নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
মন্ত্রীসভা গঠনে চমক দেখাতে গিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এমনই চমক দেখালেন যে লালন সাইকে ফিরে আসতে হয় বার বার। (‘এ সব দেখি কানার হাঁট বাজার’) তবে সাই জি বেঁচে থাকলে হয়ত লিখতেন এ সব দেখি অসুস্থ মন্ত্রীসভা। এক মন্ত্রী কয় চার হাজার কোটি, কোন টাকাই না। আরেকজন কয় কলাপ্সিবল ধরে ধাক্কাধাক্কিতে ৯ তলা বিল্ডিং ধ্বসে পড়েছে। এত বড় দুর্যোগেও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর টিকিটি দেখা যাচ্ছে না চতুর্থ দিনে এসেও। যদিও আমরা জানি তিনি চন্দ্রাভিযানে যাননি। ঘটনার তিনদিন পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মনে হল দুর্গতদের উদ্ধার অভিযান এবং দায়ীদের ধরতে বিশেষ অভিযান একইসাথে পরিচালনা করা সম্ভব।
আজ বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে তিনি তার দল দ্বারা পরিচালিত সরকারের এ অবস্থাকে কি মেনে নিতে পারতেন? বঙ্গবন্ধু কি এমন দেশ চেয়েছিলেন? তার ত্যাগ তার সারা জীবনের চেষ্টার ফসল বাংলাদেশ, আজ তারই উত্তরসূরির হাতে শাসিত। অথচ তার প্রিয় দেশবাসী নেতাদের ইচ্ছাপূরণের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। নিয়তির এ এক নিষ্ঠুর খেলা।
এ দেশে দায়িত্বশীল সরকার আছে কি করে বুঝবেন? যখন উদ্ধারকারী সাধারণ মানুষ চেঁচিয়ে মরছে একটি টর্চ লাইটের জন্য, যখন একটি পোর্টেবল অক্সিজেন সিলিন্ডারের জন্য হাঁ পিত্যেশ করে মরছে স্বেচ্ছাসেবকরা। সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে যখন তারা সাধারণ মানুষকে আবেদন জানাচ্ছে এই বলে যে, মাত্র ৬০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে দয়া করে কিনে পাঠিয়ে দিন। তখন আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রীকে খুঁজে ফিরি। জানতে চাইছি সাভার থেকে দিনাজপুরের দূরত্ব কত?
রানা প্লাজা নিয়ে কোনা আশঙ্কা নাই এমন আশ্বাস দেয়া সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কবির হোসেন সরদারকেই যখন নেয়া হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটিতে তখন অসুস্থ মন্ত্রণালয়ের যথার্থতাই প্রমাণিত হয়।
অনেকেই বলেন আওয়ামীলীগ যখন জেতে তখন একা জেতে। আর যখন হারে তখন সবাইকে নিয়েই হারে। এর থেকে বড় সত্য আর কিই-বা আছে? বিএনপি’র চরম দুর্নীতির হাত থেকে রক্ষা পেতে মানুষ বেছে নিলো আওয়ামীলীগ। তারা উপহার দিল অসুস্থ মন্ত্রীসভা। যে মন্ত্রীসভার কাছে পুঁজি বাজারের অর্থ কেলেঙ্কারি রোধের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হল নোবেল জয়ী ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসকে নিয়ে টানা হেঁচড়া করা। যারা আড়াই লক্ষ স্বল্প পুঁজির পুজিবাজারের ব্যবসায়ীকে করল সর্বস্বান্ত। সোনালী ব্যাংকের কোমরই বোধ হয় ভেঙে গেল এবার! দেখার নেই কেউ।
বছরের পর বছর ঘুরে ক্লান্ত প্রাণ মন্ত্রী মানবতা বিরোধী অপরাধীদের শাস্তির পক্ষে জনমত গঠন তো দুরের কথা সঠিক তথ্যটিও বিদেশি বন্ধুদের কানে পৌছাতে অব্ধি ব্যর্থ।
দেশে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ হয়ে যায় তিন দিন পরে ঘুম ভাঙে ভালমানুষ(!) মন্ত্রী মহোদয়ের।
হাসান-হোসেন করতে করতে পদ্মায় সলিল সমাধি ঘটতে যাচ্ছে নৌকারই তবু তাদের বাঁচাতে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন তারা।
ঘরে তালা মেরে বেড়াতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী এখন ফোনালাপে ব্যস্ত।
আমি এখানে মন্ত্রীদের দেয়া বানী চিরন্তনী’র ফিরিস্তি দিতে বসি নি। মাননীয়দের মানসিকতার উদাহরণ দিচ্ছি মাত্র। আমি সেই মন্ত্রীসভার কথা বলছি; যারা তাদের একগুঁয়েমি আর ভুলকে জায়েজ করতে অনবরত ভুল করতে থাকেন। যা একসময় আর ভুল নয়, অমার্জনীয় অপরাধে রূপ নেয়।
আমি সেই মন্ত্রীসভার কথা বলছি; যারা তাদের সব সাফল্যকে নিজেরাই ম্লান করে দেয়ার পণ করে বসে থাকে। যাদের শত্রুর দরকার হয় না, নিজেরাই বিভীষণের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। আর বলতে চেষ্টা করছি কতটা অসহায় আজকের এই জনগোষ্ঠী। জেনে শুনে বিষ পান ছাড়া এ জাতীর গত্যন্তর নেই।
সতিনের চুলোচুলিতে গৃহস্বামী ঘরছাড়া হয়ে বাঁচে। পোষ্যরা যায় কোথায়? মানুষের যখন বিকল্প থাকে না তখন খড়কুটো আকরেই বাচার চেষ্টা করে। আমাদের যে তিরোহিত হতে চলেছে তাও। জি হুজুর মার্কা মন্ত্রীসভা বানাতে চাইলে অসুস্থ – মেরুদণ্ডহীনরাই জোটে। সুস্থতা-যোগ্যতা বিচারের সুযোগ কোথায়? সুস্থরা কাহাতকই বা মেরুদণ্ডহীন হয়ে বেঁচে থাকতে চায়। তাই তারা প্রতিবাদী হয়। ফলাফল? বানী চিরন্তন- ক্ষমা করে দিলাম মনে থাকবে। কে যে সুস্থ কে অসুস্থ আজ তাও বোঝা দায়। তবে এটা বুঝতে পারছি কুষ্ঠ রোগীকেও গৃহাভ্যন্তরে রেখেই চিকিৎসা দেয়া হয়, মস্তিষ্ক বিকৃতদের নয়। তারা বুঝে না বুঝেই যে কোন সময় হন্তারক হয়ে উঠতে পারেন। আর তাই আত্নরক্ষার্থেই তাদের স্বজনরা বাধ্য হন বিশেষ স্থানে রেখে আসতে এবং যারা মানবিক গুণসম্পন্ন তারা তাদের চিকিৎসাও করান।
[email protected]
২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ----আমি সেই মন্ত্রীসভার কথা বলছি; যারা তাদের একগুঁয়েমি আর ভুলকে জায়েজ করতে অনবরত ভুল করতে থাকেন। যা একসময় আর ভুল নয়, অমার্জনীয় অপরাধে রূপ নেয়।
আমি সেই মন্ত্রীসভার কথা বলছি; যারা তাদের সব সাফল্যকে নিজেরাই ম্লান করে দেয়ার পণ করে বসে থাকে। যাদের শত্রুর দরকার হয় না, নিজেরাই বিভীষণের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। আর বলতে চেষ্টা করছি কতটা অসহায় আজকের এই জনগোষ্ঠী। জেনে শুনে বিষ পান ছাড়া এ জাতীর গত্যন্তর নেই।
++