নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমস্যা জিইয়ে রাখা সমাধান নয়, চাই স্থায়ী সমাধান।

২৬ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:২১



সংলাপ হবে সমাধানও হবে। যতটাই কাট খর পোড়াতে হোক না কেন। একের পর এক আন্দোলন – নৈরাজ্য, গ্রেফতার-গন গ্রেফতার, হয়ত চলবে গুলি, হবে লাশের মিছিলও।

তারপর?

এক সময় বোধোদয় হবে আমাদের মহান(!) এবং দায়িত্ববান নেতাদের।

বসবেন আলোচনায়, পর্দার অন্তরালের আসল বোঝাপড়ায় শেষ পর্যন্ত হবেন একমত।

এরপর নেতাদের ধন্য ধন্য করে আমরাও ভাষতে শুরু করব নির্বাচনী হাওয়ায়।

যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে সাধের নির্বাচন। কোন এক দল বা জোট হবে নির্বাচিত।

অতঃপর, কি?

সুখে শান্তিতে বসবাস?

তা তো নয়!

শুরু হবে বিরোধীদের নতুন সরকারকে ক্ষমতা থেকে টেনে হিচরে নামানোর জন্য নতুন আন্দোলন। নতুন সরকারও রত হবে বিরোধী শিবিরকে দমনের প্রাণান্ত প্রচেষ্টায়। প্রমাদ গুনতে শুরু করবে সাধারণ মানুষ। শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে জনসাধারণের ন্যুনতম নিরাপত্তা পর্যন্ত বিবেচ্য রবে না আর। পুনরায় দূতিয়ালিতে নামবেন বিদেশী মেহমানরা। আমরা এই একই দৃশ্য আর দেখতে চাই না। এবার এর থেকে মুক্তি চাই। আর সে মুক্তি কিছুদিনের জন্য নয়, চাই স্থায়ী মুক্তি। এ দেশের মানুষ এই নির্লজ্জ ক্ষমতা কাড়াকাড়ির রাজনীতি দেখতে দেখতে বড় বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। এবার এর একটি বিহিত হওয়া চাই।



হে মহান (!) নেতৃবৃন্দ, আপনারা দয়া করে দেশটাকে নিজেদের সম্পত্তি ভাববেন না। এটাও ভাববেন না যে, এ দেশটা আপনাদের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমিদারী। এ দেশটি যেমন কারো কোন লিজ কৃত সম্পত্তি নয় তেমনি এটা কোন নতুন জেগে ওঠা চর বা লাওয়ারিশ ভূখণ্ডও নয় যে, এর দখলে নামবেন।



হে মহান (!) নেতৃবৃন্দ, আপনারা যে সব মহান নেতার দোহাই দিয়ে চলেন তাদের ধারে কাছে পৌঁছানোর ক্ষমতাও তো আপনাদের নেই। আর তাই তাদের ছবি পোষ্টারে না থাকলে আপনাদের সাঁটানো পোস্টারটিও বিবর্ণ হয়ে যায়। এই তো মাত্র অর্জন আপনাদের! নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে তাই জাতীয় নেতাদের দলীয় নেতা বানিয়ে ফেলেন। আর তা করতে গিয়ে আপনাদেরই এতটুকুও বাধে না।



হে মহান (!) নেতৃবৃন্দ, আপনাদের দেশপ্রেম অসীম(!) আপনাদের মানবতা বোধ প্রশ্নের ঊর্ধ্বে(!) আর দায়িত্ববোধ তো পোষ্যদের কর্মকাণ্ডই নির্দেশ করে। এসব নিয়ে আমাদের সাধারণ মানুষের মাথাব্যথা নেই। আমরা শুধু চাই এই নির্লজ্জ কাড়াকাড়িটা বন্ধ হোক।



হে মহান (!) নেতৃবৃন্দ, আপনাদের গায়ে না লাগতে পারে। আমাদের লাগে। আপনাদের অনৈতিক ঝগড়া থামাতে বিদেশিদের আসতে হয় এতে আমরা লজ্জা পাই। আমাদের সে লজ্জার মাত্রাটা আরও বেড়ে যায় যখন ভাবি এই আপনাদেরই হাতে ক্ষমতা অর্পণ করে, আমাদের পুনরায় নিরাপত্তা হীন হতে হবে।



এটাই আমাদের নিয়তি। আমরা স্বাধীন হতে বার বার যুদ্ধ নামি। সে যুদ্ধে জয়ী হই পুনরায় পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হতে। ব্রিটিশ থেকে পাক, পাক থেকে পিতা, পিতা থেকে বেঈমান, বেঈমান থেকে লোভী, লোভী থেকে ......লোভী......তারপর থেকে চলছে উওরাধীকারের লড়াই। আমরা স্বাধীন হতে পারলাম আর কই!!



পিতার যদি অপঘাতে মৃত্যু হয়। তার সন্তান ঠিকই এতিম হয়, সম্পদ নয়। রক্ষক পিতার সন্তানকে আরও বেশি অরক্ষিত করে তোলে তার রেখে যাওয়া সে সম্পদ। তার দাবীদারের আর অভাব হয়না তখন। পিতা আমাদের চলে গেছেন অসময়ে। রেখে যেতে পারেননি কাণ্ডারি। এ নাদানদের অভিভাবক হতে তাই মহানুভবদের এই লাগাতার সংগ্রাম। যে সংগ্রামের বলি আজ তারই প্রিয় সন্তান।



হে মহান (!) নেতৃবৃন্দ, সংবিধানের জন্য আপনাদের মায়াকান্না, আদালতের ঘারে বন্দুক রেখে স্বার্থোদ্ধার, গণতন্ত্রের জন্য প্রাণপাত আর কত? এবার থামুন। তাকান সাধারণ মানুষের দিকে। তারা শান্তি চায়, স্বস্তি চায়। তারা কি বলছে শুনুন।



হে মহান (!) নেতৃবৃন্দ, দোহাই আপনাদের, আমাদের জন্য অনেক করেছেন আর কিচ্ছুটি করার দরকার নেই। আপনারা শুধু আমাদের সামান্য আয়ের উপর ভাগ বসানোটা বন্ধ করুণ। আপনাদের সোনার ছেলেদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করুন। অন্ধ হয়ে না থেকে দুর্নীতিবাজদের ধরুন। সন্তান থাকা ভাল। যদি সে সুসন্তান হয়। কুসন্তানের টুটি চেপে ধরে নিজে বাঁচুন আমাদের বাঁচান



হে মহান (!) নেতৃবৃন্দ, আপনাদের কাছে আমাদের আজ করজোড়ে মিনতি, আপনারা এবার যে সিদ্ধান্তেই উপনীত হন না কেন তাকে স্থায়ী রূপ দিতে হবে। একবার/ দুইবার কিংবা যতদিন প্রয়োজন হবে ততদিন। এ সব সমস্যা জিইয়ে রাখা সমাধান নয়। এ জাতি বারং বার একই ঘূর্ণিপাকে আটকে থাকতে চায়না। এ অসহ্য যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চায়। তাতে যদি অঙ্গ হানীও ঘটে তবু।বিস্তারিত



[email protected]





মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.