নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Theological students and writers

তোফায়েল ইসলাম

Theological students and writers

তোফায়েল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাদীস ও তাফসীর কি এবং কেন ?

২৭ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১২:৩৮


মুসলমানরা দল ও ব্যক্তির অন্ধঅনুসরণ-আবেগতাড়িত হওয়ার কারনে ইসলাম ও ঈমানের প্রকৃত মৌলিক দিকগুলো জানতে এবং মানতে ইচ্ছুক নয় । দল ও ব্যক্তি এর দরবারে শুধু ফতোয়া খুজে। ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা বা ভুল চর্চায় একবার অভ্যস্ত হয়ে গেলে তা থেকে বেরিয়ে আসা প্রায় অসম্ভব।
একজন চায়নিজ ব্যবসায়ী বলেছেন, মুসলমান ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছে এসে নকল পণ্য বানানোর অডার দিয়ে বলে উমুক বিখ্যাত কোম্পানির লোগো লাগাবে । পরে যখন আমাদের সাথে খাবার খেতে বলা হল তখন বলে এই খাবার তো হালাল না! তাহলে- নকল মাল বিক্রি করা কি হালাল ।

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর হুসেইন আসকারি ইসলামের বিধান মেনে চলার ব্যাপারে গবেষণা করেছেন। সেই গবেষণায় তিনি দেখার চেষ্টা করেছেন, বিশ্বের কোন দেশগুলোতে দৈনন্দিন জীবনে ইসলামি বিধান মেনে চলা হয়।

গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, ইসলামি রীতি মেনে চলা দেশের তালিকার শীর্ষে ইসলামি কোনো দেশের নাম নেই। এমনকি তালিকার ৩৩ নম্বরে রয়েছে মালয়েশিয়া এবং কুয়েত রয়েছে ৪৮ এ।

হুসেইন আসকারি বলেন, মুসলিম দেশগুলো রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য ইসলামি আইন ব্যবহার করে। এমন অনেক দেশ আছে; যেগুলো ইসলামি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। তবে সেখানকার সমাজে ইসলামি আইন মেনে চলা হয় না, দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে, এমনকি ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ড চলছে সেখানে।

গবেষণার ফলাফলে দেখানো হয়েছে, সমাজে ইসলামি বিধান মেনে চলার ক্ষেত্রে ১ নম্বরে নিউজিল্যান্ড, পরে আয়ারল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইডেন, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে ও বেলজিয়াম তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশ বাহরাইন ৬৪ নম্বরে এবং সৌদি আরব রয়েছে ১৩১ নম্বরে। বাংলাদেশের অবস্থান সৌদি আরব এরও নিচে ।

গবেষণায় দেখা গেছে তথাকথিত ইসলামি দেশগুলোতে মুসলমানরা নামাজ, রোজা , কোরআন তেলোয়াত ও হাদিস , পর্দা, দাড়ি, ইসলামি পোষাক নিয়ে অতি সচেতন । ব্যস্ত তবে রাস্ট সমাজে ও পেশাগত জীবনে কেউ ইসলামি নির্দেশের ধার ধারেনা । দুর্নীতি আর পেশাগত জীবনে অসদুপায় অবলম্বনের নজির চতুর্দিকে। অধিকাংশ ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা কোরআনের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ধর্মচর্চা করে ।

কুরআন মুসলমানদের জন্য আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে মনোনীত ১ মাত্র গ্রন্থ এর ১ টি আয়াত বা ১টি শব্দ নিয়েও মুসলমানদের মাঝে কোন সন্দেহ নেই । এর কারন কোরআন এর সংরক্ষণ প্রক্রিয়া প্রতিটি আয়াত নাজিল হওয়ার সাথে সাথে তা মুখস্ত করে ফেলতেন । পাহাড়ের গায়ে বা পাথরে লিখে রাখতেন । নিয়মিত তেলাওয়াত করতেন । এছাড়া অধিকাংশ হাফেজ ছিল এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের নির্ভুলভাবে লিপিবদ্ধ করা ।

আর তাফসীর মূলত কোরআনের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ যুগে যুগে অনেক ইসলামিক পণ্ডিত, ইসলামিক তত্থবিদ, বিভিন্ন ঐতিহাসিক তথ্য প্রমাণাদি বা ইসলামের মৌলিক চর্চার উপর ভিত্তি করে কোরআনের ব্যাখ্যা দিয়েছেন । যা মানুষকে কোরআনের উচ্চতর জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করে ।

কোরআন কাব্যিক ছন্দ ও সাহিত্যিক রুপকতায় নাজিল হওয়ায় । অনেক আয়াতের শাব্দিক অর্থ এর মর্মার্থ থেকে ভিন্ন । যেমন সূরা ফিলে আবাবিল পাখির পাথর নিক্ষেপে আব্রাহার সৈন্যদের নিহত হওয়ার যে বর্ণনা তা রূপক । বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ তাফসীরে কাসসাব এবং ঐতিহাসিক ক্রোনোলজি অনুযায়ী আব্রাহার সৈন্যরা গুটি বসন্তে মারা যায় ।

এসব তাফসীর উচ্চতর একাডেমিক গবেষণা বা ধর্ম তথ্যবিদ্দের জন্য প্রযোজ্য । কারণ বিশেষজ্ঞদের মতামত হিসেবে এসব বিবেচনা যোগ্য হতে পারে কিন্তু চূড়ান্ত কিছু নয় । এবং সব তাফসীর সমানভাবে গ্রহণযোগ্য নয় । এটা নির্ভর করে তাফসির কারক এর প্রোফাইল এর উপর । কিন্তু অনেকে নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোরআনের তাফসিরকে কাযযত কোরআন এর চেয়েও বেশি গুরুত্ব দেয় । যেমন জামাতে ইসলামের কাছে মাওলানা মওদুদীর তাফসীর চিরন্তন এর কারন এই তাফসীর তাদের রাজনৈতিক ভিত্তি । আর ধান ক্ষেতে প্যান্ডেল আপামর জনসাধারণের তাফসির মাহফিল আয়োজন করা হয় । তাতে প্রসিদ্ধ তাফসীরের আলোচনার চাইতে বানোয়াট কিচ্ছা কাহিনী থাকে বেশি ।

এবার হাদিস প্রসঙ্গে বলি হাদিস হচ্ছে নবিজির কথা , কাজ , এবং মৌন সম্মতি । কোরআনেও নবিজির আনুসরনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে । এবং নবীজির জীবনী ও কর্মের বিবরন কোরআনেই আছে । এর বাইরে হাদীস বলতে আমরা যা বুঝি তা হচ্ছে সিহা সিত্তাহ বা হাদিসের ৬ টি গ্রন্থ। যা হাদিস গ্রন্থকারের নাম অনুযায়ী যেমন বুখারী ,মুসলি্‌ আবু দাউদ, ইবনে মাযাহ , তিরমিজি , নাসাঈ । যাতে প্রায় লক্ষাধিক হাদিস আছে। তবে একই হাদিস বহুবার এসেছে, কিন্তু বিষয়বস্তুর ইউনিকনেস বিবেচনায় নিলে সংখ্যা প্রায় 3000 ।

তবে এসব হাদীস গ্রন্থের কোন উল্লেখ কোরআনে থাকার সুযোগ নেই, কারণ প্রথম হাদিস সংকলন কারি ইমাম বুখারীর জন্ম নবীজির ইন্তেকালের প্রায় 300 বছর পর উজবেকিস্তানে । মাদ্রাসায় প্রতি 100 নম্বরের হাদিস পড়তে হয়েছিল যাতে উসুলে হাদিস বা হাদিসের উৎস গবেষনা-পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত ছিল ।

হাদিসের একটি একাডেমী পরিভাষা হচ্ছে খবর আর খবর মানে পুরিস্কার প্রতিদিন খবরের কাগজে আমরা যা পড়ি । এই খবর হচ্ছে একটি রেন্ডম ইনফর্মেশন যেটা সত্যি হতে পারে আবার মিথ্যাও হতে পারে, আবার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে। তাই খবর হচ্ছে জেনারেল ইনফর্মেশন কোন এভিডেন্স নয় ।
হাদিস বিশারদরা যে হাদিসের শ্রেনি বিভাগ করেছে , সহীহ হাদীস ,দুর্বল হাদীস , এসব মূলত হাদিসের উৎসের ভিত্তি করা হয় ।

যেমন কোন নিউজ এর উৎস যদি হয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বা আবুল হাসেম নামের জনৈক পথচারী । তাহলে বুঝবেন কোন কারনে রিপোর্টারের মন মেজাজ খারাপ ছিল বাসায় বসেই রিপোর্ট তৈরি করছে । হাদিসের বিশুদ্ধ নিয়ে অসংখ মত পদ কেউ বুখারি মুসলিম শরীফ কেই বিশুদ্ধ মনে করেন এবং মুত্তাফাকুন আলাইহি বা রাওয়াহুন শায়খাইন ট্যাগ দিয়ে হাদীসগুলোকে আলাদা করেছেন । আবার কেউ সিহা সিত্তার বাইরেও বাইহাকিম শরীফসহ আরও অনেক হাদীস গ্রন্থ কে সহি বা বিশুদ্ধ মনে করেন ।

ঐতিহাসিক ধারা বিবরণী বা তাথ্যিক গবেষণার ক্ষেত্রে এই হাদিস প্রযোজ্য । কিন্তু সর্বসাধারণের জন্য এই হাদিস মানতে বাধ্যবাধকতা কতটুকু । যেহেতু কোরআনে এসব হাদীস গ্রন্থ উল্লেখ নেই। এসব হাদীস পালনের বাধ্যবাধকতা কতটুকু । এই সব নবিজির কথা কিনা তা শতভাগ নিশ্চিত না ।

অনেকে বলে নবিজি হাদিস এর কথা বলেছেন বিদায় হজ্জের ভাষণে । প্রথমত বিদায় হজ্জের ভাষণ ও কিন্তু একটি খবর । আমরা জানি বিদায় হজের ভাষণ নবিজির শেষ ভাষণ । আর এই ভাষণে নবিজি যা কিছু বলেছেন তা কোরআনের বাইরে ত কিছু হতে পারে না । কারণ তখন সব হাদিস গ্রন্থ সংকলিত হয়নি । কোরআনের এর বাইরে কোন নির্দেশ দিলে তা নবিজি নিজে লিপিবদ্ধ করার উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দিতেন বা নবিজির পরে সবচেয়ে বিশ্বস্ত ছিল চার খলিফা তারাও এমন কোন উদ্যোগ নেননি তারাও ত নিতে পারতেন।

নবীজির ইন্তেকাল পর্যন্ত এই চারজন সাহাবি ছায়ার মতো সার্বক্ষণিক নবীজির সাথে ছিলেন । ওসমান ও আলি রাঃ ছিলেন নবিজির জামাই । নবীজির ইন্তেকাল এর পরেও এই চার জন ইসলামের প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ অবদান রেখেছেন । হযরত ওসমানের খেলাফতের সময় তার আর্থিক অবস্থান বেশ সমৃদ্ধ ছিল । কিন্তু তারা হাদিস সংগ্রহ সংরক্ষণের উদ্যোগ নেননি ।

নবীজির ইন্তেকালের 300 বছর পর ইমাম বুখারি হাদিস সংকলনের প্রয়োজনীয়তা বুঝলেও নবীজি এবং তার প্রধান সহচররা হাদিস সংকলনের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারেন-নি । তদুপরি অনেক হাদিসের বর্ণনা নবীজির জন্য মর্যাদাহানিকর আপত্তিকর অশালীন ধর্মবিদ্বেষীরা এসব হাদীসের ভিত্তিতে কটাক্ষ করে ।

অনেকে প্রশ্নকরে হাদিস ছাড়া নামাজ পড়বেন রোজা রাখবেন কিভাবে কোরআনের এর কোন স্পেসিফিকেশন নেই , তাহলে নবীজির ইন্তেকালের 300 বছর আগে মুসলমানেরা নামাজ পড়ছে কিভাবে ।

আমরা এখন যেভাবে ঠিক এভাবে পড়তে হবে এমনটাই স্পেসিফিফাই আল্লহা করেননি ।
কিন্তু আমাদের মাথায় কোন ভাবে একটা জিনিস ইন্সটল হয়ে গেলে তার বিকল্প আর ভাবতে পারিনা।

নামাজ আমাদের শিখিয়েছে ইরানিরা এই নামাজ যদি নবীজির নামাজ হয় তার নামকরণ ফার্সি কেন । কোরআন সব প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারলে হাদিস কিতা পারছে? না । সে ক্ষেত্রে তৃতীয় প্রন্থা কোরআন ও হাদীসের ভিত্তিতে অনুমান করতে হবে । এবং একজন আলেমের অনুমান একেকরকম তাহলে সমাধান হচ্ছে ইজমায় উম্মত বা উম্মতের ঐকমত । কিন্তু তা কি হয়েছে , কেউ ইমাম আবু হানিফার সাথে একমত আবার কেউ ইমাম শাফীর সাথে একমত , কেউ আল্লামা শফীর সাথে একমত, কেউ ওসামা বিন লাদেনের সাথে একমত । এভাবে মুসলমানরা আজ দলে দলে বিভিন্ন দলে বিভক্ত ।

ফাজায়েলে তাবলীগ, ফাযালে জিহাদ , বেহেশতী জেওর , নিয়ামুল কুরআন , মুকসুদুল মোমেনিন , হাজারো বই ভরপুর এবং এই বই গুলো কোরআন এর চেউ বেশি জনপ্রিয় । কোরআন নিয়মিত না পরলেউ এই সব বই ঠিকই পরে । কারন মানুষ এগুল কাহিনী শুনতে পছন্দ করে ।

আর আমাদের প্রতিটা প্রশ্নের একটা উত্তর লাগবে এবং সেই উত্তর থেকে আরো তিনটা প্রশ্ন বানাতে হবে । হুজুর গরুর লেজ খাওয়া কি জায়েজ ? জায়েজ হলে এটা সুন্নত নাকি মাকরু , মাকরু হলে মাকরুএ তাহারিমি নাকি হাকিকি ।

এভাবে সহজ সরল পথকে আমরা করছি কঠিন । পবিত্র কোরআনের সর্ববৃহৎ সূরা বাকারা বাকারা শব্দের অর্থ হচ্ছে গাভী/গরু । এই গরু নিয়ে সূরা বাকারায় ১টি ঘটনার উল্লেখ আছে এবং সে ঘটনার প্রেক্ষিতে এর নামকরণ করা হয়েছে ।

বনি ইজরাইলিদের স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি গুপ্তঘাতকের হাতে খুন হয় । তারা যখন কোনো কূলকিনারা করতে পারল না । তখন তারা মুসা নবিকে বলল আপনি আল্লাহকে জিজ্ঞেস করে মাদের বলেন এই ব্যাক্তিকে হত্যা কারী কে ও কিভাবে হত্যা করেছে । মুসা আঃ আল্লহার সাথে কথা বলে জানালেন যে একটা গরু জবাই করো এবং তার হাড্ডি দিয়ে মৃত লোকটাকে আঘাত করে । সে জীবিত হয়ে বলে দিব তার হত্যা কারি কে কেন কিভাবে তাকে হত্যা করেছে ।

খুবই সহজ ও নির্ভেজাল সমাধান কিন্তু এই সহজ ও নির্ভেজাল সমাধান ইজরাইলিদের পছন্দ হলোনা । তারা একের পর এক প্রশ্ন করা শুরু করল । গরু কি গাই গরু না বলদ গরু গরুর বয়স কত গরুর শিং কেমন হতে হবে রঙ কেমন মুসা আঃ একে একে তাদের উত্তর দিচ্ছেন পরে দেখা গেল এই রকমের গরু খুঁজে পাওয়া সম্ভব । কিন্তু তাদেরকে জাস্ট একটা গরু জবাই করতে বলা হয়েছে ।

তাই সহজ করে ভাবুন ভাবার প্র্যাকটিস করুণ , সহজ করে ভাবলেই দেখবেন জীবন অনেক সহজ ।

প্রত্যেকেই নিজ রীতি অনুযায়ী কাজ করে। অতঃপর আপনার পালনকর্তা বিশেষ রূপে জানেন, কে সর্বাপেক্ষা নির্ভূল পথে আছে।সূরা নম্বরঃ ১৭, আয়াত নম্বরঃ ৮৪
অবশ্যই তোমাদের কর্মপ্রচেষ্টা বিভিন্ন প্রকৃতির।
সূরা নম্বরঃ ৯২, আয়াত নম্বরঃ ৪
প্রত্যেক দলই তাহাদের নিকট যাহা আছে তাহা লইয়া আনন্দিত।
সূরা নম্বরঃ ২৩, আয়াত নম্বরঃ ৫৩
উহাদের কৃত কর্মই উহাদের হৃদয়ে জঙ্ ধরাইয়াছে।
সূরা নম্বরঃ ৮৩, আয়াত নম্বরঃ ১৪
সাফল্যের জন্য সাধকদের উচিত সাধনা করা,
সূরা নম্বরঃ ৩৭, আয়াত নম্বরঃ ৬১
হে মু'মিনগণ! তোমাদের দায়িত্ব তোমাদেরই উপর। তোমরা যদি সৎপথে পরিচালিত হও তবে যে পথভ্রষ্ট হইয়াছে সে তোমাদের কোন ক্ষতি করিতে পারিবে না। আল্লাহ্‌র দিকেই তোমাদের সকলের প্রত্যাবর্তন; অতঃপর তোমরা যাহা করিতে তিনি সে সম্বন্ধে তোমাদেরকে অবহিত করিবেন।
সূরা নম্বরঃ ৫, আয়াত নম্বরঃ ১০৫

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১:০৭

সোনাগাজী বলেছেন:


গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে যে, ইসলামী আইনের ১ নং ব্য হারকারী হচ্ছে নিউজিল্যান্ড, তারপর সিংগাপুর, সুদেন মুইডেন, ইত্যাদি। গবেষক গাঁজা খায়, নাকি ব্লগারেরা গাঁজা খায়?

২| ২৭ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১:৪১

সোনাগাজী বলেছেন:



গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে যে, ইসলামী আইনের ১ নং ব্যহারকারী হচ্ছে নিউজিল্যান্ড, তারপর সিংগাপুর, সুইডেন মুইডেন, ইত্যাদি। গবেষক গাঁজা খায়, নাকি ব্লগারেরা গাঁজা খায়?

৩| ২৭ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৩:১৮

সোবুজ বলেছেন: যে সব দেশের কথা আপনি বললেন ,তারা কি ইসলামী আইন মানে নাকি তাদের বানানো আইনে দেশ শাসন করে।ঐ সমস্ত দেশে কি কি ইসলামী আইন চালু আছে।ইসলামী আইন মানে তালেবান আইএস।

৪| ২৭ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:১৫

অধীতি বলেছেন: গবেষককে পুরস্কৃত করা উচিত। আর আপনার নিজস্ব চিন্তা ভাবনাও ভাল লাগল।

৫| ২৭ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:৫২

বিটপি বলেছেন: আলোচকে বলে কি আর বেক্কলে বোঝে কি!
ব্লগার কি এখানে ইসলামী আইনের কথা বলেছেন, নাকি রীতি ও বিধানের কথা বলেছেন? এখানে আসা বিজ্ঞ মন্তব্যকারীরা কি পোস্ট ভালো মত পড়ে দেখেছেন? নাকি শিরোনাম দেখেই মন্তব্যের ডালা খুলে বসেছেন? গাঁজা সেবনকারীরা কেন যে ব্লগে আসে!

জনাব তোফায়েল, কুরআনের একটি আয়াত নিয়েও আপনার মনে কেন সংশয় নেই। এটা কি সঠিক নয় যে আবু বকর (রা) এর আমলে যখন কুরআন সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, তখন বিশেষ একটি আয়াত এর অন্তর্ভুক্ত না করায় উমর (রা) অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন? প্রখ্যাত হাদীস রাবী আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) তাঁর সঙ্কলিত কুরআনে সুরা ফাতিহা, সূরা ফালাক ও নাসকে অন্তর্ভুক্ত করেননি? তিনি যে সূরা তাওবাহকে আনফালের অন্তর্ভুক্ত একটা সূরা বলে চালিয়েছিলেন?

২৭ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৬

তোফায়েল ইসলাম বলেছেন: এই বিষয়ে অনেক মতভেত রয়েছে আমার মনে হয় আপনার কোরআন সংরক্ষণ নিয়ে ইতিহাস জানা দরকার ।

আপনি এই লেখাটি পড়তে পাড়েন , Click This Link

হাদীসের নামে যত বিভক্তি, যত বিভ্রান্তি < Click This Link

৬| ২৭ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:১০

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনার পুরো প্রবন্দে একটা কথাই আমার পছন্দ হয়েছে তা হলো সহজ করে ভাবলেই জীবন দেখবেন অনেক সহজ !!! আমার ভাবনা এমনি ।

আচ্ছা মুসলমানদের জীবনে মেরাজ একটা সুনিদৃষ্ঠ ঘটোনা যা বিশ্বাস না করলে ইমান থাকবে না (এমনি বলা হয়) তো এই মেরাজের ঘটনা নিয়ে কোন সুরাই এলো না । কেনো ??? নবীর জীবনে যতো গুলা ঘটনা রটনা ঘটেছে সবগুলা কে যুক্তিসংগত হিসাবে যুক্তিযুক্ত করার জন্য কোরআনে বিভিন্ন আয়াত এসেছে মেরাজ কেনো বাদ গেলো?

২৭ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৮

তোফায়েল ইসলাম বলেছেন: আপনি সময় করে পরবেন ।
মেরাজের ঘটনা মিথ্যা ! প্রমান কোরআন ! Click This Link

৭| ২৭ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:২২

রাজীব নুর বলেছেন: সব কিছু বাদ দিয়ে আপনি কোরআন হাদীস আঁকড়ে ধরুন।

৮| ২৭ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:২৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: নিজেকে মুসলমান দাবী করলেই কেউ প্রকৃত মুসলমান হয়ে যায়না। হয়তো ঈমান আছে। কিন্তু সত্যিকারের মুসলমান গোটা দুনিয়া মিলে ১% ও আছে কিনা সন্দেহ।

২৭ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪২

তোফায়েল ইসলাম বলেছেন: আমরা সবাই জান্নাতে যেতে চাই কিন্তু আমরা কেউ সহজে মরতে চাই না । তবে না চাইলেও মরতে হবে । ধর্মীয় দৃষ্টি কোন থেকে বেহেশত প্রতিটি মানুষের সবচেয়ে অরাধ্য গন্তব্য ।

বেহেশতের চাবি হচ্ছে 'বিশ্বাস' এবং সৎকাজ। কোরআনের যতগুলো আয়াতে আল্লাহ জান্নাত মহোত্তম পুরস্কার প্রতিদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন , তাতে বিশ্বাস ও সৎ কাজের কথা বলেছেন বিশ্বাস এবং সৎকর্মের পরিষ্কার বিবরণ আল্লাহ কোরআনে বলে দিয়েছেন ।

মুসলমান সবাই হতে পারে কিন্তু ?
জান্নাত ত আল্লাহ্‌ অনেক কে বিশ্বাস ও সৎ কাজের বিনিময়ে ইহুদি নাসারা ইত্যাদি গোত্রের লোকদের কেউ দিবে । ?
<<
নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে, যারা ইয়াহূদী হয়েছে এবং নাসারা ও সাবিঈরা* -(তাদের মধ্যে) যারা ঈমান এনেছে আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি এবং নেক কাজ করেছে - তবে তাদের জন্য রয়েছে তাদের রবের নিকট তাদের প্রতিদান। আর তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না।

যারা ঈমান এনেছে এবং নেক আমল করেছে, অচিরেই তাদেরকে আমি প্রবেশ করাব জান্নাতসমূহে, সেখানে তারা হবে স্থায়ী। আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য। আর কথায় আল্লাহ অপেক্ষা অধিক সত্যবাদী কে?

সন্দেহ থেকে দূরে থাকুন ।

৯| ২৭ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১১:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ রানার ব্লগ - কোরআনের আয়াতে ইসরা এবং মেরাজের কথা আছে।

পবিত্র মহান সে সত্তা, যিনি তাঁর বান্দাকে রাতে নিয়ে গিয়েছেন আল মাসজিদুল হারাম থেকে আল মাসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার আশপাশে আমি বরকত দিয়েছি, যেন আমি তাকে আমার কিছু নিদর্শন দেখাতে পারি। তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা। ( সুরা আল- ইসরা, আয়াত ১)

আর অবশ্যই তিনি তাকে আরেকবার দেখেছিলেন।সিদরাতুল মুন্তাহা তথা প্রান্তবর্তী কুল গাছ এর কাছে, যার কাছে জান্নাতুল মা’ওয়া অবস্থিত। যখন কুল গাছটিকে যা আচ্ছাদিত করার তা আচ্ছাদিত করেছিল। তার দৃষ্টি বিভ্রম হয়নি, দৃষ্টি লক্ষ্যচ্যুতও হয়নি। অবশ্যই তিনি তার রবের মহান নিদর্শনাবলীর কিছু দেখেছিলেন। (সুরা আন নাজম আয়াত ১৩-১৮)

২৮ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:২৭

তোফায়েল ইসলাম বলেছেন: ইসলামের দৃষ্টিতে মিরাজ খুবই অতীব গুরুত্বপূর্ন বিষয়,সেহেতু আমি আর দ্বিতীবার সেই ঘটনা এখানে উল্লেখ করে লেখা বড় করতে চাইনা।মিরাজ কি আসলেই বিশুদ্ধ কোনো ঐতিহাসিক ঘটনা নাকি সারা বিশ্বের সকল মুসলিম দের সাথে যুগ যুগ ধরে হয়ে আসা এক বিশাল প্রতারণা?

প্রশ্ন: কুরআন-হাদিসের এমন কোন সহিহ দলিল আছে কি যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মেরাজ থেকে ফিরে আসলেন তখনও তিনি তাঁর বিছানার ‘মুলাআ’ (চাদর) উষ্ণ পেলেন, তিনি পানির যে পাত্রটি উপড় করে রেখেছিলেন সে পাত্র থেকে তখনও মাটির উপর ফোটা ফোটা পানি পড়ছিল, দরজার শিকল তখনও কাঁপছিল, ঠিক মেরাজে যাওয়ার আগে তিনি যখন রুম বের হচ্ছিলেন তখন যেভাবে রেখে গিয়েছিলেন সেভাবে।

উত্তরঃ আলহামদুলিল্লাহ। প্রশ্নে যে বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মেরাজ থেকে ফিরে এসে তাঁর বিছানার মুলাআ বা চাদর উষ্ণ পেয়েছেন, যে পাত্রটি উপড় করে রেখে গিয়েছেন সেটি থেকে তখনও পানি ঝরছিল, দরজার শিকলকে কাঁপা কাঁপা অবস্থায় পেয়েছেন; আমরা এসবের কোন ভিত্তি জানি না। এ ধরণের কথা প্রচার করা জায়েয নয়; কারণ এতে স্পষ্ট কৃত্রিমতা ও কদর্যতা পাওয়া যায়।

আমরা জানি না এমন কেউ আছেন যিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চকিতে মুলাআ (চাদর) থাকার কথা উল্লেখ করেছেন। বিছানার চাদরকে ‘মুলাআ’ বলা এটি একটি আধুনিক ব্যবহার। আরবী ভাষায় ‘মুলাআ’ বলা হয় বিছানার চাদরকে কিংবা লুঙ্গিকে।[দেখুন: লিসানুল আরব (১/১৬০) ও আল-নিহায়া (৪/৩৫২)]

শাইখ শুকাইরি (রহঃ) বলেন:

“নবী সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম রাতের বেলায় মেরাজে যাওয়া ও ফিরে এসে বিছানা উষ্ণ পাওয়া সাব্যস্ত নয়; বরং এটি মানুষের বানানো একটি বানোয়াট মিথ্যা।”[আস-সুনান ওয়াল মুবতাদিআত (পৃষ্ঠা-১৪৩) থেকে সমাপ্ত]

অনুরূপভাবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ঘরের দরজার শিকল ছিল দরজা বন্ধ রাখার জন্য; এমনটি আমরা জানি না। বরং প্রথম যামানায় ঘরের কোন দরজা থাকত না। [সূরা আন-নূর, আয়াত: ৫৮-৬২] পরে জানা যায় তখন তাদের ঘরের দরজা থাকত না; পর্দা টানিয়ে রাখা হত” [তাফসিরে তাবারি (১৯/২২১) থেকে সমাপ্ত]

উপরোক্ত তথ্যকে বাতিল প্রমাণ করার আরও একটি দলিল হচ্ছে যা বুখারি (৩৩৪২-৩৪৯) ও মুসলিম (১৬৩) আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেন: আবু যর (রাঃ) হাদিস বর্ণনা করতেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “আমি তখন মক্কায় ছিলাম। আমার ঘরের ছাদ উন্মুক্ত হয়ে গেল এবং জিব্রাইল নাযিল হলেন। তিনি আমার বুক ফাঁড়লেন। এরপর সেটাকে জমজমের পানি দিয়ে ধৌত করলেন। তারপর তিনি সোনার তৈরী একটি আনলেন। সেটি হেকমত ও ঈমানে পরিপূর্ণ ছিল। সেগুলো আমার বুকে ভরে দিলেন। এরপর বুক লাগিয়ে দিলেন। অতঃপর আমার হাত ধরে আমাকে নিয়ে আকাশের দিকে উঠতে থাকলেন...” এরপর বাকী হাদিস উল্লেখ করলেন।

পুরো হাদিস, আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আবূ যার (রাঃ) রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি মক্কায় থাকা অবস্থায় আমার গৃহের ছাদ উন্মুক্ত করা হ’ল। অতঃপর জিব্‌রীল (‘আঃ) অবতীর্ণ হয়ে আমার বক্ষ বিদীর্ণ করলেন। আর তা যমযমের পানি দ্বারা ধৌত করলেন। অতঃপর হিকমাত ও ঈমানে ভর্তি একটি সোনার পাত্র নিয়ে আসলেন এবং তা আমার বুকের মধ্যে ঢেলে দিয়ে বন্ধ করে দিলেন। অতঃপর হাত ধরে আমাকে দুনিয়ার আকাশের দিকে নিয়ে চললেন। পরে যখন দুনিয়ার আকাশে আসলাম জিব্‌রীল (‘আঃ) আসমানের রক্ষককে বললেনঃ দরজা খোল। আসমানের রক্ষক বললেনঃ কে আপনি? জিব্‌রীল (‘আঃ) বললেনঃ আমি জিব্‌রীল (‘আঃ)। (আকাশের রক্ষক) বললেনঃ আপনার সঙ্গে কেউ রয়েছেন কি? জিব্‌রীল বললেনঃ হাঁ মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রয়েছেন। অতঃপর রক্ষক বললেনঃ তাকে কি ডাকা হয়েছে? জিব্‌রীল বললেনঃ হাঁ। অতঃপর যখন আমাদের জন্য দুনিয়ার আসমানকে খুলে দেয়া হল আর আমরা দুনিয়ার আসমানে প্রবেশ করলাম তখন দেখি সেখানে এমন এক ব্যক্তি উপবিষ্ট রয়েছেন যার ডান পাশে অনেকগুলো মানুষের আকৃতি রয়েছে আর বাম পাশে রয়েছে অনেকগুলো মানুষের আকৃতি। যখন তিনি ডান দিকে তাকাচ্ছেন হেসে উঠছেন আর যখন বাম দিকে তাকাচ্ছেন কাঁদছেন। অতঃপর তিনি বললেনঃ স্বাগতম ওহে সৎ নবী ও সৎ সন্তান। আমি (রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) জিব্‌রীল (‘আঃ)-কে বললামঃ কে এই ব্যক্তি? তিনি জবাব দিলেনঃ ইনি হচ্ছেন আদম (‘আঃ)। আর তাঁর ডানে বামে রয়েছে তাঁর সন্তানদের রূহ। তার মধ্যে ডান দিকের লোকেরা জান্নাতী আর বাম দিকের লোকেরা জাহান্নামী। ফলে তিনি যখন ডান দিকে তাকান তখন হাসেন আর যখন বাম দিকে তাকান তখন কাঁদেন। অতঃপর জিব্‌রীল (‘আঃ) আমাকে নিয়ে দ্বিতীয় আসমানে উঠলেন। অতঃপর তার রক্ষককে বললেনঃ দরজা খোল। তখন এর রক্ষক প্রথম রক্ষকের মতই প্রশ্ন করলেন। পরে দরজা খুলে দেয়া হল। আনাস (রাঃ) বলেনঃ আবূ যার (রাঃ) উল্লেখ করেন যে, তিনি [রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)] আসমানসমূহে আদম, ইদরীস, মূসা, ‘ঈসা এবং ইব্‌রাহীম (‘আলাইহিমুস সালাম)-কে পান। কিন্তু আবূ যার (রাঃ) তাদের স্থানসমূহ নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেননি। তবে এতটুকু উল্লেখ করেছেন যে, তিনি আদম (‘আঃ)-কে দুনিয়ার আকাশে এবং ইব্‌রাহীম (‘আঃ)-কে ষষ্ঠ আসমানে পান।

আনাস (রাঃ) বলেনঃ জিব্‌রীল (‘আঃ) যখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে নিয়ে ইদরীস (‘আঃ) নিকট দিয়ে অতিক্রম করেন তখন ইদরীস (‘আঃ) বলেনঃ মারহাবা ওহে সৎ ভাই ও পুণ্যবান নবী। আমি (রসূলুল্লাহ্&zwnj;) বললামঃ ইনি কে? জিব্‌রীল বললেনঃ ইনি হচ্ছেন ইদরীস (‘আঃ)। অতঃপর আমি মূসা (‘আঃ)-এর নিকট দিয়ে অতিক্রম করাকালে তিনি বলেনঃ মারহাবা হে সৎ নবী ও পুণ্যবান ভাই। আমি বললামঃ ইনি কে? জিব্‌রীল বললেনঃ ইনি মূসা (‘আঃ)। অতঃপর আমি ‘ঈসা (‘আঃ)-এর নিকট দিয়ে অতিক্রম করাকালে তিনি বলেনঃ মারহাবা হে সৎ নবী ও পুণ্যবান ভাই। আমি বললামঃ ইনি কে? জিব্‌রীল বললেনঃ ইনি হচ্ছেন ‘ঈসা (‘আঃ)। অতঃপর আমি ইব্‌রাহীম (‘আঃ)-এর নিকট দিয়ে অতিক্রম করলে তিনি বলেনঃ মারহাবা হে পুণ্যবান নবী ও নেক সন্তান। আমি বললামঃ ইনি কে? জিব্‌রীল (‘আঃ) বললেনঃ ইনি হচ্ছেন ইব্‌রাহীম (‘আঃ)। ইব্‌নু শিহাব বলেনঃ ইব্‌নু হায্‌ম (রহঃ) আমাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, ইব্‌নু ‘আব্বাস ও আবূ হাব্বা আল-আনসারী উভয়ে বলতেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অতঃপর আমাকে আরো উপরে উঠানো হল অতঃপর এমন এক সমতল স্থানে এসে আমি উপনীত হই যেখানে আমি লেখার শব্দ শুনতে পাই। ইব্‌নু হায্‌ম ও আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) বলেনঃ রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অতঃপর আল্লাহ আমার উম্মাতের উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করে দেন। অতঃপর তা নিয়ে আমি ফিরে আসি। অবশেষে যখন মূসা (‘আঃ)-এর নিকট দিয়ে অতিক্রম করি তখন তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা আপনার উম্মাতের উপর কি ফরয করেছেন? আমি বললামঃ পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। তিনি বললেনঃ আপনি আপনার পালনকর্তার নিকট ফিরে যান, কেননা আপনার উম্মাত তা পালন করতে পারবে না। আমি ফিরে গেলাম। আল্লাহ তা’আলা কিছু অংশ কমিয়ে দিলেন। আমি মূসা (‘আঃ)-এর নিকট পুনরায় গেলাম আর বললামঃ কিছু অংশ কমিয়ে দিয়েছেন। তিনি বললেনঃ আপনি পুনরায় আপনার রবের নিকট ফিরে যান। কারণ আপনার উম্মাত এটিও আদায় করতে পারবে না। আমি ফিরে গেলাম। তখন আরো কিছু অংশ কমিয়ে দেয়া হল। আবারো মূসা (‘আঃ)-এর নিকট গেলাম, এবারো তিনি বললেনঃ আপনি পুনরায় আপনার প্রতিপালকের নিকট যান। কারণ আপনার উম্মত এটিও আদায় করতে সক্ষম হবে না। তখন আমি পুনরায় গেলাম, তখন আল্লাহ বললেনঃ এই পাঁচই (নেকির দিক দিয়ে) পঞ্চাশ (বলে গণ্য হবে)। আমার কথার কোন রদবদল হয় না। আমি পুনরায় মূসা (‘আঃ)-এর নিকট আসলে তিনি আমাকে আবারও বললেনঃ আপনার প্রতিপালকের নিকট পুনরায় যান। আমি বললামঃ পুনরায় আমার প্রতিপালকের নিকট যেতে আমি লজ্জাবোধ করছি। অতঃপর জিব্‌রীল (‘আঃ) আমাকে সিদরাতুল মুনতাহা [১] পর্যন্ত নিয়ে গেলেন। আর তখন তা বিভিন্ন রঙে আবৃত ছিল, যার তাৎপর্য আমি অবগত ছিলাম না। অতঃপর আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হলে আমি দেখতে পেলাম যে, তাতে রয়েছে মুক্তোমালা আর তার মাটি হচ্ছে কস্তুরী।


এ হাদিস প্রমাণ করে যে, জিব্রাইল (আঃ) সরাসরি ছাদের ছিদ্রপথ দিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে আকাশের দিকে উঠতে থাকেন; দরজা দিয়ে নয়।

অর্থাৎ কোরআনে সরাসরি মিরাজ সম্পর্কে বলা হয়েছে। আমরা সকলেই জানি যে মক্কা থেকে মসজিদুল আকসায় ভ্রমণ মেরাজের রাঁতেই ঘটেছিলো। এছাড়া অনেক হাদীস এ সরাসরি মেরাজের ঘটনার উল্লেখ আছে (যেমনঃ Sahih Bukhari, Volume 5, Book 58, Number 227, Sahih Muslim, Book 001, Number 0309, Sahih Bukhari, Volume 5, Book 58, Number 228 and so on)

তাই কোনো ভাবেই কোনো মুসলিমের মিরাজ এর ঘটনা অস্বীকার করা উপায় নেই। কারণ ইসলামের সবচেয়ে অথেন্টিক সোর্স কোরান ও হাদীস এ মিরাজ সম্পর্কিত আলোচনা রয়েছে।

অতএব আমরা মেনে নিতে পারি এই অব্দি ঘটনা কোরআন দিয়ে সত্য প্রমানিত ।

এখন দেখা যাক বাস্তব সত্য কি ?

১০| ২৮ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১২:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সিহা সিত্তার বাইরেও অনেক সহি হাদিস আছে।

রসুলের (সা) জমানাতেও অনেকে কিছু হাদিস লিখে রেখেছিলেন।

হযরত আলী, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস, হযরত আনাস ইবনে মালিক প্রমুখ সাহাবীগণ কিছু কিছু হাদীস লিপিবদ্ধ করে রাখতেন। হযরত আবূ হুরায়রা বলেন “আবদুল্লাহ ইবনে আমর ব্যতীত আর কোন সাহাবী আমার অপেক্ষা অধিক হাদীস জানতেননা। কারণ, তিনি হাদীস লিখে রাখতেন আর আমি লিখতাম না।” নবীর জীবদ্দশায় ইসলামী রাষ্ট্রের প্রশাসনিক বহু কাজকর্ম লিখিতভাবে সম্পাদনা করা হতো। বিভিন্ন এলাকার শাসনকর্তা, সরকারী কর্মচারী এবং জনসাধারনের জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে লিখিত নির্দেশ প্রদান করা হতো। তাছাড়া রোম, পারস্য প্রভৃতি প্রতিবেশী দেশসমূহের সম্রাটদের সাথে পত্র বিনিময়, ইসলামের দাওয়াত এবং বিভিন্ন গোত্র ও সম্প্রদায়ের সাথে চুক্তি ও সন্ধি লিখিতভাবে সম্পাদন করা হতো। আর ইসলামের নবীর আদেশক্রমে এই ধরণের যা লেখা হতো তাও হাদীসের অন্তর্ভুক্ত।

ইমাম বুখারির অনেক আগে থেকেই অনেকে হাদিস সংগ্রহের কাজে হাত দেন। তাই তৃতীয় হিজরির আগে হাদিস সংকলন হয়নি এই কথাটা ঠিক না। তবে ইমাম বুখারি প্রথম শুধুমাত্র সহি হাদিস সনাক্ত করে তা সংকলন করেন।

হিজরী প্রথম শতাব্দীর শেষভাগে সাহাবি ও তাবেয়ীগণ প্রয়োজন অনুসারে কিছু হাদীস লিপিবদ্ধ করেন। অতঃপর উমাইয়া খলিফা উমর ইবনে আব্দুল আযীয হাদীস সংগ্রহের জন্য মদীনার শাসনকর্তা আবু বকর বিন হাজম সহ মুসলিমবিশ্বের বিভিন্ন এলাকার শাসনকর্তা ও আলিমগণের কাছে একটি ফরমান জারী করেন যে, আপনারা মহানবী (সাঃ) হাদীসসমূহ সংগ্রহ করুন। কিন্তু সাবধান! মহানবী (সাঃ) এর হাদীস ব্যতীত অন্য কিছু গ্রহন করবেননা। আর আপনার নিজ নিজ এলাকায় মজলিস প্রতিষ্ঠা করে আনুষ্ঠানিকভাবে হাদীস শিক্ষা দিতে থাকুন। কেননা, জ্ঞান গোপন থাকলে তা একদিন বিলুপ্ত হয়ে যায়। এই আদেশ জারীর পর মক্কা, মদীনা, সিরিয়া, ইরাক এবং অন্যান্য অঞ্চলে হাদীস সংকলনের কাজ শুরু হয়। কথিত আছে যে, প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম ইবনে শিহাব যুহরী সর্বপ্রথম হাদীস সংগ্রহ এবং সংকলনে হাত দেন। কিন্তু তাঁর সংকলিত হাদীসগ্রন্থের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এরপর ইমাম ইবনে জুরাইজ মক্কায়, ইমাম মালিক মদীনায়, আবদুল্লাহ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাব মিসরে, আব্দুর রাজ্জাক ইয়েমেনে, আবদুল্লাহ ইবনে মুবারক খুরাসানে, এবং সূফিয়ান সাওরী ও হাম্মাদ ইবনে সালমা বসরায় হাদীস সংকলনে আত্ননিয়োগ করেন। এ যুগের ইমামগণ কেবল দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় হাদীসগুলো ও স্থানীয় হাদীস শিক্ষাকেন্দ্রে প্রাপ্ত হাদীসসমূহ লিপিবদ্ধ করেছিলেন। তাঁদের কেউই বিষয়বস্তু হিসেবে বিন্যাস করে হাদীসসমূহ লিপিবদ্ধ করেননি। এ যুগে লিখিত হাদীস গ্রন্থসমূহের মধ্যে ইমাম মালিকের “মুয়াত্তা” সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান প্রামান্য হাদীসগ্রন্থ। ইমাম মালিকের “মুয়াত্তা” গ্রন্থটি হাদীস সংকলনের ব্যাপারে বিপুল-উৎসাহ উদ্দিপনার সৃষ্টি করেছিল। এটি হাদীসশাস্ত্র অধ্যায়নে মুসলিম মণিষীদের প্রধান আর্কষণে পরিণত হয়েছিল। এরই ফলশ্রূতিতে তৎকালীন মুসলিম বিশ্বে সর্বত্র হাদীসচর্চার কেন্দ্র স্হাপিত হতে থাকে। ইমাম শাফঈ এর কিতাবুল “উম্ম” এবং ইমাম আহমাদ বিন হাম্বলের “মাসনাদ” গ্রন্থদ্বয় হাদীসের উপর গুরুত্বপুর্ণ গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত। অতঃপর হিজরী তৃতীয় শতাব্দীতে অনেক মুসলিম মণিষী বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রচুর হাদীস সংগ্রহ করেন। তন্মধ্যে বিখ্যাত হলেন ইমাম বুখারী, ইমাম মুসলিম, ইমাম আবূ দাউদ, ইমাম তিরমিজী, ইমাম নাসাঈ, এবং ইমাম ইবনে মাজাহ। এদের সংকলিত হাদীস গ্রন্থগুলো হলো সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম, সুনানে আবূ দাউদ, জামি’ আত-তিরমিযী, সূনানে নাসাঈ এবং সূনানে ইবনে মাজাহ্। এই ছয়খানা হাদীসগ্রন্থকে সন্মিলিতভাবে সিহাহ সিত্তাহ বা ছয়টি বিশুদ্ধ হাদীসগ্রন্থ বলা হয়। আব্বাসিয় যুগে হাদীস লিপিবদ্ধের কাজ পরিসমাপ্ত হয়।

২৮ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:২৯

তোফায়েল ইসলাম বলেছেন: মোহাম্মদ সাঃ এর ভাষ্য মতে তিনি মক্কা থেকে বোরাকে করে ২০০০ মাইল দূরে জেরুজালেম শহরের মসজিদুল আকসায় ভ্রমণ করেন, সেখানে তিনি দুই রাকাত সালাত আদায় করেন যাতে তার সাথে সকল পয়গম্বরেরা (১২৪০০০) শরীক হয়েছিলো।(Sahih Muslim, Book 001, Number 0309)।

মেরাজ গমন করেছিলেন ৬২০ খ্রিষ্টাব - ৬২১ খ্রিষ্টাব্দ এই দুই বছরের কোনো এক বছরে। কিন্তু মসজিদুল আকসার একটা ঐতিহাসিক সত্য হলো ব্যবিলনের সম্রাট দ্বিতীয় নেবুচ্যাডনেজার; সুলায়মান (আঃ) এর তৈরি স্থাপত্যগুলি ধ্বংস করেন (খ্রিষ্টপূর্ব ৫৮৬) ,

এরপরে এই স্থান রাজা হেরোড দ্য গ্রেটের সময় (২০৮ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে) সম্প্রসারিত হয়। মসজিদটি একটি প্লাটফর্মের উপর অবস্থিত যা হেরোডের প্রকৌশলীরা বিভিন্ন স্থানগত অবস্থা কাটিয়ে উঠার জন্য নির্মাণ করেছিলেন। সেকেন্ড টেম্পলের সময় বর্তমান মসজিদের স্থানটিতে রয়েল স্টোয়া ( প্রশাসনিক ভবন) ছিল।

পরবর্তীতে রোমানরা খিষ্টাব্দ ৭০ শতাব্দীতে জেরুজালেমের এই মসজিদ ধ্বংস করে দেয় এবং দেবতা জুপিটারের উপাসনার স্থানে পরিণত করেছিল। ৩১৫ খ্রিষ্টাব্দে খ্রিষ্টানে রূপান্তরিত রোমান সম্রাজ্জ এটিকে ময়লা ফেলার স্থানে পরিণত করে এবং এসময় ইহুদীরাও এটিকে তাদের পবিত্র স্থান বলে মনে করত না। তারপর থেকে প্রায় ৫০০ বছর তা বন্ধ ছিলো এবং খেলাফায়ে রাশেদিনের যুগে ইসলামের দ্বিতীয় খালিফা ওমর জেরুজালেম দখলের পর মসজিদুল আকসা দ্বিতীয়বার পুনর্নিমাণ করেন ৬৩৮ খ্রিষ্টাব্দে। সেখানে তিনি দুই রাকাত সালাত আদায় করলেন কেমনে ? ৫২২ বছর আগে থেকেই মসজিদুল আকসা রোমান রা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছিলো। এগুলো সব ঐতিহাসিক তথ্য।

উক্ত পয়েন্ট থেকে প্রশ্নঃ

৮। যদি মসজিদুল আকসা ধ্বংসই হয়েছিলো তাহলে মোহাম্মদ সাঃ স্বশরীরে সেখানে নামাজ আদায় করলেন কিভাবে?
৯। তখনকার সময়ে নির্মিত ছোট্ট একটা মসজিদে ১২৪০০০ পয়গম্বর একসাথে নামাজ আদায় করলো কিভাবে ?
যেখানে এই আধুনিক যুগে এসে বৃহদাকারে পূনঃনির্মান এবং সংস্কারের পরেও একসাথে ৫০০০০ লোক আটানো বা জমায়েত করা সম্ভব হয়না ।
১০। জেরুজালেমে যেহেতু আগে থেকে কোনো মুসলিম ছিলো না সেখানে মুসলিম দের প্রার্থনার জন্যে মসজিদ কিভাবে এলো? আর যদি সেটা ইহুদীদের টেম্পেল হয় তাহলে কোরানে সেটা মসজিদ বলার কারণ কি? টেম্পেলে নিশ্চই নামাজ আদায় করা সম্ভব নয়?
উইকিতে চেক করে নিতে পারেন যেখানে টেম্পেল হিসাবেই বলা হয়েছে ।
টেম্পেল মানে হচ্ছে মন্দির বা গীর্জা টাইপের যেটা হয়ে থাকে
পয়েন্ট - (গ)

নবী মোহাম্মদ নামাজ নিয়ে ফেরার পথে জিব্রাইল তাকে জান্নাত-জাহান্নাম ঘুরিয়ে দেখান। তিনি জাহান্নামে বিভিন্ন নারী পুরুষ ও তাদের প্রতি হওয়া শাস্তি ও শাস্তির বিভিন্ন কারণ বর্ণনা করেন অসংখ্য হাদিসে। এক হাদীসে বর্ণিত আছে নবী মোহাম্মদ জাহান্নামে অপরাধীদের মাঝে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক লোক দেখেছিলেন নারী।

এই পয়েন্ট থেকে প্রশ্নঃ

১১। কেয়ামতের পর মানুষের হিসাব নিকাশ হবে তারপরেই সকল মানুষ জান্নাত/জাহান্নে যাবে। কেয়ামতের আগেই কিভাবে কিছুলোক জাহান্নামে প্রবেশ করেছে?

এবার আমরা দেখবো মুহাম্মদের মেরাজের ব্যাপারে কোরআন হাদীস কি বলেঃ

সুরা বনি ইসরাইলের ১ম আয়াত দিয়ে শুরু করা যাকঃ

“পবিত্র ও মহীয়ান তিনি যিনি তাঁর বান্দাহকে রাতের বেলা ভ্রমণ করিয়েছেন মাসজিদুল হারাম থেকে মাসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার চারপাশকে আমি কল্যাণময় করেছি। তাকে আমার নিদর্শনাবলী দেখানোর জন্য, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।” (১৭:১)

উপরের আয়াতে কোন নাম না নিয়ে বলা হয়েছে ‘ আমার বান্দা’ । এর ঠিক পরের আয়াতেই সেই বান্দার নাম দেওয়া হয়েছে ।

“এবং আমি মূসাকে কিতাব দিয়েছি এবং তা বনী ইসরাঈলের জন্য পথনির্দেশ বানিয়েছি। যেন তোমরা আমাকে ছাড়া কোন কর্মবিধায়ক না বানাও। ” (১৭:২)

আয়াত ১৭:২ এ মুসা নবীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে । লক্ষ্যনিয় যে সুরার নাম করন করা হয়েছে সুরা বনি ইসরাইল – যা কিনা নবী মুসার কওম বা যাদেরকে ইয়াহুদি বলা হয়ে থাকে। তাই ১৭:১ এ ইসরা সম্পাদনকারী বান্দা বনি ইসরাইলের নবী হওয়াই যুক্তিযুক্ত ।

এবার দেখা যাক রাত্রিকালে ভ্রমণ বা আরবি শব্দ ইসরা কোরআনে কার সাথে সম্পৃক্ত করা হয়েছে ।

ক্রিয়া পদ ইসরা কোরআনে ৬ বার ব্যবহৃত হয়েছে ।
১৭:১ তে ১ বার যা আমরা উপরে দেখেছি , ২ বার তা নবী লুতের ক্ষেত্রে (১১:১৮ , ১৫:৬৫ )
এবং ৩ বার নবী মুসার ক্ষেত্রে (২০:৭৭, ২৬:৫২ , ৪৪:২৩ ) নবী মুহাম্মদের ক্ষেত্রে ইসরার কোন রেফারেন্স কোরআনের কোথাও নেই ।

নবীর মুসার ভ্রমণের কথা কোরআনের বহু জায়গাতে বিষদ ভাবে বর্ননা করা হয়েছে (২৮:২৯-৩২, ২০:৯-২৩ , ২৭:৭-১২)

তাই নবী মুসার রাত্রি কালে ভ্রমনের স্পষ্ট বর্ননা এর সাথে ১৭:১ ও ১৭:২ এর সরল সম্পর্ক খুজে পেতে কোন সমস্যা হয়না ।

উপরন্তু নীচের দুইটি আয়াত দ্বারা বোঝা যায় যে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) মিরাজে গমন করেননি ।

১-“ আর যদি তাদের উপেক্ষা তোমার উপর কঠিন মনে হয়, তাহলে যদি তুমি পার যমীনে কোন সুড়ঙ্গ অথবা আসমানে কোন সিঁড়ি অনুসন্ধান করতে, অতঃপর তাদের কাছে কোন নিদর্শন নিয়ে আসতে (তবে কর)। যদি আল্লাহ চাইতেন তিনি অবশ্যই তাদেরকে হিদায়াতের উপর একত্র করতেন। সুতরাং তুমি কখনো মূর্খদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না। ” ( ৬:৩৫)

২- “অথবা তোমার একটি স্বর্ণ নির্মিত গৃহ হবে, অথবা তুমি আকাশে আরোহণ করবে, কিন্তু তোমার আকাশে আরোহণ আমরা তখনও বিশ্বাস করবনা যতক্ষণ না তুমি আমাদের প্রতি এক কিতাব অবতীর্ণ করবে যা আমরা পাঠ করব। বলঃ পবিত্র আমার মহান রাব্ব! আমিতো শুধু একজন মানুষ, একজন রাসূল।” (১৭:৯৩)

দ্বিতীয়তঃ মিরাজের কল্প কাহিনী অনুসারে নবী মুহাম্মদ জান্নাত আর জাহান্নাম সব দেখে এসেছেন । কিন্তু কোরআনে মহান আল্লাহ্‌ জান্নাতকে গায়েব বা অদেখা বস্তু বলেছেন (১৯:৬১)
আর নবী মুহাম্মদের গায়েবের জ্ঞান নেই বলে নিশ্চিত করেছেন (৬:৫০) । তাই যুক্তিগত ভাবে কোরআন মতে নবী কোন ভাবেই জান্নাত দেখেননি ।

বল, ‘তোমাদেরকে আমি বলি না, আমার কাছে আল্লাহর ভান্ডারসমূহ রয়েছে এবং আমি গায়েব জানি না এবং তোমাদেরকে বলি না, নিশ্চয় আমি ফেরেশতা। আমি কেবল তাই অনুসরণ করি যা আমার কাছে ওহী প্রেরণ করা হয়’। বল, ‘অন্ধ আর চক্ষুষ্মান কি সমান হতে পারে? অতএব তোমরা কি চিন্তা করবে না’? (৬:৫০)

বাকী থাকল ১৭:১ এ বর্নিত ‘আল মাসজিদ আল হারাম ‘ ও ‘আল মাসজিদ আল আকসা’ এর ব্যপারটা । নবী মুসার সাথে এই দুই মাসজিদের সম্পর্ক কি ?

কোরআনে নবী মুসার ইসরা কোথায় থেকে শুরু হয়েছে ও কোথায় শেষ হয়েছে তা খুব পরিষ্কার ভাবে বলা হয়েছে ।

নবী মুসা মিশর থেকে পলায়ন করার পরে মিদিওয়ানে আসেন । (২৮:২২)

আমরা জানি যে মিদিয়ান আরব হেজাযের তাবুকে অবস্থিত । তাই নবী মুসা তাঁর জীবদ্দশাতে যে আরব ভূমিতে এসেছিলেন তাঁর স্বাক্ষ কোরআন বহন করে ।

আরো মজার বিষয় এই যে , নবী মুসা আরব ভূমিতে ৮/১০ হজ্জের সমকাল সময় অবস্থান করেছিলেন বলে কোরআন সাক্ষ দেয় (২৮:২৭ ) । আয়াতে বছর বা সাল নয় বরং ( থামানিয়া হিজাজিন) শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে । তাই নবী মুসা আরব ভূমিতে এসে ৮ থেকে ১০ বার হজ্জ করেছেন বলে প্রমাণিত হয় । সংগত কারনেই উনাকে হজ্জ করতে আল মাসজিদুল হারামেই যেতে হবে ।

২৮:২৯ এ জানা যায় যে নবী মুসা ৮/১০ হজ্জের মেয়াদ শেষ করে তাঁর পরিবার সহ ইসরা শুরু করে , তাই তাঁর ভ্রমণ যে আল মাসজিদুল আল হারাম থেকে শুরু হতে পারে তা যুক্তিযুক্ত ও কোরআনে পাওয়া উপাত্তের সাথে যথেষ্ট সামঞ্জস্যপূর্ন ।

ইসরা শুরু করার পর নবী মুসা যে যে জায়গাতে গিয়েছিলেন তাঁর নাম কোরআনে পাওয়া যায় । সেগুলো হল তুর পর্বত ( ২৮:২৯ ) , তোয়া উপত্যকা (২০:১২ , ৭৯:১৬ ) , মিশর (১০:৮৭) ।

মিশরে অবস্থিত তুর পর্বতের তোয়া উপত্যকাকে পবিত্র ও বরকত ময় বলা হয়েছে ( ২৮:৩০ , ২০:১২ , ৭৯:১৬) ।

তুর পর্বতের তোয়া উপত্যকাতে নবী মুসাকে আল্লাহর তরফ থেকে নিদর্শন দেখানো হয়েছে (২৮:৩১ , ২৮:৩২ ) ।

১৭:১ এ উল্লেখিত আল মাসজিদ আল আকসা এর আশেপাশের স্থানকে কে বরকতময় করা হয়েছে তা তুর পর্বতের তোয়া উপত্যকার সাথে মিলে যায় ।

১৭:১ ইসরাকারিকে নিদর্শন দেখানো হবে তা নবী মুসার সাথে মিলে যায় ।

ধাঁধার শেষ যে অংশটা বাকী থাকল তা হল , ১৭:১ এর মাসজিদুল আকসা কোথা থেকে আসল ?

মাসজিদ হচ্ছে সেই জায়গা যেখানে সালাত ( নামাজ) আদায় করা হয় । কোরআনের ১০:৮৭ তে আল্লাহ্‌ নবী মুসা , হারুন ও তাঁর অনুসারীদেরকে মিশরে তাদের ঘর সমূহকে ক্বেবলা তে রূপান্তরিত করে সালাত আদায়ের জন্য হুকুম দেন ।
৭:১৪৪ থেকে আমরা দেখতে পাই যে নবী মুসা ও তাঁর অনুসারীরা তুর পর্বতেই অবস্থান করছিল এবং সেখানেই সালাতের জন্য মাসজিদ বানিয়েছিল যা ১০:৮৭ তে বলা হয়েছে । এই মসজিদের নাম আল আকসা ।

তাই কোরআন কে গভীর ভাবে পর্যবেক্ষন করে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি যে , নবী মুহাম্মদের নামে যে ইসরা বা মিরাজের কাহিনী মুসলিম সমাজে প্রচলিত আছে তার কোন ভিত্তি নাই । বরঞ্চ ১৭:১ এর ইসরা কোরআন মতে নবী মুসার ইসরাকেই শক্তভাবে সমর্থন করে ।

ছাড়াও মিরাজের হাদিসে গণ্ডগোল-- মিরাজ সংক্রান্ত ৫ টি সহিহ হাদিসে ৫ টি স্ববিরোধী বর্ননা যা কোন সুস্থ মস্তিস্কে বিশ্বাস করা যায়নাঃ

উৎসঃ
১ম হাদিসঃ সহিহ বুখারি ৮/৩৪৯
২য় হাদিসঃ সহিহ বুখারি ১৯৮৮/২৯৮০(
৩য় হাদিসঃ সহিহ বুখারি ২১৫১/৩৬০৮
৪র্থ হাদিসঃ সহিহ মুসলিম ৭৩/৩০৮
৫ম হাদিসঃ সহিহ মুসলিম ৭৩/৩১২

২৮ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:৩৭

তোফায়েল ইসলাম বলেছেন: মক্কা থেকে প্রথমে জেরুজালেম যান , সেখানে বায়তুল মোকাদ্দসে ১,২৪,০০০ পয়গম্বরের সাথে ২ রাকাত নামাজ পড়েন ,যার ইমামতি করেন তিনি নিজে ( যদিও এখানে প্রশ্ন থেকে যায় যে, তিনি আল্লার কাছে পৌছানোর পরেই নামাজের অনুমতি পেয়েছিলেন,তাহলে সেখানে যাওয়ার আগেই তিনি কিভাবে ,কিসের নামাজ আদায় করলেন)

আসুন দেখি কুরআনের সরল সৌন্দর্য!

হাদিসের জটিলতায় যাওয়ার আগে কোরআনের সরল ও সম্পূর্ণ তা নিশ্চিত হওয়া যাক । সূরা আল-কামার চারবার 17 22 32 40 নং আয়াতে আল্লাহ আয়াতের পুনরাবৃত্তি করেছেন ।
আর আমি তো কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য অতএব কোন উপদেশ গ্রহণকারী আছে কি?

একটা সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি বা মাইন্ডসেট নিয়ে নিজে কোরান পরলেই দেখবেন সব জটিল প্রশ্নের সহজ উত্তর দেয়া আছে
কোরআন সম্পূর্ন পরিপূর্ণ বিস্তারিত তা নিয়ে আলোচনা করা যাক সূরা বাকারা আয়াত 2
এই সেই কিতাব, যাতে কোন সন্দেহ নেই, মুত্তাকীদের জন্য হিদায়াত।
সূরা শুয়ারা আয়াত 2<<
এগুলো সুস্পষ্ট কিতাবের আয়াত।
সূরা নূর 34
আর নিশ্চয় আমি তোমাদের কাছে নাযিল করেছি সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ এবং তোমাদের পূর্বে যারা চলে গেছে তাদের দৃষ্টান্ত ও মুত্তাকীদের জন্য উপদেশ।
সূরা ফুসসিলাত আয়াত 3
এমন এক কিতাব, যার আয়াতগুলো জ্ঞানী কওমের জন্য বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, কুরআনরূপে আরবী ভাষায়।
সূরা নাহল আয়াত 89
আর আমি তোমার উপর কিতাব নাযিল করেছি প্রতিটি বিষয়ের স্পষ্ট বর্ণনা, হিদায়াত, রহমত ও মুসলিমদের জন্য সুসংবাদস্বরূপ।

নবীজির মোজেজা সম্পর্কে অনেক ভিত্তিহীন বানোয়াট গল্প প্রচলিত থাকলেও আমাদের নবীজি সাঃ এর মজেজা ছিল কুরআন । কোরআন তার নিরবিচ্ছিন্ন অনুসারীদের এক যুগেরও কম সময়ে বেদুইন থেকে সারা পৃথিবীর প্রতিভা নিয়ে প্রমাণ করেছে । কোরআন সকল সন্দেহের ঊর্ধ্বে সাফল্যের চিরন্তর পথপ্রদর্শক কোরআনের শ্রুতি এবং ছন্দের সাথে শব্দ বাক্য এবং উপমা যুক্তি তাই কোরআনের স্বতন্ত্র বিস্ময় ।সংক্ষিপ্ত আবার সীমাহীন এখানে অনেকের হাদিস তাফসির কোরআন এর তাৎপর্য বলেছেন , কিন্তু কোরআনের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ তাৎপর্য বর্ণনা বিবরণ যাই হোক কোরআনের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারবে না।

পাঁচবার অজু করার দোয়া পাঠ করলে তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেওয়া হবে । বা টাকনুর নিচে কাপড় পড়লে সে জাহান্নামী এই হাদীসগুলো কোরআনের কোন কোন আয়াতের তাৎপর্য ব্যাখ্যা বলতে পারেন। ?

কোরআনের অতিরিক্ত ব্যাখ্যা যাদের প্রয়োজন তাদের সম্পর্কে সূরা আল ইমরানের 7 নং আয়াতে আল্লাহ পরিষ্কার করে দিয়েছে ।

তিনিই তোমার উপর কিতাব নাযিল করেছেন, তার মধ্যে আছে মুহকাম আয়াতসমূহ। সেগুলো কিতাবের মূল, আর অন্যগুলো মুতাশাবিহ। ফলে যাদের অন্তরে রয়েছে সত্যবিমুখ প্রবণতা, তারা ফিতনার উদ্দেশ্যে এবং ভুল ব্যাখ্যার অনুসন্ধানে মুতাশাবিহ্ আয়াতগুলোর পেছনে লেগে থাকে। অথচ আল্লাহ ছাড়া কেউ এর ব্যাখ্যা জানে না। আর যারা জ্ঞানে পরিপক্ক, তারা বলে, আমরা এগুলোর প্রতি ঈমান আনলাম, সবগুলো আমাদের রবের পক্ষ থেকে। আর বিবেক সম্পন্নরাই উপদেশ গ্রহণ করে।

এ আয়াতেরও কি ব্যাখ্যা লাগবে?
শুধু মুহকাম শব্দের অর্থটা একটু আপরিষ্কার । মুহকাম শব্দের মূলশব্দ হুকুম এটা বাংলায় ব্যবহৃত হয় । আমরা একমাত্র আল্লাহর হুকুম মানি । আল্লাহ কোরআনের কিছু আয়াত এ আমাদের হুকুম দিয়েছেন এই হুকুম সম্বলিত আয়াত বা মোকাম আয়াতগুলো সহজ এবং স্পষ্ট।

কুরআনে আল্লাহ বিভিন্ন উপমা উদাহরণ দিয়ে মানুষের সতর্ক করেছেন উদ্বুদ্ধ করেছেন কোরআনের আয়াতএ রূপক কিছু আয়াত শুধু নবীজির জন্য প্রযোজ্য নবীজির স্ত্রীদের জন্য প্রযোজ্য কিছু একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কিছু আয়াত কোন নির্দিষ্ট ঘটনার প্রেক্ষিতে নাযিলকৃত এই মুতাশাবিহ আয়াতগুলো অর্থ আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না ।

এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে জানার প্রয়োজন নেই। আমাদের সেগুলো কোরআনের অংশ হিসেবে বিশ্বাস করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। মুহকাম বা হুকম আহকাম সম্বলিত আয়াতগুলো এ কোরআনের মূল ।

আর এর বাইরে কোরআনের ভাষায় , যাদের অন্তরে রয়েছে সত্য বিমুখ প্রবণতা তারাপীঠ থানার উদ্দেশ্যে এবং ভুল ব্যাখ্যার অনুসন্ধানে মুতাশাবিহ আয়াতগুলোর পেছনে লেগে থাকে। আবাবিল পাখির পাথর নিক্ষেপের প্রকৃত ব্যাখ্যা আমরা জানি না। চন্দ্রকে দুখন্ডিত করা হয়েছে এর অর্থ যাদের জন্য প্রযোজ্য তারা বুঝেছে আমাদের এনিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনী রচনা আর কোনো প্রয়োজন নেই।

মেরাজ সম্পর্কে যত মেগাসিরিয়াল আমরা জানি তার ভিত্তি কোরআনের একমাত্র আয়াত সূরা ইসরা আয়াত ১
উপরোক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা উপরে আলোচনা করা হয়েছে। তাই আমাদের শুধু বিশ্বাস করব কথাটা আল্লাহ তথ্যসূত্র আল্লাহই ভালো জানেন। যেমনটা আল্লাহ বলেছেন-

আর যারা জ্ঞানের পরিপক্ক তারা বলে আমরা এগুলোর প্রতি ঈমান আনলাম সবগুলো আমাদের রবের পক্ষ থেকে আর বিবেকসম্পন্ন রাই উপদেশ গ্রহণ করে।

কোরআনে মেরাজ সম্পর্কে আর কোন কথা নেই কিন্তু আমরা এনে মস্ত বড় বড় কল্প কাহিনী কিচ্ছা কাহিনী বড় বড় কিতাব আজব গজব কাহিনী দিয়ে ভরপুর করে হাজার বছর ধরে মানুষকে শোনাচ্ছি নিজেও শুনছি ।

ধর্ম নিয়ে দিনভর বিতরকের বিষয় বস্তু এগুলো । অথচ এগুলো সোজা উত্তর এ গুলো নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর দরকার নেই এগুলো গুগলের টাইম এন্ড কন্ডিশন এর মত আপনাকে বুঝতে হবে না কিন্তু এ ক্লিক করতে হবে ।

কোরআনের সাথে হাদিসের কিছু নতুন সিদ্ধান্ত দেওয়ার বা কোরানের এই আয়াত বলা সম্পর্কে সূরা কাহাফ 27 নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে,
হে নবী আপনি করুন প্রভুর থেকে আপনার নিকট যা অবতীর্ণ হয়েছে শব্দগুলির কোন পরিবর্তন করেনি এবং আপনি কখনোই আল্লাহ ছাড়া কাউকে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে পাবেন না।
সুতরাং কোরআনের পরবর্তী আয়াত দ্বারা আগে আয়াত মানুষের বাতিল হয়ে গেছে এটাও কোরআন বিরুদ্ধ কথা।


আমার কথা শুনে যদি আপনি মনে করেন আমি হাদীস অস্বীকারকারী, তবে সেকথাটিও সত্য নয়। হাদীস বলতে আমরা প্রচলিত অর্থে যা বুঝি, সেই সকল সংকলন যেমন বুখারী, মুসলিম, ইবনে মাজাহ, আবু দাউদ, তিরমিযি, নাসাঈ, মুয়াত্তা এবং আরো অনেকগুলো সংকলন, যেগুলোতে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এগুলোর সংকলকরা অনেক কষ্ট করে এগুলো সংকলন করেছেন। কিন্তু একটা বিষয় কি স্পষ্ট নয় যে, এই সংকলনগুলো মানুষই সংগ্রহ, সংরক্ষণ, সংকলন বা রচনা করেছেন। কাজেই এই সংকলনগুলোতে ভুল বা সীমাবদ্ধতা থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। এখন কোনটা ভুল,কোনটা শুদ্ধ সেটা আমরা কেমন করে বুঝব? সেটাও সহজ। আল্লাহ আমাদের জন্য চির-সংরক্ষিত, সুস্পষ্ট মহাগ্রন্থ ও ফুরকা'ন দিয়েছেনে। এর মাধ্যমে আমরা হাদীস থেকে শুরু করে যেকোন বিষয়ের সত্য-মিথ্যা যাচাই করে নিতে পারবো। মহাগ্রন্থের বক্তব্যের সাথে যদি মিলে যায় তবে অবশ্যই নির্দ্বিধায় তা গ্রহণ করব, আর যদি মহাগ্রন্থে এ বিষয়ে কোন বক্তব্য না থাকে তাহলে সেটি আমাদের জন্য কি অপরিহার্য্য হবে? আর যদি মহাগ্রন্থের বক্তব্যের বিরোধী হয় তবে নির্দ্বিধায় তা বর্জন করবো।

কিন্তু সবার আগে এই মহাগ্রন্থটাতো আগে ভালোভাবে জানতে হবে তাই নয়কি? কুরআ'ন সম্পূর্ণ না পড়ে কি সেসম্পর্কে ভালো ধারণা পাওয়া যাবে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.