নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেস্ত শহরে... ঠাস বুনটের ভিড়ে ... আজও কিছু মানুষ...স্বপ্ন খুঁজে ফেরে

সায়ফুল্লাহ হক তানভীর

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার

সায়ফুল্লাহ হক তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

"অবসর গ্রহন” এবং “বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্র”

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২২


"অবসর গ্রহন” এবং “বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্র” এই শব্দ ২ টি খুবই অপমানজনক।

আমার মতে এই শব্দ ২টি অভিধান থেকে তুলে দেয়া উচিত।

আমার ভাবতে খুবই অবাক লাগে একজন মানুষ তার জীবনের ৩০ থেকে ৪০ বছর চাকরি

করার পর যে অভিজ্ঞতা অর্জন করে তা “অবসর গ্রহন” নামক একটি শব্দ দ্বারা কিভাবে

অসম্মানিত এবং অর্থহীন করে দেওয়া সম্ভব ? এটা পুরোপুরি ভুল দৃষ্টিভঙ্গি ।

একজন মানুষ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কখনই অবসর গ্রহন করতে পারে না

অবসর গ্রহন শব্দটি একজন মানুষের শারীরিক এবং মানসিক শক্তিকে পুরোপুরি দুর্বল

করে ফেলে। যারা চাকুরি থেকে অবসর গ্রহন করেন তারা সবসময় একধরনের হীনমন্যতায় ভুগেন।

সমাজ তাদের অলিখিতভাবে বুঝিয়ে দেয় তোমার মেয়াদ শেষ তুমি সমাজের বোঝা ।

এই সকল অভিজ্ঞ মানুষগুলোর জন্য কাজের এমন একটি ক্ষেত্র বা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে

দেওয়া উচিৎ যেখানে তারা দ্বিগুণ উদ্যমে, ত্রিগুন উৎসাহ নিয়ে তাদের জীবনের ভালো

কাজের অভিজ্ঞতাগুলোকে কাজে লাগানোর সুযোগ পাবেন।

তাছাড়া বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রের পরিবর্তিত নাম হতে পারে “অভিজ্ঞদের কর্মসংস্থান

কেন্দ্র” যেখানে সম্মানিটা হবে গৌণ সামাজিক মূল্যায়ন এবং সম্মাননাটি হবে মুখ্য।


ইংরেজরা ১৭৫৭ সালের ২৩ জুনের পর থেকে আমাদের চাকরবৃত্তি শিখিয়েছে, শিক্ষা

বেবস্থা ভেঙে দিয়ে আমাদের অন্ধকারে রেখে শোষণ করে গেছে।

এখন পর্যন্ত আমরা তাদের পণ্য দাসত্বের বেড়াজাল থেকে বের হয়ে আসতে পারিনি তাই

তো আমাদের পেটের ক্ষুধার চাইতে চোখের ক্ষুধা এবং মনের ক্ষুধা দিনকে দিন বেড়েই

চলেছে । আর তারা আমাদের জন্য যে জীবন বেবস্থা তৈরি করে দিয়ে গেছে আমরা সেই বৃত্তের

মধ্যে থেকে প্রতিনিয়ত জীবনের অর্থ খুঁজে বেড়াচ্ছি ।

এখন আমাদের ঘুরে দাঁড়ানো খুব বেশি দরকার ।

একজন মানুষের এত বছরের অর্জিত অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান, চিন্তা , চেতনাকে আমরা

“ অবসর ” নামক একটি শব্দ দ্বারা কখনই ইতি টানতে পারি না ।

তাদের জন্য কি আমরা এমন একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে পারিনা যাতে এই প্রবীন

মানুষগুলো জীবনকে উপভোগ করার নতুন অর্থ খুঁজে পাবে ?


মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আপনার চিন্তা চেতনা ভাল। তবে নতুনদের কে সুযোগ দিতে পুরাতনদের তো অবসর নিতেই হবে। তাছাড়া বসয়সের ভার বলে একটি কথা আছে না।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬

সায়ফুল্লাহ হক তানভীর বলেছেন: মোস্তফা সোহেল ভাই আমি আপনার সাথে একমত তবে আপনি কি জানেন, ভারত সহ কিছু দেশ তাদের সিনিওর সিটিজেন দের আই টি তে দক্ষ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং সেখানে তারা ব্যাপক সাড়া পেয়েছে । তারা ফ্রিল্যান্সিং করে তাদের আর্থিক সচ্ছলতা আনার পাশাপাশি দেশের GDP বাড়াতে ভূমিকা রাখছে। আমরা কি পারি না আমাদের দেশে এই রকম কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ?

২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৩০

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: সব দোষ ব্রিটিশদের... ;) ;)

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৯

সায়ফুল্লাহ হক তানভীর বলেছেন: ইতিহাস বেত্তারা বলেন ১৭৫৭ সালের পর প্রায় ৭ টা প্রজন্ম পার হয়ে গেছে যেখানে সু কৌশলে এবং কু কৌশলে আমাদের মাঝে নেতি বাচকতা ঢুকিয়ে দিয়ে গেছে আর আমরা এখন তা বহন করে বেরাচ্ছি, তাহলে বলুন ভুলটা কোথায় ?
এই ৭ প্রজন্মের ধারা ধারন বা বহন করা কতটুকু বুদ্ধিমানের কাজ আপনি বলুন?

৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪১

মানবী বলেছেন: পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে দেখলে ব্যপারটা এমন, সারাজীবন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের পর এখন কিছুটা বিশ্রামের সময়। এমন নয় অচল, কাজ এখনও চালিয়ে যেতে পারেন তবে আগের সেই বাধ্যবাধকতা আর শারিরিক আর মানসিক চাপটা তেমন থাকেনা।

অবসর গ্রহনের সাথে সাথে জীবিকা অর্জনের সব পথ বন্ধ হয়ে যায়না। অনেকেই ভিন্ন কোন ক্ষেত্রে কাজ চালিয়ে যান। যাঁর যা ভালো লাগে তা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, কেউ নতুন চাকরী, কেউ শখের কোন কাজ। আর রিটায়ারমেন্ট বা অবসর গ্রহন যে জীবনের সমাপ্তি বা একজন মানুষের প্রয়োজন ফুরিয়ে যাওয়া নয়, এটা সেই মানুষকে অণুধাবন করাতে তাঁর পরিবার মূখ্য অবদান রাখতে পারে।

অবসর গ্রহন শব্দটিকে কখনও অফেন্সিভ বা নেতিবাচক মনে হয়না।

বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্র” সম্পর্কে ধারনা পেলে ভালো হতো।

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ সায়ফুল্লাহ হক তানভীর।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৪

সায়ফুল্লাহ হক তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য, আমি জাপানিজদের সাথে কাজ করি। তাদের সাথে কাজ করতে গিয়ে আমি যেটা উপলব্ধি করেছি ওরা সবসময় জীবনকে কর্মময় করতে বেশি গুরুত্ব দেয় এবং ওদের মাইন্ড সেট আপটা সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম । আমরা যেমন ভাবি সারা জীবন তো পয়সা কামালাম, অনেক হারভাঙা পরিশ্রম করলাম এখন বিশ্রাম নেবার সময় আর তখনই দেখা যায় বিপত্তি রোগ, শোক, জরা ব্যাধি সব জেকে ধরে কিন্তু তাদের কথা হচ্ছে আমাদের ৭৫ ভাগ রোগ হচ্ছে সাইকো-সোমাটিক বা মনদৈহিক আর এই বিষয়টি না জানার কারনে মেডিসিন আর ডাক্তার এদের ব্যবসার ফাঁদে পা দিয়ে বাঙালি সর্বনাশটা করে। আপনি যত কাজ করবেন আপনার শরীর তত ভালো থাকবে । ছোট বেলা থেকে আমরা শুনে আসি এইটা হবে না, ঐটা পারবে না, বয়স হয়ে গেছে তাই আর পারি না, এই সব নেতিবাচকতা আমাদের বাঙ্গালীকে সর্বনাশ করেছে, তাই সে পারে না কিন্তু বাইরের দেশের মানুষেরা পারে । আমাদের সাথে ৭০+ বয়স্ক বিদেশী কাজ করে অনেক এবং তাদের খাদ্যাভ্যাস, জীবনাচার, চিন্তাভাবনা এতো উন্নত যে বর্ণনাতীত অপর দিকে আমরা বাঙালীরা পুরোই উল্টো।
আপনি কি জানেন, ভারত সহ কিছু দেশ তাদের সিনিওর সিটিজেন দের আই টি তে দক্ষ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং সেখানে তারা ব্যাপক সাড়া পেয়েছে । তারা ফ্রিল্যান্সিং করে তাদের আর্থিক সচ্ছলতা আনার পাশাপাশি দেশের GDP বাড়াতে ভূমিকা রাখছে। আমরা কি পারি না আমাদের দেশে এই রকম কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ? আমাদের বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্র
গুলোতে যদি এই পদক্ষেপ নেওয়া হয় তবে কেমন হয় ?

৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরে সবারই অবসর গ্রহনের প্রয়োজন আছে, যেমন প্রয়োজন আছে একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরে পুরনো পাতা ঝরে গিয়ে নতুন পাতা গজানোর। এ সব কিছুই প্রাকৃতিক নিয়মের গণ্ডিবদ্ধ। এর অন্যথা হবার কোন উপায় নেই।

৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:২৭

মানবী বলেছেন: জাপানীজরা বিশ্বের সবচেয়ে কর্মঠ জাতি, তাঁদের জীবনধারা কর্মমুখর হবে এমনটাই স্বাভাবিক।

এই যে আমোদপ্রিয় আমেরিকান জাতি, এদেরকেও বয়স বেঁথে রাখতে পারেনা। এক কাজে অবসর গ্রহন করে নতুন কোন কাজে যোগদানটাই স্বাভাবিক। অনেক তরুন তরুনী ত্রিশের কোঠায় মিলিয়নিয়র হবার লক্ষ্য সফল হয়ে, ঘোষনা দিয়েই আর্লি রিটায়্যারমেন্টে চলে যায়। রিটায়্যারমেন্ট মানে সব সময়ই সকল কাজ ছাড়ে বসে থাকা নয়। গতানুগতিক বা নির্দিষ্ট কাজটি ত্যাগ করা। এসবের পিছনে একটি জাতির সামগ্রিক মুল্যবোধ আর সামাজিক গ্রহনযোগ্যতার ভূমিকা আছে।

গতকালই এক রেস্টুরেন্ট থেকে বের হবার সময়, হঠাৎ আমার সামনের গাড়ি কেমন অদ্ভুতভাবে থেমে যায়, সেখান থেকে এক বৃদ্ধা বেড়িয়ে উল্টোদিক হাঁটা শুরু করেন, আমি তাঁর দৃষ্টি আকর্ষন করতেই জানালেন, কয়েক মিনিটের মাঝেই ফিরবেন, রেস্টুরেন্টে কিছু ফেলে এসেছেন। এর মাঝে আমার গাড়ির পিছনে ৪-৫টি গাড়ি এসে জমেছে, সকলেই ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করছে, একটি হর্ণের শব্দ পর্যন্ত নেই। চুরাশি/পঁচাশি বছরের বৃদ্ধ বৃদ্ধারা গাড়ি চালিয়ে ঘুরছে, কেউ কেউ দোকানে কাজ করছে- এদেশে এমনটাই স্বাভাবিক। রোগ শোক থাকবেই, তা নিয়েই তরুন, বৃদ্ধ বৃদ্ধা সকলের জীবন।


"জরা ব্যাধি সব জেকে ধরে কিন্তু তাদের কথা হচ্ছে আমাদের ৭৫ ভাগ রোগ হচ্ছে সাইকো-সোমাটিক বা মনদৈহিক আর এই বিষয়টি না জানার কারনে মেডিসিন আর ডাক্তার এদের ব্যবসার ফাঁদে পা দিয়ে বাঙালি সর্বনাশটা করে।"
- চিকিৎসকদের প্রতি অন্যায় দোষারোপ মনে হলো। মজার ব্যাপার হলো বাংলাদেশের কোন পেশার মানুষ যদি আমৃত্যু কর্মমুখর থাকেন তা চিকিৎসকরাই। মেডিসিনের চিকিৎসকদের তো কথাই নেই, ৭০+ সার্জনদেরও নিখুঁত অপারেশন করতে দেখেছি অগুনিত বার!

আমার পরিবারের ৮৬ বছরের একজন মুরব্বী আছেন, তিনি যেকোন তরুনের চেয়ে বেশী কর্মঠ। ভোর চারটাব ঘুম থেকে উঠে তাঁর কর্ম তৎপরতার শুরু, প্রতিদিন। অঢল সম্পত্তির মালিক হওয়া সত্ত্বেও গাড়ি ব্যবহার করেননা। পায়ে হেঁটে সব কাজ করার পক্ষে তিনি, তাঁর সন্তানেরা তাঁর অর্থে কেনা গাড়ি চালিয়ে ঘুরে, তিনি নিজে কিছুতেই তা ব্যবহার করবেননা যদিও িনি নিজে অত্যন্ত ধনাঢ্য পিতার সন্তান।
তাঁর এই কর্মচন্চল জীবন তাঁকে শুধু সুস্থ নয় বরং চির তরুন রেখেছে, দেখে ৫০ বছরের বেশী মনে হয়না।

এই লক্ষ্যে যেকোন পদক্ষেপ গ্রহনই ভালো তবে সবচেয়ে আগে প্রয়োজন আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন। এক্ষেত্রে গণমাধ্যম বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। নাটক সিনেমায়, বয়ঃজেষ্ঠ বা অবসর প্রাপ্ত মানেই অক্ষম, পদে পদে অবহেলিত অপমানিত না দেখিয়ে সক্ষম, কর্মব্যস্ত মানুষ দেখাতে পারে। বয়স্কা মহিলা মানেই হাজার রোগে আক্রান্ত অসহায় বৃদ্ধা না দেখিয়ে তাঁদের কেও স্বাভাবিক সুন্দর জীবন যাপনে দেখানো জরুরী।


আপনাকে আবারও ধন্যবাদ সায়ফুল্লাহ হক তানভীর ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:২১

সায়ফুল্লাহ হক তানভীর বলেছেন: "রিটায়্যারমেন্ট মানে সব সময়ই সকল কাজ ছাড়ে বসে থাকা নয়। গতানুগতিক বা নির্দিষ্ট কাজটি ত্যাগ করা। এসবের পিছনে একটি জাতির সামগ্রিক মুল্যবোধ আর সামাজিক গ্রহনযোগ্যতার ভূমিকা আছে।"
এই কথাটি ভালো লেগেছে।

"চিকিৎসকদের প্রতি অন্যায় দোষারোপ মনে হলো। "
এই কথাটি মানতে পারছি না।
সকল ডাক্তারদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি "আমৃত্যু কর্মমুখর" থাকা আর মানুষের অসুস্থতাকে পুঁজি করে ব্যবসা করা দুটি আলাদা বিষয় । সকল ডাক্তার অবশ্য এক নয়।
আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে আপনি পরবাসী এবং আর্থিক দিক দিয়ে সচ্ছল, আপনার প্রতি সম্মান রেখে বলছি আপনি যদি কিছু দিন গ্রাম বা মফস্বলের কিছু ক্লিনিকের বারান্দায় বিনা কারনে কিছুক্ষন হাঁটেন দেখবেন কি ভয়াবহ রূপ ধারন করেছে এই সেবা প্রতিষ্ঠান গুলো।
তারপরও বলা আমরা সবাই দেশের মঙ্গলের জন্য কাজ করছি কেউ কাজ দিয়ে কেউ লেখা দিয়ে।

আমি আমার কাজটি ভালো করে করলে এই দেশকে একটু এগিয়ে নিয়ে যাবো আপনি আপনারটা করলে আরও একটু । তবে দিন শেষে একটা কথাই কানে বাজে
" আমাদের নিজেদের মানসিকতার পরিবর্তন খুব বেশি প্রয়োজন আর প্রয়োজন ঘুনে ধরা শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন "

আপনাকেও ধন্যবাদ মানবী

৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:০৫

মানবী বলেছেন: সকল ডাক্তারদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি "আমৃত্যু কর্মমুখর" থাকা আর মানুষের অসুস্থতাকে পুঁজি করে ব্যবসা করা দুটি আলাদা বিষয় । সকল ডাক্তার অবশ্য এক নয়।
- ডাক্তার অসুস্থ লোকের চিকিৎসা করলে তা অসুস্থতাকে পুঁজি করে ব্যবসা করা নয়। অসৎ চিকিৎসক আছে মানছি তবে বৃদ্ধবৃদ্ধাদের অক্ষম আর কর্মবিমুখ করে তোলার কারন আমাদের দেশের চিকিৎসকেরা এটা কোনভাবেই যৌক্তিক মনে হচ্ছেনা। আমাদের দেশের খুব সম্ভবত ৬০%+ জনসংখ্যা চিকিৎসা সেবা থেকে বন্চীত বা চিকিৎসকের কাছে যাবার সুযোগ নেই। এধরনের মানুষেরাও ষাটোর্ধ হলে প্রায় অক্ষম করে রাখা হয়। এটা সমাজের সামগ্রিক মানসিকতার ব্যাপার।

আমি পরবাসী নই, যেখানেই আছি এটাও আমার দেশ :-)
তবে বাংলাদেশের বাইরে আছি। আর বাংলাদেশে রিক্সায় ঘুরে বেড়ানো স্বাভাবিক আমেরিকায় নিজের গাড়ি থাকাটাই ঠীক তেমনটাই স্বাভাবিক, বিশেষ কোন স্বচ্ছলতার প্রয়োজন নেই। যে ৮৬ বছরের ধনাঢ্য আত্মীয়র কথা বলেছি, তিনি বাংলাদেশেই আছেন।

"আমাদের নিজেদের মানসিকতার পরিবর্তন খুব বেশি প্রয়োজন আর প্রয়োজন ঘুনে ধরা শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন"
- এই মানসিকতার পরিবর্তনের লক্ষ্যেই বলেছি মিডিয়ার ভূমিকার কথা। গণমাধ্যমে পৌঢ়ত্বে বা বার্ধক্যে পৌঁছানো নারী পুরুষদের রোগাক্রান্ত, বয়সের ভারে ন্যূয, অক্ষম দেখানোর প্রবণতা বন্ধ করা উচিৎ।

আবারও ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.