নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়ামীলীগ কি বাকশালের পথে হাঁটছে?

২১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৩১

রাজধানীতে আগামী এক মাস সব রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের সভা-সমাবেশ,মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এটা কি সরকারের এমন কোন টেস্ট কেস যে, দেখা যাক কি ধরনের প্রতিক্রিয়া হয়? যদি তাই হয় তাহলে আমরা ধরে নিতে পারি। সামনে এই সময় সীমা বর্ধিত করার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ বিএনপি’র বর্তমান যে সাংগঠনিক অবস্থা তাতে এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সভা সমাবেশ করার ক্ষমতা তাদের আছে বলে মনে হয় না। তারমানে নির্বিঘ্নেই কেটে যাবে একটি মাস। ফলে সরকার বিরোধীদের আন্দোলন ঠেকাতে হয়ত এই অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকেই যুতসই বলে ধরে নিয়ে এর সময় এবং পরিধি আরও বাড়াতে চাইবে সরকার। কিন্তু তাতে আখেরে কে লাভবান হবে?



বিএনপি সুযোগ পাবে নিজেদের গুছিয়ে নেয়ার। মোক্ষম অস্ত্র পাবে সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার। কারণ সাধারণ মানুষ দেখবে একদিকে লাগামহীন ছাত্রলীগ অস্ত্রবাজী করে চলছে অন্যদিকে আওয়ামী লীগ পুনরায় বাকশালের পথে হাটতে শুরু করেছে। যা এদেশের জনগণ একবার প্রত্যাখ্যান করেছে। আওয়ামী লীগের অন্ধ ভক্ত ছাড়া কেউই এই আচরণকে সমর্থন করবে না। স্বাভাবিকভাবেই আওয়ামী লীগের নীরব সমর্থকরা তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করে নেবে। আর আওয়ামীলীগ থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়ার অর্থই হল তারা বিএনপিকে সমর্থন করবে। কেননা এ ছাড়া তাদের আর গত্যন্তর নেই।



সংসদের আসন্ন বাজেট অধিবেশনে যোগ না দিলে বিএনপিকে সদস্য পদ হারাতে হবে। তাই মাথা নিচু করে হলেও তাদের সংসদে যেতেই হবে। সেইসাথে সহিংস জামাতের সঙ্গ, হেফাজতকে সমর্থন, ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম এমনিতেই তাদের কোণঠাসা করে রেখেছিল। এর উপরে রয়েছে বিপর্যস্ত সাংগঠনিক অবস্থা। এমন অবস্থায় সরকারের এই সিদ্ধান্ত বিএনপিকে ঘুরে দাঁড়ানোরই সুযোগ করে দেবে।



এখন আর হরতাল দিলেও তা কার্যকর হয়না। খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য নেতাদের সভা সমাবেশে লোক সমাগম হয়না বলেই চলে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় বিএনপির নেতাদের তত্ত্বাবধায়কের দাবী আওরানো ছাড়া এ মুহূর্তে তা আদায়ের মত মনোবলও আর অবশিষ্ট নেই। আর তা বুঝেই ক্ষমতাসীন সরকার তত্ত্বাবধায়কের দাবী নিয়ে যখন যেমন সুবিধা তেমন বলছে। এক অর্থে এই দাবীটা অনেকটাই হালকা হয়ে আসছে। আর তা জেনে বুঝেও আঠার দলের কিছু করনীয় আছে বলে মনে হয় না। যখন প্রায় সব কিছুই সরকারের নিয়ন্ত্রণে, এমনকি স্বপক্ষে ছিল বলেই মনে হচ্ছিল ঠিক এমন সময় এ ধরনের একটি সিদ্ধান্ত কি সরকারের ভিতরের অস্থিরতাকেই নির্দেশ করছে না? এটা তো ঠিক এই সিদ্ধান্তটি সরকারের জন্য এবং দল হিসেবে আওয়ামী লীগের জন্য মোটেই ভাল কিছু বয়ে আনবে না বরং বুমেরাং হয়ে দেখা দিবে।



ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে ত্রাণ বিতরণ ও পুনর্বাসন তৎপরতা নির্বিঘ্নে রাখতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বলা হলেও তা ধোপে টিকবে না কারণ রাজধানীতে এ মুহূর্তে কোনও ত্রাণ কাজ চলছে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় যদিও বলছেন ‘শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের অনুমতি নিয়ে বিরোধী দল ভাঙচুর,জ্বালাও-পোড়াও করে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। মসজিদে হামলা করে পবিত্র কোরআনে আগুন দেয়। বলে তাদের সভা সমাবেশের অনুমতি দেয়া হবেনা। কিন্তু তিনি তো ঐ সব কারণ দেখিয়ে নিষিদ্ধ না করে এক মাস সভা সমাবেশ না করার আহবানও জানাতে পারতেন। তাঁর অনুরোধকে উপেক্ষা করে যদি বিরোধী দল সভা সমাবেশ করে পুনরায় একই ধরনের নৈরাজ্য চালাত তাহলে তখন হয়ত সরকার জনসাধারণের কাছেই এর বিচারের ভার অর্পণ করতে পারত। আর সে বিচারে নিশ্চয়ই সরকারই লাভবান হত। তা না করে এভাবে বিরোধী শিবিরের কণ্ঠরোধের চেষ্টা নিজেদের জন্যই ক্ষতিকর হয়ে দেখা দেবে সন্দেহ নেই।



পরিশেষে দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের সভা-সমাবেশ,মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত থেকে অবিলম্বে সরে আসার দাবী জানাচ্ছি। এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা ক্ষমতাসীন দল এবং দেশ উভয়ের জন্যই মঙ্গল।



[email protected]

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬

taarokaraawaj বলেছেন: মামলা দেওয়ার ও গ্রেফতার করার নতুন পদ্ধতি হইতে পারে। B:-) B:-) B:-) B:-)

২| ২১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮

শফিক আলম বলেছেন: বাকশাল কি, তা একবার জেনে নিয়েছেন কি? বাকশাল তো একটা বিশাল ব্যাপার। অনেক ভাল-মন্দ মিশিয়ে একটা শাসনতান্ত্রিক নীতি নির্ধারিত ব্যাপার ছিল। যাক, সভা-সমাবেশ কেন নিষিদ্ধ করা হয়েছে তা আশা করি এখন বলে দেয়ার অপেক্ষা রাখে না। সভা-সমাবেশ করা যদি গনতান্ত্রিক অধিকার হয়, তবে সেই অধিকারের নামে এবং সুযোগ নিয়ে দেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর অধিকার কাওকে দেয়া যায় না। আর গনতন্ত্র মানেই সভাসমাবেশ আর নির্বাচন নয়। হিফাজতকে সমাবেশ করার সুযোগ দেয়া হয়েছিল, তারা কি করেছে? এর আগেও সভাসমাবেশের নামে কি হয়েছে? আপনার নিজেকে একবার প্রশ্ন করে দেখুন। একটা সভ্য দেশে এরকম হতে পারে? তাছাড়া সভাসমাবেশে আজকাল কারা যায়? প্রতিদিনই মিডিয়ায় কারো না কারো বিবৃতি থাকছে, সেটাই কি যথেষ্ট নয়?

২১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:২৩

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় যদিও বলছেন ‘শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের অনুমতি নিয়ে বিরোধী দল ভাঙচুর,জ্বালাও-পোড়াও করে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। মসজিদে হামলা করে পবিত্র কোরআনে আগুন দেয়। বলে তাদের সভা সমাবেশের অনুমতি দেয়া হবেনা। কিন্তু তিনি তো ঐ সব কারণ দেখিয়ে নিষিদ্ধ না করে এক মাস সভা সমাবেশ না করার আহবানও জানাতে পারতেন। তাঁর অনুরোধকে উপেক্ষা করে যদি বিরোধী দল সভা সমাবেশ করে পুনরায় একই ধরনের নৈরাজ্য চালাত তাহলে তখন হয়ত সরকার জনসাধারণের কাছেই এর বিচারের ভার অর্পণ করতে পারত। আর সে বিচারে নিশ্চয়ই সরকারই লাভবান হত। তা না করে এভাবে বিরোধী শিবিরের কণ্ঠরোধের চেষ্টা নিজেদের জন্যই ক্ষতিকর হয়ে দেখা দেবে সন্দেহ নেই।

৩| ২১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯

ক্লিকবাজ বলেছেন: খাড়ার উপর মিছা কথা কওয়া আর নিজেদের কুকর্ম অস্বীকার করাইতো লীগের অরিজিনাল চরিত্র।

৪| ২১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭

শফিক আলম বলেছেন: হেফাজতের সেদিনের তান্ডব আর ধ্বংসযজ্ঞের পরও কি আরও একটা ঐ রকম তান্ডবের অপেক্ষা করবেন? ভাবতে গেলেও তো আমার কাছে এক বিভিষিকা মনে হয়। যারা অসৎ উদ্দেশ্য ধারন করে থাকে এবং তার প্রমান পাওয়ার পরও তাদের আর কোন সুযোগ দেওয়ার অবকাশ থাকেনা। তারা আহবান জানানোকে থোরাই কেয়ার করবে। হেফাজতকেও সমাবেশের পর চলে যেতে বলা হয়েছিল, তারা শোনে নি। আমার তো মনে হয় সচেতন মানুষ মাত্রেই এখন যে কোন সমাবেশ নিষিদ্ধের পক্ষে থাকা উচিত। যেহেতু প্রত্যেক সমাবেশের পরই সন্ত্রাস করা হয়েছে এবং বিনা কারনে হরতাল দেওয়া হয়েছে যা কোন ফল বয়ে আনেনি। এমনকি এইচএসসি পরীক্ষার দিনগুলোতেও! এ দেশে পরিক্ষা হয় রাত ১২টায়! ভাবা যায়? এগুলোকে কি রাজনীতি বলে, গনতান্ত্রিক অধিকার বলে?

২১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আপনার সব কথা মেনে নেব, শুধু বলুন আওয়ামীলীগ কেন হরতালকে আইন করে নিষিদ্ধ করছে না।
দয়া করে আদালতের দোহাই দিবেন না।
জনস্বার্থে আইন। আইনের জন্য জনস্বার্থ বিঘ্নিত হতে পারে না।

৫| ২১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

taarokaraawaj বলেছেন: এই আইন কি সবার জন্যই প্রযোজ্য নাকি সরকারের জন্য নয়। কারণ সরকারী দল সভা সমাবেশ করলে বিরোধী দল সেখানে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাতে পারে। |-) |-) |-) |-) |-)

৬| ২১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫০

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: @শরিফ আলম:

ভাই আপনারা যা বলেন তা কি আসলেই বিশ্বাস থেকে বলেন, না কি দলের পক্ষে বলতে হয় তাই বলেন?

দয়া করে এটা করবেন না - অন্তরে এক আর মুখে আর এক - এটা কিন্তু মুনাফিকির লক্ষন, আর জনেনতো মুনাফিকরা থাকবে জাহান্নামের সবচেয়ে নিচের স্তরে।

৭| ২১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫১

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: '@শফিক আলম' হবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.