নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অলস বিড়ালের মস্তিস্ক

শূন্য সময়

খুবই অলস...প্রচন্ড রকমের ঘুম ও বিশ্রাম প্রিয়......

শূন্য সময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

বয়কটের ব্যবচ্ছেদ

১২ ই জুন, ২০২৪ রাত ১১:৪৫

আপনি বয়কটের পক্ষে থাকুন, বিপক্ষে থাকুন- এই বিষয় নিয়ে কনসার্ন্ড থাকলে এই লেখাটা আপনাকে পড়ার অনুরোধ রইলো। ভিন্নমত থাকলে সেটা জানানোর অনুরোধ রইলো। কটাক্ষ করতে চাইলে তাও করতে পারেন। কিন্তু এ নিয়ে কথা বলা বন্ধ না করি, কারণ এটা সাময়িক কোনো ট্রেন্ড না। এর প্রভাব অনেক দূর পর্যন্ত।

১.
আমেরিকার জায়ান্ট সুপারশপ চেইন 'টার্গেট' গত বছর বাচ্চাদের জন্য 'প্রাইড' প্রমোট করা ড্রেস মার্কেটে নিয়ে এসেছিলো। যেই সময়ে আমেরিকায় জেন্ডার চেইঞ্জ করা, বাচ্চাদের পিউবার্টি ব্লকার ইউজ করা নিয়ে ব্যাপক কন্ট্রোভার্সি চলছে, তখন এই মুভ কনসারভেটিভ অভিভাবকদেরকে ক্ষেপিয়ে দেয়। শুরু হয় টার্গেট বয়কট মুভমেন্ট। ব্যাপকহারে মানুষ এই বয়কট অংশ নেয় যার ফলে পরপর দুই কোয়ার্টারে তাদের সেলসে ব্যাপক প্রভাব পরে। [1]
এই বয়কটের প্রভাবে দেখা যায়, এই বছর প্রাইড এর সিজনে তারা বাচ্চাদের জন্য প্রাইড কালেকশন তো আনলোই না, বরং পূর্ণবয়স্কদের জন্য LGBTQ-themed কালেকশন আনলো শুধু অল্প কিছু আউটলেটে। [2] LGBTQ নিয়ে প্রোডাক্ট তারা পুরোপুরি বন্ধ করতে পারবেনা কখনোই। সেটা বয়কটকারীরাও জানতো। কিন্তু এই লাগাম টেনে না ধরা হলে তারা আরো বাচ্চাদের মধ্যে এই ভয়ংকর আইডিওলজি প্রবেশ অব্যাহত রাখতো।
এই একই ইস্যুতে আমেরিকাতে গত বছর আরেকটা সাড়া জাগানো বয়কট হয়েছে 'বাড লাইট' নামের আমেরিকার এক বড় বিয়ার কোম্পানির বিরুদ্ধে। জেন্ডার চেইঞ্জ ইস্যু নিয়ে যখন আমেরিকার সাধারণ ধার্মিক/কনজারভেটিভ মানুষ সোচ্চার হচ্ছে তখন গত বছর এই বিয়ার কোম্পানি এক ট্রান্সজেন্ডারকে (পুরুষ কিন্তু নিজেকে মহিলা ভাবে) দিয়ে তাদের প্রোডাক্ট প্রমোট করে। এর রেশ ধরে শুরু হয় এই বিয়ার বয়কট যা প্রায় আট মাস ধরে তাদের বিক্রিতে প্রভাব ফেলে। [3]
এই দুই বয়কটেই দুইটা কোম্পানি শর্ট টাইমের জন্য বিক্রয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কিন্তু কোনো কোম্পানি-ই বন্ধ হয়ে যায় নি। তাদের সম্পদের পরিমানের তুলনায় এই ক্ষতি কিছুই না। এবং বয়কট আন্দোলন যারা করে তারাও সেটা জেনেই করে। তারপরেও কেন এই বয়কট? উত্তর দিচ্ছি পরে।

২.
বিখ্যাত লাক্সারি ব্র্যান্ড ভেলেন্সিয়াগা ২০২২ সালে একটা ক্যাম্পেইন ছাড়ে যেখানে বাচ্চা মডেলদের হাতে সেক্সুয়ালি প্রভোকেটিভ একটা পুতুল দিয়ে দিয়ে ফটোশুট করা হয়। শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা। শুরু হয় 'ব্যান ভেলেন্সিয়াগা' নামক বয়কট মুভমেন্ট।
বলে রাখা ভালো যারা এই মুভমেন্টে অংশ নেয় তারা বেশিরভাগই এই লাক্সারি ব্র্যান্ড এর কাস্টোমারই না। এবং তাদের সেলসে এর প্রভাব খুব সামান্যই পড়েছে। কিন্তু হুমকিতে পড়ে তাদের ব্র্যান্ড ইমেজ। ফলাফল স্বরূপ তারা ক্যাম্পেইন সরিয়ে নেয়, ক্যাম্পেইন এবং পুতুলটি যারা বানায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়। [4]
ফ্যাশন ব্র্যান্ডের মধ্যে সম্প্রতি বয়কটের মুখে পরে 'জারা'। তাদের একটি ক্যাম্পেইন গ।জ।কে মকারি করে পাবলিশ করা হয় বলে ধারণা করে নেয় সাধারণ মানুষ এবং ব্যাপক প্রতিবাদের মুখে পরে যারা। বিশ্বজুড়ে চলে এই ব্র্যান্ডের বয়কট। বিভিন্ন দেশে শোরুম বন্ধ করে দেওয়ার খবর'ও পাওয়া যায়। প্রতিবাদের মুখে জারা ক্ষমা চায় এবং ক্যামেইন সরিয়ে নেয়। [5]
তারমানে জবাবদিহিতা তৈরা করা বয়কটের একটা বড় অবজেকটিভ।

৩.
গ।জ। ইস্যুতে সবচাইতে ডিরেক্ট এবং ইম্পেক্টফুল আঘাত আসে ম্যাকডোনাল্ড'স এবং স্টারবাক্স এর উপর।
অক্টবোর ৭ ঘটনার পর ম্যাকডোনাল্ড'স ইসরাইল (যারা ফ্রান্সাইজির ভিক্তিতে চলে, মানে লোকাল কোম্পানি লাইসেন্স কিনে ম্যাকডোনাল্ড'সের খাবার বিক্রি করে) ঘোষণা করে তারা ইজরাইলি আর্মিকে ১ লক্ষ ফ্রি খাবার দিবে যার মূল্য ১.৩ মিলিয়ন ডলার! শুরু হয় বিশ্বব্যাপী ব্যাপক প্রতিবাদ। বয়কটের জোরে ইন্দোনেশিয়া, মালয়শিয়া, মধ্যপ্রাচ্যে থেকে শুরু করে পশ্চিমা বিশ্বেও বিক্রয়ে ব্যাপক প্রভাব পরে। চায়না, ইন্ডিয়া, মধ্যপ্রাচ্যে সেলসস গ্রোথ নেমে আসে মাত্র ০.৭% এ যেখানে টার্গেট ছিল ৫.৫% ।
এই বয়কট দিন দিন শক্তিশালী না হলেও ব্যবসাতে প্রভাব থেকে গেছে কারণ যেই কাস্টমাররা সরে গেছে তারা আর ফেরত আসছেনা। পরিস্থিতি স্বীকার করে সিইও বলেছে, 'যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইম্পপ্রুভমেন্ট হওয়ার আশা আমরা করছিনা।'
এই বয়কটের প্রভাব এতদূর পর্যন্ত গড়িয়েছে যে, ম্যাকডোনাল্ড'স তাদের ইজরায়েলি ফ্রাঞ্চাইজির ২২৫টি আউটলেটের সবগুলোই কিনে নিয়েছে, মানে এখন থেকে ব্যবসা তারা নিজেরাই ডিরেক্টলি দেখবে। [6]
স্টারবাক্সকে বয়কট শুরু হয় মূলত যখন অক্টবরের ৯ তারিখ স্টারবাক্সের শ্রমিক ইউনিয়ন প্যালেস্টাইনকে সমর্থন দিয়ে টুইটারে পোস্ট করে এবং স্টারবাক্স এই শ্রমিক ইউনিয়নের বিরুদ্ধে কেস করে। এর পাশাপাশি স্টারবাক্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে ব্যাক চ্যানেলে ইজরায়েলকে ফান্ড করার। [7]
বয়কটের প্রভাবে কমে গেছে স্টারবাক্সের স্টক প্রাইস ৯% এর মতো (যার ভ্যালু ১১ বিলিয়ন ডলার), মধ্যপ্রাচ্য সহ বিভিন্ন দেশে সেলস কমে গেছে অনেকাংশে। টাকাপয়সার যে টান পড়েছে তার প্রমান হলো সম্প্রতি প্রায় ২০০০ এম্পলোয়ি কত করেছে এই কোম্পানি।

৪.
বয়কটের সবচেয়ে ভালো এবং ক্লাসিক উদাহরণ হলো স্বদেশী আন্দোলন। ব্রিটিশদের বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে ১৯০৬ সালে পুনে'তে বীর সাভারকর নামক রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব তখনকার ব্রিটিশপন্য একত্র করে আগুন দেন প্রতিবাদ স্বরূপ। এই আন্দোলনের আরেকটা বড় উদ্দেশ্য ছিল উপমহাদেশে ব্রিটিশদের অর্থনৈতিকভাবে শেষ করে দেয়া। এই আন্দোলন কোনো 'ট্রেন্ড' ছিলোনা বরং অনেক বছর ধরে টিকে থাকে। সবচেয়ে ভালো যেই জিনিসটা এই আন্দোলন থেকে বের হয়ে আসে তা হলো লোকাল মানুষজন ব্রিটিশ পণ্যের বিকল্প তৈরী করতে শুরু করে। এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে অনেক লোকাল ইন্ডাস্ট্রি, যেমন ভারতের এখনকার বিখ্যাত গোদরেজ কোম্পানি। এই স্বদেশী সাবানের মডেল হয়েছিলেন স্বীয়ং রবীন্দ্রনাথ। তিনি নিজেও স্বদেশী আন্দোলনকে ব্যাপকভাবে প্রমোট করেছিলেন।
মহাপ্রতাপশালী ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে এমন সফল আন্দোলন হতে পারলে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে নয় কেন?

৫.
ইজরায়েল সংশ্লিষ্ট বয়কট মুভমেন্টে যেই কথা গুলো বার বার আসে তার উত্তর দেই।

- শুরুতেই যেই প্রশ্নতা রেখেছিলাম, বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি গুলো বয়কটের কারণে অর্থনৈতিক ভাবে খুব অল্প সময়ের জন্য ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এটা তারা খুব সহজেই পরে পোষায়ে নিবে। যেমন কোকাকোলা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়েও তারা কন্ট্রোভার্সিতে পড়েছিল নাত্জিদের কোক দিয়ে। পরে তারা ক্ষতির স্বীকার তো হয়-ই নি, বরং ফ্যান্টার মতন একটা নতুন ব্র্যান্ডের জন্ম হয়।
যদি অর্থনৈতিক ক্ষতি-ই করা না যায় তাহলে বয়কট কেন? কারণ বয়কটের প্রথম উদ্দেশ্য একটা মেসেজ সেন্ড করা, কোম্পানিগুলোকে জবাবদিহিতায় আনা। একটা ওয়ার্নিং দেওয়া যে চাইলেই একটা কোম্পানি ইমমোরাল কাজ করতে পারবেনা। টাইম ম্যাগাজিনের আর্টিকেলে একজন বলেছে, "The most successful boycotts are those that make consumers feel like they’re having an impact."
আর অর্থনৈতিক ক্ষতি ছাড়াও রেপুটেশন, ব্র্যান্ড ভ্যালুর মতন ইন্টেন্জিবল ক্ষতি আছে যা দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে যার উদাহরণ 'জারা/ব্যালেন্সিয়াগা বয়কট'।

- এরপরের উদ্দ্যেশ্য হলো অন্যদের সতর্ক করে দেওয়া। সব জায়োন সাপোর্টার কোম্পানিকে বয়কট করা সম্ভব না। তাই সিলেকটিভ কিছু কোম্পানিকে বয়কট করে অন্যদের বুঝিয়ে দেওয়া হয় তোমাদের কপালেও এমনটা হবে যদি তোমরা জায়নদের সাপোর্ট করো। সম্ভবত এই পয়েন্টই ইজ্রায়েল বিরোধী বয়কটে সবচেয়ে বেশি সাফল্য এসেছে।
Intel কোম্পানি ইজরায়েলে তাদের ১৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্ল্যান থেকে সরে এসেছে। পুমা ঘোষণা দিয়েছে Israeli Football Association এর স্পনসরশিপ তারা রিনিউ করবেনা।
এই দুই ঘোষণা খুবই সাম্প্রতিক। যদিও কোনো কোম্পানি-ই বলেনি এটার সাথে যুদ্ধ বা বয়কটের সম্পর্ক আছে, বলার কথাও না কিন্তু এটা স্পষ্ট যে বয়কটের প্রভাব, এবং ইজরায়েলের প্রতি পৃথিবীর মানুষের বিদ্বেষের সাথে কেউ নিজেদের আর জড়াতে চায় না। যেমন দেখা গেছে, ইউরোভোসন নামক পৃথিবীর অন্যতম বড় মিউজিক কম্পপিটিশনে এইবার ইজরায়েল চরমভাবে অপমানিত হয়েছে।

- কোককে বয়কট করলে পেপসীকে না কেন? আরো অনেক কোম্পানি ইজরায়েলের সাথে জড়িত, তাদের কেন বয়কট করা হচ্ছেনা? এই প্রশ্ন গুলো বারবার করা হয়। এর জবাবে BDS (যারা ইজরায়েল বিরোধী বয়কটের নেতৃত্বে আছে) এর একজন লিডার বলেছেন, "It strategically boycotts a small number of companies where it believes it can have a maximum impact"। চাইলেও সব ইজরিয়েল সাপোর্ট করা বা ইজরায়েলি প্রোডাক্ট বয়কট সম্ভব না এটা সবাই জানে। প্রথম কারণ, বর্তমান পৃথিবীতে জায়োনিস্টরা সবচেয়ে ক্ষমতাধর এবং সব বড় বড় জায়গা তাদের দখলে। সেটা আমেরিকান পার্লামেন্ট থেকে শুরু করে পাড়ার মুদি দোকানের শ্যাম্পু-সাবানেও। জায়োনিস্টদের লবিং ভয়াবহ শক্তিশালী। কিন্তু তাই বলে সব জানার পরেও এটা মেনে নিয়ে চলবেন আপনি? নাকি ছোট হোক বড় হোক যেখানে যেভাবে সম্ভব এই শক্তিকে আঘাত করবেন আপনি?
আপনার হাতে যদি অল্টারনেটিভ থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার উচিত হবে বিকল্পটা বেছে নেওয়া। সেটার জন্য কোনো বয়কট আন্দোলনের ডাকের অপেক্ষা করতে হবে কেন? কোন কোম্পানি খারাপ প্রোডাক্ট বানায় শুনলে আপনি নিজ থেকে অন্য কোম্পানির প্রোডাক্ট কিনেন না? তাহলে এই ক্ষেত্রে নয় কেন? যেমন, আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হোন তাহলে অবশ্যই আপনার উচিত হবে fiverr বাদ দিয়ে অন্য কোন প্ল্যাটফর্ম ব্যাবহার করা কারণ এটা আগা-গোড়া ইজরায়েলি। ফেসবুকের বিকল্প থাকলে সেটা অবশ্যই ব্যবহার করুন। WhatsApp এর বদলে Telegram এর প্রচলন শুরু করুন অফিসে, পার্সোনাল কাজে।

- ধর্মীয় দিক থেকে আপনি অবশ্যই ইহুদিদের সাথে ব্যবসা লেনদেন করতে পারবেন। কিন্তু জায়োনিস্টরা কিন্তু সাধারণ ইহুদি নয়। এরা ভয়ংকর এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে গত একশো বছর ধরে। সুতরাং সাধারণ ইহুদিদের সাথে ইজরায়েলকে মিলিয়ে ভুল ধারণা নিয়ে না রেখে জায়োনিস্টদের নিয়ে একটু পড়াশুনা করুন।

- এই বয়কট আন্দোলনকে মোটা মাথার মুসলামনদের আন্দোলন বলে এই দেশি এক গ্রূপ খুব তাচ্ছিল্য করে বেড়াচ্ছে। কিন্তু এই আন্দোলন শুরু এবং শক্তিশালী করেছে পশ্চিমা সাধারণ জনতা। বরংচ মধ্যপ্রাচ্যের মোটা মাথার অনেক মুসলামান এখনো ইজরায়েল বন্দনা করে যাচ্ছে, দেদারসে কেএফসি, স্টারবাক্সে খাচ্ছে।
এর সবচেয়ে ভালো উদাহরণ হলো, যেখানে একটা মুসলিম দেশের একটা বিশ্ববিদ্যালয় এখন পর্যন্ত বড় ধরণের কোনো প্রতিবাদ করেনি, সেখানে পশ্চিমা হাভার্ড, কর্নওয়েল থেকে শুরু করে ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টরা ব্যপক প্রতিবাদ করে যাচ্ছে মাসের পর মাস ধরে। বয়কটের কথা বলতে বলতে পুলিশের গুলি খাচ্ছে, জেলে যাচ্ছে। আর অন্য দিকে ধর্মের ধারক-বাহক সৌদির বোরকা-জুব্বা পড়া যুবক যুবতীরা আনন্দ-ফুর্তি করে বেড়াচ্ছে।

- সাধারণ মানুষকে জায়োনিস্টদের ব্যাপারে সচেতন করা বয়কটের আরেকটা সাফল্য। সাথে সাথে ইজরায়েলের ব্যাপারে মানুষের ধারণা পাল্টে দিতে খুব কাজে দিয়েছে BDS মুভমেন্ট। পশ্চিমের দেশগুলোতে মানুষ আর ইজরায়েল/ইজরায়েলকে সাপোর্ট করা এখন আর ভালোভাবে দেখছেনা। তাই কোম্পানি গুলো'ও ইজরাইল সংশ্লিষ্ট ব্যাপার থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছে।

বয়কট নতুন কোনো কিছু না। এখনকার দুনিয়ার সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক হাতিয়ার হলো বয়কট। শুধু ইজরায়েল ইস্যুতে বয়কট হয় তা না। এই কোকের কোথায় ধরুন, পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি প্লাস্টিক দূষণের জন্য দ্বায়ী কোম্পানি হিসেবে পশ্চিমা বিশ্বে আরো আগেও কোক বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছিল।

আরো অনেক কিছু লেখা দরকার, কিন্তু আপনাদের পড়ার ধৈর্য নাই, আমার লেখার ধৈর্য নাই। তাই বাকি পড়াশুনা নিজে থেকে করুন। এর পরের লেখা হবে সেলিব্রেটিদের নিয়ে। এইদিকে নজর দেওয়ার সময় এসেছে।

সবশেষে একটা কথা বলি, শয়তানের সবচেয়ে বড় পাওয়ার সে জ্ঞানী। এই জ্ঞানের গর্ব থেকেই সে আদমকে সেজদা করে নাই। এই শয়তানকে টেকেল দিবেন কিভাবে? আপনাকেও জ্ঞানী হতে হবে। হুজুগে না নেচে জ্ঞানের ভারে নাচুন। যাতে করে কেউ কটাক্ষ করলে সদুত্তর দিতে পারেন। যা করবেন জেনেশুনে করবেন যেন বোকা বোনে না যান। রাস্তা দিয়ে মিছিল যেতে দেখলে শ্লোগান দিতে নেমে যাবেন না সাথে সাথে। জানুন বুঝুন তারপর স্লোগান দিন।

পড়াশুনা ঘাটাঘাটি করলে আপনি জানতে পারবেন সৌদি ইসলামের ধারক না, ইজরায়েল ক্ষমতাধর হইলে আপনার'ও ক্ষমতা আছে এই শক্তিকে প্রতিহত করার, বিজ্ঞাপনে বানিয়ে আপনাকে আরো কত শয়তানি কোম্পানি মুরগি বানাচ্ছে সেটাও জানতে পারবেন। জানতে পারবেন সব ধরণের সফ্ট ড্রিংকস আপনার জন্য খারাপ, মোজো খাইলে সোয়াব পাওয়া যায়না

References:
1. Click This Link
2. Click This Link
3. Click This Link.
4. Click This Link.
5. https://www.reuters.com/.../zara-regrets.../
6. Click This Link.
https://www.france24.com/.../20240430-gaza-boycott...
https://www.aljazeera.com/.../mcdonalds-buys-all-225-of...
7. Click This Link

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০২৪ রাত ১২:১৫

ঢাকার লোক বলেছেন: অন্যায় সমমর্থনকারীর বিরুদ্ধে বয়কট অবশ্যই একটা কার্যকরী ব্যবস্থা যা অনায়াসে নেয়া সম্ভব, দরকার সদিচ্ছা !
বেশ গবেষণাপ্রসূত পরিশ্রম করে লেখা, কিছু typo রয়ে গেছে, সুযোগ মতো ঠিক করে দিলে ভালো হয়!

১৩ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:২৬

শূন্য সময় বলেছেন: অলস আমি, টাইপো প্রুফরিড করার এনার্জি থাকেনা

২| ১৩ ই জুন, ২০২৪ রাত ২:৩১

কামাল১৮ বলেছেন: বর্তমান বিশ্বে বয়কট সম্ভব না।পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির সেয়ার(যারা সেয়ার বাজারে নিবন্ধিত) তাদের সেয়ারের মালিক দেশের অনেকে।সেই সব কোম্পানির লস হলে দেশের অনেকে খতিগ্রস্ত হবে।

১৩ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:২৭

শূন্য সময় বলেছেন: পুরাটা পড়ার পরেও একই কথা বলছেন? বলা তো হলোই যে বয়কট পুরোপুরি সম্ভব না। তারপরেও করতে হবে।
ডলার ডাম্প করে দিচ্ছে রাশিয়া, ডলারের মতন কারেন্সি ডাম্প করা গেলে বাকি সব ডালভাত।

৩| ১৩ ই জুন, ২০২৪ রাত ৩:০৮

আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: আপনার লিখাটি অসাধারণ। এমন ডিপ মেসেজসহ লিখা জরুরী। ভালো লাগলো। আমাদের সাধারণ মজলুম মানুষের পক্ষে থাকতে হবে। শুভ কামনা। চালিয়ে যান।

১৩ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

শূন্য সময় বলেছেন: ধন্যবাদ, সাথে থাকবেন

৪| ১৩ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৪:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

নবী ইব্রাহিম স্বপ্ন দেখেছিলেন তার প্রিয় বস্তুকে কুরবানী করতে।
তার প্রিয় বস্তু ছিল তার ছেলে।
তার নিজের প্রাণ ছিল তার অপ্রিয়।

যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে স্বপ্ন কি খুব একটা ভালো জিনিস?

১৩ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:২৯

শূন্য সময় বলেছেন: স্প্যাম মেসেজ এটা নাকি জেনে বুঝে দেওয়া?

৫| ১৩ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১০:৪১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: শয়তানের মত বা তার থেকে বেশি জ্ঞানী হওয়ায় কি সম্ভব?

১৩ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৩০

শূন্য সময় বলেছেন: শয়তানের সাথে প্রতিযোগিতার কিছু নাই। কিন্তু অজ্ঞরা শয়তানের ইজি টার্গেট।

৬| ১৩ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:২৭

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: খুবই চমৎকার ও বিশ্লেষণধর্মী লেখা।

১৩ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৩১

শূন্য সময় বলেছেন: ধন্যবাদ, সাথে থাকবেন

৭| ১৩ ই জুন, ২০২৪ রাত ৮:০৫

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: বয়কট খুবই কার্যকরী অহিংশ আন্দোলন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.