সাবধান, বানর বাহিনী যে কারো উপর হামলে পড়তে পারে।

০১ লা মে, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪

সাবধান, বানর বাহিনী যে কারো উপর হামলে পড়তে পারে।

আমার কিছু প্রিয় ছাত্রছাত্রীদের একটি বানরের গল্প বলেছিলাম। সেই গল্পের শিক্ষা ছিল বানরকে সব সময়ই বানর হিসাবে বিবেচনা না করলে সে একসময়ই মাথায় উঠে ...... করে দিবে।



আজ এই কথা বলার কারণ খুবই সরাসরি লিখব। এক অতিব উর্বর মস্তিস্কের লোক বিগত সরকারের প্রশ্রয়ে গঠন করেছিল এক বানর বাহিনী, সেই বাহিনীর হাতে সব চেয়ে বেশী নির্যাতিত ও নিহত হয়েছে কারা? ঐ বাহিনীর জন্মদাতারা।



বিগত চার/পাঁচ বছর ধরে আবার দেখছি এক অদৃশ্য বানর বাহিনীর হাতে প্রথম দিকে বিরোধী সমর্থক ছাত্র, নেতা, ব্যবসায়ীরা হাওয়া হয়ে যাচ্ছিলেন আর সরকারের লোকজন যেনতেন বিবৃতির মাধ্যমে এই সব কিছুই না এমন ভুমিকায় ছিলেন। আর এখন এই বানর বাহিনী মাথায় উঠে গেছে, ফলে যারা এর জন্ম দিয়েছে একে একে তাদের পালা শুরু হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এইসব বানর বাহিনীর কারণে আমরা অতিশয় অসহায় জীবন যাপন করছি। সম্ভবতঃ কোন বৃহৎ পরিবর্তন ছাড়া এই বানর বাহিনী হতে কেউ নিরাপদ নয়, এমনকি এর জন্মদাতারাও।



বাঙ্গালীর চরিত্রই কি এমন? (শুধুমাত্র কুলাঙ্গার, জারজদের উদ্দেশ্যে লিখা)



তোমার বাড়িতে, মসজীদে, মন্দিরে হামলা হল আর তুমি আগে খোঁজ নিলে কারা হামলা করল। জানতে পারলে এটি রাজনৈতিক হামলা, নিজ দলের লোকজন করেছে বিশ্বাসীর চোখকে ধূলো দেওয়ার জন্যে, তুনি নীরব রইলে। তোমার প্রতিবেশী মেয়ে, মা, শিশু ধর্ষিত হল; তুমি সাবধান হলে কিন্তু ধর্ষণের খবর তোমাকে আকৃষ্ট করল, একবারও ধিক্কার দিলে না। তোমার সামনে গুম হল, খুন হল, রক্তাত্ত হল হাজার হাজার মানুষের দেহ, তুমি দেখলে তারা কেউ তোমার দলের বা মতের নয়, নাকে তেল দিয়ে শান্তির ঘুম দিলে।



সংখ্যাগুরু বললেও রাগ কর, সংখ্যালঘু বললেও রাগ কর; কিন্তু নির্যাতিতের বেলায় ঠিকই এই শব্দগুলোই প্রয়োগ কর। ধিক্কার জানানোর ভাষা নেই, তাই অয়াহিদুজ্জামানের ভাষায় বলতে ইচ্ছে হয় “এখন থেকে হামলা হলে, ধর্ষণ চেষ্টায় কেউ এগোলে, সাদা পোষাকে কেউ গ্রেফতার করতে এলে সে পুলিশ, RAB, সেনাবাহিনী, যে কোন বানর বাহিনীর সদস্য বা যাই পরিচয় হোক, প্রথমে তাদের চোর, ডাকাত, বদমাশ হিসেবে চিহ্নিত করে গণপিটুনি দিন। যেখানে আইনই গুম হয়ে গেছে, সেখানে আত্মরক্ষায় আল্লাহ এর নাম নিয়ে নিজের শক্তির ওপর নির্ভর করাই শ্রেষ্ঠ উপায়”।

১ টি +০/-০