নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার জীবনদর্শন, আমার যত ভালোবাসা, আমার যত দায় ,,,,,,,,

Tania Farazee

আমি একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছি। ভাল লাগে প্রগতিশীল , যৌক্তিক লেখা ও কাজ।

Tania Farazee › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীদের পর্দাপ্রথা এবং বিজ্ঞানসম্মত কিছু কথা

২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৫৮

নারীদের পর্দাপ্রথা এবং বিজ্ঞানসম্মত কিছু কথা
আমাদের পৃথিবীতে প্রধান ধর্ম চারটি। প্রত্যেক ধর্মেই জীবনের সকল বিষয় নিয়ে কম বেশি আইন কানুন রয়েছে। জীবনটাকে যদি বাস্তবসম্মতভাবে পরিচালনা করতে যাই তাহলে ধর্মীয় বিশ্বাস মনে থাকার পরও আমরা ধর্মের সব আইন মেনে চলতে পারিনা বা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক মুসলিম। ইসলামে মেয়েদেরেকে পর্দা রক্ষা করে এবং পুরুষদেরকে দৃষ্টি সংযত করে চলতে বলা হয়েছে। অন্যান্য ধর্মে নারী পুরুষদের সংযত থাকার কথা বলা আছে। তাছাড়া আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় নানাভাবে নারীপুরুষদের সকল কাজে সংযত থাকার কথা আছে বিধায় মোটামুটি সামাজিকভাবে যারা ভদ্র, শিক্ষিত তারা শালীনতা রক্ষা করে চলাচল করে।
বিবাহযোগ্য নারী এবং পুরুষ- বিবাহ করা যেতে পারে এমন ব্যক্তিদের দেখলে পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ বোধ করে। নরীরা পুরুষের প্রতি এবং পুরুষরা নারীদের প্রতি, কিন্তু কিছু কিছু দেশে নারীরা লজ্জার কারণে তা প্রকাশ করেনা আর অনেক দেশের নারীরা তা নানাভাবে প্রকাশ করে। ভারতবর্ষের শিক্ষিত হিন্দু, মুসিলম, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান সকল ধর্মের নারী পুরুষরাই মোটামুটি শালীন পোশাক পরে। যারা উচ্ছৃঙ্খল তারা সকল দেশেই উচ্ছৃঙ্খল, সব কাজেই উচ্ছৃঙ্খল। তাদেরকে সুশৃঙ্খল করার জন্য সামাজিক চেষ্টা থাকা উচিত কিন্তু তাই বলে অতিরিক্ত পর্দা প্রথা দেখিয়ে নয়, অতিরিক্ত সব কিছুই খারাপ।
ব্যক্তিগতভাবে আমি কলেজ ভার্সিটি শেষ করে চাকরি করছি অনেকদিন। বংশগতভাবে আমি মুসলিম। রাঙ্গামাটিতে বাস করি সব ধর্মের লোকের সাথে মিলেমিশে। সবসময় সালোয়ার কামিজ ওড়না পরি, হিজাব বা বোরকা আমি পরিনা। কারণ ওসব পোশাক আমার কাছে অতিরিক্ত এবং অযৌক্তিক মনে হয়। আমার বন্ধুরা বলে আমি দেখতে ভাল। আমি এতটা বড় হলাম কিন্তু কখনও কোনদিন কোন পুরুষকে আমার দিকে অশ্লীল দৃষ্টিতে তাকাতে দেখিনি। যারা আমার প্রতি আকর্ষণ বোধ করেছে তারা কেউ কেউ আমার কাছে তা ব্যক্ত করেছে এবং আমি তাদেরেক ‘না’’ বললে তারা কেউ আমাকে কখনও বেশি বিরক্ত করেনি। এই ধরণেরই অভিজ্ঞতা আমার হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রীস্টান সব মেয়ে বন্ধুদের রয়েছে।
তবে কর্মজীবনে আমার পাশে এবং রাস্তাঘাটে কোন কোন মহিলাকে নাক পর্যন্ত ঢাকা বোরকা পরে গরমে ছটফট করতে দেখেছি। আবার কাউকে কাউকে দেখেছি বোরকা পরে, কিন্তু মুখটাকে এমনভাবে সাজিয়ে রাখে যাতে বোরকা পরার কোন অর্থ থাকেনা। আমি আরও দেখেছি যে, বোরকা পরা মেয়েদের পাশে পুরুষ সঙ্গীরা কত সুন্দর সাবলীলভাবে গায়ে হওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কি অদ্ভুত দৃশ্য ! নারী পুরুষ পরস্পরের কাছে সবসময় আকর্ষণীয় হয়ে থাকতে চায়। এটা তাদের সহজাত প্রবণতা। আর তাই পরিবার পারিপার্শ্বিকতার কারণে যেসব মুসলিম মেয়েরা বোরকা পরতে বাধ্য হয় তারা ইদানিংকালে বোরকা তৈরী করে নানা ডিজাইন করে, নানা রঙের এমব্রয়ডারী করে- যাতে দেখতে ভালো লাগে। অথচ বোরকা আইনটি হল যাতে পুরুষরা মেয়েদেরকে দেখে আকর্ষণ বোধ না করে সেজন্য। আরেকটি বিষয় হল যে, যেসব মেয়েরা বোরকা পরে তারা কিন্তু পুরুষদেরকে মন ভরে দেখতে পারে। কারণ পুরুষরা বোরকা পরেনা। এ ক্ষেত্রে মেয়েদেরকে অনুভূতিহীন, নির্জীব মনে করা হচ্ছে। কেননা পুরুষদের কাছে মেয়েরা যেমন আকর্ষণীয় তেমনি একইরকমভাবে মেয়েদের কাছে পুরুষরা আকর্ষণীয়।এর অনেক প্রমান আমরা দেখতে পাই নারীপুরুষের সম্পর্কের জটিলতা যখন সৃষ্টি হয়। যেমন মেয়েরাও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী সুদর্শন পুরুষকেই প্রেমিক হিসেবে চায়। প্রেমিক বা স্বামী দেখতে ভাল না হলে বা ভগ্ন স্বাস্থ্যের হলে মেয়েরা গোপনে অন্য পুরুষের সাথে সম্পর্কে লিপ্ত হয় বা লিপ্ত হতে চেষ্টা করে।তাহলে মেয়েদের গায়ে বোরকা চাপিয়ে তাদেরকে নির্জীব মনে করে কোন লাভ নেই। পুরুষদের মত একইরকম চাওয়া পাওয়া নিয়েই নারীরা বেঁচে আছে।
বাংলাদেশে গ্রাম কিংবা শহরের বেশীরভাগ মেয়েরা বোরকা পরেনা। কারণ তারা আধুনিক মানবসমাজে এই অযৌক্তিক পোশাকটির অপ্রয়োজনীয়তার কথা আপনাআপনি বুঝে গেছে। বোরকা এবং নানারঙের হিজাব মনুষের পরিচয় ঢেকে রাখা, চুপিচুপি অনেক দুষ্কর্ম ঘটানো এবং নানা ঢঙের ফ্যাশনে সহায়ক হওয়া ছাড়া আর কোন উপকারিতা বয়ে আনেনা। প্রকৃত অর্থে পুরুষের দৃষ্টি যদি সংযত থাকে তবে নারীদের কোন ভয়ই থাকেনা। তাই রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরুষের দৃষ্টিকে সংযত করার শিক্ষা এবং আইন চালু করা হোক। নারীদেরকে মুক্তি দেয়া হোক সবরকম অমানবিক বন্দীত্ব থেকে।
বেগম রোকেয়া বলেছিলেন, “নারীদের দেখে পুরুষদের কুপ্রবৃত্তি যেন জাগ্রত না হয় তাই নারীদের উপর ধর্ম কিংবা সমাজ অনেক আইন কানুন জারী করেছে। তার মানে নারীরা প্রাকৃতিকভাবে সংযত, উচ্ছৃঙ্খল নয়। যদি তাই হয় তবে নারীরা সমাজের বাইরে থাকবে, বাইরের কাজ করবে আর পুরুষরা অন্দরমহলের কাজ করবে। শুধুশুধু নারীরা বন্দী থাকবে কেন? তাদেরকে এই পৃথিবীর আলো বাতাস থেকে বঞ্চিত রাখার জন্য এত আইন কানুন কেন? পশু সমাজে যারা হিংস্র তাদেরকে আমরা খাঁচায় বন্দী করে রাখি, আর যারা নিরীহ তাদেরেক অবাধে বিচরণ করতে দিই। তবে মানব সমাজে ভিন্ন নিয়ম কেন?”
উপরের কথাগুলো মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়ার দুঃখ করে বলা অত্যন্ত যৌক্তিক কথা ছিল। আজ আমরা জ্ঞানে বিজ্ঞানে অনেকদূর এসেছি। নারীপুরুষ নিজেরা সংযত হয়ে চলতে জানে, ভালবাসতে জানে, বন্ধুত্ব করতে জানে। তবে বোরকা বা হিজাব আমাদের কি জন্য দরকার? একজন নারীর একটি শালীন পোশাক শরীরে থাকার পরও তাদেরকে অতিরিক্ত আরও একটি পোশাক বোরকা বা হিজাব পরার জন্য এত বর্বর চাপাচাপি কেন? ধর্মের নামে পুরুষরা বা সমাজের মহিলারা সকলকে এমন অযৌক্তিক পোশাকটি চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টার মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, মহিলারা হচ্ছে নিম্নশ্রেণীর যৌন যন্ত্র এবং পৃথিবীটা যতদিন থাকবে তারা নিম্নশ্রণীর জীবের মতই পুরুষদের দেয়া বিধানগুলো সব মেনে চলবে, পুরুষরা প্রয়োজন হলে নারীদেরকে প্লাষ্টিক কিংবা লোহার খাঁচায় আটকে রাখবে অথবা পন্য বানিয়ে বাজারে বিক্রি করবে আর নারীরা তাদের অত্যাচারকে মধু মনে করে পান করতে থাকবে।যদিও বর্তমান কালের নারীরা অনেকক্ষেত্রে নিজেদের জীবন দিয়ে হলেও পুরুষতান্ত্রিক সমাজের অনেক অন্যায় প্রতিরোধ করে যাচ্ছে।
আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধীদলীয় নেত্রী দুজনের কেউই বোরকা বা হিজাব পরেননা। ওনাদের উচিত নারীদের শালীন পোশাক সম্পর্কে দেশের নারীদেরকে ধারণা দেয়া এবং বোরকা পরা, হিজাব পরা আইন করে বন্ধ করা। তা না হলে ওনরাও যে একদিন জঙ্গীদের কবলে পড়ে ‘‘হিজাব কেন পড়েননি’’ সে কথার উত্তর জঙ্গীদের মনের মত করে দিতে সক্ষম হবেননা-তা কে বলতে পারে। যেমন দিতে সক্ষম হননি হলি আর্টিসানে জঙ্গীদের দ্বারা জবাইকৃত জেডএক্সওয়াই ইন্টারন্যাশনালের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক ইশরাত আখন্দ। বর্তমান অবস্থাকে প্রশ্রয় দিতে থাকলে মুসলিমসহ অন্য সব ধর্মের মেয়েরা এদেশে একদিন বোরকা-হিজাব না পরার অপরাধে অপমানিত হবে এবং জঙ্গীদের হাতে জবাই হবে।
এদেশে এখন যৌক্তিক এবং বিজ্ঞানসম্মত কথা বলা যায়না। যে বা যারা বলে তাদের পেছনে জঙ্গী লাগিয়ে দেয়া হয়, তাদেরকে নাস্তিক বলে জবাই করা হয়। এরপর বিচার পাওয়ার জন্য নিহত ব্যক্তির আত্মীয়স্বজনকে এত লম্বা লাইন লাগাতে হয় যে, সে সময়ের মধ্যে আরও দশজন নাস্তিককে জবাই করার কাজ জঙ্গীরা শেষ করে ফেলে।
প্রাকৃতিকভাবে এবং আধুনিক ব্যাখ্যানুযায়ী মানুষের শ্রদ্ধা, ভক্তি, ভালবাসা কেউ কখনও জোর করে আদায় করতে পারেনা। প্রত্যেকটা ধর্মে মনুষকে জোর করে ধার্মিক বানানো নিষেধ। এ ব্যাপারে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলে গেছেন যে, “তোমরা যার যার ধর্ম পালন কর। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেনা। নিজের ধর্ম অন্যের উপর চাপিয়ে দেবেনা।”
বিজ্ঞানসম্মত ব্যখ্যানুযায়ী পৃথিবী সৃষ্টি এবং মানব প্রজাতি সৃষ্টির যে কারণের কথা বলা হয়েছে তার সাথে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান, ইসলাম এসব কোন ধর্মের কথার মিল নেই। এ ব্যাপারে ধর্মীয় কারণগুলো সম্পূর্ণ নাটকীয় এবং আকস্মিক। তাহলে আমাদের মধ্যে কারও যদি বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যার প্রতি বিশ্বাস জন্মে তাহলে সেটি দোষের ধরা হয় কেন? বিশ্বাস সম্পূর্ণ নিজস্ব বিষয় এবং প্রত্যেকের নিজস্ব অধিকার।
মার্কসবাদী বা যাদেরকে কম্যুনিস্ট বলা হয় তারা জগতের সবকিছুকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে ব্যাখ্যা করে এবং সেইমত সমাজকে পরিচালনা করতে ব্রতী হয়।কিন্তু বাংলাদেশ বা যে কোন দেশের জঙ্গী বা ধর্মীয় সংগঠনগুলো যদি মার্কসবাদীদের নাস্তিক বলে ধরে ধরে হত্যা করতে শুরু করে তবে সেটি মানবিক এবং ধর্মীয় উভয় দৃষ্টিতেই অপরাধ। আমাদের দুর্ভাগ্য যে, এই ধরণের অপরাধগুলো বেড়েই চলেছে। যারা বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যায় বিশ্বাস রাখে তারাই বাস্তব কথা বেশী বলে। সুতরাং বিজ্ঞানমনষ্ক লোকদের নিয়ে সমাজের অন্যান্য লোকদের বাড়বাড়ি বন্ধ করা উচিত।


মন্তব্য ৬৩ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৬৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:০৮

আহলান বলেছেন: পুরুষগণ শুধু পর্দাই করাচ্ছে নারীদের তা কিন্তু নয়, নগ্ন করে উপস্থাপনও করাচ্ছে। মিস ওয়ার্ল্ড, মিস ইউনিভার্স ইত্যাদির নামে ... সেটা চোখে পড়ে না আপনাদের?

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫১

Tania Farazee বলেছেন: আপনি সম্ভবত আমার লেখাটি ভাল করে পড়েননি । আমার লেখা থেকেই কয়েকটি লাইন আবার দিলাম। নিম্নোক্ত লাইনগুলো থেকে সদিচ্ছা থাকলে যে কেউ বুঝতে পারবে যে, আমি শুধু অতিরিক্ত পর্দা প্রথার বিরোধিতা করিনি বরং সবরকম উচ্ছৃঙ্খলতার বিরুদ্ধে বলেছি।,,,,
...''তাছাড়া আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় নানাভাবে নারীপুরুষদের সকল কাজে সংযত থাকার কথা আছে বিধায় মোটামুটি সামাজিকভাবে যারা ভদ্র, শিক্ষিত তারা শালীনতা রক্ষা করে চলাচল করে।
ভারতবর্ষের শিক্ষিত হিন্দু, মুসিলম, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান সকল ধর্মের নারী পুরুষরাই মোটামুটি শালীন পোশাক পরে। যারা উচ্ছৃঙ্খল তারা সকল দেশেই উচ্ছৃঙ্খল, সব কাজেই উচ্ছৃঙ্খল। তাদেরকে সুশৃঙ্খল করার জন্য সামাজিক চেষ্টা থাকা উচিত কিন্তু তাই বলে অতিরিক্ত পর্দা প্রথা দেখিয়ে নয়, অতিরিক্ত সব কিছুই খারাপ।
পুরুষরা প্রয়োজন হলে নারীদেরকে প্লাষ্টিক কিংবা লোহার খাঁচায় আটকে রাখবে অথবা পণ্য বানিয়ে বাজারে বিক্রি করবে আর নারীরা তাদের অত্যাচারকে মধু মনে করে পান করতে থাকবে।''

২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:




লজিক্যাল ভাবনা

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২১

Tania Farazee বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৩০

বিবেক ও সত্য বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২১

Tania Farazee বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৪৩

আব্দুল্লাহ্ আল আসিফ বলেছেন: “নারীদের দেখে পুরুষদের কুপ্রবৃত্তি যেন জাগ্রত না হয় তাই নারীদের উপর ধর্ম কিংবা সমাজ অনেক আইন কানুন জারী করেছে। তার মানে নারীরা প্রাকৃতিকভাবে সংযত, উচ্ছৃঙ্খল নয়। যদি তাই হয় তবে নারীরা সমাজের বাইরে থাকবে, বাইরের কাজ করবে আর পুরুষরা অন্দরমহলের কাজ করবে। শুধুশুধু নারীরা বন্দী থাকবে কেন? তাদেরকে এই পৃথিবীর আলো বাতাস থেকে বঞ্চিত রাখার জন্য এত আইন কানুন কেন? পশু সমাজে যারা হিংস্র তাদেরকে আমরা খাঁচায় বন্দী করে রাখি, আর যারা নিরীহ তাদেরেক অবাধে বিচরণ করতে দিই। তবে মানব সমাজে ভিন্ন নিয়ম কেন?”

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৩

Tania Farazee বলেছেন: চমৎকার,,,,

৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৪৭

সুলতানা সালমা বলেছেন: সিস্টার,পর্দাপ্রথা নিয়ে আপনার ভাবনার সাথে একমত হতে পারছি না।
১)আপনি লিখেছেন,রাস্তাঘাটে কোন কোন মহিলাকে নাক পর্যন্ত ঢাকা বোরকা পরে গরমে ছটফট করতে দেখেছি।
প্রশ্ন হচ্ছে, শুধু বোরকা পড়লেই কি মানুষ গরমে ছটফট করে?
২) আপনি লিখেছেন,আবার কাউকে কাউকে দেখেছি বোরকা পরে, কিন্তু মুখটাকে এমনভাবে সাজিয়ে রাখে যাতে বোরকা পরার কোন অর্থ থাকেনা। আমি আরও দেখেছি যে, বোরকা পরা মেয়েদের পাশে পুরুষ সঙ্গীরা কত সুন্দর সাবলীলভাবে গায়ে হওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কি অদ্ভুত দৃশ্য !
আলহামদুলিল্লাহ, আপনি এটা বুঝেছেন যদিও বোরকা পড়া অনেকেই এটা বোঝেন না।তাই বলে কি আমি বোরকা পড়া ছেড়ে দেব? জঙ্গীরা ভাত খায়, তাই বলে কি আমিও ভাত খাওয়া ছেড়ে দেব?
৩)সিস্টার আপনি লিখেছেন, আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধীদলীয় নেত্রী দুজনের কেউই বোরকা বা হিজাব পরেননা। ওনাদের উচিত নারীদের শালীন পোশাক সম্পর্কে দেশের নারীদেরকে ধারণা দেয়া এবং বোরকা পরা, হিজাব পরা আইন করে বন্ধ করা।
লাস্ট লাইন টার তীব্র সমালোচনা করছি।এটা গনতান্ত্রিক দেশ।৯০% মুস্লিমের দেশও বটে! ধর্ম পালন করা আমার মৌ্লিক অধিকার।এই অধিকার ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করা হলে গৃহযুদ্ধ বাধবে!
৪) সিস্টার, পর্দাপ্রথা নিয়ে এ লিখাটা পড়তে পারেন। :)
http://www.somewhereinblog.net/blog/SultanaSalma/30116770

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০০

Tania Farazee বলেছেন: আমি আমার মতামত ব্যক্ত করেছি। রাষ্ট্র আমার নয়, আমার ক্ষমতাও অনেক কম। আমি মনে করি কোথাও থাক বা না থাক-যা কিছু যৌক্তিক, বিজ্ঞানসম্মত তা গ্রহণ করা মঙ্গলজনক। আপনি যা পড়তে বলেছেন আমি সময় করে পড়ে নেব। ধন্যবাদ আমার লেখাটি পড়ার জন্য।

৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:

@সুলতানা সালমা ,

"লাস্ট লাইন টার তীব্র সমালোচনা করছি।এটা গনতান্ত্রিক দেশ।৯০% মুস্লিমের দেশও বটে! ধর্ম পালন করা আমার মৌ্লিক অধিকার।এই অধিকার ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করা হলে গৃহযুদ্ধ বাধবে! "

-গৃহযুদ্ধ বাধবে? আপনি তো জন্ম থেকেই জল্লাদ!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:০৩

Tania Farazee বলেছেন: আমি আমার মতামত ব্যক্ত করেছি। রাষ্ট্র আমার নয়, আমার ক্ষমতাও অনেক কম। আমি মনে করি কোথাও থাক বা না থাক-যা কিছু যৌক্তিক, বিজ্ঞানসম্মত তা গ্রহণ করা মঙ্গলজনক। ধন্যবাদ আমার লেখাটি পড়ার জন্য।

৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:০৩

বিবেক ও সত্য বলেছেন: Click This Link

৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:০৩

সুলতানা সালমা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই চাঁদগাজী । :)

৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:০৪

বিবেক ও সত্য বলেছেন: নারী-পুরুষ বৈষম্যর মূল কারন ও প্রতিকার

১০| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:০৫

বিবেক ও সত্য বলেছেন: view this link

১১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:১৫

আহা রুবন বলেছেন: যুক্তিপূর্ণ লেখা। মেয়েটি পর্দা করবে কি করবে না সেটা, তার ওপরই ছেড়ে দেয় উচিত। কিন্তু যখন বলা হয় নারীর সৌন্দর্য দেখে পুরুষ উত্তেজিত হয় বলে তাদের বোরকা পরা দরকার। আর ছোট বালকদের দেখেও তো কেউ কেউ উত্তেজিত হয় তবে তাদেরও কি বোরকা পরানো উচিত। তারা কী জবাব দেয় আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৮

Tania Farazee বলেছেন: সমাজ যুক্তির ধার ধারে কম। আমার দৃষ্টিতে সমাজের অধঃপতনটা এজন্যই ঘটেছে, ঘটছে, ঘটতে থাকবে। ভাল বলেছেন। ধন্যবাদ।

১২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৪৫

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: বর্তমানে বিপুল সংখ্যক নারীরা যে ধরণের বোরকা পড়া শুরু করেছে বা অতীতের বেশ সংখ্যক নারীরা যে ধরণের বা যে ডিজাইনের বোরকা পড়েছে দুটোর মধ্যেই জড়িত রয়েছে ব্যক্তির নিজের সাতন্ত্রতা।
গায়ের সাথে আঁটসাঁট টাইপের বোরকা যেসব নারীরা পড়ছে সেটা খুবই উৎকট ও দৃষ্টিকটু। আবার যেসব নারীরা আপাদমস্তক ঢেকে এক্কেবারে জবড়জঙ্গ সেজে থাকে সেটাও ঠিক না। নারীরা শালীনতা রক্ষা করে মানানসই ঢোলাঢালা বোরকা পড়বে। যাতে তাদেরকে সহজ স্বাভাবিক দেখায় আর কষ্টও না পায়।
কিন্তু, তাই বলে আপনি বোরকা পড়াকে এভাবে নাক সিঁটকে বলবেন সেটা বোধহয় ভালো হয়নি। অবশ্য এটা আপনার একান্তই ব্যক্তিগত ভাবনা। মনে হয় ঢালাওভাবে দেশের সবার উপর এভাবে চাপিয়ে দেয়াটা ভালো হুয়নি।
তথাকথিত যারা নারীবাদি তারা চায় আপনার মতো আরো যত সুন্দরী নারী রয়েছে সবাই রাস্তায় নেমে আসুক। নয়ন ভরে দেখবে চাখবে। এটা পৃথিবীর সব দেশেই সব কালেই ছিল। এটা দূর করার জন্য শুধু আইন হলেই হবেনা। নৈতিকতার শিক্ষা আর ধর্মীয় অনুশাসন ও লাগবে।
মনে রাখবেন বিশ্বাসে মুক্তি তর্কে বহুদূর। ভালো থাকুন।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৩৭

Tania Farazee বলেছেন: পুরুষরা শুধু নারীদেরকে চেখে দেখেনা নারীরাও পুরুষদেরেক চেখে দেখে। শত সহস্র উদাহরণ আছে সেরকম। আমরা নারীরা আমাদের সভ্যতাক সম্মান করে যেভাবে স্বাচ্ছন্দ্যে চলা সম্ভব ততটুকু চলব। এটা আমাদের স্বাধীনতা। আপনাদেরকে ভাল রাখার জন্য আমাদের স্বাধীন সত্তার বিসর্জন দেয়া উচিত নয়। আপনারা সুশিক্ষার দ্বারা ভাল থাকুন, নিজেদের সংযত রাখুন। এটাই আমার কথা।

১৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৫৪

nilkabba বলেছেন: আপনার লেখার শিরোনাম দেখে বেশ কৌতূহল বশত লেখাটি পড়লাম। কিন্তু খুব আশ্চর্য বা বোকা হয়ে গেলাম পুরো লেখাটি পড়ে। যেখানে শিরোনামের সাথে লেখাটি সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক এবং অযৌক্তিক ও বটে।কোরআন যেখানে নারীকে (পর্দা বা হিজাব যাই বলুন) করা ফরজ করে দিয়েছে সেখানে অন্য সব যুক্তি অগ্রাহ্য।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২১

Tania Farazee বলেছেন: শিরোনামের সাথে সম্পূর্ণ মিল রেখে লেখাটি আছে। হ্যা, আমার মতামত আমি ব্যক্ত করেছি। এটাই আমার বিশ্বাস।

১৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:১৯

নৌকাহীন মাঝি বলেছেন: "পশু সমাজে যারা হিংস্র তাদেরকে আমরা খাঁচায় বন্দী করে রাখি, আর যারা নিরীহ তাদেরেক অবাধে বিচরণ করতে দিই। তবে মানব সমাজে ভিন্ন নিয়ম কেন?"
উদাহরণ হিসাবে বাঘ একটা প্রাণ। এই প্রাণটির স্ববভাব সবাই জানে। তাই বিপদ বুঝতে পেরেই তাকে লোহার কাঁচায় ভরে রাখে। কিন্তু প্রাণী হিসাবে মানূষ এমনটা যে তাদের দেখে বলা যাবে না যে তারা হিংস্র বা না। সুওরাং এখানে প্রানিদের সাথে মানুষের সামাজিক আইনের মিল খুঁজা যুক্তিহীন

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৭

Tania Farazee বলেছেন: মানুষের মধ্যে পুরুষরাযে হিংস্র তার শত কোটি প্রমাণ মানুষের কাছে আছে। তনু হত্যা সদ্য প্রমাণ।

১৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:১২

আশাবাদী অধম বলেছেন: "বংশগতভাবে আমি মুসলিম"
ইসলামে বংশগত মুসলিম বলে কোন তত্ত্ব আছে নাকি? বিভ্রান্তিকর কথাবার্তা লিখবেন আবার ইসলামের সাথে জেনেটিক্যাল সম্পর্ক আছে সেটাও ফলাও করে প্রচার করবেন?

"তাহলে আমাদের মধ্যে কারও যদি বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যার প্রতি বিশ্বাস জন্মে তাহলে সেটি দোষের ধরা হয় কেন"
'বিজ্ঞানসম্মত' কথাটাতো আপনাদের প্যাটেন্ট নেয়া, আপনারা ইসলামের বিরুদ্ধে যাহাই বলবেন তাহাই অটোম্যাটিক ভাবে বিজ্ঞানসম্মত বলিয়া পরিগণিত হইবে।

"প্রত্যেকটা ধর্মে মনুষকে জোর করে ধার্মিক বানানো নিষেধ। এ ব্যাপারে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলে গেছেন যে, “তোমরা যার যার ধর্ম পালন কর। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেনা। নিজের ধর্ম অন্যের উপর চাপিয়ে দেবেনা।”

বুঝলাম, তো হিজাব পরা যার যার ব্যক্তি স্বাধীনতার ওপর ছেড়ে দিন। আইন করে হিজাব নিষিদ্ধের কথা বলছেন কেন? নিজেদের স্ববিরোধীতা কি কখনো চোখে পড়ে?

আর হিজাব নিষিদ্ধ করা হলে জংগীবাদ নির্মূল হবে আপনার কি তাই মনে হয়। ফ্রান্স হিজাব নিষিদ্ধ নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করেছিল এখন ইউরোপে জংগীদের প্রধান টার্গেট তারাই

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৮

Tania Farazee বলেছেন: বংশ মুসলিম তাই ইসলামের নিয়ম কানুনগুলোর সাথে প্রথম পরিচয় ঘটেছে। বংশ যদি হিন্দু, খ্রীস্টান, বৌদ্ধ হত তবে তাদের দর্শনের সাথে প্রথম পরিচয় হত। বংশগতভাবে মুসলিম কথাটি এনেছি এজন্য যে , আমার বংশানুযায়ী আমার বোরকা পরা উচিত কিন্তু আমি পরছিনা এবং পরির প্রশ্নও উঠেনা। বিজ্ঞানসম্মত, যৌক্তিক কথাই মানুষের মুক্তি আনে। আর আমি কম্যুনিজমে বিশ্বাস করি। কম্যুনিস্টরা কেমন জীবনযাপনে অভ্যস্ত তা একটু জেনে নিবেন। তা আপনার ভাল লাগুক কিংবা না লাগুক। সভ্য মানুষের সভ্য পোশাক প্রয়োজন। হ্যা, অতিরিক্ত পর্দা দেখানো অথবা পোশাকে অসভ্য হওয়া এই দুটি দলের মধ্যে কোন দলকেই স্বাধীনতা দেওয়া উচিত নয়। শিশুকে স্বাধীনতা দিলে সে কখনও আগুনে হাত পোড়ায় আবার কখনও পানিতেও ডুবে মরে। তাতে নিজের অথবা অন্যের কি ক্ষতি হতে পারে তা শিশুরা বুঝতে পারেনা। দর্শনে অনেকেই শিশু। যদিও নিজেদের শিশুত্ত সমাজের বড় বড় অবস্থানে থাকা অনেক বড় বড় মানুষেরাও বুঝতে পারেনা। আর তাই যখন আমরা অনেক ক্ষতির মুখোমুখি হই তখন সবাই হাতড়ে বেড়াই---কেন হল ? কিজন্য হল? উত্তর যেটি পাওয়া যায়- সেটি সব ধর্ম বর্ণের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়না। আমার লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ

১৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:৫৫

স্ণরণ শেখ বলেছেন: আমার কিছু নারী সহপাঠী দের বোরকা পড়তে দেখলে আমার বেশ খারাপ ই লাগে, বেচারি রা বোরকা পড়তে চায় না কিন্তু সমাজ, ধর্ম আর পরিবার তাদের কে কুরানের দোহাই দিয়ে বোরকা পড়তে বাধ্য করে। তাদের কে কখনো জিজ্ঞেস করা হয় না, 'মা, ইয়ুমি কি এই ১৪০০ বছর পুরোনো বই টা মানতে রাজী?'
তবে আপনার লেখায় , 'আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধীদলীয় নেত্রী দুজনের কেউই বোরকা বা হিজাব পরেননা। ওনাদের উচিত নারীদের শালীন পোশাক সম্পর্কে দেশের নারীদেরকে ধারণা দেয়া এবং বোরকা পরা, হিজাব পরা আইন করে বন্ধ করা। '
অংশ টার সাথে একমত হতে পারছি না। একটা স্বাধীন দেশে যার যেটা খুশি সেটা পরে সে অবাধে বিচরণ করবে। আমি বোরকা পরব না কিমোনো পরব এটা সম্পূর্ণ আমার ইচ্ছা, রাষ্ট্র এখানে কেন বাধা দিবে?

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৫৪

Tania Farazee বলেছেন: অতিরিক্ত পর্দা দেখানো অথবা পোশাকে অসভ্য হওয়া এই দুটি দলের মধ্যে কোন দলকেই স্বাধীনতা দেওয়া উচিত নয়। সব ধর্ম বর্ণের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় নারীদের পোশাকের ক্ষেত্রে এমন একটি যৌক্তিক মানদণ্ড থাকা উচিত। কিছুদিন আগে পেপারে পড়েছিলাম যে, ইংল্যাণ্ডে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শর্র্ট স্কার্ট পরা আইনত নিষিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। এই আইনটি অশালীনতা বন্ধে সহায়ক। এখন ওরা যদি বলে আমাদের স্বাধীনতা নষ্ট করছে রাষ্ট্র তবে কি বলা যেতে পারে? একটি যৌক্তিক, বিজ্ঞানসম্মত মানদণ্ড থাকা উচিত যা কেউ খন্ডাতে পারবেনা।

১৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩

নীল আশরাফ বলেছেন: আপনি দেখতে সুন্দর, তাই নিজেকে দেখিয়ে এক ধরণের তৃপ্তিতে ভুগছেন, 'বংশগত মুসলিম' নামে একটা নতুন পরিচয় চালু করেছেন, ইসলামে যা ফরজ করেছে, তার বিপরীতে বালছাল যুক্তি উপস্থাপন করেই ক্ষান্ত হননি। আইন করে তা নিষিদ্ধ করার দাবীও জানচ্ছেন।

বলি, আপনি নিজের সুন্দর চেহারা নিয়ে বেপর্দা ঘোরাফেরা করলে কেউ তো আপনাকে খুন করতেও যাচ্ছেনা, বা অশ্লীল দৃষ্টিতে তাকাচ্ছেনা। তাহলে যেসব মেয়েরা হিজাব ধারণ করে নিজেদের স্বচ্ছন্দ চলাফেরা নিশ্চিত করতে চাইছে, তাদেরকে দেখে আপনার চুলকায় কেন?

কমেন্টের জবাব না দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কেন? আপনিও কি মন্ত্রক আর তালপাতার স্বেপাই্য়ের মালটি নাকি?

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৯

Tania Farazee বলেছেন: ব্যস্ত আছি। সময় পেলেই উত্তর দেব। একটু অপেক্ষা করুন। হারিয়ে যাওয়ার জন্য
বসিনি।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২২

Tania Farazee বলেছেন: বংশ মুসলিম তাই ইসলামের নিয়ম কানুনগুলোর সাথে প্রথম পরিচয় ঘটেছে। বংশ যদি হিন্দু, খ্রীস্টান, বৌদ্ধ হত তবে তাদের দর্শনের সাথে প্রথম পরিচয় হত। বংশগতভাবে মুসলিম কথাটি এনেছি এজন্য যে , আমার বংশানুযায়ী আমার বোরকা পরা উচিত কিন্তু আমি পরছিনা এবং পরার প্রশ্নও উঠেনা। বিজ্ঞানসম্মত, যৌক্তিক কথাই মানুষের মুক্তি আনে। আর আমি কম্যুনিজমে বিশ্বাস করি। কম্যুনিস্টরা কেমন জীবনযাপনে অভ্যস্ত তা একটু জেনে নিবেন। তা আপনার ভাল লাগুক কিংবা না লাগুক। সভ্য মানুষের সভ্য পোশাক প্রয়োজন। হ্যা, অতিরিক্ত পর্দা দেখানো অথবা পোশাকে অসভ্য হওয়া এই দুটি দলের মধ্যে কোন দলকেই স্বাধীনতা দেওয়া উচিত নয়।
সমালোচনা করার ক্ষেত্রে ভাষার ব্যাপারে সংযত হোন।

১৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৩১

নতুন বলেছেন: রাঙ্গামাটিতে বাস করি সব ধর্মের লোকের সাথে মিলেমিশে। সবসময় সালোয়ার কামিজ ওড়না পরি, হিজাব বা বোরকা আমি পরিনা।

ওখানে উপজাতীরা ওড়না ব্যবহার করেনা। কিন্তু আমি ছেলেদের তাকিয়ে থাকতে দেখিনাই।

এই জিনিসটা আমাদের সভ্য সমাজে বুঝতে পারবেনা।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:১৮

Tania Farazee বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন। উপজাতি পুরুষরা মহিলাদের ফিগারের দিকে তাকায়না। গাড়ীতে, পথে, সর্বত্র যে কোন মেয়ে ওদের পাশে স্বাচ্ছন্দ্যে বসতে পারে। নারীদের দেহ নিয়ে ওদের অতিরিক্ত কৌতুহল নেই। বাঙ্গালী ছেলেদের মধ্যে বেশী লুচ্চামি দেখা যায়। উপজাতি ছেলেরা যৌতুক খায়না। নারীদের স্বাধীনতা পুরুষদের চেয়ে বেশী।

১৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:১৩

র‍্যাশ বলেছেন: সবচেয়ে কষ্ট লাগে যখন দেখি ক্লাস ফোর, ফাইভ সিক্সে পড়া ছোট ছোট মেয়েগুলোও যাদের যৌনতা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণাও তৈরী হয়নি গরমের দিনে মাথায় হিজাব পড়ে রাস্তায় হাঁটছে। এরা হয়তো তাদের সমবয়সী ছেলেদের সাথে একসঙ্গে ক্লাস করে, এক সঙ্গে খেলাধুলাও করে কিন্তু ছেলেদের সঙ্গে তাদের এই পর্দা কেন্দ্রীক পার্থক্য তাদের মধ্যে যে হীনমন্যতাবোধ তৈরী করে তা থেকে এরা আর কোনদিনও বেরোতে পারে না। যতই দিন যায় এরা যেন ততই আরো গভীর ভাবে জড়িয়ে যায়। দেশে ব্যাঙের ছাতার মত অনেক ইসলামীক স্কুল গজিয়েছে যেগুলোতে স্কুল ড্রেস হিসেবে ছোট ছোট মেয়েদের বোরখা- হিজাব পড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। তবে ব্যক্তিগত আমি আইন করে বোরখা বন্ধ করার বিপক্ষে তবে পরিবার বা সমাজের কেউ যেন কোন মেয়েকে বোরখা পরতে বাধ্য করতে না পারে সেই লক্ষ্যে আইন প্রণয়ন করা উচিত। সবচেয়ে বড় যেটা দরকার তা হল বোরখার বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা তৈরী। রাস্তায় চলার পথে মেয়েরা যদি অন্যদের দিকে তাকাতে পারে তবে অন্যদেরও তাদের দিকে তাকানোর অধিকার রয়েছে, এখানে হীনমন্যতাবোধের কিছু নেই। এই বোধটা প্রতিটা মেয়ের মধ্যে জাগ্রত করতে হবে। বাংলার বোরখাওয়ালীরা রোকেয়ার লেখার ব্যাখ্যা পরীক্ষার খাতায় লিখে জিপিএ ফাইভ পায় কিন্ত একটু কষ্ট করে যদি রোকেয়ার লেখার মর্মগুলো বুঝার চেষ্টা করতো তাহলে হয়তো তাদের দুনিয়াটা অন্য রকম হত, সত্যিই

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২

Tania Farazee বলেছেন: আপনার কোন লেখা এখনও আমার পড়া হয়নি ব্যস্ততার কারণে। আমার জীবনের পরিস্থিতি বর্তমানে এমন যে, ছোট প্রাণ বড় ক্লান্তি। তবু মানুষের জীবনের একটি দু'টি মন্তব্য পড়লেই তাকে চেনা যায়। যদি তা মন থেকে করা হয়। আপনার কথা আমার খুব ভাল লাগল। ধন্যবাদ।

২০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫২

নাইম আকন বলেছেন: পোশাক হিসাবে বখরার কোন দোষ নেই। পোশাক হওয়া উচিত আবহাওয়ার সাথে উপযোগী আর সেটা পড়ে যেন অস্বস্তি বোধ না হয় এবং সেটা চলাফেরায় ও কাজে তা পূর্ণ স্বাধীনতা দিবে। তবে সেজন্য স্বাধীনতার পুণ্য ব্যাবহার করে যে যা খুশী তাই করবে তাও ঠিক নয়। তবে যে পোশাক এমন ভাবে ঢেকে রাখে যা ব্যক্তির আপন পরিচয় লুকাতে বাধ্য করে, সে পোশাক ওই ব্যক্তিকে ছোট ও হীন করে প্রদর্শন করে এবং স্বতন্র পরিচয়ে বাচার অধিকার দেয় না, সেটা অবশ্যই পরিত্যাজ্য যদি না ব্যক্তি তার আপন পরিচয় গোপন রাখতে চায়। আত্মপরিচয় খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার আর সে পরিচয়ে পরিচিত হওয়ার বাসনা আমাদের সবার থাকে। বাধ্য করা যাবে না, মানবিকতার কথা ভেবে হলেও বাচ্চাদের ধম বন্ধ করে এমন পোশাক না পড়ানোই উচিত। নিজেদের আলাদা প্রাণী ভাবুক এটা আমাদের কার কাম্য নয়।
আমরা উদাহরণ হিসাবে ভাবি যদি প্রধানমন্ত্রী যদি কালো কাপড়ে শুধু চোখ বের করে রাস্তায় নামেন তবে কেমন হবে একবার ভাবুন!!! অতিসাধারণ গ্রাম্য মহিলা ভেবে পথচারী দয়া দেখাবে, ট্রাফিক পুলিশ একটু করুণা করে রাস্তা পার করে দিবে।

"(হে নবী!) মুমিন নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে ও তাদের লজ্জাস্থানের হিফাজত করে। তারা যেন সাধারণত যা প্রকাশ থাকে তা ছাড়া নিজেদের আভরণ প্রদর্শন না করে।' (সূরা নূর : ৩১)

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩

Tania Farazee বলেছেন: আপনি অসধারণ কাজ করেছেন, ধর্মের মন্তব্যটি তুলে ধরে এবং অনেক ভাল বুঝতে পেরেছেন। বেঁচে থাকুন অনেক যুগ। ধন্যবাদ।

২১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:০০

আশাবাদী অধম বলেছেন: " বাংলার বোরখাওয়ালীরা রোকেয়ার লেখার ব্যাখ্যা পরীক্ষার খাতায় লিখে জিপিএ ফাইভ পায় কিন্ত একটু কষ্ট করে যদি রোকেয়ার লেখার মর্মগুলো বুঝার চেষ্টা করতো তাহলে হয়তো তাদের দুনিয়াটা অন্য রকম হত, সত্যিই"

আসলেই রোকেয়ার লেখার মর্ম বুঝার গুরুত্ব অনেক! গুরুত্ব নেই শুধু আল্লাহর কুরআনের মর্ম বুঝার!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২১

Tania Farazee বলেছেন: মানুষের মর্ম বুঝলে ধর্মের মর্ম বোঝা হয়।

২২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৮

হানিফঢাকা বলেছেন: Those who mention Allah/Quran to oppose in this post, my humble question to them "what does the holy Quran has to do anything with this Borkha ?" Can anyone please enlighten me regarding this issue?

Though I do not agree many things that the writer mentioned in this blog, I don't want to argue with her. My question is towards the people who think God ordains it.

(From mobile, that's why in English)

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪৮

Tania Farazee বলেছেন: যা স্বাভাবিক তাই বলেছি। দেখুন জনগণ কি বলে?

২৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২০

বিবেক ও সত্য বলেছেন: বোরখা মূল বিষয় নয়। কুরআন নারীকে অবমানীতে করেছে, তা আপনাকে স্বীকার করতেই হবে। বিস্তারিত প্রমান নিম্নের লিঙ্কে:
আল কুরআনের আলোকে নারী অধিকার (সত্য উম্মোচিত)/আল কুরআন মানব রচিত নাকি স্রষ্টার তার বিচারের দায় পাঠকের বিবেকের উপর

২৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৪

আশাবাদী অধম বলেছেন: @বিবেক ও সত্য
কয়েক খানা চটি লিখে সারা ব্লগময় সেগুলোর লিংকবাজী করে বেড়াচ্ছেন আর মনে মনে ভাবতেছেন মুই কি হনুরে?

উনি মনে করতেছে উনার লেখার জবাব দেয়ার মত দুনিয়ায় কেউ পয়দা হয় নাই! ও বালের লেখা যে কেউ পড়েই না তা কে বোঝাবে? এমন কি নতুন আবিস্কার করলেন? নাস্তিকদের পুরনো প্যাঁচানো ত্যানাই মানুষকে গেলানোর খায়েশ নিয়ে লিংকের বাজার খুলে বসেছেন!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১০

Tania Farazee বলেছেন: আমি শুধু লেখাটি ব্লগে দিয়েছি। লিংক ছড়াচ্ছে কে বুঝতে পারছিনা। আমার লেখা আপনি আর পড়বেননা।

২৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৮

বিবেক ও সত্য বলেছেন: যার/যাদের কাছে কোন জবাব থাকে না তাদের একমাত্র হাতিয়ার হয় গালিবাজ। গালিবাজ নীচতার পরিচয়।
আমি ভদ্র ও সভ্য মানুষের সাথে কথা বলতে পছন্দ করি।

২৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৩৩

আশাবাদী অধম বলেছেন: আপনার উচুতার পরিচয় পাইয়া ধইন্য হইলাম।
তবুও ভালো এই কমেন্টে অন্তত নতুন কোন চটির লিংক দেন নাই। কি আর করা! নিজের ব্লগে তো সম্ভবত মাছিও পড়ে না। তাই অন্যের ব্লগে লিংক বিলাইয়া জোর কইরাও যদি দুই এক লাইন পড়ানো যায় মন্দ কি?
চালাইয়া যান!
তবে আমি কিন্তু আপনাকে গালি দেই নাই! আর আপনারা তো "থাবাবাবা" দের জাতের লোক আপনাদের ভদ্রতার দৌড় আমার খুব ভালোমতই জানা আছে।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১৩

Tania Farazee বলেছেন: আমি শুধু লেখাটি ব্লগে দিয়েছি। লিংক ছড়াচ্ছে কে বুঝতে পারছিনা। আমার লেখা আপনি আর পড়বেননা।

২৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৫৪

আশাবাদী অধম বলেছেন: @ লেখক,
হ্যা, এবার লাইনে আসছেন। আপনি মুক্তমনা কম্যুনিস্ট। এই পরিচয়টা আগে দিলেই কোন ক্যাচাল লাগত না। তো-

এ ব্যাপারে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলে গেছেন যে, “তোমরা যার যার ধর্ম পালন কর। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেনা। নিজের ধর্ম অন্যের উপর চাপিয়ে দেবেনা।”
এই যে কথাটা লিখছেন, এটার অর্থ জানেন?
যাহোক কথা বাড়িয়ে লাভ নেই। রাশিয়া যে সব চিন্তা-চেতনাকে "অবাস্তব কল্পনা" হিসেবে গত শতাব্দিতেই ত্যাগ করে এসেছে আমাদের দেশের কম্যুনিস্ট রা সে সব বিষয় নিয়ে কেবল স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে। অপেক্ষা করুন। বাংলাদেশে আপনাদের বিপ্লব অত্যাসন্ন! তখন আপনারা খুশীমনে হিজাব নিষিদ্ধ করতে পারবেন! সবুর করুন ! জানেনই তো সবুরে মেওয়া ফলে!

২৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৫

বিবেক ও সত্য বলেছেন: @আশাবাদী অধম, আপনাকে সহ সকল পাঠককে আমার ব্লগে আহ্বান করছি প্রমান দেখার জন্য যে আমাকে যতজন যত বিরুপ মন্তব্যই করুক না কেন আমি কোথাও আপনার মত গালি গালাজের আশ্রয় নিয়েছি কিনা। আপনি যদি বলেন যে গরুর মাথার উপর পৃথিবী অথবা বলেন যে আপনার আল্লাহর বিশেষ দূত তখন এটা অতি স্বাভাবিক যে, যে কোন বিবেকবান মানুষ আপনার কাছে আপনার দাবির যৌক্তিকতা বা প্রমান দাবি করবে, নয় কি?
আপনার কাছে প্রমান না থাকলে আপনার একটি আশ্রয় থাকে সেটা হল গালি-গালাজ বা আজে বাজে কথা বলা।
আপনার আজে বাজে মন্তব্যের প্রমান হল আপনার ২৪ নং মন্তব্য যেখানে আপনি আমার লেখার কোন কথা খন্ডন করতে ব্যর্থ হয়ে পরাজয়ের অন্তর্জালায় লিখেছেন- কোন চটির লিংক দেন নাই এবং ও বালের লেখা যে কেউ পড়েই না
আমার কোন লেখার কোন কথাটি চটি তা দেখাতে পারবেন? অবশ্যই পারবেন না। মিথ্যা অপবাদ ও গালি দেয়ায় আপনার শেষ আশ্রয়।
আপনার উচুতার পরিচয় পাইয়া ধইন্য হইলাম।
আমার লেখা যদি মন দিয়ে পড়তেন তাহলে অনেক আগেই আমার ভদ্রতার পরিচয় পেতেন। আমার লেখা ও আমার ভদ্রভাবে মন্তব্য দেয়াই আমার ভদ্রতার পরিচয়। সেটা আমি বলা ছাড়া নিজের চোখ থাকলেই দেখতে পারার কথা।
অন্ধত্ব বর্জন করে চোখ খুলে সত্য বোঝা ও সত্যর পথে চলার আহ্বান করছি। [link|মিথ্যার মানদন্ড]

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৪

Tania Farazee বলেছেন: আপনি বারবার বলছেন যে, আমি আপনাকে গালাগালি করেছি। কিন্তু আমি শুধুমাত্র একবার আপনার মন্তব্যের বিপরীতে মন্তব্য করেছি যাতে কোন গালগালি নেই। আপনি কি বলছেন? আমি আপনাকে কোন লিংক পাঠাইনি। গালগালি করে কিছু অর্জন করার শিক্ষা আমার নেই। আপনার দেয়া একটি লিংক থেকে আমি একটি লেখা পড়লাম। কিন্তু সেখানে আমি কোন মন্তব্য করিনি বা কোন লিংক পাঠাইনি। কি বলছেন তা বুঝতে পারছিনা। আমার লেখা পড়ার লোক আছে। কেউ পড়ল কি পড়লনা সেটি পরের কথা। আমার মতমত আমি ব্যক্ত করব, অন্যের ভাবনার স্বাধীনতা অবশ্যই আছে। আপনার অভিযোগগুলো মিথ্যে।
বরং আপনি বিভিন্ন কমেন্ট বাজে শব্দ ব্যবহার করছেন।

২৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৬

বিবেক ও সত্য বলেছেন: মিথ্যার মানদন্ড:ইসলাম কি সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ?

৩০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৮

আশাবাদী অধম বলেছেন: @ বিবেক ও সত্য

আপনার মত লেখক কে গুরুত্ব দেয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। আপনার কোন লেখাও আমি পড়িনা। আপনার চেয়ে অনেক বড় বড় ব্লগার নাস্তিক/আস্তিক সামুতে ছিল। তাই বলে বিতর্কের সমাধান হয়ে যায় নি। আপনার ভাবখানা দেখে মনে হয় আপনি এক মহান সবজান্তা হিসেবে ব্লগে নাযিল হয়েছেন যিনি কিনা আল্লাহর অস্তিত্ব আছে কি নেই, কুরআন আল্লাহর বাণী কি না, ইসলাম সত্য বলে না মিথ্যা বলে মুহূর্তের মধ্যে এসবের চিরস্থায়ী সমাধান করে ফেলবেন!

এখন কাজ হচ্ছে মানুষের ব্লগে ঢুকে কমেন্টের বক্সে নিজের একেকটা লেখার লিংক দিবেন অমনি সেটা পড়লেই সে বিশ্বাস করতে বাধ্য হবে। ব্যাস! ল্যাঠা চুকে গেল।
মানুষের যদি নিজের সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকে তাহলে তো সমস্যা হয়না। সমস্যা হয় যখন চামচিকা নিজেকে হাতী মনে করতে শুরু করে।
বলি অন্যের ব্লগে কমেন্ট করতে চান করুন! লিংক দিয়ে দিয়ে মানুষের বিরক্তির উদ্রেক করা কেন? এই লেখায়ও আপনি এ পর্যন্ত পাঁচটি লিংক দিয়েছেন। আমার আপত্তিটা এখানেই। না হয় আপনি কি লিখলেন না লিখলেন তা নি আমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। আপনার মত চামচিকার কথায় যদি সূর্য অস্ত যেত তাহলে ইসলাম এখনো ক্রমবর্ধমান থাকতোনা, অন্তত পশ্চিমা বিশ্বে। এত জঙ্গি হামলা-সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ নিয়েও ২০৭০ সাল নাগাদ ইসলামই হবে বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্ম। ঐ সব মানুষ তো সব ঘাস খেয়ে বড় হয় যে আপনি যা বুঝে ফেলেছেন তারা তা বুঝতেছেনা!


আর চটি বলতে আমি নিম্ন মানের লেখা বুঝিয়েছি অশ্লীল কিছু বুঝাইনি। আপনার লেখায় আর কমেন্ট করার ইচ্ছা রাখিনা। ভাল থাকবেন!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৫

Tania Farazee বলেছেন: আপনি বারবার বলছেন যে, আমি আপনাকে গালাগালি করেছি। কিন্তু আমি শুধুমাত্র একবার আপনার মন্তব্যের বিপরীতে মন্তব্য করেছি যাতে কোন গালগালি নেই। আপনি কি বলছেন? আমি আপনাকে কোন লিংক পাঠাইনি। গালগালি করে কিছু অর্জন করার শিক্ষা আমার নেই। আপনার দেয়া একটি লিংক থেকে আমি একটি লেখা পড়লাম। কিন্তু সেখানে আমি কোন মন্তব্য করিনি বা কোন লিংক পাঠাইনি। কি বলছেন তা বুঝতে পারছিনা। আমার লেখা পড়ার লোক আছে। কেউ পড়ল কি পড়লনা সেটি পরের কথা। আমার মতমত আমি ব্যক্ত করব, অন্যের ভাবনার স্বাধীনতা অবশ্যই আছে। আপনার অভিযোগগুলো মিথ্যে।

৩১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫২

আশাবাদী অধম বলেছেন: @লেখক
আপনাকে উদ্দেশ্য করে লিখা হয় নি। ভুল বুঝবেন না।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৯

Tania Farazee বলেছেন: কাকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন? আমার লেখার নীচে আপনার মন্তব্যগুলো দেখছি। কিন্তু বলছেন আমাকে উদ্দেশ্য করে লেখেননি। তবে কি ভূতের উদ্দেশ্যে লিখেছেন?

৩২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫২

আশাবাদী অধম বলেছেন: @লেখক
আপনাকে উদ্দেশ্য করে লিখা হয় নি। ভুল বুঝবেন না।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪০

Tania Farazee বলেছেন: কাকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন? আমার লেখার নীচে আপনার মন্তব্যগুলো দেখছি। কিন্তু বলছেন আমাকে উদ্দেশ্য করে লেখেননি। তবে কি ভূতের উদ্দেশ্যে লিখেছেন?

৩৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৩

বিবেক ও সত্য বলেছেন: @আশাবাদী অধম,আপনার কোন লেখাও আমি পড়িনা
আপনি স্বীকার করেছেন যে আমার লেখা পড়েন না। কারো কথা না পড়ে বা না শুনে মন্তব্য করা কত বড় অজ্ঞতা ও অন্ধত্ব তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কারো কথা শোনা পরই কেউ বলতে পারে যে তার কথা কতটুকু ঠিক বা বেঠিক। তবে অন্ধের মত মন্তব্য করতে কোন জ্ঞান লাগে না।
আপনি যদি আমার লেখা পড়তেন তাহলে আপনার বলার অধিকার ব যৌক্তিকতা ছিল যে আমার লেখা কতটা বিজ্ঞতা সূলভ/অজ্ঞতাসূলভ।
কেউ কুরআন না পড়েই যদি মন্তব্য করে বসে তাকে নিশ্বয়ই আপনি বিজ্ঞ বলবেন না। এবার বিষয়টি নিজের ব্যপারে ভাবুন।
মানুষের যদি নিজের সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকে তাহলে তো সমস্যা হয়না। সমস্যা হয় যখন চামচিকা নিজেকে হাতী মনে করতে শুরু করে।
দৃষ্টান্তটি নিজের ব্যপারে মিলিয়ে দেখুন।
আপনার মত চামচিকার
আপনি যে ভাষা ব্যবহার করলেন সেটা সভ্য লোকের ভাষা নাকি অসভ্য লোকের ভাষা তা আমি ভদ্র ও সুশীল পাঠকদের বিচারে ছেড়ে দিলাম।
কোন লেখার অনেক বড় কমেন্ট হলে দেখতে সুন্দর দেখায় না, তা সংক্ষিপ্ততার স্বার্থে লিঙ্ক দেয়া হয়। লিঙ্কটিই হল বিস্তারিত মন্তব্য। মন্তব্য করা হয় লেখকের লেখার উপর। আপত্তি থাকলে লেখক আপত্তি করার কথা। আপনার লেখায় লিঙ্ক দিলে আপনার আপত্তি করার অধিকার থাকে।

৩৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৪

বিবেক ও সত্য বলেছেন: লেখকের লেখা আমার ভাল লেগেছে। লেখকের লেখার পরিপূরক হিসাবে আমি তার লেখায় লিঙ্ক দিয়েছি।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪১

Tania Farazee বলেছেন: কাকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন? আমার লেখার নীচে আপনার মন্তব্যগুলো দেখছি। কিন্তু বলছেন আমাকে উদ্দেশ্য করে লেখেননি। তবে কি ভূতের উদ্দেশ্যে লিখেছেন?

৩৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫৩

বিবেক ও সত্য বলেছেন: আমার ২৮ ও ৩৩ নং মন্তব্য লেখকের উদ্দেশ্য নয়,আশাবাদী অধম নামক এক ব্লগারের উদ্দেশ্য।

৩৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৬

Tania Farazee বলেছেন: ওহ্! দুঃখিত।

৩৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:২৫

এম. সাইফ বলেছেন: আপনি কোন আমল নিজে করতে পারেন না তার অর্থ এই নয় যে, ঐ আমলটি করা ঠিক নয়। পর্দা করা আল্লাহর হুকুম। রাসূল সা. এর স্ত্রী-সন্তানগণ সকলেই পর্দা করে চলেছেন অতঃপর সাহাবীগণ, তাবে-তাবেয়ীগণসহ যুগ যুগ ধরে আলেম-উলামাসহ যারাই ইসলাম ধর্মের বিধা-বিধান যথাসাধ্য পালন করার চেষ্টা করে আসছেন তারা সবাই করছেন। এখন আপনি এই ফরজ একটা বিধানকে যুক্তির মানদন্ডে দাড় করিয়ে বাজেভাবে উপস্থাপন করাটা মোটেও ঠিক হয়নি। আল্লাহপাকের প্রতিটা হুকুম যুক্তিযুক্ত কখনও কখনও তা আমাদের বুঝে আসে না বিধায় আমরা উল্টো অযৌক্তিকভাবে তা উপস্থাপন করি এর থেকে বেঁচে থাকা চাই। কোন আমল নিজে করতে পারি না ভিন্ন কথা তাই বলে যারা করে তাদেরটা ব্যান করার মানসিকতা মারাত্মক অন্যায়। যদিও বলবেন আমার বুঝ আমার তাহলে পাবলিক প্লেসে কেন? একান্তই মনের মধ্যে পুষে রাখতেন। ভাল কাজে কাউকে খাটো কখনও আপনি ভাল কিছু করতে পারবেন না বরং মন্দ কাজগুলোকে খারাপভাবে উপস্থাপন করুন যেন অশ্লীলতাসহ সকল অপকর্ম বন্ধে সহায়ক হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.