নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একবিন্দু পানির ফোটার মতই আমি যে শুধু ততটুকু আকাশই দেখতে পা্য় যতটুকু তার আয়তন। অথচ আশেপাশে আরো কত কিছুই না আছে।

মুমতাহিনা তানজিহা

একজন ছাত্রী

মুমতাহিনা তানজিহা › বিস্তারিত পোস্টঃ

অস্তিত্ব ও আমি

০২ রা মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৪৯

আমি যখন খুব ছোটো ছিলাম খুব অদ্ভুত কিছু চিন্তা আমার মাথায় ঘুরপাক খেত। যখন আমার বয়স প্রায় ছয় বছর তখন নিজের অস্তত্ব নিয়ে ভাবতে বসেছিলাম ( যদিও তখন "অস্তিত্ব" নামক কোনো শব্দ যে আছে তাই জানা ছিল না :-B )। আমার প্রথম চিন্তাটা ছিলো- "আমি কেন আমি; আমি কেন সবাই না, সবাই কেন আমি না ?" ব্যপারটা ছিল এমন যে আমি খুবই অবাক ছিলাম "আমার, তোমার" ব্যপারটা নিয়ে। "আমার জীবন, তোমার জীবন এই দু'য়ের মধ্যে পার্থক্যটা কেন?" কারো কাছেই উত্তরটা পাইনি। আমার এমন কথা শুনে সবাই যেন 'আকাশ থেকে পড়লো' এমনভাবে তাকিয়ে থাকতো। উত্তরের অভাবে একদিন প্রশ্নটাও উবে গেল।

আর একটু বড় হবার পর প্রায় সময়ই নিজেকে প্রশ্ন করতাম " আমি কে এবং কেন?" জিজ্ঞেস করতেই এবার উত্তরটা পেলাম; খুব সহজেই, কিছুটা এভাবে- আমরা মানুষ, তার চেয়ে বড় কথা আমরা মুসলমান এবং আমদের জীবনের লক্ষ্য আল্লাহর ইবাদতের মাধ্যমে বেহেস্তে যাওয়া। উত্তরটা মেনে নেওয়া আমার জন্য খুবই সহজ ছিল। আর এরপর থেকে প্রশ্নের ধরণ বদলাতে থাকল। আমি কেন আল্লাহকে খোদা মানব? আল্লাহর অস্তিত্বটা আসলে কি? এমনি হাজারো প্রশ্ন যার উত্তর খুজে পেতাম কুরান ও হাদিসে। চলত নিজের সাথে তর্ক-বিতর্ক।

এভাবে বছরের পর বছর চলে গেল। হাজারো চিন্তা আর বেশ কিছু মিঠা- তিতা অভিজ্ঞতা নিয়ে স্কুল-কলেজ পার করে ভার্সিটিতে উঠলাম। এত শত বাস্তবতা আমাকে শিখাতে পারে নি যে আমি বড় হয়েছি। আর তাই অন্যদের মত জীবন নিয়ে মত্ত না হয়ে আমি আগের মতই চিন্তা করতাম। সেই ছয় বছর বয়সের প্রশ্নটা আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠল। "আমি আর তুমি এক না কেন? আমি আমার জায়গায় দাড়িয়ে তোমাকে বুঝতে পারব না কেন?"

আমি একদিন এর উত্তর পেলাম।আসলে আমি যেই প্রশ্নে আটকে আছি তা দুটো বিষয়ের দিকে ইঙ্গিত করে: টেলিপ্যাথি ও জীবের সামষ্টিকতা। আমিই প্রথম নই যে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর খুজছিলাম। লেখক হুমায়ন আহমেদ ও এ নিয়ে গবেষণা করেছেন। তার প্রচুর লেখায় তার প্রমাণ পাওয়া যায়। জীবের সামষ্টিকতার ধারণা আমি মূলত সেখান থেকেই পেয়েছি। হুমায়ন আহমেদ স্যারের প্যারানরমাল উপন্যাস "পোকা" এ জীবের সামষ্টিক বুদ্ধি সম্পর্কে বলা হয়েছে। উপন্যাসটি ছিল নিম্নস্তরের প্রাণ পোকাদের বুদ্ধিবৃত্তি নিয়ে। লেখক সেখানে বলেছিলেন নিম্নস্তরের প্রাণীদের পৃথক কোনো জ্ঞান থাকে না, থাকে সামষ্টিক জ্ঞান। অর্থাৎ একটি পোকা আলাদাভাবে কোনো কিছুই জানতে পারে না, তারা যে তথ্য জানতে পারে তা সকলেই জেনে থাকে। একজনের সিদ্ধান্ত সকলেই নিয়ে থাকে। আর টেলিপ্যাথিটাও একটি প্যারাসাইকোলজিকাল তত্ত্ব যা দুই বা ততোধিক মানুষের মস্তিষ্কের মাধ্যমে যোগাযোগ করার ক্ষমতার কথা বলে।

এই দুটি তত্ত্বই বিজ্ঞান অস্বীকার করে থাকে। তবে বেশ কিছু ঘটনা এই তত্ত্বের সত্যতা প্রমাণ করে বলে দাবি করা হ্য়। এবং বিজ্ঞানও মা ও শিশুর মধ্যে টেলিপ্যাথির ব্যপারটা স্বীকার করে থাকে। যদিও এই ঘটনাগুলোর বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি নেই তবুও বিজ্ঞানের অগ্রগতির মাধ্যমে ভবিষ্যতে এমন কিছু সম্ভব হওয়াটা অসম্ভব কিছু নয়।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: ছোট বেলায় প্রতিটা শিশুর মাথায় অদ্ভুত সব চিন্তা খেলা করে।
আমি কেন এবং কেন? এই প্রশ্ন প্রতিটা মানূষের জীবনে একবার হলে আসে।

০২ রা মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৩৮

মুমতাহিনা তানজিহা বলেছেন: ঠিক বলেছেন। এই ব্যপারটা নিয়ে আসলে সবারই চিন্তা করা উচিত। অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

২| ০২ রা মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:২৯

নয়া পাঠক বলেছেন: দারুণ! আপনি খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোষ্টটি লিখেছেন। এ বিষয়ে আমি নিজেও অনেক কিছু অনুসন্ধান করেছি। যদিও গবেষণাকারে নয় কিন্তু তবুও ব্যক্তিগতভাবে অনেক পর্যালোচনা করে দেখেছি। টেলিপ্যাথি ইজ মাস্ট। প্রতিটি মানুষের রয়েছে এক অসীম ক্ষমতাসম্পন্ন রেডিও ট্রান্সমিটার এন্ড রিসিভার ক্ষমতা!
আমরা কেউ তা উপলব্ধি করতে পারি আবার কেউ তা পারি না। পোষ্টটি সোজা প্রিয়তে রেখে দিলাম।

০২ রা মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৪৮

মুমতাহিনা তানজিহা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যই মানুষের ব্রেইনের রেডিও ট্রান্সমিটার ও রিসিভার ক্ষমতার ব্যপারটা অসাধারণ। তবে ব্যপারটা হচ্ছে মানুষ তার মস্তিষ্কের মাত্র ১০ ভাগ ব্যবহার করতে পারে। তাই আমরা এই ক্ষমতাটা ব্যবহার করতে পারি না।

৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৩১

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: রাজীব ভাইয়ের সাথে সহমত।

পোষ্টে ভালো লাগা রেখে গেলাম।

০২ রা মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৫০

মুমতাহিনা তানজিহা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ...।

৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৫

ম্যাড ফর সামু বলেছেন: টেলিপ্যাথি বিষয়টা দারুণ মজার, আমি আমার জীবনে অনেকবার এর প্রয়োগ ইচ্ছে করে করে দেখেছি, অনেকটাই বাস্তব। কেবল প্রয়োজন অনেক বেশি বেশি এর চর্চা করা এবং মনের জোরটা বাড়িয়ে দেওয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.