নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিয়তি ভেংচে বলে এক্ষণে মাথা হেট কর পূনঃ, পুরাতন-জীর্ণ-পচার পদতলে।

২২ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬



যারা প্রথম থেকে অকুণ্ঠ সমর্থন জুগিয়ে এসেছে। যারা শুরু থেকেই সাথে ছিল। আজ তাদের কাছে যে প্রশ্নটি সবচেয়ে বড় হয়ে দেখা দিয়েছে; তা হল- তবে কি তারা প্রতারিত হল? যে প্রত্যাশার বীজ সাধারণ মানুষ বুনেছিল তার আবাদ কি তবে উপযুক্ত ভূমিতে হয়নি? যদি তাই না হবে, তবে কেনই বা অঙ্কুরিত হতে না হতেই বিপুল সম্ভাবনাময় সে চারা গাছটি আজ এমন মৃতপ্রায়।

একদিন মহীরুহ হবে বলে; যে বিশ্বাসে পরম মমতায় তারা নিত্য এর মূলে ঢেলেছে জল। বুকে করে মেলে ধরেছে উন্মুক্ত আকাশের তলে। অজস্র আগাছার মাঝে দৃপ্ত প্রত্যয়ে যার একদিন সব ছাড়িয়ে মাথা তুলে দাঁড়ানোর কথা। আজ সে স্বপ্ন ভুখ নির্জীব নিস্তেজ। সুদূর পরাহত আজ তাকে নিয়ে দেখা বিজয়ের স্বপ্ন গাথা।

নিয়তি ভেংচে বলে এক্ষণে মাথা হেট কর পূনঃ, পুরাতন-জীর্ণ-পচার পদতলে।

উফ এত-বড় প্রতারণা। হতাশার অন্ধকারে তলিয়ে যাওয়ার চেয়েও এ যে বড় বেশি লজ্জার। কুল হীন এ জাতি খর কুটোর মত আগলে ধরে পৌছুতে চেয়েছিল যে মঙ্গলালয়ে। আজ তা অলিক স্বপ্ন যেন। তা আজ কেবলই মায়া। খুব কি অন্যায় ছিল তাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখা? তবে কেন এই ছন্দ পতন?

হে মুক্তির সেনানী আজ কোথায় তোমার তেজদ্দিপ্ত সাহসী উচ্চারণ। কোথায় তোমার জীবনের জয়গান। অন্ধকারের সে আলো তোমার হাত থেকে কে নিলো কেড়ে? অনমনীয় তোমার গ্রীবাদেশ কি করে হল নত? তুমি হারালে কোথায় আপসহীন সে দীপ্ত কণ্ঠ?

পথ দেখানো আর এগিয়ে নিয়ে চলা এক নয়। তুমি পথ দেখালে। নতুন সে পথে যাত্রী হল যারা তারা আজ তোমাকেই পায়না খুঁজে। এ কেমন প্রহসন? হে নবীন কুক্ষণে হারালে ভালবেসে দেয়া সে তখত? কিসের মোহে?

কেন হেরে গেলে বন্ধু? কোন ভয়ে এই পিছু হটা? পেছনে যে দেদীপ্যমান সূর্য; কেন দেখলে না তাও? এভাবে হেরে যেতে নেই, এ অন্যায়। বিশ্বাস ভঙ্গের অপরাধে অভিযুক্ত আজ তুমি। শুনতে কি পাও?

উঠে দাঁড়াও। আর এক বার তোল আওয়াজ। আজ তোমার হারে যে হারছে সবাই।

হায় স্বদেশ আমার, জঠরে কেবলই ধর নপুংসকের দল! মাতৃকাকে ধর্ষিত হতে দেখেও জাগেনা পৌরুষ যাদের। সূর্য সন্তানেরাও তোমার আজ দিয়েছে দাসত্বের দাসখত। স্বল্পমূল্যে বেঁচে চলে তারা শেষ আশ্রয় ক্ষয়িষ্ণু আদর্শের সর্বশেষ। সততার সকরুণ মৃত্যু দেখ ধর্মান্ধের রোষানলে। শাসনের দণ্ড দিলে তুলে যার হাতে, চোখ তার বাধা অমার্জনীয় অহঙে। সজ্জনেরে দেখে সে কচ্ছপের বেশে!

মিথ্যের বেসাতীতে চলে রাজপাট। হিংস্র পিচাশের অঙ্গুলি নির্দেশ করে বিজয়ের চিহ্ন। শোষিত জন প্রাণ ভয়ে হয় দেশান্তরি। একদিকে নীতিবানদের নিতিহিনেরে লয়ে চলে নির্লজ্জ কাড়াকাড়ি। অন্যদিকে নকল প্রভু সেজে চলে অসাধারণ ভণ্ডামি।

সব দেখে একদা যে বিদ্রোহ তোমার রক্ত কণিকায় তুলেছিল হিন্দোল। সব ছেড়ে একা এসে দাঁড়িয়েছিলে রাজপথে। আজো তো বদলায়নি কিছুই। তবু তুমি থেমে থাক কি করে? তুমি তো নির্বীর্য নও। তবে কেন হেরে যাবে।

তুমি কি রাজপাট চাও না হৃদয়ের মণিকোঠা?

যেথা ছিলে। এসো; বরমাল্যে বরন করে নেব পূনঃ। সাধারণ হয়ে থেক না আর। অসাধারণের সে পথ আজ কেবলই ডাকিছে তোমায়। হে নবীন, হে বিজিতের বরপুত্র। সিংহ দুয়ার থেকে আর ফিরে যেওনা।

আপন ভুবন একটি ব্লগার্স কমিউনিটি



[email protected]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.