![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার
আগে যখন " ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের" বাস রাস্তা দিয়ে যেতে দেখতাম তখন মনে হোত " ইশ....যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হতাম তাহলে এই বাসে উঠার সুযোগ পেতাম " কিন্তু এখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হবার কারনে লোকজনের কাছে লজ্জা পেতে হয় , কথা শুনতে হয় , ছি ছি হজম করতে হয় ।
কারন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কিছু রুটের বাসে এমন কিছু শিক্ষার্থী আছে যারা খুব সামান্য বিষয়কে অসামান্য ভেবে রিকশাওয়ালা , অন্য বাসের ড্রাইভার , হেল্পারের উপর চরাও হয় , বাবার বয়সী লোকের গায়ে হাত দেয়, বাসের , কিংবা সি এন জি এর আয়না , গ্লাস ভেঙ্গে দেয় । তাদের কাছে কে বা কারা এমন আদর্শ তৈরি করে গেছে আমার জানা নেই তবে তাদের ধারনা এমন অমানবিক আচরণ ও দুরব্যাবহারের মধ্যে মনে হয় বীরত্ব, পুরুষত্ব আছে । তবে সেটা "পুরুষত্ব" নাকি "পশুত্ব" সেটা অনেকের কাছে বিরাট একটা প্রশ্ন ......
সেদিন কোন কারনে আমাদের বাসকে উপেক্ষা করে "বিহঙ্গ বাস" যাবে কেন এই কথা বলতে বলতে কিছু ছাত্র রাস্তায় নেমে আসল ড্রাইভারের কলার ধরে জানালার বাইরে নিয়ে আসলো । অতঃপর তাকে আকার ইঙ্গিতে বুঝানো হোল তুমি বা তোমার বাসের যাত্রীরা অধম,অশিক্ষত , অমানুষ আমারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উত্তম , দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান তাই তুমি আমার আগে যেতে পারবেনা । পাশে দাড়িয়ে এক ভিখারি পুরো ঘটনা দেখে শুধু একটা কথাই বলল "এরা নাকি দেশের ভবিষ্যৎ"।
আমরা আমাদের সময় বাঁচানোর জন্য রাস্তার এক পাশে দীর্ঘ জ্যাম তৈরি করে গন্তব্যে যেতে পারি কিন্তু যে ছেলেটি তার বাবার ব্রেইন স্ট্রোকের কারনে বারডেম হাসপাতালে যাবার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে আটকায় আছে তার জন্য জায়গা করে দিতে পারি না ।
আমরা প্রধানমন্ত্রী কিংবা রাষ্ট্রপতির গাড়ির বহরকে উপেক্ষা করে আগে যেতে পারি না কিন্তু যে লোকটা নিজের জমি বন্দক দিয়ে সন্তানকে লেখাপড়া করানোর জন্য ঢাকা শহরে রিকশা চালাতে কিংবা বাসে ড্রাইভারি করতে এসেছে তার গায়ে হাত তুলতে পারি । কারন আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথা প্রাচ্যের অক্সফোর্ডের শিক্ষার্থী ।
এখন যেমন মানুষ মানুষকে বিভিন্ন বোবা ,ইতর প্রানীর সাথে তুলনা করে গালি দেয় আর কয়দিন পর হয়ত শুনতে হবে "তুই একটা ফাল্গুনী" - " তুই একটা চৈতালি "- তুই একটা বৈশাখী " ইত্যাদি ইত্যাদি ...... হয়ত এই লেখার পর আমার অনেক কথা শুনতে হবে ,হয়ত বাসেই আর কোন দিন যেতে পারব না কিন্তু আমার মনে হয় এই লেখা পড়ে যদি কেউ তার ভুল বুঝতে পারে , নিজেকে শুধরাতে পারে সেটাই আমার অনেক বড় প্রাপ্তি ।
জগতে কেউ কক্ষন শখ করে অন্যায়, অপরাধ,গুনাহ করে না শয়তানের প্রোরচনায় পরিবেশ পরিস্থিতির শিকার হয়ে সে ভুল করে। কেউ কেউ আবার নিজের ভুল বুঝতে পেরে, শুধরে নেয় । কেউবা ভুলটাকে সত্যি ভেবে বাকি জীবন টা ভুলের পিছনে কাটিয়ে দেয় । যদিওবা অনেকে বুঝে কিন্তু ততক্ষনে অনেক দেরি হয়ে যায় ।
Saifullah Haque Tanveer
সায়ফুল্লাহ হক তানভীর
২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৪
সায়ফুল্লাহ হক তানভীর বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত তবে , সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে
৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৪
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো আপনার সুচিন্তিত লেখাটা। কেউ সচেতন হলে সেটাই বড় কথা। শুভেচ্ছা।
৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৩
সায়ফুল্লাহ হক তানভীর বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ মূল্যবান মতামতের জন্য
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৯
মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: ভাই বিশ্ববিদ্যালয় বড় কথা না, আসল কথা হচ্ছে আপনার পরিবারের শিক্ষা আর প্রাতিষ্ঠানিক সু শিক্ষা।