নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার জীবনদর্শন, আমার যত ভালোবাসা, আমার যত দায় ,,,,,,,,

Tania Farazee

আমি একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছি। ভাল লাগে প্রগতিশীল , যৌক্তিক লেখা ও কাজ।

Tania Farazee › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষের মত ভালবাসতে জানিনা

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:০৬

মানুষের মত ভালবাসতে জানিনা
তানিয়া আক্তার

পরিবার থেকে সমাজ, সমাজ থেকে রাষ্ট্র এই কথাটি আমরা সকলেই জানি। কিন্তু পরিবারের সকলের মাঝে ভালবাসার বন্ধন অটুট না থাকলে পারিবারিক সুস্থতা যেমন বিঘ্নিত হয়, তেমনি সমগ্র সমাজে, রাষ্ট্রে আমরা পরস্পরকে ভালবাসতে পারিনা বলেই মানুষ প্রায়ই কুকুরের মত মরছে। এই কথাটি আমরা অনেকেই ভাবিনা। পাশবিক অনেক চিন্তার দ্বারা সমাজের বাইরের ও ভেতরের দিক জর্জরিত। একটু সুযোগ পেলেই অসংখ্য অমানবিক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। আমরা অনেকেই সেসব ঘটনা দেখে একটু ইস্‌ বা উহ্‌ বলে পরে তা ভুলে যাই।
আমাদের জীবনে একটি "ভ্যালেন্টাইনস ডে'' আসে। আমরা সবাই একে অপরকে শুভেচ্ছা জানাই, ভালবাসার কথা বলি। কিন্তু বেশীরভাগক্ষেত্রে, বেশীরভাগ সময় আমরা আত্মস্বার্থমগ্ন থাকি বলে সামাজিক বন্ধন শিথিলই থেকে যায়।
এমনতো সর্বদাই দেখতে পাই যে, কারও কারও পকেটে অনেক টাকা। কিন্তু' তাদের পাশে হয়ত ছোট্ট একটি শিশু বা ব্যক্তি অযত্নে, অনাহারে কাতরাচ্ছে। তবু দুটি টাকা খরচ করার জন্য তাদের মনটি জেগে ওঠেনা । আমাদের সকলের মনের এমন দরিদ্র, অসাড় অবস্থা যদি দূর হত তাহলে আমাদের অনেক সমস্যারই সমাধান হয়ে যেত যা আমরা অনেক আইন পাশ করিয়েও করতে পারিনা।
আমাদের সামনে সমাজে বা রাষ্ট্রে বা কোন প্রতিষ্ঠানে যাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের মাঝে মানবিক গুণগুলোর প্রকাশ ঘটলে সমাজে তাদের সাথে যারা চলছে বা যারা তাদেরকে দেখছে তাদের মাঝেও মানবিক গুণাবলীর বিকাশ ঘটবে সহজে।' তেমনটি কমই দেখা যায়। কৃত্রিম মানবিক আচরণ মানুষ সহজেই বুঝতে পারে। শুধু বুঝতেই পারেনা, একসময় সাধারণ মানুষ সেসব কৃত্রিম আচরণে অভ্যস্ত হয়ে যায় এবং নিজেরাও সেগুলো ধারণ করে। আমাদের সমাজে, রাষ্ট্রে যাঁরা উপরে আছেন তাঁরা বেশীরভাগ সময় কৃত্রিম আচরণ করতেই পছন্দ করেন বা সেটিই তাদের স্বভাব।
বৃটিশরা ভারতবর্ষ ছাড়ল, পাকিস্তানীরা বাংলাদেশ ছাড়ল অশেষ ক্ষতিসাধন করে। আমরা বাঙ্গালীরা বড়াই করলাম এই বলে যে, আমরা স্বাধীন হয়েছি অনেক বলিদান দিয়ে,আমরা বীরের জাতি। কিন্তু তারপর ? বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা, কর্ণেল তাহেরসহ আরও অনেক মহান ব্যক্তিদেরকে হত্যা করল বাংলাদেশের শিক্ষিত কিছু লোক। হত্যাকালীন সময়েও এবং আজও সেসব মহান ব্যক্তিদের হত্যার পেছনে অকাট্য কারণ ছিল বলে দাবী করে এদেশের কোন কোন রাজনৈতিক দল। কি অদ্ভুত ! যখন বঙ্গবন্ধু’র সামনে তাঁকে গুলি করতে দাঁড়ালো এদেশেরই একদল মানুষ, যখন জাতীয় চার নেতাকে আচমকা জেলের মাঝে পোকা মাকড়ের মত ডেকে এনে গুলি করা হল, যখন বীর উত্তম কর্ণেল তাহেরকে অন্যায়ভাব গোপনে বিচার সেরে ফাঁসি দেয়া হল - তখন একবিন্দুও ভালবাসা জাগলনা সেইসব লোকদের মনে যারা আরও অনেকদিন এদেশের মানুষের সামনে দেবতা সেজে বীরের মত বাস করে গেল। আজও তাদের পাপী বংশধরেরা এদেশের মানুষদের সুস্থ' সমাজ উপহার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছে।
কেন আমরা এই সাধারণ একটি জীবনের জন্য এত অমানবিক হয়ে যাই ? কি আছে এই জীবনে ? নজরুল পড়ছি, রবীন্দ্রনাথ পড়ছি, আরও কত মহা মনীষীদের বই পড়ছি, বক্তৃতা দিচ্ছি, এমপি, মন্ত্রী, রাজনীতিবিদ, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক আরও কত কি হচ্ছি। কিন্তু মানবিক গুণাবলীর চর্চা করছি খুবই কম।
সমাজের প্রকৃত সমস্যার সমাধান যদি প্রকৃত অর্থে সকলে মিলে খোঁজা হয় তবে তা অবশ্যই মিলবে। সমাজের সবার স্বার্থ রক্ষায় যদি নিজেদের ব্যস্ত রাখতে পারি তবে সমাজ অবশ্যই মানবিক হবে। কিন্তু আমরাত কেবল জানোয়ারের মত নিজ ক্ষমতা, নিজ স্বার্থ, নিজ সম্পদ রক্ষায় বেশী তৎপর। আমরা আমাদের মনকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জানোয়ারদের মত পাশবিক একটি স্তরে রেখে দিচ্ছি। আর তাই মানুষকে মানুষের মত করে ভালকাসা সম্ভব হচ্ছেনা। ফলে বঙ্গবন্ধু বা তাঁর মত যত মহান ব্যক্তিই এদেশে জন্ম নিক্‌না কেন, অমানবিকভাবে তাদের মৃত্যুর সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। থেকে যাচ্ছে অগণিত মানুষের পাশবিক জীবন যাপনের সম্ভাবনা যা আমাদের চোখে অনেকটা স্বাভাবিক ও সহনীয় হয়ে উঠেছে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬

নাইম আকন বলেছেন: বেশ লিখেছেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.