![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক ছোট্ট ছেলে। দুষ্টু বলে লোকে আমায়। লিখি মানুষ ও মানবতার পক্ষে..।।
সেই ১৮৮৬ সালে আমোরিকার শিকাগো শহরের হে মার্কেটের ম্যাসাকার শহীদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে পালিত হয়। সেদিন দৈনিক আটঘন্টার কাজের দাবীতে শ্রমিকরা হে মার্কেটে জমায়েত হয়েছিল। তাদেরকে ঘিরে থাকা পুলিশের প্রতি এক অজ্ঞাতনামার বোমা নিক্ষেপের পর পুলিশ শ্রমিকদের ওপর গুলীবর্ষণ শুরু করে। ফলে প্রায় ১০-১২জন শ্রমিক ও পুলিশ নিহত হয়। ১৮৮৯ সালে ফরাসী বিপ্লবের শতবার্র্ষিকীতে প্যারিসে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক-এর প্রথম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ১৮৯০ সাল থেকে শিকাগো প্রতিবাদের বার্ষিকী আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন দেশে পালনের প্রস্তাব করেন রেমন্ড লাভিনে।
অনেক বছর কেটে গেছে……কিন্তু ভাগ্য বদল হয়নি শ্রমিকদের । শুধু বদল হয়েছে শোষণ পদ্ধতির । আগে নিপীড়িত হতো একভাবে আর এখন আধুনিকতার সাথে । শ্রমিক তুমি শোষিত তোমাকে হতেই হবে। আজ শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কথা বলা শ্রমিক সংগঠনগুলোও নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত । শ্রমিকদের অবস্থা যেমন হোক না কেন শ্রমিক নেতাদের অবস্থা রমরমা । কোথায় যেন শুনেছিলাম, নেতা হবে সেই যে নিজে কষ্টে থাকবে কিন্তু অন্যদের সুখে রাখবে।
আজ আমরা যখন তাজরীন, রানা প্লাজাসহ নানা গার্মেন্টস গুলোতে শ্রমিকদের নিপীড়িত হতে দেখি তখন দুদিনের শোক পালন করেই শেষ করি দায়ভার । কিন্তু একবারও ভাবি না, আমি যে জামা পরছি তাতে লেগে আছে এই শ্রমিকদের ঘাম । ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ট্রাজেডীতে ২৬০০ এর বেশি মানুষ মারা গেল । শুধু মারা কেন করুণ মৃত্যু । যে মৃত্যু কাঁদিয়েছিল বিশ্বকে । কেন এই মানুষগুলোকে মরতে হলো? জবাব হয়তো নেই……কিন্তু সেই রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার আজও বিচার হয়নি । যে মানুষটির জন্য এতগুলো নিষ্পাপ প্রাণ ঝরে গেল তার জন্য কিসের এতো দরদ? বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন যাতে আর কোন রানার জন্ম না হয়।
সবশেষে, যাদের কষ্টে আজ বাংলাদেশের পণ্য বিদেশে নাম কুড়িয়েছে এই মানুষগুলোর জন্য আলাদা করে শ্রদ্ধা জানানোর প্রয়োজন পড়েনা । কারণ সৃষ্টিকর্তার প্রতিটি দিনই আমি শ্রদ্ধা জানাই তাদের এবং আমাদের সকলের উচিৎ তাদের সম্মান জানান। তাদের ন্যায্য মজুরি তাদের প্রাপ্য, এটা তারা আপনার কাছে ভিক্ষা করছেনা বরং মজুরি তাদের কাজের ফসল । শ্রমিকদের হাত কাজ করা বন্ধ করে দিলে, দেশও বন্ধ হয়ে যাবে ।
©somewhere in net ltd.