নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
নেতা যা বলেন অনুসারীরা তাই আওড়ান। নেতা যে মহামানব নন তা তো স্বীকৃত। তিনি যে নিষ্কলুষ-নির্ভেজাল নন এটা কে না জানে? আর আমাদের সকল নেতার মানসিক কাঠামোও যে এক তাতেও কারো দ্বিমত আছে বলে মনে হয় না। তবু কেন এই অন্ধভক্তি? ছাত্র-শিক্ষক-পেশাজীবী-এমনকি সিভিল সোসাইটি প্রত্যেকেরই আছে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য রাজনৈতিক পরিচয়। যাদের কাছে নেতারা মহামানব বা তারও উপরের শ্রেণীগত কিছু। এরা নিজেরা যেমন সত্যি কথা বলেন না তেমনি সত্যকে স্বীকারও করতে চান না। আমাদের দেশে এই মুহূর্তে সবচেয়ে আকাল পক্ষপাতদুষ্ট হীন সত্য বলার মানুষের। এদের সংখ্যা এতটাই নগণ্য যে দলীয় নৈবদ্যের গগনবিদারী চিৎকারে তাদের কথা শোনাই দায়।
এই একনিষ্ঠ অনুসারীরা আবার দুইভাগে বিভক্ত। একদল তাদের লাঠিয়াল বাহিনী হয়ে কাজ করে। যাদেরকে অনেকে উচ্ছিষ্ট ভোগী বলেও সম্বোধন করে। অন্য দল তাদের একনিষ্ঠ ভক্ত। এরা এমনি ভক্ত যে, নেতার যে বয়স বেড়েছে, চুল পেকেছে, এখন মাঝে মাঝে তিনি ভুল বকেন। তা তারা জানেনই না। জানবেন কি করে। অসম্মান করা হবে ভেবে নেতার দিকে যে চোখ তুলে চাওয়াই হয়নি। আর ভুল? সে তো তিনি কস্মিনকালেও করতে পারেন না! এই দুই দল গর্দভের ঘারে চড়ে নেতা ভীষণ বিক্রমে চালান তার রাজ্যপাট।
এহেন মহানুভব নেতারা তাবৎ জনতাকে তাদের ছায়াতলে আশ্রয় দিতে প্রাণান্ত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন। যদিও তাদের হয়ে কাজ করতে পারবে না বলে এখনো কোলের শিশুটিকে দলভুক্ত করেননি। তাতে কি, তাদের মা-বাবার মাধ্যমে ইতিমধ্যেই বুকিং দিয়ে রাখতে ভুল করেননি। তাই বলা যায়, এই অবোধদের বাইরে আমরা প্রায় সবাই দলকানা।
অঙ্গ সংগঠনের নামে তারা আমাদের বশীভূত করে রেখেছেন অত্যন্ত সফলতার সাথে। এখন তারা চাইলেই পারেন দিক পরিবর্তন করতে। পূর্বকে-পশ্চিম, রাতকে-দিন, মিথ্যেকে-সত্য, দুর্নীতিকে-সুনীতি বলে দিব্যি চালিয়ে দিতে। তারা এমনি বশীকরণ করে রেখেছেন যে, এই দলকানার সন্তান যে বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না সে খবর তার নেই। তাঁর ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানটি যে বন্ধ, নেই সে হুসটুকুও । ঘরে খাবার নেই। বৃদ্ধা মা রোগে যন্ত্রনাকাতর অথচ চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত। আমরা দলকানারা তাও সয়ে যাই অবলীলায়।
নেতা বলেছেন, তাই দলকানার দল ককটেল-বোমা নিয়ে রাস্তায় নেমে পরে। হিতাহিত জ্ঞান শূন্য অসভ্য ইতরের দল অসহায় সাধারণ মানুষকে বিনা দোষে করছে রক্তাক্ত, বানাচ্ছে স্থায়ী পঙ্গু, পিটিয়ে মেরে ফেলছে পথচারীদের, পেট্রোল বোমায় ঝলসে দিচ্ছে মানুষ। হায় এ কোন জাদুমন্ত্রে আজ আমরা এমন মোহগ্রস্ত!!
আপনার নেতারা আপনার সুবোধ সন্তানটিকে, আপনার সরল ভাইটিকে ক্রমে তৈরি করছে পেশাদার খুনিরুপে। আপনি দেখতে পাচ্ছেন না। আপনি তাকে শাসন করছেন না। আপনি বাধ সাধছেন না। কেন?
কারণ একটাই, আপনিও দলকানা।
আপনার বিবেক মরে গেছে। আজ আপনার ভাই যে গাড়ীতে পেট্রোল বোমা ছুড়ে মেরেছে সে গাড়ীতেই থাকতে পারত আপনার বাবা। যদি নাও থাকে অন্য কেউ একদিন আপনার বাবা, আপনার সন্তানকেও এভাবেই ঝলসে দেবে। আর সেটাই হবে তার প্রাপ্য। কে দায়ী? আপনি নন?
হাত জোড় করে বলছি উঠুন- জাগুন। জাগ্রত করুণ আপনার বিবেক। পরিচালিত হন নিজের বিবেক দারা। কারো কথা শোনার প্রয়োজন নেই, শুধু নিজের কথা শুনুন। আপনি আপনার কথা বলুন। সৃষ্টিকর্তা আপনাকে বোধ-বুদ্ধিসম্পন্ন হিসেবে তৈরি করেছেন। আপনি সৃষ্টির সেরা জীব। আর এই শ্রেষ্ঠত্বের নমুনা আপনার বিবেক। আপনি যদি তাকে কাজেই না লাগান, নিজেকে মানুষ বলে ভাবেন কি করে? নেতা বলেছেন আর আপনি নির্বোধের মত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন। কার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ। কি তার উদ্দেশ্য। আপনি জানেনই না। এটা সরলতা নয়। এটা নির্বুদ্ধিতা। আর এই নির্বুদ্ধিতার বলিও হচ্ছেন আপনি। এত এত জ’ন মারা গেল। কই আপনার নেতা তো দুরের কথা একজন পাতি নেতাও তো মরল না। কেন তারা মরেনা, একবার ভাবুন।
আপনার নেত্রী আদালতের ঘারে বন্ধুক রেখে স্বার্থ হাসিলের খেলা খেলে। তার নেতার কালো বিড়াল সাদা হয়ে যায় কোন যাদু মন্ত্রে? পদ্মার জলের সাদা কালোর বিভক্তি রেখার মতই স্পষ্ট যে পদ্মা সেতুর দুর্নীতি তাও আপনার মত দলকানাদের চোখে থাকে অস্পষ্ট। শেয়ার বাজারের ফটকাবাজ কারা? হল মার্ক, সোনালী ব্যাংক, বিসমিল্লাহ গ্রুপ আর চার হাজার কোটি টাকা কোন টাকাই নয়। দলকানাদের এ সব গায়েই লাগে না।
যে দেশের আইনে আপনার নেত্রীর বিচার হয়। সেই দেশের আইনকে আপনার নেত্রী প্রশ্নবিদ্ধ করছে একদল মানবতা বিরোধী অপরাধীর বিচারের প্রশ্নে। আপনার নেত্রী কি নিজের চেয়ে তাদের উচ্চতর শ্রেণীভুক্ত ভাবছেন? তা তো নয়। তাহলে কেন তিনি প্রশ্নবিদ্ধ করছেন? যে দেশের আইনে দেশের সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তির বিচার হতে পারে। সে দেশের আইনে দেশের সর্ব নিকৃষ্ট অভিযোগে অভিযুক্তের বিচার করা যাবে না কোন যুক্তিতে?
যারা তিনবার ক্ষমতায় এসে এদের বিচার না করে বরং মন্ত্রীর মর্যাদা দেন। তারাই যখন বলেন বিচার চান এটা কি বিশ্বাসযোগ্য?
পনের ষোল লক্ষ ব্লগারের গায়ে নাস্তিকতার তকমা লাগিয়ে দেন প্রজন্ম চত্বরকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এটা কি প্রহনযোগ্য?
কৃত কর্মকান্ডের দায়ে যাদের বিদেশে লুকিয়ে থাকতে হয়। আদালতের সম্মুখিন হওয়ার সাহস নেই।
বিদেশী আদালতের নির্দেশে যাদের বিদেশী ব্যাংকে রক্ষিত অর্থ ফেরত আসে তাদের মুখে দুর্নীতি বিরোধী বক্তব্য কতটা শোভনীয়?
ইসলামের কথা বলে যারা মিথ্যার বেসাতি করে বেড়ায় আপনি তাদের রক্ষার্থে বুক পেতে দিচ্ছেন। তারা আপনাকে শহীদ বলে আখ্যায়িত করছে। শহীদের শর্ত কি মহাশয়?
পুলিশ আসামি ধরতে যাবে, আপনি বাধা দিবেন। এমনকি পুলিশকে ঘেরাও করে তাদের হত্যা করতে উদ্যত হবেন। কেন? পুলিশ কি কোন দলীয় ক্যাডার? এই পুলিশ প্রশাসনই কি আপনাকে নিরাপত্তা প্রদান করেনা? তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কেন এ আক্রোশ? পুলিশ প্রজাতন্ত্রের প্রহরী। পুলিশের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ মানে প্রশাসনের বিরুদ্ধে তথা প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান। আপনার এ অবস্থানের স্বপক্ষে দলকানা তত্ত্ব ছাড়া আপনার কাছে আর কি কোন ব্যাখ্যা আছে?
নেই, তাহলে কেন এই স্বেচ্ছা অন্ধত্ব বরন। কেন এই নির্বোধের মত আচরণ। যারা মিথ্যা বলে বিভ্রান্ত করে। যারা ক্রমাগত ওয়াদা বরখেলাপ করে। যারা শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে সাধারণ মানুষকে বর্ম হিসেবে ব্যবহার করে। জেনেশুনে কেন আপনি তাদের ক্রীড়নকে পরিণত হচ্ছেন?
দয়া করে এবার দলকানার অভিশাপ মুক্ত হন। দেশপ্রেমের আলোয় আলোকিত করুণ নিজেকে। সত্যকে সত্য বলুন। মিথ্যাকে পরিহার করুণ। যারা অন্যের অনিষ্টে সিদ্ধহস্ত। যারা শুধুমাত্র ক্ষমতার জন্য লালায়িত তাদের বর্জন করুণ। এ দেশটা আপনার-আমার, আমরা এ দেশের নাগরিক। কারো গোলাম নই। নিজের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমান নিজেকেই দিতে হয়। আর তা কারো গোলামী করে সম্ভব নয়। আত্ননির্ভরশীলতার সাথে আত্নসম্মানবোধে বলিয়ান হয়েই দিতে হয়।
[email protected]
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫
বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: লেখাটি দু'বার এসেছে
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, ঠিক করে দিলাম।
৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭
নট ডিফাইন বলেছেন: এভাবেই বাংলাদেশ একদিন পাকিস্তান হয়ে যাবে। যেটা আবার অনেক মানুষের সারাজীবনের স্বপ্ন!!!
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: যতই দোষ থাকুক না কেন চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে এ জাতি কখনোই ভুল করেনা। আপনার আশংকাও শিঘ্রই দুরিভূত হবে ইনশ্আল্লাহ।
৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে লালন গুরুর একখানা গান মনে পড়ে গেল..
এক কানা কয় আরেক কানারে
চল এবার ভবের পাড়ে
নিজে কানা পথে চেনে না
নিজে কানা পথ চেনে না
পরকে ডাকে বারংবার....
এতো দেখি কানার হাটবাজার.....
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: তবে কি অন্ধকারে হাতরে মড়াই শ্রেয়?
৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩০
মুক্ত মণ বলেছেন: সমস্যাটির গোড়া হচ্ছে সংকীর্ণ মানসিকতার। যিনি এ দলের, তার ক্ষমতা নেই নিজ দলের অন্যায়কে অন্যায় বলার্ যিনি বি দলের তার শুধু চোখে পড়ে এ দলের অন্যায়ের। দেশ মাতার স্বার্থ নয় নিজের প্রিয় দলকে ক্ষমতায় দেখতে পাওয়াই যেন জাতীয় জীবনের স্বার্থকতা। যিনি ধর্ম নিরপেক্ষ ব্যাক্তি হিসেবে পরিচিত হতে চান, তার চোখের সামনে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠির অনুভুতির মুল্য শুন্য। তার একমাত্র বিবেচনার বিষয় সংখ্যালঘুর স্বার্থ। যিনি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রধান্য দেন তিনি আইন প্রনয়নের সময় সামাজিক বৈচিত্রের কথা ভুলে যান।
প্রতি এলাকার প্রতিনিধি নিয়েই একটি বড় দল সংসদীয় নির্বাচন করেন। কিন্তু দেখুন সেখানে সৎ ভালো লোকের অবস্থান কোথায়? বুকে হাত দিয়ে বলুন তো আমাদের মন্ত্রী এমপিদের দু’ একজন বাদে বাকিদের নর্দমার কীটের সাথে তুলনা করলে ভুল বলা হবে কি না?
এরা নিজেরাও জানে যে তারা দেশটিকে বসবাসের অনুপোযুক্ত করে ফেলেছে। তাই নিজের পরিবারের সবার বন্দোবস্ত করে রেখেছে দেশের বাইরে। আবুল জনগনের এই সহজ জিনিসটা বোঝার ক্ষমতা হয়নি যে সত্যিকারের দেশপ্রেমিক হলে সবার সামনে সে অন্যদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করে বলত, জন্মেছি এই দেশে, মরণ-ও হবে এই দেশে। আমার সন্তান শিক্ষা নিবে এই দেশেরই সরকারী কলেজে। আমার বাই বোন সকলের আবাসভুমি এই দেশ। মন্ত্রী এমপি-দের এবং তাদের পরিবারের সবার চিকিৎসা হবে এই দেশের সরকারী হাসপাতালে। আমি এই দেশের নেতা, আমি সম্পুর্ণ আস্থা রাখি এই দেশের শিক্ষা, চিকিৎসা, পণ্যের উপর।
...হায় সবকিছু চলছে উল্টো পথে। আমাদের মন্ত্রী লন্ডনে নামে এমিরাটস –এর প্লেন থেকে। পিজি হাসপাতালের ভিসি প্রাণগোপাল দত্ত তার নিজের এ্যাপেন্ডিসাইটিসের অপারেশনের জন্য যায় অন্য দেশে.. ছি:
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: প্রান্তিক থেকে শির্ষ হী্নমন্যতাই আমাদের কাল হয়ে দারিয়েছে।
শুধুই আবেগে ভর করে চলা। শুধুই অপরের ছিদ্রান্বেষনে ব্যস্ত। শুধু মাথা পেতে নেয়া। জানতে না চাওয়া, বুঝতে না চাওয়া।
এমন অন্ধভক্তি এ কি বোধবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের আচরন?
৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫
িট.িমম বলেছেন: চরম সহমত
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩
মদন বলেছেন: +