নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা যে ধর্মীয় বিশ্বাসে টাকা খরচ বা দান করি তা কাকে দেওয়া উচিৎ!
আমাদের দেশে যেহেতু মসজিদ এবং মিসকিন, অভাবি , উভয়ই বেশি এর মধ্যে আমরা অগ্রাধিকার দেব?
প্রথমে দেখা যাক অভাবি / মিসকিনদের দানের ব্যাপারে কোরানের ভাষ্য ।
তখন সে আফসোস করে, “আমার প্রতিপালক আমাকে অপমানিত করেছেন।” —সেটা কখনই নয়। বরং তোমরাই তো এতিমদের সম্মান করো না। "অভাবীদের" খাবার তাদেরকে দিতে উৎসাহ পর্যন্ত দাও না। উত্তরাধিকারীদের প্রাপ্য সম্পদ গোগ্রাসে আত্মসাৎ করো। সম্পদের প্রতি তোমাদের মাত্রাতিরিক্ত মোহ।
—আল-ফাজর ১৭-১৯
আমি কি তাকে ভালো-মন্দের পরিষ্কার দুটো পথ দেখিয়ে দেইনি? এরপরও সে কঠিন পথে চলার চেষ্টা করেনি। জানো সে কঠিন পথ কী? তা হচ্ছে, দাসকে মুক্তি দেওয়া। অথবা, কঠিন অভাবের দিনে খাবার দান করা, নিকটাত্মীয় এতিমদের এবং দারিদ্রের আঘাতে নিষ্পেষিত অসহায় মানুষকে।
-সূরা বালাদ
যে ব্যক্তি বিচারদিনকে অস্বীকার করে তাকে খেয়াল করেছ? এরা এতিমদেরকে তাড়িয়ে দেয়। অভাবীদের খাবার তাদেরকে দিতে উৎসাহও দেয় না। তাই, নামাজিরা শেষ হয়ে যাক। যারা নামাজের ব্যাপারে খামখেয়ালী। যারা লোক দেখিয়ে করে। ছোটখাটো উপকার করতেও তারা মানা করে। - - সূরা আল-মাউন
পূর্ব-পশ্চিমে মুখ ফেরালেই সেটা ধার্মিকের মতো কাজ হয়ে গেল না। বরং সত্যিকারের ধার্মিকতা হচ্ছে: যারা আল্লাহর تعالى প্রতি বিশ্বাস রাখে এবং বিচারের দিন, ফেরেশতাগন, সব কিতাব এবং নবীদের প্রতি বিশ্বাস রাখে। যারা নিজেদের সম্পদকে ভালোবাসার পরেও তা দান করে নিকটজনকে, এতিম, মিসকিনকে, বিপদে পড়া ভ্রমণকারীদেরকে, যারা সাহায্য চায় তাদেরকে এবং দাস-যুদ্ধবন্দিদের মুক্ত করার জন্য দান করে। যারা সালাত প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত আদায় করে, কথা দিয়ে কথা রাখে; দুর্দশা-দারিদ্রতা, অসুস্থতা-কষ্ট এবং ভীষণ কঠিন সময়েও ধৈর্যধারণকারী। —এরাই নিজেদেরকে প্রমাণ করেছে, আর এরাই সত্যিকারের তাকওয়া অর্জন করতে পেরেছে। [আল-বাক্বারাহ ১৭৭]
অঙ্গীকার নিয়েছিলাম: “আল্লাহ ছাড়া আর কোনো কিছুরই ইবাদত করবে না; বাবা-মার জন্য সবকিছু সবচেয়ে ভালোভাবে করবে; এবং নিকটাত্মীয়, অসহায়-এতিম আর গরিব-সামর্থ্যহীনদের সাথেও; মানুষের সাথে খুব সুন্দর ভাবে কথা বলবে; সালাত প্রতিষ্ঠা করবে এবং যাকাত দিবে।” এরপরও তোমাদের কয়েকজন ছাড়া বাকি সবাই মুখ ফিরিয়ে নিলে। তোমরা কথা দিয়ে কথা রাখোনি। [আল-বাক্বারাহ ৮৩]
তারা আল্লাহর প্রেমে অভাবগ্রস্ত, এতীম ও বন্দীকে আহার্য দান করে। তারা বলেঃ কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে আমরা তোমাদেরকে আহার্য দান করি এবং তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান ও কৃতজ্ঞতা কামনা করি না।। (সুরা দাহর : আয়াত ৮)
মসজিদে দান করার ব্যাপারে কোরান এর ভাষ্য কি ?
*মসজিদে দান করার ব্যাপারে উৎসাহ দিয়ে কোরানে কোন আয়াত নেই
এবারে নজর দেওয়া যাক হাদিসের দিকে। বুখারী শরীফে মসজিদে দানের ব্যাপারে কোন হাদীস নেই।
মুসলিম শরীফে একটি হাদীস পাওয়া যায় যা নিম্নরূপ।
‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য মসজিদ নির্মাণ করল, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন।’ (মুসলিম : ১২১৮)
কিন্তু মিসকিনদের দানের হাদিসে এত বেশি পরিমাণে উল্লেখ আছে যে এই স্বল্প পরিসরে তা আলোচনা করা সম্ভব না। তাছাড়া রাসূল সা. যে মিসকিনদের দুই হাত খুলে দান করতেন এমন ঘটনা অনেক বেশি সংখ্যক বার উল্লেখ করা আছে।
কিন্তু তিনি পড়ায় পড়ায় মসজিদ নির্মাণে কিংবা মসজিদে নববীর "শান শওকত" বৃদ্ধিতে দুই হাত খুলে দান করছেন কিংবা অন্যকে এই ব্যাপারে উৎসাহ দিয়েছেন এমন নজির কখনো আমি পাইনি।
ধারাবাহিক চলবে...।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:১৪
তোফায়েল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:১৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: দান পাওয়ার ক্ষেত্রে গরীব আত্মীয়-স্বজন তথা গরীবদের দাবীই বেশী ।
মসজিদে দানও অবশ্যই সওয়াবের তবে গরীব-মিসকিন-অভাবী-ঋণগ্রস্তদের দান করলে তা অধিক ভাল বলে বিবেচিত হয়।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:১৬
তোফায়েল ইসলাম বলেছেন: গরীব-মিসকিন-অভাবী-ঋণগ্রস্তদের দান না করলে এর জন্য আল্লাহ্র কাছে আপনাকে জবাব দিহি করতে হবে ।
৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের সমাজে মসজিদ এঁর কোনো দরকার নাই। মসজিদ এঁর চেয়ে বেশি দরকার লাইব্রেরী। প্রতিটা এলাকায় চার টা পাঁচ টা করে মসজিদ অথচ একটা লাইব্রেরী নেই। আফসোস। যে দেশে যত মসজিদ, সেই দেশে তত চোর, তত দূর্নীতিবাজ।
সবাই আগে মানুষ। প্রতিটা মানুষ মানবিক হলে দেশে কোনো অসহায় ও অভাবী মানুষ থাকবে না। মসজিদে, এতিমখানা বা মাদ্রাসার চেয়ে একজন অসহায় দরিদ্র মানুষকে সাহায্য করা ভালো।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:২২
তোফায়েল ইসলাম বলেছেন: যে দেশে যত মসজিদ, সেই দেশে তত চোর, তত দূর্নীতিবাজ। এটা বাস্তব সত্য / ধন্যবাদ মন্তবের জন্য
৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৫৬
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: কাঠমোল্লাদের ইসলাম মসজিদে দান করতে উৎসাহ দেয়। কিন্তু প্রকৃত ইসলাম উৎসাহ দেয় অভাবীদের দান করতে।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:২৩
তোফায়েল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, মন্তবের জন্য
৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:০৯
বিটপি বলেছেন: রাসূল (সা) এর সময়ে খেজুর পাতার ছাউনি দিয়েই মসজিদের কাজ চলে গেছে, কিন্তু এই আমলে ইতালিয়ান টাইলস ছাড়া মসজিদের মেঝে বানানো যায়না। আর মসজিদের বেশিরভাগ নির্মাতাদের মানসিকতা এত খারাপ, ৭ কোটি টাকায় বানানো মসজিদেও জুমার দিনে দান বাক্স ঘুরায়। আমি ঢাকার কোন মসজিদে নামাজ পড়লে এক টাকাও দান করিনা। কিন্তু ঢাকার বাইরে টিনের ছাউনিওয়ালা মসজিদে দান করতে গেলে সাধারণত ১০০ টাকার কোন দেইনা।
তবে বাইরে বের হলে চেষ্টা করি অভাবী যারা হাত পাতে, তাদের প্রত্যেককে অন্তত ৫ টাকা করে দিতে। যারা হাত পাতেনা যেমন বয়োবৃদ্ধ ফুটপাতের হকার, শিশু বেলুন বিক্রেতা - এদের হাতেও ১০/২০ টাকা ধরিয়ে দেই। দান করা বলতে গেলে নামাজ রোজার মতই একটা গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:২৭
তোফায়েল ইসলাম বলেছেন: ‘যারা আল্লাহর পথে নিজেদের ধন-সম্পদ ব্যয় করে . তাদের জন্যই সংরক্ষিত রয়েছে পুরস্কার তাদের পালন কর্তার কাছে। তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখ-কষ্টে নিপতিত হবে না।’ (সূরা বাকারাহ ২৬২)
৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:১৮
সাসুম বলেছেন: গরীব, অভাবী ও দুস্থ দের। কারনঃ অনুদান বা সাহায্য না পেলে তারা ক্ষুধায় কস্ট পাবে, না খেয়ে মরবে।
মসজিদ দানের যায়গা নয়। কারনঃ মসজিদে দান বা সাহায্য না করলে মসজিদ ক্ষুধায় কস্ট পাবেনা, কিংবা বিলুপ্ত হয়ে যাবেনা। মসজিদ বেচে থাকবে মোমিনের প্রার্থনা তে। সেটা চটের বস্তার হলেও বা ৫ স্টার হোটেল এর মত হলেও।
স্রস্টার সৃস্টি কে কস্ট দিয়ে বা সাহায্য না করে, স্রস্টার ইবাদতের ঘরে এসি ফিট করার জন্য সাহায্য করার মত হাস্যকর জুলুম আর কিছুই হতে পারেনা
৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৩২
জ্যাকেল বলেছেন: আল্লাহ তাআলা একজন মুসলমানের কাজের তালিকা কোরআনে দিয়েছেন। তন্মধ্যে ৭টি হইতেছে-
১। আল্লাহর ইবাদাত
২। মা বাবার সেবা
৩। এতিমদের সুরক্ষা
৪। মিসকিনদের সাহায্য
৫। ভাল ব্যবহার
৬। সালাত কায়েম
৭। যাকাত
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:১৭
তোফায়েল ইসলাম বলেছেন: জাকাত শব্দের অর্থ হচ্ছে পবিত্রতা, ক্রমবৃদ্ধি, আধিক্য ইত্যাদি। জাকাত সম্পদকে পবিত্র করে, বিত্তশালীদের পরিশুদ্ধ করে, দারিদ্র্য মোচন করে, উত্পাদন বৃদ্ধি করে, অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস করে এবং সমাজে শান্তি আনে।
'যাকাত', 'সাদাকাহ' এবং 'দান' এর মধ্যে মৌলিক কোন পার্থক্য আছে কি না আমার জানা নাই।
আমি কোন মুফতি, শায়েখ বা কোন আলেম নই , তবুও নিজে কোরআন পড়ে যা উপলব্ধি করলাম, তা উপস্থাপন করেছি মাত্র।
পড়তে এই লিংকে ক্লিক করুন Click This Link আসা করি নতুন কিছু জানতে পাড়বেন ।
এখন আমরা বা সমাজে প্রচলিত জাকাত বন্টন হচ্ছে , ৪০ ভাগের একভাগ (২.৫০%) জাকাত
জাকাত কিন্তু অন্য নবীদের জন্য ছিল / ইসমাঈল (আ.) সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘সে তার পরিবার-পরিজনকে নামাজ ও জাকাতের নির্দেশ দিত।’ (সুরা : মারইয়াম, আয়াত : ৫৫)
ঈসা (আ.)-এর প্রসঙ্গে এসেছে, তিনি বলেছেন, ‘যেখানেই আমি থাকি না কেন, তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন। তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন যত দিন জীবিত থাকি তত দিন নামাজ ও জাকাত আদায় করতে।’ (সুরা : মারইয়াম, আয়াত : ৩১) তারা কিভাবে দিয়েছে কোন হাদিস আছে ?
জাকাত / সাদকা / দান শুধু রাসুল এর উপরে বা তার উম্মতের জন্য না , যাকাত , নামায , রোজা সব নবি রাসুল এর জন্নই ছিল ।
কিন্তু সমাজে প্রচলিত জাকাত বন্টন হচ্ছে ৪০ ভাগের একভাগ (২.৫০%)
কিন্তু আল্লাহ্ বলতেছে , ‘যা প্রয়োজনের অতিরিক্ত’ (২:২১৯) সব দান বা সাদকা করে দিতে ।
ইসলামের প্রথাগত ঘরণায় (Traditionalist) অর্থাৎ প্রচলিত মোল্লাতান্ত্রিক ডিসকোর্সে ‘যাকাত’ বলতে বোঝায় অর্জিত সম্পদের উপর নির্দিষ্ট অনুপাতে (২.৫%) ধার্যকৃত আবশ্যকীয় দান/করা পরিশোধ করা। যাকাতের তাৎপর্য সংকীর্ণ অর্থে সম্পদের পরিশুদ্ধতার জন্যে, ব্যাপক অর্থে নফসের পরিশুদ্ধতার জন্যে। দানকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে, যেখানে যাকাত হচ্ছে আবশ্যকীয় দান ও সাদাকা ঐচ্ছিক দান। তবে কুর’আনের যাকাত ও দান সম্পর্কিত আয়াতগুলি পাঠ করে যাকাতের এমন অর্থ যথার্থ মনে হয় না।
এখন প্রশ্ন হলো, যদি যাকাতের প্রচলিত অর্থ ভুল হয়ে থাকে তবে এ বিভ্রান্তির কী কারণ? এ নিয়ে ঐতিহাসিক অনুসন্ধান করা উচিত। যেমন যাকাত নবী মোহাম্মদ (তার আত্মার প্রতি শান্তি) ও তাঁর পরিবার দান করেছেন, কিন্তু কখনো যাকাত দিয়েছেন, এমন তথ্য-প্রমাণ আমার জানা নেই। মদিনায় রাষ্ট্র কায়েমের পর থেকে খলিফাগণ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে সম্পদের একাংশ কর হিসেবে আরোপ করেন, এই করারোপ ছিলো স্বচ্ছলদের বাধ্যতামূলক। আর মুসলমান হিসেবে বাধ্যতামূলক এ দানের সাথে পরিশুদ্ধতার সম্পর্ক রচিত হয়। তখন থেকে কোনোভাবে যাকাত শব্দটি অর্থ-বিভ্রাটে আটকে পড়েছিলো কি? আল্লাহ্ ই ভাল জানেন ।
জাকাত নিয়ে লিখা টি পড়তে এই লিংকে ক্লিক করুন Click This Link আসা করি নতুন কিছু জানতে পাড়বেন ।
৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০৫
নতুন বলেছেন: যেইসব হুজুর মাদ্রসা পাশ করেছেন তারা কি কাজ করে খাবে? তারাই মসজিদ মাদ্রাসাতে দান করতে বলবে কারন তাদের ও তো বেচে থাকতে হবে।
৯| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:০১
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: যে দেশে যত মসজিদ, সেই দেশে তত চোর, তত দূর্নীতিবাজ। এটা বাস্তব সত্য / ধন্যবাদ মন্তবের জন্য
আমাদের মত দেশে ধর্ম, নামাজ রোজা বা মসজিদ দিয়ে ভরিয়ে ফেললেও দূর্নীতি বন্ধ হবে না।
তাই মানুষকে শিক্ষিত ও মানবিক করে গড়ে তুলতে হবে।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০১
তোফায়েল ইসলাম বলেছেন: জি আপনার সাথে একমত মন্তবের জন্য ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:০৭
রানার ব্লগ বলেছেন: অভাবী অভাবী এবং অভাবী অবশ্যই অভাবী !!!
মসজিদ দানের জায়গা না, যদি তাই হতো আল্লাহের নবী কেবল মসজিদেই দান করতে বলতেন ।