণহ/ত্যার ইতি টানবে। কিন্তু চুক্তিভঙ্গ করাই যে ই*হু/দিদের মূল চরিত্র এবং তাদের পৈতৃক আদর্শ সে কথা ভুলে গেলে তো চলবে না। হিজরতের পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনার ই*হু/দি গোত্রগুলোর সঙ্গে এই মর্মে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন যে, কোনো বহিরাগত শক্তি মদিনা আক্রমণ করলে সবাই একযোগে যু**দ্ধ করবে এবং মদিনার কেউ কখনোই কুরাইশদের সাহায্য সহযোগিতা করবে না। কিন্তু খন্দকের যু**দ্ধে ই*হু/দি গোত্র বনু কুরাইজা সেই চুক্তি ভঙ্গ করে মক্কার মুশরিকদের সঙ্গে আঁতাত করেছিল। তাদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করেছিল। অবশ্য এর মাশুলও তাদেরকে গুনতে হয়েছিল কড়ায় গণ্ডায়। একসময়কার তাদেরই মিত্রনেতা সাদ রাযিয়াল্লাহু আনহুর নির্দেশে বনু কুরাইজার সকল যোদ্ধা পুরুষকে হত্যা করা হয়েছিল। আজকের ই/স"র|য়ে*ল তো মদিনার সেই ই*হু/দিদেরই বংশধর। বাপ-দাদাদের চরিত্র তারা কী করে ছেড়ে দেয়?
ই/স"র|য়ে*ল চুক্তিভঙ্গ করবে, এতে আশ্চর্যের কিছু নেই; বিচক্ষণ মহল এটা আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিল। দুঃখজনক ব্যাপার হলো, এতকিছুর পর যু**দ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়ে চুক্তির প্রথম ধাপটি সম্পন্ন হতে না হতেই যে ই/স"র|য়ে*ল চুক্তিভঙ্গ করল, তার ব্যাপারে মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্রগুলোর নীরবতা।
তুরষ্ক, কাতার কিংবা পাকিস্তানকে নিয়ে অনেক সহজ সরল মুসলিমেরই অনেক আশা-ভরসা ছিল । তাদেরকে প্রায়শই বলতে শোনা যেত, এরদোগান ফি-লি-স্তি-নের জন্য কিছু করবেন। কিন্তু চুক্তিভঙ্গ করা নিয়ে তুরস্ক কিংবা কাতার কেউই কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ন্যুনতম করণীয় হিসেবে অর্থনৈতিক সম্পর্কটুকুও ছিন্ন করেনি। নিজ নিজ দেশ থেকে মা/র্কি/ন ঘাঁটি উৎখাত করার পদক্ষেপও নেয়নি! এছাড়া সৌদি আরব, আরব আমিরাত, মিশরের মতো আরব রাষ্ট্রগুলো নির্বিকার দর্শকের ভূমিকা পালন করে যাওয়া, বরং ই/স"র|য়ে*লের সহযোগীর ভূমিকা পালন করে যাওয়াটাও দিবালোকের মতই স্পষ্ট।
মিশরের রাফাহ সীমান্তে প্রতিনিয়ত কত হাজারো নিরীহ ফি-লি-স্তি-নির আর্তনাদ ভেসে বেড়াচ্ছে। কত নিরীহ মা টানা কয়েকদিনের অভুক্ত শিশুকে নিয়ে আহাজারী করছে আর বলছে, আমাকে না হয় তোমাদের দেশে ঢুকতে না দাও; আমার এই নিষ্পাপ শিশুটিকে নিয়ে যাও। সে তো আর ক্ষুধার কষ্ট সহ্য করতে পারে না! তাদের আর্তনাদ ফিরে আসছে তাদের দিকেই। মুসলিম নামধারী ঐসকল নরপিশাচদের হৃদয়ে একটুও দয়া জাগায়নি। পর্যাপ্ত পরিমাণ মানবিক ত্রাণ প্রবেশের ব্যবস্থাও করেনি মিশরের সরকার। আমাদের সেই মায়েরা জানেন না যে, এসকল নামসর্বস্ব মুসলিম শাসকেরা অনেক আগেই নিজেদের ঈমান বিক্রি করে ক|ফে'রদের পাক্কা গোলামে পরিণত হয়েছে। কুফুরি বিশ্বের নির্দেশ মান্য করা ছাড়া মূলত তাদের আর কোনো আকাঙ্খা নেই। এসব নামধারী মুসলিম শাসকেরাই মূলত ই/স"র|য়ে*লকে চতুর্দিক থেকে নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে। নতুবা আল্লাহর পথের মু/জ|হি"দরা আরো আগেই হয়তো ই/স"র|য়ে*লের দম্ভ-অহংকারকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে পারতেন!
শুধু একটা কথা মনে রাখবেন, এবং ভালো করে মনে গেঁথে নেবেন যে, ক|ফে'রদের গোলামে পরিণত হওয়া এসকল নামধারী মুসলিম শাসকদের পরাজিত না করে আপনি কখনোই ই/স"র|য়ে*লের পরাজয় কল্পনা করতে পারবেন না। এরা মূলত আমেরিকাকে নিজেদের প্রভূ বানিয়ে নিয়েছে। তাদের প্রতিটি নড়াচড়া কেবল আমেরিকার ইশারাতেই হয়ে থাকে। তাই সবার আগে এদের হাকিকত নিয়ে ভাবুন। এদের ব্যাপারে আপনি যত আশা ভরসাই করেন না কেনো; আপনার সব আশা ভরসা নিশ্চিত বিফলে যাবে।
©somewhere in net ltd.