নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিউ মিডিয়ায় তথ্য সন্ত্রাস রোধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুণ।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২৪



স্বাধীনতার বেয়াল্লিশ বছর পরে এসেও আমাদের ইতিহাস পুনরুদ্ধারের যুদ্ধে নামতে হচ্ছে। এ বড় লজ্জার। বোধ করি এর থেকেও বড় লজ্জার বিষয় হল; ইতিহাস বিকৃতি কারি অমানুষগুলি যখন বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়। পুনঃ পুনঃ মিথ্যে বলে সত্যকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। তখনও তাদের এই ঘৃণ্য কার্যকলাপকে আমাদের ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টা। আমাদের স্বাধীনতা আমাদের অহংকার। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তে ভেজা, লক্ষ লক্ষ মা-বোনের সম্ভমহানির বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে বিকৃত করার অপচেষ্টা শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানিরই নামান্তর।



ইতিহাসের একটি নিজস্ব গতি আছে। যাকে ইচ্ছে করলে কিছুটা শ্লথ বা সাময়িক সময়ের জন্য কিছুটা ভিন্ন পথে পরিচালিত করা গেলেও এক সময় সে পুনরায় তার আপন ছন্দে আপনার মত করেই চলতে শুরু করে। কিন্তু তাই বলে কেউ প্রতিকার হীনভাবে ইচ্ছেমত ইতিহাস বিকৃত করে সাময়িক সুবিধা আদায় করে নেয়ার চেষ্টা করবে তা তো হতে পারে না।



একটি জাতির জন্মের জন্য ‘ইতিহাস’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ইতিহাসই সে জাতির পথ নির্দেশক। একটি জাতির এগিয়ে যাওয়া নির্ভর করে তার ইতিহাস, কৃষ্টি- সংস্কৃতির সমৃদ্ধির উপর। ইতিহাস তাকে নিত্য করে অনুপ্রাণিত।



আর সে কারণেই প্রত্যেক জাতিগোষ্ঠীর উচিত তাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে স্বচ্ছ ও অ বিকৃতভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক সত্য হল, আমাদের দেশে সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের মৌলিক পরিবর্তন ঘটে। পালটে যায় পাঠ্যপুস্তক, ইতিহাস গ্রন্থ। নতুন প্রজন্ম এবং শিক্ষার্থী পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়তে গিয়ে হয় বিভ্রান্ত।



উদাহরণ স্বরূপ স্বাধীনতার ঘোষণা প্রসঙ্গটিতেই আশা যাক- সাহিত্যিক মাহবুব উল আলমের "বাঙ্গালীর মুক্তিযুদ্ধের ইতিবৃত্ত" এবং অনুপম প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বেগম মুশতারী শফির লেখা “স্বাধীনতা আমার রক্ত ঝরা দিন” গ্রন্থ থেকে জানা যায় ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ মধ্য রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অপারেশন সার্চলাইটের মাধ্যমে ঢাকা শহরের কয়েক হাজার নিরস্ত্র বাঙালি নিধন করে এবং একই সাথে শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পূর্বে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা এবং একটি সংক্ষিপ্ত বার্তা প্রদান করে যান। বার্তাটি ঢাকা ইপিআর ওয়ারলেস স্টেশন থেকে সিলিমপুর ওয়ারলেস স্টেশনের ইঞ্জিনিয়ার গোলাম রব্বানী ডাকুয়ার হাত দিয়ে চট্টগ্রামে পৌঁছে ২৫ শে মার্চ মধ্যরাতেই। তার পরেই পাকিস্তানীরা ইপিআর ওয়ারলেস ধ্বংস করে দেয়। ভোর হবার আগেই বার্তাটির শত শত কপি তৈরি হয়ে যায় একটা সাইক্লোষ্টাইল মেশিনের সাহায্যে। চট্টগ্রামের অনেক জায়গায় মধ্য রাত থেকেই মাইকে বার্তাটি প্রচার করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে ২৬ মার্চ দুপুর বেলা চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান চট্টগ্রামের কালুরঘাট ট্রান্সমিশান কেন্দ্র হতে প্রথমবারের মত স্বাধীনতার ঘোষণা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ঐ বার্তা পাঠ করেন। অনন্যা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এর লেখা “লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে” গ্রন্থ থেকে জানা যায় পরবর্তীতে একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে ২৭ মার্চ রাত ৮টায় এক নতুন লিখিত ও সম্প্রসারিত বক্তব্যের মাধ্যমে হঠাৎ এক সিদ্ধান্তে মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষ থেকে দ্বিতীয়বারের মত স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।



এই দ্বিতীয় ঘোষণাকেই ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বলতে গিয়ে বিএনপি আসলে যে কি বোঝাতে চাইছে বোধকরি তা তারা নিজেরাও জানে না। তারা বলতেই পারেন মেজর জিয়া বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। তারা তা বলছেন না। তারা এর মধ্য থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে দিচ্ছেন। তার মানে দাঁড়ালো জিয়াই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু নয়! তাহলে স্বাধীনতা যুদ্ধে তার ভূমিকা কেন একজন সেক্টর কমান্ডারের? মুজিব নগর সরকারেই বা তিনি কেন নেই? স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তো তারই দেশের হাল ধরার কথা। ধরলেন না কেন?



তিনি যদি “বঙ্গবন্ধুর পক্ষে” কথাটি না বলে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে থাকেন তাহলে তো সেই ধৃষ্টতার জন্য তার বিচার হওয়ার কথা। হয়েছিল? গর্তের মধ্যে নিজের মাথা রেখে যদি কেউ মনে করে তাকে কেউ দেখছে না। তাকে আর যাই হোক সুস্থ মস্তিষ্কের বলার উপায় নেই। প্রত্যেকেরই মাথায় রাখা উচিত। ঘটনা পরম্পরাই ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রক্ষাকবচ। যোগসূত্র বিশ্লেষণে সহজেই নির্ণীত হয় সত্য-মিথ্যা।



ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে স্বাধীনতার পড় থেকে এতটা সময় ধরে যারা এই কাজটি অবলীলায় করে এসেছেন এবং আজো করে চলেছেন। তাদের উপযুক্ত বিচার হওয়া উচিত। যারা স্বাধীনতা উত্তর প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করে। জাতীর জনককে জরিয়ে মিথ্যাচার করে তারা কিছুতেই এ দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী হতে পারেনা। এরা এ দেশের, এ জাতির শত্রু। ক্ষুদ্র দলিয় স্বার্থে দেশকে বিক্রি করে দেয়ার সুযোগও হয়ত তারা হাতছাড়া করবে না।



স্কুল-কলেজের পাঠ্যবই থেকে শুরু করে অনলাইন মিডিয়া সবক্ষেত্রেই মিথ্যা-বানোয়াট তথ্য সন্নিবেশিত করে একটি প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা বহুদিন ধরেই চলেছে। যারা এ কাজটি করেছে বা করে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে? দেশের সংবিধান রক্ষায় রাষ্ট্র যতটা সচেষ্ট দেশের ইতিহাস রক্ষায় ততটা কেন নয়? এ প্রশ্ন সচেতন সকল নাগরিকের।



পাঠ্য বইয়ে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে যেমন মিথ্যে তথ্য পরিবর্তন করে নতুনভাবে সঠিক তথ্য সন্নিবেশিত করা হয় অনলাইন মিডিয়াতে তা করা হয় না। অনলাইন মিডিয়ার পরিসর ব্যাপক। এখানে প্রতি মিনিটে অজস্র কনটেন্ট যুক্ত হচ্ছে। যার কিছু মডারেশনের আওতায় কিছু মডারেশনের আওতা বহির্ভূত। উভয় ক্ষেত্রেই ইতিহাস বিকৃতির সুযোগ পর্যাপ্ত। এর রোধ কল্পে প্রয়োজন অপরাধীদের সনাক্ত করে যথোপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এরই মধ্যে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং জাতির জনককে নিয়ে এই বিভ্রান্তির কারণে নতুন প্রজন্মের কাছে বেশ কিছু প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে যা অনভিপ্রেত।



যেমন-



১। স্বাধীনতা যুদ্ধ কার ডাকে শুরু হয়েছিল?



২। স্বাধীনতার ডাক দেয়া আর ঘোষণা দেয়া এক নয় কেন?



৩। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বে যারা ছিলেন বলে দাবী করা হয় মূলত তাদের অবদান কতটা?



৪। এটা কি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ছিল, নাকি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল।



৫। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কে ছিলেন?



৬। কেন ওসমানীর পরিবর্তে ইন্ডিয়ান জেনারেল সই সম্পাদন করলেন?



৭। বঙ্গবন্ধু কি সত্যিই আপোষহীন ছিলেন?



৮। বঙ্গবন্ধু কি আত্নরক্ষার্থে ধরা দিয়েছিলেন নাকি কৌশলগত কারণে?



৯। বঙ্গবন্ধু কি স্বাধীনতা চেয়েছিলেন না অখণ্ড পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন?



১০। বঙ্গবন্ধু কি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলেন না একনায়কতন্ত্রে?



এমন অনেক অবান্তর প্রশ্নের উদ্রেক করা হয়েছে। যাকে হালকা ভাবে নেয়ার কোন সুযোগ নেই। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরে মাঝে লুকিয়ে আছে এক এক টুকরো ইতিহাস। যার একটি ভুল উত্তর ইতিহাসকে বিকৃত করতে যথেষ্ট। এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাই করা হচ্ছে। এই সুক্ষ্ম ষড়যন্ত্রটি বহুদিন ধরে চলছে, যা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে এই ষড়যন্ত্রের পুরো প্রক্রিয়াটি চালান হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ব্লগ তথা অনলাইন মিডিয়ার মাধ্যমে। এমনকি এনসাইক্লোপিডিয়া, উইকিপিডিয়ার মত তথ্যভাণ্ডারেও মিথ্যে তথ্য সন্নিবেশিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো নিত্যই অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে সরগরম হয়ে উঠছে । বিভ্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ পাঠক। এমনকি একটি মিথ্যাকে সত্য বলে চালাতে ঐতিহাসিক ছবি পর্যন্ত উপস্থাপন করে তার মিথ্যে বর্ণনা দেয়া হচ্ছে। যারা ঐতিহাসিক ব্যক্তিদের নাম জানেন কিন্তু চেহারা দেখেননি তারা সহজেই এই সব মিথ্যে তথ্য বিশ্বাস করছেন। সবথেকে আশংকার বিষয় হচ্ছে আজকাল রাজনৈতিক নেতারা পর্যন্ত অনলাইন মিডিয়ার এই সব বিভ্রান্তিমুলক তথ্যকে কোট করে বক্তব্য বিবৃতি দিতে শুরু করেছেন। যার সর্বশেষ উদাহরণটি রাখলেন বিএনপির মাননীয় সাংসদ সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল। আলোচ্য উক্তিটি ছিল “যুদ্ধাপরাধী শাহ আজিজুর রহমান ১৯৭৪ সালে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্স (ওআইসি) এর সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর সফরসঙ্গী ছিলেন” যা নিয়ে আওয়ামীলীগের বর্ষীয়ান নেতা সাংসদ তোফায়েল আহমেদের সাথে তার উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হল ৭১ টিভির পর পর দুটি টক শো’তে।



সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল তার বক্তব্যের পক্ষে যে ঐতিহাসিক ছবিটি উপস্থাপন করেছেন সেখানে তিনি যাকে শাহ আজিজুর রহমান বলে চিহ্নিত করেছেন আদৌ তিনি শাহ আজিজুর রহমান নন। ঐ টক শো’তে উপস্থিত আলোচক ডেইলি স্টার এর সম্পাদক এবং ব্লগার অমি রহমান পিয়ালের ভাষায় ছবিটি ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রটোকল অফিসার ইএ চৌধুরীর যিনি পরে পুলিশের আইজিপি হয়েছিলেন। ছবিটি সাংসদ বকুলেরও না চেনার কথা নয়। তিনি ইচ্ছে করেই হয়ত মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছিলেন। তিনি তার মিথ্যে তথ্যটি জায়েজ করতে গিয়ে তথ্যসূত্র হিসেবে উল্লেখ করলেন উইকিপিডিয়া এবং ব্লগ’কে। যদিও যে অমি রহমান পিয়ালের লেখাকে তিনি কোট করেছেন।



পিয়াল নিজেই তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, বকুল যদি আওয়ামী লীগের এমপি হইতো, কোকোরে বেওয়ারিশ আর ফালুরে সেকন্ড হাজবেন্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা কইরা ফেলতো স্রেফ চাপার জোরে, ভাগ্যিস এমন মুনাফিক আর মিথ্যাবাদী নিয়া সরকাররে চলতে হয় না...



বকুল একাত্তর টিভিতে ৭৪এর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা প্রসঙ্গে আমার লেখা একটা পোস্ট রেফারেন্স হিসেবে উল্লেখ করছে, কিন্তু একজন দক্ষ প্রতারকের মতোই সেই পোস্টের মূল এসেন্স 'ঘাতক (হ্ত্যাকারী), ধর্ষক, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগকারী বাদে বাকিদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হলো' এই লাইনটা একবারও উচ্চারণ করে নাই... বিম্পি বুড্ডিডিবি



ফেসবুকে ব্যবহৃত ছবিটা বঙ্গবন্ধুর প্রটোকল অফিসার ইএ চৌধুরীর যিনি পরে পুলিশের আইজিপি হয়েছিলেন, একাত্তর টিভিকে ফোনে আমি সেটাই বলেছি, আরও বলেছি শাহ আজিজ ডিসেম্বরের সাধারণ ক্ষমায় মুক্তি পেলেও কয়েকমাস পরেই খাজা খয়ের উদ্দিনসহ কয়েকজন মুসলিম লীগ নেতার সঙ্গে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আবারও গ্রেফতার হন।



Click This Link



সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল এক পর্যায়ে অভিযোগ করেন এই তথ্যটি যদি ভুলই হবে তবে আগে কেন শোধরান হল না। এর উত্তরটি আমরা কোন পক্ষ থেকেই পাইনি। হয়ত আন্তর্জাতিকভাবে তথ্যসূত্র হিসেবে স্বীকৃতি না পাওয়া উইকিপিডিয়া বা ব্লগের কোন লেখাকে কোট করে জাতীর জনককে হেয় করার মত বক্তব্য একজন প্রতিষ্ঠিত রাজনীতিবিদ রাখতে পারেন এটা আমাদের সরকার বাহাদুরের ভাবনায় ছিল না। তবে সত্য তো এটাই, যা তারা ভাবতেও পারেন না এ দেশে তাই ঘটে চলছে। কাজেই তাদের ভাবনার জায়গাটি প্রসারিত করা একান্তই জরুরী হয়ে পড়েছে। তাদের ভাবনার অসারতার কারণেই বিভিন্ন ব্লগে কিছু অর্বাচীন ব্লগারের উস্কানিমুলক লেখাকে কেন্দ্র করে দেশে রক্ত গঙ্গা বয়ে যায়। কেউ ইসলাম, মহানবী (সঃ) কে অবমাননা করে বীর পুরুষ সাজে আর কেউ চাদের বুকে সাঈদির ছবি জুড়ে দিয়ে সাঈদি তথা ধর্ম রক্ষা করে!! সময় মত পদক্ষেপ নিলে সহজেই এই ধরনের বেকু্বদের থামানো সম্ভব। সম্ভব অনেক বিয়োগান্তক ঘটনা এড়ানো। প্রথমেই তিরস্কৃত করলে দোষী ব্লগাররাও নিজেদের ভুল বুঝতে পারত। সমস্যা হল আমাদের যারা সরকারে থাকেন তাদের মর্ম স্পর্ষ করতে বিয়োগান্তক ঘটনার পূনরাবৃত্তির প্রয়োজন হয়। তারা করেন বটে তবে অনেক দেরিতে করেন। আর তাই তার সুফলটা অনেক সময়ই পাওয়া যায় না।



ব্লগে তো এটাও এসেছে যে জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানি চর। এর পক্ষে একটি চিঠিও উপস্থাপন করা হচ্ছে। তাহলে কি আমরা এটাই ধরে নেব যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মেজর জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের গুপ্তচর ছিলেন?



রাজনীতিবিদদের নিজেদের দায়িত্ববোধ সম্পর্কে নুন্যতম জ্ঞান তো থাকা চাই। তাদের অসংখ্য অনুসারী রয়েছেন যারা তাদের অনেক বড় মাপের বলে জ্ঞান করেন। তাদের অন্ধ অনুকরণ করে। এই সাধারণ মানুষগুলোর সরল বিশ্বাসের প্রতি সম্মান দেখিয়ে হলেও তাদের যে কোন কথা বলার আগে তার যথার্থতা বিচার করে নেয়া উচিত।



সেইসাথে সরকারের যে কোন ব্যবস্থা গ্রহনের পূর্বে এর ভাল-মন্দ সব দিক বিবেচনা করে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা বিধান করা জরুরী। ডিজিটাল বাংলাদেশ করবেন খুবই ভাল কথা। আগেতো এর নিয়ন্ত্রক সংস্থাটিকে স্বনির্ভর করবেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ করার আগে ডিজিটাল(তথ্য) সন্ত্রাস রোধে ব্যবস্থা নেয়া অনেক জরুরী। অনলাইনে অবাধ তথ্য প্রবাহের নামে অবাধে মিথ্যাচার চলছে। বিটিআরসি কতটুকু তদারক করতে পারছে? কতখানি শক্ত অবস্থান গ্রহন করতে পারছে? এটা কি ধরনের ডিজিটাইলেজেশন?



আমরা কখনোই চাইব না আমাদের সন্তান মিথ্যে শিখুক। মিথ্যের মধ্যে বসবাস করুক। বিশেষ করে এ দেশের অভ্যুদয়ের ক্ষেত্রে। ৭১’এ কে মহানায়ক আর কে খলনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল সে সত্য জানার অধিকার যেমন এ দেশের প্রতিটি নাগরিকের রয়েছে। তেমনি তথ্য সন্ত্রাসের মাধ্যমে খলনায়ককে নায়ক বানানোর কুশীলবদের বিচার চাওয়ার অধিকারও প্রত্যেকের রয়েছে। এই তথ্য সন্ত্রাস রোধে জীবিত সেক্টর কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে, অরাজনৈতিক চিন্তা-চেতনায় নির্দলীয় কমিশন গঠন করে মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা উত্তর সরকারের প্রকৃত ইতিহাস প্রণয়ন করা জরুরী। সেইসাথে এমন একটি বিধান করা হোক যাতে- এই ইতিহাস সরকার পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন করা না যায়। এই ইতিহাসে স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদানকারী রাজনৈতিক নেতারাসহ স্বাধীনতা সংগ্রামের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ ভূমিকা পালনকারী সেক্টর কমান্ডার গন, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানী সহ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যেকের অবদানকে নির্মোহ বিচার করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস শিক্ষা দিতে এমন একটি সার্বজনীন ইতিহাস রচনা অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে।



সেইসাথে অনলাইনে মিথ্যা তথ্য দাতার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরী। এই অপরাধীদের খুঁজে পেতে কমিশন কর্তৃক একটি ই-মেইল আই ডি প্রকাশ করা হোক, যেখানে যে কেউ এই অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে পারবে।



এ ছাড়া এই কমিশন এনসাইক্লোপিডিয়া, উইকিপিডিয়া সহ প্রতিটি তথ্যভাণ্ডারে এ দেশের মুক্তিযুদ্ধ, জাতির জনক ও তার সম্পর্কে কোন মিথ্যে তথ্য সংযুক্ত করা হয়েছে কিনা তা পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখবে।



এই মুহূর্তে অনলাইন মিডিয়া তথ্যসূত্র হিসেবে সর্বাধিক ব্যবহৃত হচ্ছে। কাজেই একে এই কমিশনের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা উচিত। সেইসাথে প্রতিটি দলের ঐক্যমত্যে পৌছুতে হবে ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, জাতীর জনক এইসব বিষয় দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির ঊর্ধ্বে উঠে বিচার করতে হবে।



আমাদের নেতৃবৃন্দের মনে রাখা উচিত। যে সব নেতাদের চরিত্র হননের কৃষ্টি তারা চালু করেছেন তারা কেউই তাদের মত এতটা নিচু মনের ছিলেন না। তারা কেউই অন্যের চরিত্র হননকে নিজেদের নৈতিক স্খলনের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন নি।



[email protected]স্বাধীনতার বেয়াল্লিশ বছর পরে এসেও আমাদের ইতিহাস পুনরুদ্ধারের যুদ্ধে নামতে হচ্ছে। এ বড় লজ্জার। বোধ করি এর থেকেও বড় লজ্জার বিষয় হল; ইতিহাস বিকৃতি কারি অমানুষগুলি যখন বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়। পুনঃ পুনঃ মিথ্যে বলে সত্যকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। তখনও তাদের এই ঘৃণ্য কার্যকলাপকে আমাদের ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টা। আমাদের স্বাধীনতা আমাদের অহংকার। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তে ভেজা, লক্ষ লক্ষ মা-বোনের সম্ভমহানির বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে বিকৃত করার অপচেষ্টা শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানিরই নামান্তর।



ইতিহাসের একটি নিজস্ব গতি আছে। যাকে ইচ্ছে করলে কিছুটা শ্লথ বা সাময়িক সময়ের জন্য কিছুটা ভিন্ন পথে পরিচালিত করা গেলেও এক সময় সে পুনরায় তার আপন ছন্দে আপনার মত করেই চলতে শুরু করে। কিন্তু তাই বলে কেউ প্রতিকার হীনভাবে ইচ্ছেমত ইতিহাস বিকৃত করে সাময়িক সুবিধা আদায় করে নেয়ার চেষ্টা করবে তা তো হতে পারে না।



একটি জাতির জন্মের জন্য ‘ইতিহাস’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ইতিহাসই সে জাতির পথ নির্দেশক। একটি জাতির এগিয়ে যাওয়া নির্ভর করে তার ইতিহাস, কৃষ্টি- সংস্কৃতির সমৃদ্ধির উপর। ইতিহাস তাকে নিত্য করে অনুপ্রাণিত।



আর সে কারণেই প্রত্যেক জাতিগোষ্ঠীর উচিত তাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে স্বচ্ছ ও অ বিকৃতভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক সত্য হল, আমাদের দেশে সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের মৌলিক পরিবর্তন ঘটে। পালটে যায় পাঠ্যপুস্তক, ইতিহাস গ্রন্থ। নতুন প্রজন্ম এবং শিক্ষার্থী পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়তে গিয়ে হয় বিভ্রান্ত।



উদাহরণ স্বরূপ স্বাধীনতার ঘোষণা প্রসঙ্গটিতেই আশা যাক- সাহিত্যিক মাহবুব উল আলমের "বাঙ্গালীর মুক্তিযুদ্ধের ইতিবৃত্ত" এবং অনুপম প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বেগম মুশতারী শফির লেখা “স্বাধীনতা আমার রক্ত ঝরা দিন” গ্রন্থ থেকে জানা যায় ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ মধ্য রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অপারেশন সার্চলাইটের মাধ্যমে ঢাকা শহরের কয়েক হাজার নিরস্ত্র বাঙালি নিধন করে এবং একই সাথে শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পূর্বে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা এবং একটি সংক্ষিপ্ত বার্তা প্রদান করে যান। বার্তাটি ঢাকা ইপিআর ওয়ারলেস স্টেশন থেকে সিলিমপুর ওয়ারলেস স্টেশনের ইঞ্জিনিয়ার গোলাম রব্বানী ডাকুয়ার হাত দিয়ে চট্টগ্রামে পৌঁছে ২৫ শে মার্চ মধ্যরাতেই। তার পরেই পাকিস্তানীরা ইপিআর ওয়ারলেস ধ্বংস করে দেয়। ভোর হবার আগেই বার্তাটির শত শত কপি তৈরি হয়ে যায় একটা সাইক্লোষ্টাইল মেশিনের সাহায্যে। চট্টগ্রামের অনেক জায়গায় মধ্য রাত থেকেই মাইকে বার্তাটি প্রচার করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে ২৬ মার্চ দুপুর বেলা চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান চট্টগ্রামের কালুরঘাট ট্রান্সমিশান কেন্দ্র হতে প্রথমবারের মত স্বাধীনতার ঘোষণা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ঐ বার্তা পাঠ করেন। অনন্যা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এর লেখা “লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে” গ্রন্থ থেকে জানা যায় পরবর্তীতে একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে ২৭ মার্চ রাত ৮টায় এক নতুন লিখিত ও সম্প্রসারিত বক্তব্যের মাধ্যমে হঠাৎ এক সিদ্ধান্তে মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষ থেকে দ্বিতীয়বারের মত স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।



এই দ্বিতীয় ঘোষণাকেই ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বলতে গিয়ে বিএনপি আসলে যে কি বোঝাতে চাইছে বোধকরি তা তারা নিজেরাও জানে না। তারা বলতেই পারেন মেজর জিয়া বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। তারা তা বলছেন না। তারা এর মধ্য থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে দিচ্ছেন। তার মানে দাঁড়ালো জিয়াই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু নয়! তাহলে স্বাধীনতা যুদ্ধে তার ভূমিকা কেন একজন সেক্টর কমান্ডারের? মুজিব নগর সরকারেই বা তিনি কেন নেই? স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তো তারই দেশের হাল ধরার কথা। ধরলেন না কেন?



তিনি যদি “বঙ্গবন্ধুর পক্ষে” কথাটি না বলে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে থাকেন তাহলে তো সেই ধৃষ্টতার জন্য তার বিচার হওয়ার কথা। হয়েছিল? গর্তের মধ্যে নিজের মাথা রেখে যদি কেউ মনে করে তাকে কেউ দেখছে না। তাকে আর যাই হোক সুস্থ মস্তিষ্কের বলার উপায় নেই। প্রত্যেকেরই মাথায় রাখা উচিত। ঘটনা পরম্পরাই ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রক্ষাকবচ। যোগসূত্র বিশ্লেষণে সহজেই নির্ণীত হয় সত্য-মিথ্যা।



ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে স্বাধীনতার পড় থেকে এতটা সময় ধরে যারা এই কাজটি অবলীলায় করে এসেছেন এবং আজো করে চলেছেন। তাদের উপযুক্ত বিচার হওয়া উচিত। যারা স্বাধীনতা উত্তর প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করে। জাতীর জনককে জরিয়ে মিথ্যাচার করে তারা কিছুতেই এ দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী হতে পারেনা। এরা এ দেশের, এ জাতির শত্রু। ক্ষুদ্র দলিয় স্বার্থে দেশকে বিক্রি করে দেয়ার সুযোগও হয়ত তারা হাতছাড়া করবে না।



স্কুল-কলেজের পাঠ্যবই থেকে শুরু করে অনলাইন মিডিয়া সবক্ষেত্রেই মিথ্যা-বানোয়াট তথ্য সন্নিবেশিত করে একটি প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা বহুদিন ধরেই চলেছে। যারা এ কাজটি করেছে বা করে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে? দেশের সংবিধান রক্ষায় রাষ্ট্র যতটা সচেষ্ট দেশের ইতিহাস রক্ষায় ততটা কেন নয়? এ প্রশ্ন সচেতন সকল নাগরিকের।



পাঠ্য বইয়ে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে যেমন মিথ্যে তথ্য পরিবর্তন করে নতুনভাবে সঠিক তথ্য সন্নিবেশিত করা হয় অনলাইন মিডিয়াতে তা করা হয় না। অনলাইন মিডিয়ার পরিসর ব্যাপক। এখানে প্রতি মিনিটে অজস্র কনটেন্ট যুক্ত হচ্ছে। যার কিছু মডারেশনের আওতায় কিছু মডারেশনের আওতা বহির্ভূত। উভয় ক্ষেত্রেই ইতিহাস বিকৃতির সুযোগ পর্যাপ্ত। এর রোধ কল্পে প্রয়োজন অপরাধীদের সনাক্ত করে যথোপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এরই মধ্যে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং জাতির জনককে নিয়ে এই বিভ্রান্তির কারণে নতুন প্রজন্মের কাছে বেশ কিছু প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে যা অনভিপ্রেত।



যেমন-



১। স্বাধীনতা যুদ্ধ কার ডাকে শুরু হয়েছিল?



২। স্বাধীনতার ডাক দেয়া আর ঘোষণা দেয়া এক নয় কেন?



৩। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বে যারা ছিলেন বলে দাবী করা হয় মূলত তাদের অবদান কতটা?



৪। এটা কি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ছিল, নাকি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল।



৫। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কে ছিলেন?



৬। কেন ওসমানীর পরিবর্তে ইন্ডিয়ান জেনারেল সই সম্পাদন করলেন?



৭। বঙ্গবন্ধু কি সত্যিই আপোষহীন ছিলেন?



৮। বঙ্গবন্ধু কি আত্নরক্ষার্থে ধরা দিয়েছিলেন নাকি কৌশলগত কারণে?



৯। বঙ্গবন্ধু কি স্বাধীনতা চেয়েছিলেন না অখণ্ড পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন?



১০। বঙ্গবন্ধু কি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলেন না একনায়কতন্ত্রে?



এমন অনেক অবান্তর প্রশ্নের উদ্রেক করা হয়েছে। যাকে হালকা ভাবে নেয়ার কোন সুযোগ নেই। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরে মাঝে লুকিয়ে আছে এক এক টুকরো ইতিহাস। যার একটি ভুল উত্তর ইতিহাসকে বিকৃত করতে যথেষ্ট। এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাই করা হচ্ছে। এই সুক্ষ্ম ষড়যন্ত্রটি বহুদিন ধরে চলছে, যা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে এই ষড়যন্ত্রের পুরো প্রক্রিয়াটি চালান হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ব্লগ তথা অনলাইন মিডিয়ার মাধ্যমে। এমনকি এনসাইক্লোপিডিয়া, উইকিপিডিয়ার মত তথ্যভাণ্ডারেও মিথ্যে তথ্য সন্নিবেশিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো নিত্যই অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে সরগরম হয়ে উঠছে । বিভ্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ পাঠক। এমনকি একটি মিথ্যাকে সত্য বলে চালাতে ঐতিহাসিক ছবি পর্যন্ত উপস্থাপন করে তার মিথ্যে বর্ণনা দেয়া হচ্ছে। যারা ঐতিহাসিক ব্যক্তিদের নাম জানেন কিন্তু চেহারা দেখেননি তারা সহজেই এই সব মিথ্যে তথ্য বিশ্বাস করছেন। সবথেকে আশংকার বিষয় হচ্ছে আজকাল রাজনৈতিক নেতারা পর্যন্ত অনলাইন মিডিয়ার এই সব বিভ্রান্তিমুলক তথ্যকে কোট করে বক্তব্য বিবৃতি দিতে শুরু করেছেন। যার সর্বশেষ উদাহরণটি রাখলেন বিএনপির মাননীয় সাংসদ সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল। আলোচ্য উক্তিটি ছিল “যুদ্ধাপরাধী শাহ আজিজুর রহমান ১৯৭৪ সালে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্স (ওআইসি) এর সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর সফরসঙ্গী ছিলেন” যা নিয়ে আওয়ামীলীগের বর্ষীয়ান নেতা সাংসদ তোফায়েল আহমেদের সাথে তার উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হল ৭১ টিভির পর পর দুটি টক শো’তে।



সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল তার বক্তব্যের পক্ষে যে ঐতিহাসিক ছবিটি উপস্থাপন করেছেন সেখানে তিনি যাকে শাহ আজিজুর রহমান বলে চিহ্নিত করেছেন আদৌ তিনি শাহ আজিজুর রহমান নন। ঐ টক শো’তে উপস্থিত আলোচক ডেইলি স্টার এর সম্পাদক এবং ব্লগার অমি রহমান পিয়ালের ভাষায় ছবিটি ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রটোকল অফিসার ইএ চৌধুরীর যিনি পরে পুলিশের আইজিপি হয়েছিলেন। ছবিটি সাংসদ বকুলেরও না চেনার কথা নয়। তিনি ইচ্ছে করেই হয়ত মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছিলেন। তিনি তার মিথ্যে তথ্যটি জায়েজ করতে গিয়ে তথ্যসূত্র হিসেবে উল্লেখ করলেন উইকিপিডিয়া এবং ব্লগ’কে। যদিও যে অমি রহমান পিয়ালের লেখাকে তিনি কোট করেছেন।



পিয়াল নিজেই তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, বকুল যদি আওয়ামী লীগের এমপি হইতো, কোকোরে বেওয়ারিশ আর ফালুরে সেকন্ড হাজবেন্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা কইরা ফেলতো স্রেফ চাপার জোরে, ভাগ্যিস এমন মুনাফিক আর মিথ্যাবাদী নিয়া সরকাররে চলতে হয় না...



বকুল একাত্তর টিভিতে ৭৪এর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা প্রসঙ্গে আমার লেখা একটা পোস্ট রেফারেন্স হিসেবে উল্লেখ করছে, কিন্তু একজন দক্ষ প্রতারকের মতোই সেই পোস্টের মূল এসেন্স 'ঘাতক (হ্ত্যাকারী), ধর্ষক, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগকারী বাদে বাকিদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হলো' এই লাইনটা একবারও উচ্চারণ করে নাই... বিম্পি বুড্ডিডিবি



ফেসবুকে ব্যবহৃত ছবিটা বঙ্গবন্ধুর প্রটোকল অফিসার ইএ চৌধুরীর যিনি পরে পুলিশের আইজিপি হয়েছিলেন, একাত্তর টিভিকে ফোনে আমি সেটাই বলেছি, আরও বলেছি শাহ আজিজ ডিসেম্বরের সাধারণ ক্ষমায় মুক্তি পেলেও কয়েকমাস পরেই খাজা খয়ের উদ্দিনসহ কয়েকজন মুসলিম লীগ নেতার সঙ্গে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আবারও গ্রেফতার হন।



Click This Link



সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল এক পর্যায়ে অভিযোগ করেন এই তথ্যটি যদি ভুলই হবে তবে আগে কেন শোধরান হল না। এর উত্তরটি আমরা কোন পক্ষ থেকেই পাইনি। হয়ত আন্তর্জাতিকভাবে তথ্যসূত্র হিসেবে স্বীকৃতি না পাওয়া উইকিপিডিয়া বা ব্লগের কোন লেখাকে কোট করে জাতীর জনককে হেয় করার মত বক্তব্য একজন প্রতিষ্ঠিত রাজনীতিবিদ রাখতে পারেন এটা আমাদের সরকার বাহাদুরের ভাবনায় ছিল না। তবে সত্য তো এটাই, যা তারা ভাবতেও পারেন না এ দেশে তাই ঘটে চলছে। কাজেই তাদের ভাবনার জায়গাটি প্রসারিত করা একান্তই জরুরী হয়ে পড়েছে। তাদের ভাবনার অসারতার কারণেই বিভিন্ন ব্লগে কিছু অর্বাচীন ব্লগারের উস্কানিমুলক লেখাকে কেন্দ্র করে দেশে রক্ত গঙ্গা বয়ে যায়। কেউ ইসলাম, মহানবী (সঃ) কে অবমাননা করে বীর পুরুষ সাজে আর কেউ চাদের বুকে সাঈদির ছবি জুড়ে দিয়ে সাঈদি তথা ধর্ম রক্ষা করে!! সময় মত পদক্ষেপ নিলে সহজেই এই ধরনের বেকু্বদের থামানো সম্ভব। সম্ভব অনেক বিয়োগান্তক ঘটনা এড়ানো। প্রথমেই তিরস্কৃত করলে দোষী ব্লগাররাও নিজেদের ভুল বুঝতে পারত। সমস্যা হল আমাদের যারা সরকারে থাকেন তাদের মর্ম স্পর্ষ করতে বিয়োগান্তক ঘটনার পূনরাবৃত্তির প্রয়োজন হয়। তারা করেন বটে তবে অনেক দেরিতে করেন। আর তাই তার সুফলটা অনেক সময়ই পাওয়া যায় না।



ব্লগে তো এটাও এসেছে যে জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানি চর। এর পক্ষে একটি চিঠিও উপস্থাপন করা হচ্ছে। তাহলে কি আমরা এটাই ধরে নেব যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মেজর জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের গুপ্তচর ছিলেন?



রাজনীতিবিদদের নিজেদের দায়িত্ববোধ সম্পর্কে নুন্যতম জ্ঞান তো থাকা চাই। তাদের অসংখ্য অনুসারী রয়েছেন যারা তাদের অনেক বড় মাপের বলে জ্ঞান করেন। তাদের অন্ধ অনুকরণ করে। এই সাধারণ মানুষগুলোর সরল বিশ্বাসের প্রতি সম্মান দেখিয়ে হলেও তাদের যে কোন কথা বলার আগে তার যথার্থতা বিচার করে নেয়া উচিত।



সেইসাথে সরকারের যে কোন ব্যবস্থা গ্রহনের পূর্বে এর ভাল-মন্দ সব দিক বিবেচনা করে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা বিধান করা জরুরী। ডিজিটাল বাংলাদেশ করবেন খুবই ভাল কথা। আগেতো এর নিয়ন্ত্রক সংস্থাটিকে স্বনির্ভর করবেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ করার আগে ডিজিটাল(তথ্য) সন্ত্রাস রোধে ব্যবস্থা নেয়া অনেক জরুরী। অনলাইনে অবাধ তথ্য প্রবাহের নামে অবাধে মিথ্যাচার চলছে। বিটিআরসি কতটুকু তদারক করতে পারছে? কতখানি শক্ত অবস্থান গ্রহন করতে পারছে? এটা কি ধরনের ডিজিটাইলেজেশন?



আমরা কখনোই চাইব না আমাদের সন্তান মিথ্যে শিখুক। মিথ্যের মধ্যে বসবাস করুক। বিশেষ করে এ দেশের অভ্যুদয়ের ক্ষেত্রে। ৭১’এ কে মহানায়ক আর কে খলনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল সে সত্য জানার অধিকার যেমন এ দেশের প্রতিটি নাগরিকের রয়েছে। তেমনি তথ্য সন্ত্রাসের মাধ্যমে খলনায়ককে নায়ক বানানোর কুশীলবদের বিচার চাওয়ার অধিকারও প্রত্যেকের রয়েছে। এই তথ্য সন্ত্রাস রোধে জীবিত সেক্টর কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে, অরাজনৈতিক চিন্তা-চেতনায় নির্দলীয় কমিশন গঠন করে মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা উত্তর সরকারের প্রকৃত ইতিহাস প্রণয়ন করা জরুরী। সেইসাথে এমন একটি বিধান করা হোক যাতে- এই ইতিহাস সরকার পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন করা না যায়। এই ইতিহাসে স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদানকারী রাজনৈতিক নেতারাসহ স্বাধীনতা সংগ্রামের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ ভূমিকা পালনকারী সেক্টর কমান্ডার গন, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানী সহ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যেকের অবদানকে নির্মোহ বিচার করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস শিক্ষা দিতে এমন একটি সার্বজনীন ইতিহাস রচনা অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে।



সেইসাথে অনলাইনে মিথ্যা তথ্য দাতার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরী। এই অপরাধীদের খুঁজে পেতে কমিশন কর্তৃক একটি ই-মেইল আই ডি প্রকাশ করা হোক, যেখানে যে কেউ এই অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে পারবে।



এ ছাড়া এই কমিশন এনসাইক্লোপিডিয়া, উইকিপিডিয়া সহ প্রতিটি তথ্যভাণ্ডারে এ দেশের মুক্তিযুদ্ধ, জাতির জনক ও তার সম্পর্কে কোন মিথ্যে তথ্য সংযুক্ত করা হয়েছে কিনা তা পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখবে।



এই মুহূর্তে অনলাইন মিডিয়া তথ্যসূত্র হিসেবে সর্বাধিক ব্যবহৃত হচ্ছে। কাজেই একে এই কমিশনের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা উচিত। সেইসাথে প্রতিটি দলের ঐক্যমত্যে পৌছুতে হবে ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, জাতীর জনক এইসব বিষয় দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির ঊর্ধ্বে উঠে বিচার করতে হবে।



আমাদের নেতৃবৃন্দের মনে রাখা উচিত। যে সব নেতাদের চরিত্র হননের কৃষ্টি তারা চালু করেছেন তারা কেউই তাদের মত এতটা নিচু মনের ছিলেন না। তারা কেউই অন্যের চরিত্র হননকে নিজেদের নৈতিক স্খলনের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন নি।



[email protected]



বি দ্রঃ সংযুক্ত ছবিটি ১৪ জুলাই ২০০৭ ড. কাজী গোলাম নবী একটি ছবি (ছবিঃ০১) তার ফ্লিকার একাউন্টে আপলোড করেন যার ক্যাপশন ছিলো,

"Sheikh Mujibur Rehman in Lahore: Bangladesh was recognized by Pakistan during this Summit. A year later Mujib was shot dead by his own army officers."

http://www.flickr.com/photos/pimu/809299487/

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪

দিশার বলেছেন: ভাই স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হয় নাই। এখনো রাজাকার আর পাকি বীর্য জাত কিসু কুলাঙ্গার বাংলা দাবড়ে বেড়াচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।

আপনাকে ধন্যবাদ মন থেকে .

২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই দিশার আপনাকেও। এই কুলাঙ্গারদেরকে আমাদেরই রুখতে হবে।

৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: জিয়া নাকি যুদ্ধই করে নাই.....

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১২

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: মো ঃ আবু সাঈদ এ সব প্রশ্নের উদ্ভবের কারনেই বলছি,

এই তথ্য সন্ত্রাস রোধে জীবিত সেক্টর কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে, অরাজনৈতিক চিন্তা-চেতনায় নির্দলীয় কমিশন গঠন করে মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা উত্তর সরকারের প্রকৃত ইতিহাস প্রণয়ন করা জরুরী। সেইসাথে এমন একটি বিধান করা হোক যাতে- এই ইতিহাস সরকার পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন করা না যায়। এই ইতিহাসে স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদানকারী রাজনৈতিক নেতারাসহ স্বাধীনতা সংগ্রামের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ ভূমিকা পালনকারী সেক্টর কমান্ডার গন, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানী সহ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যেকের অবদানকে নির্মোহ বিচার করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস শিক্ষা দিতে এমন একটি সার্বজনীন ইতিহাস রচনা অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে।

৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭

ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: দেশের সবকিছুকেই এভাবে আইনের আওতায় আনতে না পারলে জনভোগান্তির চূড়ান্ত রূপটা দেখব কিভাবে? বাংলাদেশ চায়না ইরানরেও যে সামনে হার মানাবে তাতে আমার কোন সন্দেহ নাই। চালায়া যান। অনলাইনে কেউ একটা ছবি ছাপাইল আর মনগড়া কিছু বলল আর সেটাই ইতিহাস হইয়া গেল এর চেয়ে মজার আর কি হইতে পারে!!! এইসব প্রতিরোধেও লাঠিয়াল লাগে!!!!!

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ওবায়েদুল আকবর ভাই অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। "বাংলাদেশ চায়না ইরানরেও যে সামনে হার মানাবে তাতে আমার কোন সন্দেহ নাই।" কিন্তু এ দেশের রাজনীতিবী্দরা যে আফ্রিকানদের কাছেও হেরে যায়!!!

৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১

চলতি নিয়ম বলেছেন: পোস্টে সহমত এবং +। মিথ্যা চিরকালই মিথ্যা এবং সেটা স্বীকার করে নেয়াই উত্তম কিন্তু ছাগলের সেটা কোনদিনও বুঝতে পারবে না।

লজ্জায় আমার কচুগাছে গলায় দড়ি নিতে ইচ্ছা কর্তেছে.......... আমার এই পোস্ট টা দেখার আমন্ত্রণ রইলো।


২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪১

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ইতিহাসের একটি নিজস্ব গতি আছে। যাকে ইচ্ছে করলে কিছুটা শ্লথ বা সাময়িক সময়ের জন্য কিছুটা ভিন্ন পথে পরিচালিত করা গেলেও এক সময় সে পুনরায় তার আপন ছন্দে আপনার মত করেই চলতে শুরু করে। কিন্তু তাই বলে কেউ প্রতিকার হীনভাবে ইচ্ছেমত ইতিহাস বিকৃত করে সাময়িক সুবিধা আদায় করে নেয়ার চেষ্টা করবে তা তো হতে পারে না।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে চলতি নিয়ম ।

৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০১

মামুন হতভাগা বলেছেন: দিশার বলেছেন: ভাই স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হয় নাই। এখনো রাজাকার আর পাকি বীর্য জাত কিসু কুলাঙ্গার বাংলা দাবড়ে বেড়াচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।

আপনাকে ধন্যবাদ মন থেকে

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মামুন আপনাকে।

৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১১

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
স্বাধীনতার ৪২ বছর পরে এসেও আমাদের ইতিহাস পুনরুদ্ধারের যুদ্ধে নামতে হচ্ছে। এ বড় লজ্জার। বোধ করি এর থেকেও বড় লজ্জার বিষয় হল; ইতিহাস বিকৃতিকারি অমানুষগুলি যখন বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়।

ভুয়া ছবি! শাহ আজিজ
এই ছবিটি ব্লগে ছাগুরা ব্যাবহার করে থাকে প্রায়ই।
bnpর mp শাখওয়াত হোসেন বকুল সাহেব বাঁশের কেল্লার একগাদা ভুয়া প্রিন্ট মেটেরিয়াল নিয়ে এসেছিল,
তারপর খাইলো রাম ধরা!

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৪

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: এভাবে ক'জনকে আটকাবেন। প্রয়োজন- ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে স্বাধীনতার পড় থেকে এতটা সময় ধরে যারা এই কাজটি অবলীলায় করে এসেছেন এবং আজো করে চলেছেন। তাদের বিচারের আওতায় আনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.