![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফোনের একঘেয়ে ভাইব্রেশনে ঘুম ভেঙে গেলো অরণীর।রিশাদের ফোন।- কিরে!! কয়টা বাজে এখন?- দুইটা সতেরো।- আমি তোরে সময় জিজ্ঞাসা করছি?- সময়-ই তো জিজ্ঞাসা করলি।- উফ্ আমি বলছি এত রাতে ফোন দিছিস কেন? তুই ঘুমাসনাই?- ঘুম আসছিলো না। সরি তোকে ডিস্টার্ব করলাম।- থাপ্পর দিমু ধইরা। ডিস্টার্ব আবার কিসের? তোরকি শরীর খারাপ? ঘুমাস নাই কেন?- এমনি। একটু বারান্দায় আসবি?- কেন?- তোকে একটু দেখবো।- মানে কি!! তুই এত রাতে আমাদের বাসার নিচে আসছিস!- হুম একটু আয় না।- দাড়া আসছি।বারান্দার লাইট টা জ্বালিয়ে বারান্দায় আসলো অরণী।সত্যি সত্যি রিশাদ দাড়িয়ে আছে। ফোন টা আবারকানে তুলে নিল ও।- ফাজলামি করিস? এত রাতে বের হইছিস কেন?- আমার বউটা কে অনেক দেখতে ইচ্ছা করছিলো।- তাই ? দেখা হইছে?- না হয় নাই।- প্লিজ বাসায় যা রিশাদ।- তোকে অনেক সুন্দর লাগছে।- হইছে তো!! এখন বাসায় যা প্লিজ। এতরাতে বাহিরে থাকলে প্রবলেম হতে পারে।সদ্য ঘুম থেকে উঠা অরণীর দিকে অপলকথাকিয়ে আছে রিশাদ। অপূর্ব লাগছে ওকে। অরণীরএলোমেলো চুল, ঘুম ঘুম চোখ যেন রিশাদকে নেশাগ্রস্থকরে ফেলেছে।" যাবি না?", উদ্বিগ্ন কন্ঠে জিজ্ঞাসা করলো অরণী।-হুম যাবো। কালকে আবার এই টাইমে এখানে আসবো। তুইএকটা নীল শাড়ি, কপালে একটা টিপ, আর হাতে নীলচুড়ি পড়ে আমার জন্য বারান্দায় অপেক্ষা করবি।- রাতে কেন?- কারন কালকে পূর্ণিমা।- আমি এসব কিছুই করতে পারবো না। আমার তো আর কাজনাই না? ঢং বাদ দে। বাসায় যা। আর রাতে বের হবি না।- আচ্ছা যাচ্ছি। বাট কালকে সত্যি আমি আসবো।- কালকে এমন করলে তোর খবর আছে।- আচ্ছা তুই ঘুমা।- তুই ও বাসায় গিয়ে ঘুমাবি।- ওকে।ফোন রেখে দিল অরণী। উপরে উপরে যতই বিরক্ত ভাবদেখাক, অরণী ঠিকই চেয়েছিলো রিশাদ আরেকটু থাকুক।আজরাতে আর ঘুম আসবে না। চোখে-মুখে এক ঝাক আনন্দনিয়ে অরণী চলল শাড়ি বাছাই করতে। এ মুহূর্তে পৃথিবীরসবচেয়ে সুখী মেয়ে ও।
©somewhere in net ltd.