অসাধারণ এক আয়োজন কিংবা তারো অনেক বেশী কিছু যা ভুলবার নয় কোনভাবে।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ছাত্রছাত্রীদের সাথে স্টাডি ট্যুরের আনন্দ শেয়ার করলাম। বিগত দুটি বছর বেশ কয়েকটি বর্ষের স্টাডি ট্যুরে যাওয়ার অনুরোধ ছিল ছাত্রছাত্রী এবং কয়েকজন শিক্ষকের নিকট হতে, কিন্তু যাওয়া হয় নি। মনও খুব বেশী সায় দিচ্ছিল না। কিন্তু এইবার হল ব্যতিক্রম, কেন জানি মন নিজ থেকেই বলছিল কোথাও যেতে হবে। আর তখনই আমার প্রিয় ছাত্রছাত্রীদের অনুরোধ, সাথে যোগ হল অসামান্য প্রতিভার অধিকারী আমাদের সবার প্রিয় শিক্ষক ড, নেসারুল করিম স্যারের সম্মতি। ড, নেসারুল করিম স্যারের সাথে এর আগে আমার আরো কয়েকবার দেশের ভিতরে এবং বাহিরে ট্যুর করার সৌভাগ্য হয়েছে, এককথায় অসাধারণ সংঘঠক।



এক ছাত্র জানতে চাইল, নেসার স্যার আর কত ট্যুর করবেন? উত্তর দেওয়া হয় নি, শুধু মনে মনে বলেছি হয়তঃ ততদিন, যতদিন আরেকজন শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের জন্য তার নিজের পকেটের পয়সা এবং সময় দুই উজাড় করে দিতে প্রস্তুত হচ্ছেন না। কারণ এই একটা মানুষকে আমি দেখলাম এই ধরণের আয়োজনে ক্লান্তিহীনভাবে সময় দিতে, নিজের পকেটের অর্থ খরচ করতে আর শিক্ষকদের নিকট হতেও ফি নিতে যা শিক্ষকদের প্রতি

ছাত্রছাত্রীদের সম্মানবোধ বাড়িয়ে দেয়। কি এক জাদুময়ী প্রক্রিয়ায় ট্যুরের প্রতিটি সদস্যের সুবিধা অসুবিধার খেয়াল রাখেন উনি। উনি দায়িত্ব নিবেন আর ট্যুরটি অসাধারণ হবে না, এটা ভাবাই যায় না। এবারও তাই হয়েছে। অসাধারণ এক আয়োজন কিংবা তারো অনেক বেশী কিছু যা ভুলবার নয় কোনভাবে।



ট্যুরের শুরুতে এক ঝাঁক পাখির কথা বলেছিলাম, সেটা ছিল কল্পনা প্রসুতঃ। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে সত্যিই এক ঝাঁক পাখি নিয়েই আমরা আমার অতি প্রিয় সেন্ট মারটিন ঘুরে এসেছি, যাদের কলকাকলিতে তিনদিন আমরা এতই মুখরিত ছিলাম এখন সব কিছুই স্বপ্ন মনে হচ্ছে। আমাদের ট্যুরে কম বয়সী তিন জন সদস্য ছিল যারা আমাদের এই আয়োজনকে আরো বেশী মুখরিত করে রেখেছিল।



ট্যুরের সফলতায় মহান আল্লাহ্‌র সহযোগিতা ছিল মানুষের ভাবনার বাইরে, যখন আমদের রোদ দরকার তখন রোদ, যখন আকাশে তারা দরকার তখন তারা, গভীর রাতে যখন মন বৃষ্টির শব্দ শুনতে চাই তখনই বৃষ্টি। ট্যুরের সাথে সম্পৃক্ত সবাইকে অনেক ভালবাসা জানাই এবং ট্যুরের বাইরে থেকেও যারা প্রতিটি মুহুরথে আমাদের খবর নিয়েছেন এবং আমাদের জন্য প্রার্থনা করেছেন সভার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

Click This Link

৫ টি +০/-০