![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক ছোট্ট ছেলে। দুষ্টু বলে লোকে আমায়। লিখি মানুষ ও মানবতার পক্ষে..।।
আজকে কথা বলব রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস ডেভেলপমেন্টের ওপর। এবং সেটা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে। বাংলাদেশে ইনফরমেশন এন্ড টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কোন কোন সেক্টরে কাজ করা যেতে পারে, কোন কোন সেক্টর একটু বেশী সম্ভাবনাময় সেগুলো নিয়েই আলোকপাত করব। বিষেশ করে আইটি, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস, কম্পিউটার সায়েন্স, কমিউনিকেশন সিস্টেমস ট্র্যাকের মাস্টার্স, এমফিল, পিএইচডি স্টুডেন্টরা অথবা যারা ইন্টারেস্টেড, যারা থিসিস করতে চায়, রিসার্চ বেইজড ক্যারিয়ার করতে চায় তাঁরা বিশেষ কিছু গাইডলাইন পাবে এইখান থেকে। অস্ট্রেলিয়াতে আমরা যেসব ট্র্যাকের ওপর মেইনলি কাজ করাই সেগুলোর বেসিসে বাংলাদেশের কোন কোন সেক্টরে কাজ করার হিউজ অপরচুনিটি আছে, দিয়ে নিজের রিসার্চ ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের সুযোগ আছে সেগুলোর একটা ওভারভিউ থাকবে পুরো লেখাজুড়ে।
বাংলাদেশে ইতোমধ্যেই একটা আইসিটি ‘এরা’ শুরু হয়ে গিয়েছে। আগে এই সেক্টরে সবচে বড় প্রব্লেম ছিল কানেক্টিভিটি এবং সেটা এখন এসটাবলিশট হয়ে গিয়েছে। ইনিশিয়ালি আমরা মানুষের সচেতনতা এবং কানেক্টিভিটি নিয়ে চিন্তা করে থাকি। আরেকটা জিনিস মাথায় রাখতে হয় তা হল রেডিনেস। টেকনোলজির যে ইমপ্লিমেন্ট শুরু হবে এর জন্য জনগন কতটুকু তৈরি, এইটা কোন স্টেজে, কোথায় শুরু হবে। এইটা জানা খুব দরকার। এই রিসার্চগুলোকে বলা হয় রেডিনেস রিসার্চ। এগুলোকে আমরা ইলেক্ট্রনিক রেডিনেসও বলি। এখন মানুষ অনেক সচেতন। পথঘাট, ইন্টারনেট এইসবের যোগাযোগ ও সংযোগ এখন অনেক সহজলভ্য। প্রায় সবাই ইন্টারনেট এনাবলড টেকনোলজি ব্যবহারে অভ্যস্ত।
রিসেন্টলি বাংলাদেশের আইটি সেক্টরের রেডিনেসের ওপর একটা রিসার্চ করেছি আমরা। এইখানে কিভাবে আইসিটি রিলেটেড এপ্লিকেশন ডেভেলপ করা যায়; মোবাইল টেকনোলজি, ক্লাউড টেকনোলজি, ইন্টেলিজেন্স সিস্টেমস এগুলোকে কমবাইন করে কিভাবে খুব পাওয়ারফুল সফটওয়্যার এপ্লিকেশন ডেভেলপ করা যেতে পারে এবং কোন কোন সেক্টরগুলোতে এর ইমপ্লিমেন্ট করলে খুব ভাল ফলাফল পাওয়া যেতে পারে এইসব ছিল সে রিসার্চের বিষয়বস্তু। বাংলাদেশে ছয়টা সেক্টরকে খুব পটেনশিয়াল মনে হয়েছে আমাদের। এই সেক্টরগুলো নিয়ে যেমন রিসার্চ করা যায়, তেমনি নানা রকম এপ্লিকেশন সিস্টেম ডেভেলপ করে কাজ করার অনেক সুযোগও আছে।
প্রথমে বলা যায় এগ্রিকালচার সেক্টর নিয়ে। এই সেক্টর নিয়ে যে কাজগুলো করা হয় সেগুলো মেইনলি এগ্রিকালচারাল ইনফরমেশন সিস্টেমস নামে পরিচিত। এইখানে বিভিন্ন রকম মোবাইল এপ্লিকেশন ডেভেলপ করা যায় যেগুলো কৃষকরা ব্যবহার করতে পারে। ফার্মাররা সেখানে তাঁদের চাহিদা এন্ট্রি করবে, তারপর সেটা চলে যাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। সরকারের একটা আলাদা বিভাগই থাকবে যে বিভাগ এই কোয়েরিগুলোর সল্যুশন দিবে। এপ্রপ্রিয়েট সাপোর্ট সার্ভিস ডিজাইন করে সেটা আবার সেই কৃষকদেরকে ডেলিভারি দিবে। যেমনঃ একজন কৃষক চাচ্ছেন যে মাছের চাষ করবেন। এখন কোন সিজনে কোন মাছের চাষ করলে ম্যাক্সিমাম প্রোডাক্টিভিটি পাওয়া সম্ভব, কোন কোন রোগবালাই কখন হতে পারে, তার সল্যুশন কিভাবে পাওয়া যাবে, কি কি প্রেকশান রাখতে হবে, কত একরে কি পরিমান মাছ ছাড়তে হবে, যদি লোন লাগে তাহলে কোথায় লোন পাবার কি অপরচুনিটি আছে এই বিষয়ে তিনি জানতে চান। তিনি একটা মেসেজ দিবেন সেই এপ্লিকেশনের মাধ্যমে। যারা কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রফেশনালস আছেন তাঁরা সমস্যাগুলো পড়ে খুব তাড়াতাড়ি সেগুলোর সমাধান দিতে পারেন, যদি কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাঁদের জন্য কোন অপরচুনিটি বা সুযোগ সুবিধা থাকে তাহলেও তাঁরা সেটা জানিয়ে দিবেন। শুধু তাই না, যদি সেই কৃষকের প্রশিক্ষণের দরকার হয় তাহলে কোথা থেকে সেটা নেয়া যাবে তাও জানিয়ে দেয়া হবে, যদি কোন লোকবল দরকার হয় সেটা নিয়েও একটা সল্যুশন চলে আসবে। এতে ফার্মারটা অনেক সহজে ঘরে বসেই তার সমস্ত জিজ্ঞাসার উত্তর পেয়ে যাবেন। এতে মানুষের সময় বাঁচবে, প্রোডাক্টিভিটি বাড়বে।
এইসব ফার্মারদের ডেটাবেজকে কাজে লাগিয়ে অনেক বড় বড় এবং খুব কার্যকরী রিসার্চ করা সম্ভব। সব ফার্মারদেরকে অনলাইনে আনা গেলে ইয়ারলি প্রোডাকশন, ডিমান্ড, নিড এইসব খুব সহজেই এস্টিমেট করা সম্ভব হবে। এইভাবে ইনফরমেশন সিস্টেমসকে কাজে লাগিয়ে অনেক বড় ইমপ্যাক্ট ক্রিয়েট করা সম্ভব । এই ধরণের সফটওয়্যার দেশের বাইরেও বিক্রি করা সম্ভব।
সেইম ওয়েতে যদি আমরা চিন্তা করি যে আমাদের ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমকে ডেভেলপ করব তাহলে খুব সহজেই সেটা করা সম্ভব। আমাদের দুইটা ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমস। প্রাইভেট এন্ড পাবলিক। পাবলিকের মধ্যে আছে রেলওয়ে। যদি কেও রেলওয়ে ইনফরমেশন সিস্টেমস বানাতে চায় তাহলে সেটা নিয়ে সে কাজ করতে পারে। এই এরিয়াতে যে কেও রিসার্চ করতে পারে। আমাদের এই যে ট্রেনের ডিলে হচ্ছে, রিয়েল টাইম শেয়ারিং এর যে ইস্যুগুলো ফ্রম ষ্টেশন টু ষ্টেশন, এইটাকে অনেক আপডেটেড করা সম্ভব। সেন্ট্রাল একটা ডেটাবেইজ থাকবে, কোন ট্রেন কখন ছাড়ছে, কখন পৌছাচ্ছে এই ইনফরমেশনগুলো ষ্টেশনগুলোতে প্রোভাইড করা হবে। তারপর SMS করে যাত্রীদেরকে জানিয়ে দেয়া হবে যে এই ট্রেন এই সময়ে এই স্টেশনে পৌঁছাবে। এতে যাত্রি হয়রানী অনেক কমে যাবে। যাত্রীরা অনলাইনেই ট্রেনের অবস্থান জানতে পারবে। ইভেন ট্রেনে ট্র্যাকার বসিয়েও ট্রেনের অবস্থান বের করা যায়। যাত্রীরাই সেটা করতে পারে। এছাড়াও ম্যানেজমেন্টটা অনেক সহজ হয়ে যাবে। টিকেটিং সিস্টেম অনলাইন করে ফেলা যায় পুরোটাই। এইভাবে সবকিছুই অনলাইনে করে ফেলা যায়। এতে যাত্রীরা অনেক ভাল সেবা পাবে। হয়রানী লাঘব হবে।
আমাদের গ্র্যাজুয়েটরা এগুলোর ওপর রিসার্চ করে অনেক রকম এপ্লিকেশন ডেভেলপ করতে পারে, সিস্টেম তৈরি করতে পারে। যেমনঃ ডিসিশন ট্রি। টাইম সিরিজ এনালাইসিস আছে, যেটা করে অনেক ভাল বিজনেস ইনটিলিজেন্স সল্যুশন ডেভেলপ করা সম্ভব। অস্ট্রেলিয়াতে এইরকম ইনফরমেশন সিস্টেম আছে যেটা নিয়ে আমরা বাংলাদেশে কাজ করতে পারি।
আমাদের বিজনেস। আমাদের বিজনেস কিন্তু র্যা পিডলি গ্রোইং। সারা পৃথিবীতেই মূলত তিন ধরনের বিজনেস আছে। স্মল সাইজ বিজনেস যেগুলো মালিক গুটিকয়েক কর্মচারী কাজে লাগিয়ে নিজেই অপারেট করে থাকেন। তারপর আছে মাঝারি সাইজের বিজনেস যেখানে মাঝারি সাইজের বিনিয়োগে ১০০-৫০০ মানুষ কাজ করছে। কয়েকটা জেলায় বা তারও বেশী জায়গায় সেটার ব্রাঞ্চ আছে। আর আছে বড় বিজনেস। এইগুলোকে আমরা বলতে পারি এন্টারপ্রাইজ বিজনেস। লাইক বাংলাদেশে ওয়ালটন, এসিআই, স্কয়ার এইগুলো। এই তিনধরনের ব্যবসার জন্যই সফটওয়্যার তৈরি করা সম্ভব। সফটওয়্যারগুলো দিয়ে শুধু বিজনেস ট্রানজেকশনই না, আরো অনেক সুযোগ সুবিধা পাবে তারা। যেমন কোন ব্রাঞ্চে অনেক টাকা পড়ে আছে আবার কোন ব্রাঞ্চে নগদ টাকার সংকট। অটোমেটিক সিস্টেমে এই বিষয়গুলো খুব সহজেই ডিটেক্ট করে ফেলে টাকা যেখানে লাগবে সেখানে খুব দ্রুত ট্রান্সফার করে ফেলা সম্ভব। আমাদের গ্র্যাজুয়েটরা রিসার্চ করে নানা ধরণের সফটওয়্যার মডিউল তৈরি করে ফেলতে পারে। এই সিস্টেমকে বলা হয় এন্টারপ্রাইজ ইনফরমেশন সিস্টেম। এই এরিয়া নিয়ে অনেক কাজ করা সম্ভব।
এরপরের সেক্টর হিসেবে ইলেকট্রনিক গভারনেন্সকে কাউন্ট করা যায়। সবকিছু কিন্তু ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে। আমাদের পাবলিক সিস্টেমও এই পথে এগুচ্ছে। এই যাত্রার কেবল শুরু। তাই এইটা নিয়ে কাজ করার সুযোগ অনেক। অনেক রকম সিস্টেমস বানানো যেতে পারে। লাইক ই-পারটিসিপেশন; শাসন ব্যবস্থায় আমাদের মত গণতান্ত্রিক দেশে কিন্তু মাস পিপলের মতামতটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একটা ডিজিটাল ই-পারটিসিপেশন সিস্টেম থাকলে সেটা অনেক ভাল হয়। মানুষ ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই নিজের মতামত দিতে পারে।
এরপর ধরা যাক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়; তারা যদি একটা হাসপাতাল বানাতে চায় তাহলে কোন জেলায়, কোন খানে সেটা বানালে সবচে বেশি মানুষ সেবা পাবে, পাবলিক ওপিনিয়ন কি সেগুলো খুব সহজেই পাওয়া যাবে যদি এই রকম ওয়েল ডিজাইনড সিস্টেম বিল্ড আপ করা যায়। এই রকম একটা স্টেশন কোথায় হবে, কোন এলাকায় একটা পাওয়ার প্ল্যান্ট দরকার, সেটা কোথায় হলে ভাল হয়, বড় চেইন স্টোর অথবা কোল্ড স্টোরেজ কোথায় হতে পারে, একটা ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট সেন্টার কোথায় হতে পারে, এগুলো নিয়ে হিউজ ইনফরমেশন সংগ্রহ করা সম্ভব এই সিস্টেম দিয়ে, ডিসিশন সাপোর্ট সিস্টেমের মাধ্যমে আবার লজিক্যাল ডিসিশন পাওয়াও সম্ভব। এইগুলো সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সাহায্য করবে।
আরেকটা সিস্টেম আছে ই-ডেমোক্রেসি। এইটা ডেমোক্রেসি রাইটস প্রতিষ্ঠা করার জন্য ব্যবহার করা যায়। এই সিস্টেম ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেমের সেন্ট্রাল হাব হিসেবে কাজ করবে। এছাড়াও আছে ই-প্ল্যানিং, ই-পারচেজিং, ই-প্রকিউরমেন্ট। এগুলোর ইনিশিয়াল ব্যবহার বাংলাদেশে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। হাই সিকিউরিটি প্রোটোকল মেইন্টেইন করে এই সিস্টেমগুলো কিন্তু অনেক পাওয়ারফুল করে তোলা সম্ভব এবং নানা রকম টেকনোলজির ব্যবহার করে সেগুলোকে অনেক এফেক্টিভ করে তোলা সম্ভব। এই এপ্লিকেশনগুলো চালু হলে দুর্নীতি অনেক কমে যাবে এবং কোয়ালিটি ডেমোক্রেসি এবং ট্রান্সপারেন্সি এনশিওর করা সম্ভব। আমাদের ছেলেরা অনেক অবদান রাখতে পারে এইসবের ওপর কাজ করে। তারা কাজ করলে শুধু যে দেশের জন্যই করা হবে তা না। সারা বিশ্বেই সেটা এক্সেপ্টেন্স পাবে যদি ডিজাইনটা খুবই ইনোভেটিভ হয়। ইভেন তারা চাইলে সেটাকে প্রজেক্ট হিসেবে দেখিয়ে বিদেশে স্কলারশিপও পেতে পারে।
ফাইনান্সিইয়াল ম্যানেজমেন্ট এবং ব্যাংকিং সেক্টরটা কিন্তু অনেক সম্ভাবনাময়। বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরটা অনেক পাওয়ারফুল। এই সেক্টরের এপ্লিকেশনস গুলো অনেক কমপ্লেক্স। এর স্মার্ট অটোমেশন অনেক দরকার। এই সেক্টরের সবচে বড় যে জিনিসটা দরকার সেটা হল হাই লেভেল সিকিউরিটি। আমাদের ছেলেরা এই সিকিউরিটি ফ্রেমওয়ার্ক বানাতে পারে, সেটা ইমপ্লিমেন্টেশনও করতে পারে। এই সেক্টর নিয়ে কাজ করলে, রিসার্চ করলে আমাদের বুথগুলো আরও সিকিউরড হবে, টাকা চুরি, জালিয়াতি অনেক কমে আসবে, অনেক সমস্যা দূর হয়ে যাবে, ব্যাংকিং খাতে অনেক লস বের হয়ে যাবে। শুধু ব্যাংক না, এই এপ্লিকেশনগুলো ইন্টার অর্গানাইজেশনাল কানেক্টিভিটিতেও কাজে লাগে।
শেষ করব হেলথ সেক্টরের কিছু সম্ভাবনার কথা দিয়ে। আমাদের দেশের মানুষের অনেক রকম স্বাস্থ্য সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানেও ইনফরমেশন সিস্টেম বানানো যায়। এটা হতে পারে রোগবালাইয়ের ওপর ইনফরমেশনের একটা কমপাইলেশন যেটা রোগবালাই সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা বাড়াবে। যেসব প্রব্লেম বেশি বেশি হয় সেগুলোর ওপর শুরুতে কাজ করা যেতে পারে। এই সিস্টেম সোশ্যাল মেডিয়া বেইজড হতে পারে। ব্লগ হতে পারে। যেমন কেও একটা ব্লগ লিখল একটা পারটিকুলার রোগ নিয়ে। সেটাকে প্রমোট করা হল। তারপর মানুষ একটা মতামত দিল সেই ব্লগে। নিজে জানল, আরেকজনকে জানালো। পাবলিক ওপিনিয়নের ওপর ভিত্তি করে অনেক কনক্লুশন বের করা সম্ভব এবং সেটা সমাজের উন্নয়নের জন্য অনেক কাজ করবে।
এ ধরণের সিস্টেম আবার অনেক ক্ষেত্রে ই-গভর্নেন্স সিস্টেমের একটা মডিউল হিসেবে কাজ করতে পারে। যেমন পাবলিক হেলথ সেক্টরে এই সিস্টেম একটা অনেক বড় কন্ট্রিবিউট করতে পারে। আমাদের ছেলেরা ইন্টারনেটে ডেটাবেজ তৈরি করতে পারে, অথবা মোবাইল এপ্লিকেশনও তৈরি করতে পারে। মানুষ সহজেই ঘরে বসে স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারে। ই-প্রেস্ক্রিপশন, ই-হেলথকেয়ার এইসব সিস্টেমের মাধ্যমে ইতোমধ্যে মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া শুরু করেছে।
কেও যদি একটা এফিশিয়েন্ট সিস্টেম বানায় তাহলে কিন্তু সেটার জন্য অনেক মানুষ আছে, অনেক কোম্পানি আছে যারা সেই সিস্টেম কিনতে প্রস্তুত। বড় বড় কোম্পানিগুলোও এই সিস্টেম কিনে। মোটের ওপর সিস্টেম যদি পারপাস সারভ করে তাহলে সেটার জন্য ফান্ডের কোন অভাব হবে না। আর যে সিস্টেম বাংলাদেশের পারসপেক্টিভে কাজ করবে সেটা ইন্ডিয়ান, কিংবা এশিয়ান পারসপেক্টিভেও কাজ করবে। ইন ফ্যাক্ট তারা সারা ওয়ার্ল্ডেই সেই সিস্টেম অনলাইনে বেচতে পারে। শুধু কান্ট্রি ওয়াইজ মডিফাই করতে হবে কিছুটা, এডজাস্ট করতে হবে সেইভাবে, কিছুটা ফাইন টিউনিং করে নিতে হবে। এইভাবে অনেক অন্ট্রেপ্রেনিউর ক্রিয়েট করা সম্ভব। একবার যদি কোন প্রতিষ্ঠান রান করা শুরু করে, সেটা অনেকদুর নিয়ে যাওয়া সম্ভব। আমরা বাংলাদেশে অনেক ফলপ্রসূ ডিজিটাল কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করার আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
*ড. শাহ জাহান মিয়া একজন ইনফরমেশন সিস্টেমস রিসার্চার। তিনি অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়(http://www.griffith.edu.au) থেকে মাস্টার্স এবং পিএইচডি করেছেন। বর্তমানে সিনিয়র লেকচারার হিসেবে শিক্ষকতা এবং গবেষণা করছেন অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে(http://www.vu.edu.au)। লেখাটা ড. শাহ’র দেয়া একটা টেলিফোন ইন্টারভিউয়ের প্রেক্ষিতে সালেহ রোকন কর্তৃক অনুলিখিত।
©somewhere in net ltd.