নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

হে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী লিখুন গণতন্ত্রের নতুন সংজ্ঞা।

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫

ক্ষমতায় থাকা আর ক্ষমতায় যাওয়ার দ্বৈরথের চাকায় চিড়েচেপটা একটি জাতি। যার নেতারা সব ধোয়া তুলশী পাতা। কথায় পারঙ্গম তারা নির্ভেজাল-নিষ্কলুষ সব। দেশ রক্ষার মহান ব্রত নিয়ে নেমেছেন মাঠে শিকেয় তুলে শিক্ষার্থীর শিক্ষা। সাধারণের মৌলিক অধিকার হরণ করে, দিনমজুরের পেটে লাথি মেরে তারা গণতন্ত্রে পেট ভরান। হে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী লিখুন গণতন্ত্রের নতুন সংজ্ঞা।



বিরোধী দলের পোষ্য আর সরকারী দলের এজেন্ট। কে যে পোড়ায় আর কেই-বা ভাঙ্গে। কে যে মারে অকাতরে। ধুলায় মিশিয়ে দেয় গরীবের শেষ সম্বল কে রাখে খোজ তার। কে করবে এর বিচার? কে খুঁজে বের করবে প্রকৃত দায়ীদের? সেই মানুষটাও নেই আমাদের।



সরকারের একগুঁয়েমি আর বিরোধীদলগুলোর এক দাবী তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল ও পুনর্বহালের এই দ্বিমুখী অবস্থানের কারণে এমনিতেই একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছিল বহুদিন ধরে। সেইসাথে গোদের উপর বিষফোড়া হয়ে দেখা দিয়েছে মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিচার এবং বিচারিক রায় নিয়ে একদিকে ব্লগারদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা সামাজিক আন্দোলন অন্যদিকে জামাতের স্বরূপে আবির্ভূত হওয়া। প্রমাদ গুনতে শুরু করেছে দেশের শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষ। হঠাৎই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠা এই পরিস্থিতির উপর ঘৃতাহুতি দিয়ে বিএনপি চরম দ্বায়িত্বহীনতার পরিচয় দিল। যার ফলশ্রুতিতে ডাকা একের পড় এক হরতালে জন দুর্ভোগ চরমে। প্রত্যক্ষ অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি এর যে সুদূরপ্রসারী প্রভাব পরছে তা আমাদের দেশপ্রেমিক(!) রাজনীতিবীদগনের মাথায়ই নেই।



থাকার কথাও নয়। তাদের সন্তানেরা লেখাপড়া করেনা যদি করে তাও দেশে নয়। তারা দেশে স্বাস্থ্য সেবা নেন না। তাদের সেকেন্ড হোম আছে। তাদের ব্যবসাও দেশের বাইরে। যারাও বা দেশে ব্যবসা পরিচালনা করেন সেই ক্ষমতাধরদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকে হরতালের আওতামুক্ত। তারা রাজনীতি নামক এমন এক ব্যবসায় লিপ্ত যেখানে কোন ক্ষতির আশংকা নেই। লাভজনক এ ব্যবসার পুঁজি উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সুনাম, আর এ ব্যবসার চালিকা শক্তি ক্রমাগত মিথ্যাচার আর জনগণের দোহাই।

ক্ষতি যা কিছু তা খেটে খাওয়া সাধারণ জনগণেরই। যারা এ দেশে জন্মে, এখানেই বাচে। যাদের প্রতিটি শ্রম সিদ্ধ ঘামের ফোটায় গড়ে উঠছে এ দেশ। ক্ষতির স্বীকার হচ্ছে তাদের সন্তান, সাধারণ শিক্ষার্থীরা। লাগাতার হরতালে রুটিন অনুযায়ী তারা পরীক্ষা দিতে পারছে না। তাদের লেখাপড়ায় চরম ব্যাঘাত ঘটছে। একদিকে সারাদেশে জামায়াত শিবিরের তাণ্ডব অন্যদিকে বিএনপি-জামাতের যুগপৎ হরতাল আহবান যেন মগের মুল্লুকেরই নির্দেশ করে।



এটা এমন একটি দেশ যেখানে যুক্তি চলেনা সবাই আবেগে ভর করে চলে । এখানে রাজনীতির লক্ষই ক্ষমতা। এখানে নেতারা মিথ্যে বলে বিভ্রান্ত করেন সাধারণ মানুষকে। এখানে গণতান্ত্রিক অধিকার খাটানো হয় সাধারণ মানুষকে জীবন্ত দগ্ধ করে। মানুষ এই অসুরত্বের ভয়ে ঘরে খিল এঁটে বসে থাকলে নেতারা নির্লজ্জের মত হেসে ওঠে বলে জনগণ সমর্থন করেছে। এখানে খুনিকে বাচাতে অবলীলায় খুন করা হচ্ছে শ’য়ে শ’য়ে মানুষ। এখানে শেখান হয় নেতাকে বাচাতে গিয়ে মরলে শহীদ বাঁচলে গাজী। এখানে নেতা প্রকাশ্যে বলেন আরও প্রাণ যাবে গণতন্ত্র (ক্ষমতা) আমার চাই। তারপরেও তাদের পদলেহনের তরে সুপুরুষদের(!) লম্বা লাইন। টক শো’তে সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী সুশীলদের কাছে তাদের দেশপ্রেম সন্দেহাতীত। এখানে মুক্তিযোদ্ধারা বিভ্রান্ত। ক্ষমতার মোহে ভ্রষ্টদের দলে ভিড়ে এক কালের সূর্য সন্তানও। তবে আর মগের মুল্লুক কেন বলি? বাংলা মুল্লুক বললেই না হবে যুতসই। এ ধরায় এক এবং অদ্বিতীয় একটি দেশ। স্বদেশ আমার প্রিয় মাতৃভূমি।



হরতালের আগেই রাজপথে বিক্ষোভ মিছিল জ্বালাও-পোড়াও-ভাংচুর-খুন সাথে নতুন সংযুক্তি চোরাগোপ্তা হামলা। বিপদের আশঙ্কায় অবিভাবকগন ভয় পাচ্ছেন ছাত্র-ছাত্রীদেরকে স্কুলে পাঠাতে। একাধিকার পিছানো হচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর চলতি পরীক্ষা।

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীরা কবে তাদের পরীক্ষা শেষ করতে পারবে জানে না। শিক্ষা জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ধাপটিতে আটকে পরেছে তারা। নিয়মিত বিরতিতে দেয়ার কথা যে পরীক্ষা তা দিতে হচ্ছে একই দিনে দুটি করে। তবু যদি এ পাঠ চুকে।



এই না দায়িত্ববান নেতৃত্ব! দায়িত্বশীল দল। এই না তাদের দেশপ্রেমের নমুনা। যারা শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দেন চলন্ত গাড়ীতে-বাসে-রেলে আগুন। পেট্রোল বোমায় ঝলসে দিতে পারেন মানুষ। এমনকি রিকশা-অটো ড্রাইভারকে পর্যন্ত মেরে ফেলছেন পেটের দায় মেটানোর অপরাধে। তাদের শেষ সম্বলটুকুও শেষ করে দিচ্ছে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ, নেত্রীর আশীর্বাদ পুষ্টরা। এই দেশপ্রেমিকরা ক্ষমতার জন্য এত সব করে। নিজেদের বাচাতে না জানি আরও কি করতে পারে। ইয়া আল্লাহ তুমি এই অসহায় জাতীকে উদ্ধার কর।



চক্ষুলজ্জা আজ তাদের নির্লজ্জ মিথ্যাচারে এতটুকু প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে না। কত সহজেই বলে দেন তারা গাড়ী পোড়াননি, তারা বোমাবাজি করেন নি, তারা মানুষ মারেননি। এ সব কি তবে এলিয়েনদের কাজ? নেতা বললে তাই সই। যারা চাঁদে দেখান নেতার চাঁদ মুখ খানা। আর তাই শুনে আমাদের মত গর্দভের দল জান বাজি যুদ্ধে নামি ভাইয়ের বিরুদ্ধে। আমরা কি আর নেতার কথায় সন্দেহ পোষণের মত কবিরা গোনাহ কোরতে পারি?

নেতারা মহান তারা হরতালের আওতামুক্ত রাখেন এ্যাম্বুলেন্স আর ডাক্তারের গাড়িতে ছোড়েন পেট্রোল বোমা।



মানবাধিকারের বুলি কপচানো এই হিটলার-মুসলীনীর প্রেতাত্মারা-আগুন দেয় বেইলি ব্রিজের পাটাতনে। ফিশপ্লেট খুলে ফেলে রেললাইনের মৃত্যুর শঙ্কায় ফেলে শঙ্কিত অসহায় মানুষ।



আমাদের নতুন প্রজন্মকে কি শেখাচ্ছেন আমাদের মহান নেতারা?

শিক্ষা নয় সন্ত্রাস। শান্তি নয় হিংসা। প্রগতি নয় ধংশ। এই যদি হয় রাজনীতির নীতি তবে সে নীতি হীনদের কোন প্রয়োজন নেই। নিপাত যাক ক্ষমতার জন্য করা এই রাজনীতি। নিশ্চিত হোক গন মানুষের মুক্তি।



[email protected]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.