নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হে দারিদ্র্য, তুমি মোরে কর না মহান!!!

ভাতের মজা কিছুতেই পাই না।

আমি ভাল আছি

ব্লগ তো আমি এমনি এমনি পড়ি আর মাঝে মধ্যে লিখিও;) অন্যদের লেখায় মন্তব্য করার মজাটাই আলাদা। Tareq_chtg@ইয়াহু.কম

আমি ভাল আছি › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপচয়ে সুখ নাই, বিতরণেই প্রকৃত সুখ!!!

১৬ ই জুন, ২০১২ সকাল ১০:১১

আমার বড় ভাইয়ের বিয়ে। বছর খানেক কনে খোঁজাখুজির পর পছন্দসই মেয়ে পাওয়া গেল। প্রথম দেখাতেই মেয়েকে ভাইয়ের পছন্দ হয়ে যায়। আম্মারও খারাপ লাগেনি। ভাইয়া দিল প্লাস। আম্মাও দিলেন প্লাস। আর প্লাসে প্লাসে প্লাস হয় সেটা কে না জানে;) সেই সাথে আমাদের ইয়েস কার্ড তো ছিলই। অনতিবিলম্বে চিনি পানের কাজটা সেরে ফেলা হল। এবং বিয়ের দিনক্ষনও ঠিক হয়ে গেল। দেখতে দেখতে বিয়ের দিন ঘনিয়ে আসল। {যারা বিয়ে শাদির আয়োজন করেন তারা আসলে বুঝেন যে দিন দেখতে দেখতে ঘনিয়ে আসে নাকি কাজ করতে করতে ঘনিয়ে আসে!! যাই হোক, শুভকাজে একটু আধটু কাজ টাজ কিছু করতেই হয়, সেটা কিছু না} কনের বাড়িতে বিয়ের দিনের আয়োজন আর আমাদের ভাগে বউভাতের আয়োজন!



আব্বা এলাকার বিশিষ্ট্য পরিচিত ব্যক্তি। অনেক লোকের সাথে পরিচয়, উঠাবসা। উনার বড় ছেলের বিয়ে। তাই মোটামুটি সবাইকেই ত দাওয়াত দিতে হবে, তাই না? দেয়া ও হল দাওয়াত, পাইকারী হারে। হেহেহেহে... তখন আবার নির্বাচনের মৌসুম চলছিল। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের এলাকা থেকে যিনি প্রার্থী হয়েছিলেন উনার সাথে আব্বার অনেক ঘনিষ্টতা ছিল। প্রতি রাতেই নির্বাচনের কাজে উনার সাথে বের হতেন। সঙ্গে আরো অনেক জন সমাগম থাকত। তো উনাকে আমার বড় ভাইয়ের বিয়েতে বিশেষভাবে দাওয়াত দেয়া হল। যেহেতু উনার আগে পিছে, আশে পাশে অনেক লোকের আনাগোনা থাকে তাই ধরে নেয়া হল যে উনি যদি বিয়েতে আসেন তাহলে বাড়তি একশত লোক ত উনার সাথে আসবেই! তাই বিয়ের অনুষ্ঠানের খাবার দাবারের আয়োজনও সেই অনুপাতেই করা হল। বিশাল না হলেও আমাদের আয়োজন চলনসই।



আমাদের আত্মীয়স্বজন সবাই আসলেন, পাড়া প্রতিবেশীও কেউ বাদ পড়েন নি। গ্রামের বাড়ীর আত্মীয়রা আসলেন, নানাবাড়ীর আত্মীয়রাও আসলেন। খুব ধুমধাম হল। বাচ্চাকাচ্চারা অনেক আনন্দ ফুর্তি করল। কোর্মা, পোলাও, রোস্ট, গরুর গোশত, খাসির মাংস, সব্জি, মাছের তরকারী, টক দই, মিস্টি দই, বোরহানি আরও কত কিছুর আয়োজন! নামকরা বাবুর্চি দিয়ে রান্না করানো হল। বাবুর্চি গেরান্টি দিয়েছিল যে খাবার খেয়ে সবাই হাতের কনুই পর্যন্ত চাটা শুরু করবে!!!! হেহেহেহে...... আমি রিসেপশনে ছিলাম তাই সরেজমিনে তদন্ত করতে পারিনি!!! :( :( :(



মাননীয় সংসদ সদস্যপদপ্রার্থী আসলেন পড়ন্ত বিকেলে। উনার উপহারটা দুইজন কাঁধে করে নিয়ে আসল। মহা চমক। আমরা ভাবলাম যেমন বড় উপহার তেমনি হয়ত জনতার বহর! কিন্তু না, মাত্র একটাই গাড়ি। সর্বসাকুল্যে পাচঁজন মেহমান। এ কি তাজ্জব ব্যপার! আমাদের এত আয়োজন তাইলে মিছে! মাথা খারাপ হওয়ার উপক্রম। এক ডেগ পোলাও ভাত, এক ডেগ সবজি, আধা ডেগ গরুর গোশত!!! রোস্টের কথা না হয় বাদ ই দিলাম। এত গুলো খাবারের এখন কি করি???





সন্ধ্যে ঘনিয়ে আসল। বর কনে বিদেয় নিল। অধিকাংশ মেহমান যার যার বাড়ী চলে গেলেন। আমাদেরও ঘরে ফেরার পালা। কমিউনিটি সেন্টারে বউভাতের আয়োজন করা হয়েছিল। ভ্যানরিক্সা করে মালামাল, উপহার সামগ্রী আর খাবারগুলো আমাদের বাসায় নিয়ে আসলাম। যেই মাত্র ভ্যানগাড়ি থেকে মালামাল গুলো নামিয়ে শেষ করলাম এমনি অঝোর ধারায় বৃষ্ঠি পড়া শুরু হয়ে গেল। পড়লাম আরেক জ্বালায়! এতগুলো খাবার এখন কি করি। বৃষ্ঠি থামতে থামতে রাত নয়টা বেজে গেল। বাসার ফ্রিজে আর কতগুলো খাবার ই বা রাখা যায়! কিছু খাবার ভ্যানে করে আমাদের গ্রামের বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়া হল আত্মীয়সজনদের জন্য। তারপরও অনেক খাবার বেঁচে গেল। আম্মা বললেন, পুকুরে ফেলে দাও। মাছেরা খাবে। আব্বা বলেন না না মানুষেই এ গুলো খেতে পায়না আর তুমি বলছ পুকুরে ফেলে মাছকে খাওয়াতে!!! তো এতগুলো খাবারের এখন কি করা যায়???





এই সমস্যার সমাধান দিতে এক মামা(আম্মার চাচাত ভাই) এগিয়ে আসলেন। উনি বললেন আমি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসি। আমি ভাবলাম বৃষ্ঠি থামল তাই বুঝি একটু বিড়ি ফুকতে গেছেন :P



সময় গড়িয়ে চলল...

...

...

...

অ-নে-ক ক্ষন পর কোত্থেকে যেন একটা ছোট ছেলেকে ধরে আনলেন। এনে বললেন ওকে কিছু পোলাও ভাত, সবজি আর গরুর গোশত দিয়ে দাও। আমি বললাম কিসে করে নিবি? কোমর থেকে গামছা খুলে মেঝেতে বিছিয়ে দিয়ে বলল এখানে দিয়ে দাও। আমি শক্ত করে একটা ধমক দিলাম। আর আমাদের কাজের ছেলেটাকে বললাম ওকে একটা পলিথিনের ব্যাগ দিতে। ব্যাগ ভরে ওকে গোশত পোলাও আর সবজি দিলাম। অনেক ভাল লাগল। ব্যাগ ভর্তি খাবার নিয়ে ছেলেটা চলে গেল। কিছুক্ষন পর আমাদের বাসায় একটা ছোটখাট জটলা লেগে গেল। দলে দলে হার জিরজিরে নারী পুরুষ বাচ্চাগুলো আসতে লাগল। আমিও মনের আনন্দে দিতে লাগলাম। এক বৃদ্ধা মহিলা দুইবার আসল। একবার মুখে নেকাব দিয়ে আরেকবার নেকাব ছাড়া। আমি টের পেলাম সত্যি কিন্তু বলার কিছু ছিল না। পেছনের মেয়েটি ঠিকই গলা ফাটিয়ে বলে উঠল স্যার এই বেটি দুইবার খাওয়ন নিতাছে!!! বৃদ্ধাটি কাঁদো কাঁদো হয়ে বলে উঠল বাবাগো আমার বউমার বাচ্চা হবে তাই আসতে পারেনি। কতদিন ভালমন্দ কিছু খায়নি। বলতে বলতেই মহিলার গাল বেয়ে টপটপ করে পানি বেয়ে পড়তে লাগল। আমি বউমার হয়ে নিতে আসছি। আমি ত হতভম্ব। তিনবেলা পেট পুরে শুধু খেয়েই গেছি। এই রকম দৃশ্য জীবনেও দেখিনি। চিন্তাও করিনি। মহিলাটির চোখের পানি দেখে আমার চোখেও পানি এসে গেল। :'(

আরেক বৃদ্ধা এত সুন্দর পোলাও ভাত দেখে কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগল আল্লাহ আল্লাহ এত সুন্দর ভাত কত দিন খাইনা। কত সুন্দর ভাত আহারে!!! কত সুন্দর ভাত!!!



আহারে ভাত!!! আমার দীর্ঘশ্বাস!!!





আধা ঘন্টায় সব খাবারগুলো শেষ হয়ে গেল। ভীড় বেড়ে গেল আরো বেশি। শেষ পর্যন্ত ফ্রিজে রাখা খাবারগুলোও দেয়া হল। ভীড় কমার নাম ই নেই। শেষে আর কি করা বাধ্য হয়ে গেট তালা দেয়া হল। কিছু মানুষের ক্ষুধা ত মিটল কিন্তু আরো কতজনের ক্ষুধা যে আমরা বাড়িয়ে দিলাম!!! খুব খারাপ লাগছিল সে কথা ভেবে।



যতটুক পারলাম ততটুকুই দিলাম। সেদিন খুব গভীর ভাবে একটা কথা উপলব্ধি করলাম যে আসলে অপচয়ে সুখ নেই, বিতরণেই প্রকৃত সুখ:)

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুন, ২০১২ সকাল ১০:২৪

ঝটিকা বলেছেন: "সেদিন খুব গভীর ভাবে একটা কথা উপলব্ধি করলাম যে আসলে অপচয়ে সুখ নেই, বিতরণেই প্রকৃত সু"

যথার্থই বলেছেন। একটা ব্যপার কি জানেন, এই সব অনুষ্ঠানে অনেক সময় আত্মীয় সজন রা খাওয়ার পরে বাড়ি যেয়েই নানা রকম খুত ধরা শুরু করে। কিন্তু ঐসব অভুক্তরা খুত তো ধরবেই না বরং খুশি হয়ে দোয়া করে।

১৬ ই জুন, ২০১২ সকাল ১০:২৯

আমি ভাল আছি বলেছেন: ঠিক আমার মনের কথাটি বলে ফেলেছেন। ওইসব অভুক্তদের আহা উহু যদি সেই সময় দেখতেন তাহলে বুঝতেন আসলে ভাত কি জিনিস!!!! পারতপক্ষে আমি খেতে বসে কখনো ভাত নষ্ট করি না। খেতে পারব পরিমান নেই। লাগলে ত আরো নেয়া যায়। কিন্তু বেশি নিয়ে নষ্ট করার কোন মানে হয়???

অবশেষে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২| ১৬ ই জুন, ২০১২ সকাল ১০:২৭

শায়মা বলেছেন: এতদিনে বুঝলাম তোমার ভাত প্রীতির রহস্য!!!

১৬ ই জুন, ২০১২ সকাল ১০:৩১

আমি ভাল আছি বলেছেন: এক মুঠো ভাত জোগাড় করতে যাদের নাভিশ্বাস উঠে যায় তাদের কে জিজ্ঞেস কর। দু মুঠো ভাতের জন্য যারা বছরের পর বছর নির্যাতন সহ্য করে যায় তাদের কে জিজ্ঞেস করে দেখো ভাতের কি দাম!!!

৩| ১৬ ই জুন, ২০১২ সকাল ১০:২৮

শায়মা বলেছেন: তবে মানুষগুলোর কথা জেনে কষ্ট লাগছে।


আবার ভালোও লাগছে অন্তত একটা দিন তুমি ওদেরকে ভালো কিছু খাওয়াতে পেরেছো।

১৬ ই জুন, ২০১২ সকাল ১০:৩৩

আমি ভাল আছি বলেছেন: আমি ঐ দিনটাকে আমার জীবনের শ্রেষ্ঠদিন হিসেবে মনে করি।

৪| ১৬ ই জুন, ২০১২ সকাল ১০:২৯

কলমবাঁশ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১৬ ই জুন, ২০১২ সকাল ১০:৩৪

আমি ভাল আছি বলেছেন: আপনাকে স্বাগতম।

৫| ১৬ ই জুন, ২০১২ সকাল ১০:৩০

রক্তভীতু ভ্যাম্পায়ার বলেছেন: সহমত!

১৬ ই জুন, ২০১২ সকাল ১০:৩৪

আমি ভাল আছি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৬| ১৬ ই জুন, ২০১২ সকাল ১০:৩১

মঈন চৌধুরী বলেছেন: ০১. মহিলাটির চোখের পানি দেখে আমার চোখেও পানি এসে গেল। :'(

০২. কত সুন্দর ভাত আহারে!!! কত সুন্দর ভাত!!!

০৩. আসলে অপচয়ে সুখ নেই, বিতরণেই প্রকৃত সুখ

**মাঝে মইধ্যে ভাল হয়ে যেতে ইচ্ছে করে।

১৬ ই জুন, ২০১২ সকাল ১০:৩৫

আমি ভাল আছি বলেছেন: সেই ইচ্ছাটা যেন পূরন হয়।

৭| ১৬ ই জুন, ২০১২ সকাল ১০:৪০

জাওয়াদ তাহমিদ বলেছেন:
দেশের কত মানুষ খেতে পায়না,

আর ব্রিটেনে ২৫০ কোটি টাকা দিয়ে জাতিয় পিতার মুর্তি বানানো হয়।

হায়রে মানুষ।

১৬ ই জুন, ২০১২ সকাল ১০:৪২

আমি ভাল আছি বলেছেন: প্রকৃত দেশপ্রেমিক, জনদরদী নেতারা নিশ্চই এই রকমটি হোক তা চাইবেন না!

৮| ১৬ ই জুন, ২০১২ সকাল ১০:৪৩

আনজান বলেছেন: +++++++
আসলে দান করাতেই প্রকৃত সুখ...খেয়াল করে দেখবেন, মসজিদে ১০০ টাকার নোটকে কত বড় দেখায়, অথচ দোকানে ১০০ টাকার নোটকে কত ছোটই না দেখায়...দশ টাকা ভিক্ষুককে দান করাতে কতই না শান্তি, অথচ এই যুগে দশ টাকায় কোন মুল্যই নেই...পেট ভরে খেতে ভালই লাগে, কিন্তু এই ভাল লাগা ঐ খাওয়া পর্যন্তই... অথচ কোন অনাহারীকে একবেলা খাওয়ালে ভাল লাগার রেশ সারাদিন থাকে...

১৬ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৮

আমি ভাল আছি বলেছেন: যথার্থই বলেছেন। আমাদের গভীরভাবে চিন্তা করা দরকার। ধন্যবাদ।

৯| ১৬ ই জুন, ২০১২ সকাল ১০:৪৭

শেখ সাব্বির আহমেদ বলেছেন: এই শালা মন্ত্রী-মিনিষ্টার রাই আম জনতার খাওন খাইয়া ফালাইতেছে।
X(( X(( X(( X(( X(( X((

১৬ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৯

আমি ভাল আছি বলেছেন: আমার আপনার মত দুলাভাইয়েরাই তো আমাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে শালাদের মন্ত্রী মিনিস্টার বানাইছি!

১০| ১৬ ই জুন, ২০১২ সকাল ১০:৪৭

মদন বলেছেন: হায়রে ক্ষুধা...

১৬ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১০

আমি ভাল আছি বলেছেন: ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়...

১১| ১৬ ই জুন, ২০১২ সকাল ১০:৪৮

সামু ইজ ইলুইশন বলেছেন: Moral of the story--- সেদিন খুব গভীর ভাবে একটা কথা উপলব্ধি করলাম যে আসলে অপচয়ে সুখ নেই, বিতরণেই প্রকৃত সুখ.

১৬ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১১

আমি ভাল আছি বলেছেন: ঠিক তাই।

১২| ১৬ ই জুন, ২০১২ সকাল ১০:৪৯

শেরজা তপন বলেছেন: দারুন বলেছেন! এভাবে উপলব্ধি করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৬ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১১

আমি ভাল আছি বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

১৩| ১৬ ই জুন, ২০১২ সকাল ১১:০৬

লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: হুম , ভালো লাগলো পড়ে ।
আপনার এই লেখাটা পড়ে তার ঠিক উলটা একটা ঘটনা মনে পড়ে গেলো ।
আমাদের গ্রামে এক ধনী লোক আছে , তার অনেক টাকা পয়সা কিন্তু কাউকে একটা দানখয়রাত করতে সে রাজি নয় । তার তিন তিনটা ছেলে সিংগাপুর থাকতো মাস গেলেই লাখ টাকা আসতো , ঘটনাটা সম্ভাবত ১৯৯৫ এর দিকে , লাখ টাকা তখন অনেক কিছু । যাইহোক বেচারা অনেক কিপ্টা ছিল , ছেলেদের পাঠানো টাকা দিয়ে শুধু জমি কিনতো , তার ব্যাপারটা তখন সবাই জানতো সে বিশাল কিপ্টা , এতো টাকার মালিক কিন্তু তার পরেও বাজারে গিয়ে গরুর দুধ বিক্রি করতো , হঠাত একদিন বাজারে মানুষের হাতে গনদোলাই খেলো দুধে পানি মিশানোর কারণে , , কিন্তু তার কিছু দিন পরে খবর এলো তার এক ছেলে সিঙ্গাপুরে মারা গেছে , কান্নার রোল পরে গেলো গ্রামে , তার ১৫-২০ দিন পর সিংগাপুর থেকে লাশ এতো তার ছেলের , দাফন কাফন করা হলো , তার কিছু দিন পর মিলাদ মাহফিল করবে সবার কাছে দোয়া চাইবে ছেলের জন্য , তাই গ্রামের সবাইকে দাওয়াত করা হলো , তখন আমি অনেক ছোট আব্বার সাথে গেলাম , যেহেতু রাতের বেলায় মিলাদ আয়োজন করা হয়েছে তাই গ্রামের সবাইকে খাওয়ানোর জন্য মিঠা শিন্নীর ব্যাবস্থা করা হয়েছে , গ্রামে যাকে বলা হয় খির বা ফিন্নি , আর দাওয়াত পেয়ে সবাই সমবেদনা জানাতে তার বাড়িতে হাজারো মানুষের সমাগম হলো , এবং আয়োজনও করা হয়েছিল বিশাল , ৮ ডেক খির রান্না করা হয়েছিল , তখন গ্রাম গঞ্জে খির খুবই জনপ্রিয় ছিল , মিলাদের শেষ সবাইকে যখন খির খেতে দিলো সবাই এক লোকমা খির মুখে দিয়ে খানা ফেলেই ওঠে যাচ্ছে , এই দেখে আব্বা আমাকে বললো চল বাড়িতে যাইগা =p~ , খির রান্না বোধ হয় ভালো হয় নাই । আব্বা সেই লোকের কাছ থেকে বিদাই নিল এবং আব্বা আর আমি বাড়ি চলে এলাম , রাতেই শুনতে পেলাম কেউ খির খায় নাই , সবাই সেই বাড়ি থেকে না খেয়ে ফিরে চলে এসেছে , ৮ ডেক খিরের মধ্যে ৭ ডেক খিরই বেচে গেছে =p~ বেচারা এতো খির কি করবে , কেউ নেয়ওনা , তাই সকালে তার তিনটা গরু ছিল ঐ গরু গুলাকে ১ ডেক খাওয়াছে এবং পুকুরে দুই ডেক মাছকে খেটে দিয়েছে এবং পাটি বিছিয়ে রোঁদে শুকাইতে দয়েছে বাকি খির । ঠিক যখন দুপুর ২ টা তখন খবর এলো সেই লোকের তিনটা গরু মারা গেছে খির খেয়ে =p~ =p~ এবং পুকুরের মাছে মরে মরে ভেসে উঠতেছে । অনেক কাকও মারা গেছে খির খেয়ে =p~ =p~ =p~ তার ঠিক ৫-৬ মাস পর ছেলেদের চাপে পরে হজ্জে যাবে , তাই গ্রামের সবাইকে দাওয়াত করেছে , সবার সাথে বিদাই নিবে এবং ছেলেদের চাপে পরে দুইটা গরু জবাই করে , কিন্তু দুঃখের বিষয় গ্রামে কেউ তার বাড়িতে দাওয়াত খেটে যায় নাই । এখনো কেউ সেই বাড়িতে দাওয়াত খেতে যায়না । =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

১৬ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১২

আমি ভাল আছি বলেছেন: কিপ্টের দাওয়াত কেউ খেতে চায় না।

১৪| ১৬ ই জুন, ২০১২ সকাল ১১:১১

মনে নাই তো কি করার বলেছেন: অনেকদিন পর কোনও লেখা পরে চোখে পানি চলে আসলো । আপনাকে মনের ভিতর থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটা ব্যাপার শেয়ার করার জন্য । +++++++

১৬ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১২

আমি ভাল আছি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও।

১৫| ১৬ ই জুন, ২০১২ সকাল ১১:৫৩

বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন: সুখী হোক নতুন পরিবার !!

১৬ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৫

আমি ভাল আছি বলেছেন: সুখী পরিবারের দুই সদস্য ;)

১৬| ১৬ ই জুন, ২০১২ দুপুর ২:৩৪

মুনসী১৬১২ বলেছেন: মন ভালো হয়ে গেল

১৬ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৫

আমি ভাল আছি বলেছেন: লেখাটি তাহলে সার্থক। ধন্যবাদ।

১৭| ১৬ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৩:১৪

বড় বিলাই বলেছেন: বিতরণেই প্রকৃত সুখ।

১৬ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৬

আমি ভাল আছি বলেছেন: সন্দেহ নাই।

১৮| ১৬ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৩:৫৪

মোঃ ফখরুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার লিখছেন, ধন্যবাদ এমন ভালো লাগা শেয়ার করার জন্যে।

১৬ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৬

আমি ভাল আছি বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ সময় করে পড়ার জন্য।

১৯| ২৫ শে জুন, ২০১২ রাত ১১:৪৩

ইসরা০০৭ বলেছেন: হুম ভালোই লিখেছেন ।

৩০ শে জুন, ২০১২ ভোর ৬:২৪

আমি ভাল আছি বলেছেন: ধন্যবাদ।

২০| ০২ রা জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫২

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: কি ভাই ..........।ভালো লাগলো

০৩ রা জুলাই, ২০১২ ভোর ৪:১৩

আমি ভাল আছি বলেছেন: ধন্যবাদ।

২১| ০৩ রা জুলাই, ২০১২ ভোর ৪:৪২

লিন্‌কিন পার্ক বলেছেন: +++++++++

০৩ রা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:৫৬

আমি ভাল আছি বলেছেন: ধন্যবাদ।

২২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৬

সান্তনু অাহেমদ বলেছেন: অপচয়ে সুখ নেই, বিতরণেই প্রকৃত সুখ-একদম খাঁটি কথা।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:৪৭

আমি ভাল আছি বলেছেন: বাস্তব অভিজ্ঞতায় দেখেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.