নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Theological students and writers

তোফায়েল ইসলাম

Theological students and writers

তোফায়েল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামি জীবন-ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নেই

২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:২৮



দ্বীন একটি আরবি শব্দ । কুরআনে শব্দটির দ্বারা একজন ন্যায়নিষ্ঠ মুসলিমের জন্য পালনীয় পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থাকে বোঝানো হয়েছে, যা কুরআন হতে প্রাপ্ত শিক্ষা, আদর্শ ও নির্দেশাবলী দ্বারা পরিচালিত হবে। ইসলামী শরীয়াহ আইনকেও অনেক সময় দ্বীন হিসেবে নির্দেশ করা হয়| কিছু মুসলিমের মতে, দ্বীন শব্দটির প্রয়োগ পরিসর হল শুধুমাত্র মুসলিমদের ধর্মীয় জীবন।

আল্লাহ তা‘আলা ইসলামকেই একমাত্র দ্বীন হিসাবে মনোনীত করেছেন। তিনি বলেন,إِنَّ الدِّيْنَ عِنْدَ اللهِ الْإِسْلاَمُ ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকটে একমাত্র মনোনীত দ্বীন হ’ল ইসলাম’ (আলে ইমরান ৩/১৯)। আর ইসলামের যাবতীয় বিধি-বিধান কোরআন নাযিল করেছেন। সুতরাং কোরআন একমাত্র চূড়ান্ত জীবন বিধান এবং তার মধ্যেই নিহিত রয়েছে সকল সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান।

যে কারণে ইসলাম গ্রহণের ব্যাপারে কাউকে জোর-জবরদস্তি করা যাবে না।
➡ দীন গ্রহণের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি নেই। নিশ্চয় হিদায়াত স্পষ্ট হয়েছে ভ্রষ্টতা থেকে। অতএব, যে ব্যক্তি তাগূতকে অস্বীকার করে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, অবশ্যই সে মজবুত রশি আঁকড়ে ধরে, যা ছিন্ন হবার নয়। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।সুরা বাকারা আয়াত ২৫৬

এই আয়াত নাযিল হওয়ার কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, আনসারদের কিছু যুবক ছেলেরা ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টান হয়ে গিয়েছিল। পরে যখন আনসাররা ইসলাম গ্রহণ করল, তখন তারা তাদের ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টান হয়ে যাওয়া সন্তানদেরকে ইসলাম গ্রহণের জন্য বাধ্য করতে চাইলে এই আয়াত অবতীর্ণ হল।

কোন কোন লোক প্রশ্ন করে যে, আয়াতের দ্বারা বোঝা যায়, দ্বীনগ্রহণে কোন বল প্রয়োগ নেই। অথচ দ্বীন ইসলামে জিহাদ ও যুদ্ধের শিক্ষা দেয়া হয়েছে? একটু গভীরভাবে লক্ষ্য করলেই বোঝা যাবে যে, এমন প্রশ্ন যথার্থ নয়। কারণ, ইসলামে জিহাদ ও যুদ্ধের শিক্ষা মানুষকে ঈমান আনয়নের ব্যাপারে বাধ্য করার জন্য দেয়া হয়নি। যদি তাই হত, তবে জিযিয়া করের বিনিময়ে কাফেরদেরকে নিজ দায়িত্বে আনার কোন প্রয়োজন ছিল না।

➡ আর যদি তোমার রব চাইতেন, তবে যমীনের সকলেই ঈমান আনত। তবে কি তুমি মানুষকে বাধ্য করবে, যাতে তারা মুমিন হয় ? সুরা ইউনুস আয়াত ৯৯
আল্লাহ যদি চাইতেন যে, এ পৃথিবীতে শুধুমাত্র তাঁর আদেশ পালনকারী অনুগতরাই বাস করবে এবং কুফর ও নাফরমানীর কোন অস্তিত্বই থাকবে না তাহলে তাঁর জন্য সারা দুনিয়াবাসীকে মুমিন ও অনুগত বানানো কঠিন ছিল না

➡কিন্তু মানব জাতিকে সৃষ্টি করার পেছনে তাঁর যে প্রজ্ঞাময় উদ্দেশ্য কাজ করছে এ প্রাকৃতিক বল প্রয়োগ তা বিনষ্ট করে দিতো। তাই আল্লাহ নিজেই ঈমান আনা বা না আনা এবং আনুগত্য করা বা না করার ব্যাপারে মানুষকে স্বাধীন রাখতে চান। [এ ব্যাপারে আরো দেখুন, সূরা হুদঃ ১১৮, ১১৯, সূরা আর রা’দঃ ৩১]

➡“আর আল্লাহ যাকে ফিতনায় ফেলতে চান তার জন্য আল্লাহর কাছে আপনার কিছুই করার নেই।” [সূরা আল-মায়িদাহ ৪১]
➡আরও বলেন, “আপনি যাকে ভালবাসেন ইচ্ছে করলেই তাকে সৎপথে আনতে পারবেন না। তবে আল্লাহই যাকে ইচ্ছে সৎপথে আনয়ন করেন এবং সৎপথ অনুসারীদের সম্পর্কে তিনিই ভাল জানেন [সূরা আল-কাসাস ৫৬]
➡ অনুরূপ আরও অন্যান্য আয়াতেও এসেছে, যেমন, সূরা আন-নিসা ৮৮, ১৪৩; সূরা আর-আরাফ: ১৭৮; সূরা আর-রা’দ: ৩৩; সূরা আল-ইসরা ৯৭; সূরা আল-কাহাফ: ১৭; সূরা আয-যুমার: ২৩; ৩৬; সূরা গাফির: ৩৩; সূরা আশ-শূরা ৪৪; ৪৬।

➡ আল্লাহ ইচ্ছে করলে তারা আল্লাহর অংশী স্থির করত না, (আসল শিক্ষা তাদেরকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, এখন তারা মানুক বা না মানুক) আমি তোমাকে তাদের উপর পাহারাদার পাঠায়নি (জোর করে আল্লাহর ‘ইবাদাত করিয়ে নেয়ার জন্য), আর তুমি তাদের পক্ষ থেকে কর্মসম্পাদনকারীও নও। সুরা আন-আম আয়াত ১০৭

➡ তুমি ক্ষমা প্রদর্শন কর এবং ভালো কাজের আদেশ দাও। আর মূর্খদের থেকে বিমুখ থাক।সুরা আরাফ আয়াত ১৯৯

➡ তোমাদের রব তোমাদের সম্পর্কে অধিক অবগত। তিনি যদি চান তোমাদের প্রতি রহম করবেন অথবা যদি চান তবে তোমাদেরকে শাস্তি দেবেন; আমি তোমাকে তাদের কর্মবিধায়ক করে প্রেরণ করিনি।সুরা বনি ইসরাইল আয়াত ৫৪

➡ নিশ্চয় আমি তোমার প্রতি যথাযথভাবে কিতাব নাযিল করেছি মানুষের জন্য; তাই যে সৎপথ অবলম্বন করে, সে তা নিজের জন্যই করে এবং যে পথভ্রষ্ট হয় সে নিজের ক্ষতির জন্যই পথভ্রষ্ট হয়। আর তুমি তাদের তত্ত্বাবধায়ক নও।সুরা যুমার আয়াত ৪১

➡ তোমাদের পথ ও পন্থা তোমাদের জন্য (সে পথে চলার পরিণতি তোমাদেরকেই ভোগ করতে হবে) আর আমার জন্য আমার পথ (যে সত্য পথে চলার জন্য আল্লাহ আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, এ পথ ছেড়ে আমি অন্য কোন পথ গ্রহণ করতে মোটেই প্রস্তুত নই)।সুরা কাফিরুন আয়াত ১০৯

➡“আমাদের কাজের ফল আমাদের জন্য এবং তোমাদের কাজের ফল তোমাদের জন্য”। [সূরা আল-কাসাস: ৫৫, আশ-শুরা: ১৫]।
➡“হে নবী! যদি এরা এখন আপনার কথা না মানে তাহলে বলে দিন, তোমরা যা কিছু করছে তা থেকে আমি দায়মুক্ত”। [সূরা আশ-শু'আরা: ২১৬]
➡“এদেরকে বলুন, আমাদের ত্রুটির জন্য তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে না এবং তোমরা যা কিছু করে যাচ্ছে সে জন্য আমাদের জবাবদিহি করতে হবে না। বলুন, আমাদের রব একই সময় আমাদের ও তোমাদের একত্র করবেন এবং আমাদের মধ্যে ঠিকমতো ফায়সালা করবেন।” [সূরা সাবা: ২৫–২৬]

বর্তমান যারা মনে করে থাকে যে, এখানে কাফেরদেরকে তাদের নিজ ধর্ম দ্বীনের উপর থাকার স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। তারা এটাকে ইসলামের উদারনীতির প্রমাণ হিসেবে পেশ করে থাকেন। নিঃসন্দেহে ইসলাম উদার। ইসলাম কাউকে অযথা হত্যা বা ক্ষতিগ্রস্ত করতে অনুমতি দেয় না। কিন্তু তাই বলে তাদেরকে কুফরী থেকে মুক্তি দিতে তাদের মধ্যে দাওয়াত ও দ্বীনের প্রচার প্রসার ঘটানো থেকে বিরত থাকতে বলেনি।
ইসলাম চায় প্রত্যেকটি কাফের ও মুশরিক ইসলামের ছায়াতলে এসে শান্তির বার্তা গ্ৰহণ করুক। আর এ জন্য ইসলাম প্রজ্ঞা, উত্তম উপদেশবাণী, উত্তম পদ্ধতিতে তর্ক-বিতর্ক ইত্যাদির মাধ্যমে আল্লাহর পথে আহবান করাকে প্রত্যেক মুসলিমের অবশ্য করণীয় বিষয় হিসেবে ঘোষণা করেছে। [দেখুন, সূরা আন-নাহল: ১২৫]

যারা এখানে এই আয়াত দ্বারা উদ্দেশ্য করে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ নামক কুফরী মতবাদকে জায়েয প্রমাণ করে । এটা নিঃসন্দেহে ঈমান আনার পরে কুফরী করার শামিল, যা মূলত কাফেরদের প্রতি উদারনীতি নয়।

আর এ সূরায় কাফেরদের দ্বীনের কোন প্রকার স্বীকৃতিও দেয়া হয়নি। মূলত আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি যারা ঈমান এনেছে তারা দ্বীনের ব্যাপারে কখনো তাদের সাথে সমঝোতা করবে না- এ ব্যাপারে তাদেরকে সর্বশেষ ও চূড়ান্তভাবে নির্দেশ দেয়া ।
এ সূরার পরে নাযিল হওয়া কয়েকটি মক্কী সূরাতে কাফেরদের সাথে এ দায়মুক্তি, সম্পর্কহীনতা ও অসন্তোষ প্রকাশের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে,
➡ “হে নবী! বলে দিন হে লোকেরা, যদি তোমরা আমার দ্বীনের ব্যাপারে (এখানে) কোন রকম সন্দেহের মধ্যে থাকো তাহলে (শুনে রাখো), আল্লাহ ছাড়া তোমরা যাদের বন্দেগী করছে। আমি তাদের বন্দেগী করি না। বরং আমি শুধুমাত্র সেই আল্লাহর বন্দেগী করি যার কর্তৃত্বাধীনে রয়েছে তোমাদের মৃত্যু।” [সূরা ইউনুস: ১০৪]
অন্য সূরায় আল্লাহ আরও বলেন,
➡ “হে নবী! যদি এরা এখন আপনার কথা না মানে তাহলে বলে দিন, তোমরা যা কিছু করছে তা থেকে আমি দায়মুক্ত”। [সূরা আশ-শু'আরা: ২১৬]

অন্যত্র বলা হয়েছে, “এদেরকে বলুন, আমাদের ত্রুটির জন্য তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে না এবং তোমরা যা কিছু করে যাচ্ছে সে জন্য আমাদের জবাবদিহি করতে হবে না। বলুন, আমাদের রব একই সময় আমাদের ও তোমাদের একত্র করবেন এবং আমাদের মধ্যে ঠিকমতো ফায়সালা করবেন।” [সূরা সাবা: ২৫–২৬]
অন্য সূরায় এসেছে, “এদেরকে বলুন হে আমার জাতির লোকেরা তোমরা নিজেদের জায়গায় কাজ করে যাও। আমি আমার কাজ করে যেতে থাকবো। শীঘ্রই তোমরা জানতে পারবে কার ওপর আসছে লাঞ্ছনাকর আযাব এবং কে এমন শাস্তি লাভ করছে যা অটল।" [সূরা আয-যুমার: ৩৯–৪০]।

আবার মদীনা তাইয়েবার সমস্ত মুসলিমকেও এই একই শিক্ষা দেয়া হয়। তাদেরকে বলা হয়েছে, “তোমাদের জন্য ইবরাহীম ও তার সাথীদের মধ্যে রয়েছে একটি উত্তম আদর্শ। (সেটি হচ্ছে) তারা নিজেদের জাতিকে পরিষ্কার বলে দিয়েছে, আমরা তোমাদের থেকে ও তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যেসব মাবুদদের পূজা করো তাদের থেকে পুরোপুরি সম্পর্কহীন। আমরা তোমাদের কুফরী করি ও অস্বীকৃতি জানাই এবং যতক্ষণ তোমরা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান না আনো ততক্ষণ আমাদের ও তোমাদের মধ্যে চিরকালীন শক্ৰতা সৃষ্টি হয়ে গেছে।” [সূরা আল-মুমতাহিনাহঃ ৪]

কুরআন মজীদের একের পর এক এসব সুস্পষ্ট বক্তব্যের পর যারা তোমাদের ধর্ম মেনে চলো এবং আমাকে আমার ধর্ম মেনে চলতে দাও- “লাকুম দীনুকুম ওয়ালিয়াদীন” এর এ ধরনের কোন অর্থের অবকাশই থাকে না।

বরং সূরা আয-যুমার এ যে কথা বলা হয়েছে, একে ঠিক সেই পর্যায়ে রাখা যায় যেখানে বলা হয়েছেঃ “হে নবী! এদেরকে বলে দিন, আমি তো আমার দ্বীনকে একমাত্র আল্লাহর জন্য নির্ধারিত করে তারই ইবাদাত করবো। তোমরা তাকে বাদ দিয়ে যার যার বন্দেগী করতে চাও করতে থাক না কেন।”
সুতরাং এটাই এ আয়াতের মূল ভাষ্য যে, এখানে কাফেরদের সাথে সম্পর্কচ্যুতি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এটাও লক্ষণীয় যে, পবিত্র কুরআনে একথাও আছে, “কাফেররা সন্ধি করতে চাইলে তোমরাও সন্ধি করা।” [সূরা আল আনফাল: ৬১]

যদি তোমরা তোমাদের দ্বীন নিয়ে সন্তুষ্ট থাক এবং তা ত্যাগ করতে রাজী না হও, তাহলে আমিও নিজের দ্বীন নিয়ে সন্তুষ্ট, তা কেন ত্যাগ করব? (لَناَ أَعْمَالُناَ وَلَكُمْ أَعْمَالُكُمْ) অর্থাৎ, আমাদের কর্ম আমাদের এবং তোমাদের কর্ম তোমাদের জন্য। (আল ক্বাস্বাস ৫৫ আয়াত) (তাছাড়া তোমাদের কর্ম ভ্রষ্ট এবং আমার কর্ম শ্রেষ্ঠ। আর অন্যায়ের সাথে কোন আপোস নেই।)

প্রত্যেককে নিজ নিজ কর্মের প্রতিদান ও শাস্তি ভোগ করতে হবে। উপরক্ত আয়াতের ভাব অর্থ থেকে বুঝা যায় ধর্ম পালনে আমারা স্বাধীন । আমি যদি কোরআন মেনে সেই অনুযায়ী জীবন চালাতে চাই । তাহলে আল্লাহ্‌ আমাকে সেই জন্য সাহায্য ( হেদায়াত ) করবেন ।
আবার আমি যদি কোরআন না মেনে অন্ন বিধান মেনে সেই অনুযায়ী জীবন চালাতে চাই তাহলে আল্লাহ্‌ আমাকে সেই কাজের জন্য সাহায্য করবেন ।

এখানে আল্লাহ্‌ সেই অঙ্গীকার করেছে তাই সিদ্ধান্ত আপনার আপনি কি চান

তাই মুমিন মুসলিম হিসাবে আপনি কোরআনের এই আয়াতের উপদেশ টি মেনে চলুন ।
➡ আর তিনি তো কিতাবে তোমাদের প্রতি নাযিল করেছেন যে, যখন তোমরা শুনবে আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বীকার করা হচ্ছে এবং সেগুলো নিয়ে উপহাস করা হচ্ছে, তাহলে তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা অন্য কথায় নিবিষ্ট হয়, তা না হলে তোমরাও তাদের মত হয়ে যাবে। নিশ্চয় আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদের সকলকে জাহান্নামে একত্রকারী।সুরা নিসা আয়াত ১৪০

এ আয়াতের মর্ম এই যে, যদি কোন প্রভাবে কতিপয় লোক একত্রিত হয়ে আল্লাহ তা'আলার কোন আয়াত বা হুকুমকে অস্বীকার বা ঠাট্টা-বিদ্রুপ করতে থাকে, তবে যতক্ষণ তারা এহেন গৰ্হিত ও অবাঞ্ছিত কাজে লিপ্ত থাকবে, ততক্ষণ তাদের মজলিশে বসা বা যোগদান করা মুসলিমদের জন্য হারাম। বাতিলপন্থীদের মজলিশে উপস্থিত ও তার হুকুম কয়েক প্রকার।
➡প্রথমতঃ তাদের কুফরী চিন্তাধারার প্রতি সম্মতি ও সন্তুষ্টি সহকারে যোগদান করা। এটা মারাত্মক অপরাধ ও কুফরী।
➡ দ্বিতীয়তঃ গৰ্হিত আলোচনা চলাকালে বিনা প্রয়োজনে অপছন্দ সহকারে উপবেশন করা। এটা অত্যন্ত অন্যায় ও ফাসেকী।
➡তৃতীয়তঃ পার্থিব প্রয়োজনবশতঃ বিরক্তি সহকারে বসা জায়েয।
➡চতুর্থতঃ জোর-জবরদস্তির কারণে বাধ্য হয়ে বা অনিচ্ছাকৃতভাবে বসা ক্ষমার যোগ্য।
➡পঞ্চমতঃ তাদের সৎপথে আনয়নের উদ্দেশ্যে উপস্থিত হওয়া সওয়াবের কাজ।

আয়াতের শেষে বলা হয়েছে, এমন মজলিশ যেখানে আল্লাহ্ তা'আলার আয়াত ও আহকামকে অস্বীকার, বিদ্রুপ বা বিকৃত করা হয়, সেখানে হৃষ্টচিত্তে উপবেশন করলে তোমরাও তাদের সমতুল্য ও তাদের গোনাহর অংশীদার হবে। অর্থাৎ আল্লাহ না করুন, তোমরা যদি তাদের কুফর কথা-বার্তা মনে প্রাণে পছন্দ কর, তাহলে বস্তুতঃ তোমরাও কাফের হয়ে যাবে। কেননা, কুফরী পছন্দ করাও কুফরী।
যেমন একটি হাদীসে এসেছে, ‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন এমন দাওয়াতে শরীক না হয়, যেখানে মদ পরিবেশন করা হয়।’’ (মুসনাদ আহমাদ ১/২০, ৩/৩৩৯)

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৩৩

সোনাগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশের কৃষক পরিবারের জমি কয়েক জেনারেশনের ভাইবোনদের মাঝে ভাগ-বাটোয়ারা হওয়ার ফলে, প্লটগুলো ছোট হয়ে যাচ্ছে, ইহা কি সমস্যা? ইসলামী কোন পদ্ধতিতে ইহার কোন সমাধান আছে?

২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৪১

তোফায়েল ইসলাম বলেছেন: পরিবার বড় হলে তাদের নিরাপদ বাসস্থানের জন্য জমি ত ভাগ বাটয়ারা করে দিতেই হবে । প্লটগুলো ছোট হয়ে যাচ্ছে তা ঠিক কিন্তু এই অল্প প্লটগুলো তে অধিক ফসল হচ্ছে । জনসংখ্যা বারছে খাদের চাহিদার সাথে উৎপাদন ও বারছে । বাকি যে সমস্যা গুলো হচ্ছে তা আমাদের সমাজ সংস্কারের গাফেলতির কারনে হচ্ছে । এর জন্য আমরা নিজেরাই দায়ি ।

২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৪৬

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি বলছেন, জমির প্লট ছোট হলেও, অধিক ফসল হওয়াতে কোন সমস্যা হচ্ছে না, সঠিক?

২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৫৬

তোফায়েল ইসলাম বলেছেন: জি

৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৫৯

সোনাগাজী বলেছেন:



ভালো ধারণা!

২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:০১

তোফায়েল ইসলাম বলেছেন: আপনার কাছে কি মনে হয় ? এই বিষয়ে আপনার মতামত কি ?

৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:২৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অসাধারণ,
খুব ভালো লাগলো আপনার
কোরান হাদিসের ব্যখ্যা।

আচ্ছা আপনি কোন বিষয়
নিয়ে পড়া লেখা করছেন?

২৮ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:০২

তোফায়েল ইসলাম বলেছেন: পড়া লেখা করেছি করছি মাদ্রাসা + জেনারেল উভয়ে চলছে ,
শিক্ষা জীবনের শুরুতে মাদ্রাসা শিক্ষার সূত্র ধরে ও ব্যক্তি জীবনে পরিচিত এবং প্রচলিত ধর্মচর্চার বিপত্তি এবং ধর্মীয় বিধান প্রবিত্র কোরআনের সাথে বৈপরিত্য সম্পর্কে ব্যক্তি গত উপলব্ধি থেকেই এই বইটি লেখার আগ্রহ জাগে । সকল মুসলিমদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও কাঙ্ক্ষিত জান্নাত লাভের যে প্রচেষ্টা । তারই সহজ সরল ও সঠিক যে পথ সয়ং জান্নাতের মালিক দিয়ে দিয়েছে , সে পথে সকল বিশ্বাসীদেরকে ভিন্ন, ভ্রান্তপথ থেকে কোরআনের সহজ সরল পথে আসার জন্যই বইটি লিখা ।

৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৩৬

সোনাগাজী বলেছেন:


আার ধারণা, জমির প্লটের আয়তন খুবই ছোট হলে, সেটাতে রেগুলারভাবে চাষ হয় না; সামান্য তরি-তরকারীর চাষ হয়, উহাকে বর্গা দেয়া যায় না, লীজ দেয়া যায় না; মালিক নিজেও উহাতে চাষ করতে উৎসাহ পায় না। এই অবস্হা থেকে বের হওয়ার উপায় হচ্ছে, সমবায় খামার করে, পাশাপাশি জমিগুলোকে একসাথে চাষ করা।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:১৩

তোফায়েল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তবের জন্য ,
দেখুন আজ থেকে ১৫/২০ বছর আগে মানুষ কম ছিল জমি বেশি ছিল আবাদ কম ছিল সেই একি জমিতে এখন দেখুন ৫০ সতকে (জমিতে) ধান আবাদ হয় যে এলাকায় ৪০/৪৫ মন । আবার অন্য এলাকায় আবাদ হয় ৩০ সতকে ৪০/৪৫ মন । পিছনে ফিরে যান আগে সবজি খেতে পেতাম কয়টা সিজনাল আর এখন কয় টা ।

আল্লাহ্‌ বলেছে , তোমরা জমিনে (পৃথিবীতে) ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ (জীবিকা) তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা (জীবিকা উপার্জনে) সফলকাম হও।' (সুরা জুমআ : আয়াত ১০)

চাহিদা অনুযায়ি মানুষ উন্নত আধুনিক কৃষি করছে নতুন নতুন সিস্টেম আবিষ্কার করছে চাহিদা অনুযায়ী খাদ্দের জগার হচ্ছে কমতি হচ্ছে । এখন ছাদ কৃষি বারছে একি গাছে ২ রকম ফল নিচে আলু উপরে টমেটো ইত্যাদি । এখনও যে পরিমাণ ফসল হচ্ছে তা দেশের চাহিদার থেকেও বেশি হচ্ছে ।

৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৭:১৮

এভো বলেছেন: ভাই আপনি যে সুরা গুলোর রেফারেন্স দিলেন, সব গুলো মানুসুখ হয়ে গেছে সুরা তওবার ৫ আয়াত নাজিল হওয়ার পর ।

সুরা তওবার ৫ নং আয়াত -- অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

তাদের হত্যা করার কথা বলা হয়েছে -- যদি তারা তওবা করে , নামাজ কায়েম করে , যাকাত আদায় করে ---- অর্থাৎ তারা যদি মুসলমান হয়ে যায় তাহোলে ছেড়ে দিতে হবে এবং যদি মুসলমান না হয় তাহোলে হত্যা করতে হবে । ইসলাম ধর্ম গ্রহন করলে বেচে যাবে , না করলে মেরে ফেলে দেওয়ার নির্দেশ আছে এই আয়াতে ।
বাচতে চাও তো ইসলাম ধর্ম গ্রহন কর , না করলে মৃর্তু ।
এই আয়াত নাজিল হয়েছিল মহানবীর মৃর্তুর কয়েক মাস আগে । কোন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নহে , মক্কার কাফেরদের উদ্দেশ্যে , তখন মক্কা মদিনা সহ গোটা আরব মুসলমানদের দখলে । কারো মুসলমানদের বিরুদ্ধে একটা টু শব্দ করার ক্ষমতা ছিল না ।


২৮ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২২

তোফায়েল ইসলাম বলেছেন: আমরা যদি আধুনিক রাস্ট্র ব্যাবস্থার দিকে তাকাই তবে দেখতে পাই বিভিন্ন অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে জরুরি আইন জারি হয়। পরবর্তিতে অবস্থা পরিবর্তন হলে জরুরী অবস্থার জন্য নির্ধারিত নির্দেশনা বাতিল করা হয়।
এই নির্দেশনা কখনো হয় স্বল্প সময়ের জন্য আবার কখনো হয় অনিদৃষ্ট সময়ের জন্য।
উদ্দেশ্য থাকে এই যে, বিশেষ আইনের মাধ্যমে সেই বিশেষ সময়ের অবস্থার পরিবর্তন করা।
আল্লাহ তায়ালা অনেক সময় কিছু কিছু বিধান জারি করেন শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সময়ের জন্য।কেননা,অনেক সময় অবস্থার তাগিদে জরুরী ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রকার নির্দেশ জারি করা লাগে।পরে সে নির্দেশটাকে আবার সরিয়ে নেয়া হয়। এ ধরনের অবস্থায় কখনো বলা হয় এ নির্দেশটা অমুক দিন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে আবার কখনো দিনক্ষণ মানুষের কাছ থেকে গোপণ রাখা হয়। এটা জানা থাকে কর্তৃপক্ষের। সময় শেষ হয়ে গেলে তারা এ নির্দেশকে অকার্যকর ঘোষণা করে।

উদাহরণ স্বরূপ- আল্লাহ তায়ালা চান মানুষ রোজা রাখবে। তখন বললেন: তোমরা রোজা রাখ। কতদিন রোজা রাখবে তা বলা হয়নি। কিন্তু, আল্লাহ তায়ালা চান না যে, ব্যক্তি সব সময় রোজা রাখুক। তাই, একমাস পরে বললেন: এখন রোজা বন্ধ কর।
আর যদি বলতেন: তোমরা একমাস পর্যন্ত রোজা রাখ তাহলেও যথেষ্ঠ হত।কোন সমস্যা ছিল না।আর কেউ কোন অভিযোগও করত না।


আবার যদি মদ হারাম করার প্রক্রিয়ার দিকে তাকাই তবে দেখি আল্লাহ্‌ প্রথমে বলেন নেশা/মদ অশ্লীল কার্জ।এরপরে বলেন নামাজের সময় মদ্যপ না থাকার জন্য।
সর্বশেষ নির্দেশ দেন সকল মদ ও নেশা জাতীয় দ্রব্য পরিত্যাগের জন্য।
অর্থাৎ একে হারাম করা হয়।
যদি এই নির্দেশনাকে গভীরভাবে পর্যালোচনা করি তাহলে দেখি এই পর্যায়ক্রমিক নির্দেশনা এক মহা প্রজ্ঞাবান স্রষ্টার অসাধার প্রজ্ঞার পরিচয় বহন করে।

আল্লাহ্‌ চাইলে প্রথমেই বলতে পারতেন "মদ,নেশা জাতীয় দ্রব্য হারাম"! কিন্তু এই নির্দেশ পালন করা বান্দার জন্য কঠিন হয়ে যেত। তাই পর্যায় ক্রমে নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে তিনি তার আইন বাস্তবায়ন করেছেন বান্দার সুবিধার্থে!

এখন কেউ যদি বলে পর্যায়ক্রমে বাতিল করলেন কেন, একবারে বাতিল করলেননা কেন?
তবে কি সে জ্ঞানহীনতার পরিচয় দিবেনা?

আপনি যে আয়াতটি দিয়েছেন , তার পরের আয়াতটি পড়ে দেখুন । সুরা তওবা শুরু থেকে শেষ অব্দি পড়ুন আপনার প্রশ্নের উত্তর আপনি নিজেই পেয়ে যাবেন ।
<<
যদি মুশরিকদের কেউ তোমার কাছে আশ্রয় চায়, তাহলে তাকে আশ্রয় দাও, যাতে সে আল্লাহর কালাম শুনে,তারপর তাকে তার নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দাও। এটা এজন্য করতে হবে যে, এরা এমন এক সম্প্রদায় যারা (ভাল-মন্দ, সত্য-মিথ্যা সম্পর্কে) অজ্ঞ। ৯:৬

৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:২৯

অগ্নিবেশ বলেছেন: ইসলামি জীবন-ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নেই - এরা কারা? এরা কি নয়া ধর্ম প্রচার করতে চায়? এরা কি কোরান হাদিস বোঝে?? এদের ইমান আকিদা কিচ্ছু নেই, ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা চালু থাকলে এই সব উলফাল প্রচারের জন্য একটারো কল্লা থাকত না।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৩

তোফায়েল ইসলাম বলেছেন: কল্লা কাটার বিধান যারা মানে তারা আবার কোন ইসলাম এর অনুসারি ! ?

৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৪৮

এভো বলেছেন: আপনি যে আয়াতটি দিয়েছেন , তার পরের আয়াতটি পড়ে দেখুন । সুরা তওবা শুরু থেকে শেষ অব্দি পড়ুন আপনার প্রশ্নের উত্তর আপনি নিজেই পেয়ে যাবেন ।

আপনি ১ নং আয়াত থেকে ৬ নং আয়াত টুকু পড়ুন -- সব ক্লিয়ার হয়ে যাবে ।
১ম আয়াতে আল্লাহ ও রসুলের পক্ষ থেকে এক তরফা ভাবে চুক্তি বাতিল করা হয়েছে মুশরিকদের কতকগুলো গোত্রের সাথে এবং ৫ নং আয়াত ঐ গোত্রের মুশরিকদের ব্যপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে --- তাদের ধর মারো , ইসলাম গ্রহন করলে ছেড়ে দাও ,,, তার মানে জোড় জবরদস্তি ভাবে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করতে বাধ্য করা এবং এই ঘটনা যুদ্ধের পটভূমিতে নহে ।

৬ নং আয়াতে ঐ সমস্ত মুশরিকদের ব্যাপারে বলা হয়েছে , যাদের সংগে এখন যুক্তি বহাল আছে তাদের ব্যপারে ( ৪ নং আয়াতে বলা হয়েছে) । তাদের সাথে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেই --- ৫ নং আয়াতের নির্দেশ তাদের উপর বলবত হবে।

৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৪৬

জ্যাকেল বলেছেন: অবিশ্বাসীরা ত্যানা পেচিয়ে সরলমনা মুসলমান জনসাধারণকে ধোঁকা দেয়। এই যেমন কুচক্রী ইয়াহুদী গোত্র থেকে বারংবার নবী সাঃ এর বিরুদ্ধে মক্কার কাফেরদের সাথে ও অন্যান্য বৈরি শত্রুর সাথে বিশ্বাসঘাতকতার শাস্তি দেওয়া হলে তারা বলে যে একতরফা নাকি চুক্তি বাতিল করা হইয়াছে। অথচ ফ্যাক্ট হল চুক্তি অনুসারে তারা বহিঃ শত্রুর সাথে গোপনে সম্পর্ক করার কথা না। এখন ঘরে বসে যদি আপনে ঘরের মানুষের পিছে ছুরিকাঘাত করেন তার চাইতে বড় চুক্তি ভংগ আর কি হইতে পারে?
আর চুক্তি ভংগ করলে শাস্তি পেতেই হবে সে কথা অবধারিত। তাও এক বার না একশো একবার এই অবিশ্বাসীরা চুক্তি ভংগ করেছিল।

১০| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:০৭

এভো বলেছেন: জ্যাকেল বলেছেন

একতরফা নাকি চুক্তি বাতিল করা হইয়াছে।


সুরা তাওবাহ আয়াত -- ১ সম্পর্কচ্ছেদ করা হল আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পক্ষ থেকে সেই মুশরিকদের সাথে, যাদের সাথে তোমরা চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলে ।

চুক্তি আল্লাহ ও রসুলের পক্ষ হতে এক তরফা ভাবে কি বাতিল করা হয় নি ?

অথচ ফ্যাক্ট হল চুক্তি অনুসারে তারা বহিঃ শত্রুর সাথে গোপনে সম্পর্ক করার কথা না। এখন ঘরে বসে যদি আপনে ঘরের মানুষের পিছে ছুরিকাঘাত করেন তার চাইতে বড় চুক্তি ভংগ আর কি হইতে পারে?
আর চুক্তি ভংগ করলে শাস্তি পেতেই হবে সে কথা অবধারিত। তাও এক বার না একশো একবার এই অবিশ্বাসীরা চুক্তি ভংগ করেছিল।

আজাইড় কথা বলার কি জায়গা পান না ? মহা নবী মারা যাওয়ার কয়েক মাস আগে এই আয়াত নাজিল । কোন যুদ্ধ ছিল না । গোটা আরব মুসলমানদের দখলে , সবাই নবীকে তোয়াজ করে চলছিল আশে পাশের আরব এলাকায় যাতে তাদের উপর কোন আক্রমণ করা না হয় ।
মক্কার মুশরিকারা ভয়ে অতংক অবস্থায় ছিল । কোন যুক্তি ভংগ করার বুকের পাটা মক্কা মদিনা তো বটে আশে পাশের মুশরিকদের ছিল না ।
তারা কোন চুক্তি ভংগ করে নি --- চুক্তি বাতিল করা হয়েছে আল্লাহ ও রসুলের পক্ষ হতে । কারন ? কারন ? কারন ?? কি জানেন ?
হাদিসটা পড়েন নি ? যেখানে বলা হয়ে --- মক্কা মদিনা হতে সব অমুসলিমদের বিতারিত কর । --- ঐ সময়ে কোন মুশরিকের ক্ষমতা ছিলনা ইসলামের বিরুদ্ধে টু শব্দ করার ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.