নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সামাজিক অবক্ষয়: অশ্লীলতাই প্রধানত দায়ী।

৩০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭



রমনা পার্ক, নর্থ সাউথ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চিটাগাং ইউনিভার্সিটি, কারমাইকেল কলেজ, রেইন। পাঠক শব্দ গুলি সবারই কম বেশি পরিচিত। কিন্তু যদি বলি এগুলোর প্রায়োগিক ভিন্নতাও রয়েছে অর্থাৎ আপনি এ শব্দগুলি বলতে যা বোঝেন তার বাইরেও ভিন্ন অর্থে এগুলি ব্যবহৃত হচ্ছে। তখন নিশ্চয়ই একটু খটকা লাগবে।

হ্যাঁ এ শব্দগুলি বর্তমানে ব্যবহৃত হচ্ছে পর্ণ ভিডিও ফুটেজের কোড নেম হিসেবে। যার একেকটি ফুটেজ বিক্রি হচ্ছে ১শ থেকে শুরু করে ৪শ টাকায়। মেমোরি কার্ড, পেন ড্রাইভ ইত্যাদি মাধ্যমে এগুলো হস্তান্তর হয়। যার প্রধান ক্রেতা স্কুল-কলেজের তরুণ শিক্ষার্থীরা। আজ কাল প্রায় প্রতিটি গণমাধ্যমে নিয়মিতই এর ভয়াবহতা তুলে ধরা হচ্ছে। লেখা হচ্ছে বিস্তর। প্রশাসন মাঝে মাঝেই অভিযান পরিচালনা করছে। জব্দ করছে এ ধরনের ভিডিও সম্বলিত বিপুল পরিমাণ মেমোরি কার্ড-পেন ড্রাইভ। জেল-জরিমানাও কম করা হচ্ছে না। তথাপিও এর ব্যাপকতা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে।



প্রশ্ন হল এই ভিডিও ফুটেজগুলির উৎস কি? এক কথায় এর উত্তর হল প্রেমের নামে বেলেল্লাপনায় মেতে ওঠা প্রেমিক প্রেমিকারাই এর মুল উৎস। লক্ষণীয় বিষয় হল; পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী এ সব ভিডিও ফুটেজের একটিতেও জোর জবরদস্তি করে কেউ কাউকে এই ধরনের ভিডিও তৈরিতে বাধ্য করছে বলে অনুমিত হয়না। অর্থাৎ ফুটেজগুলিতে যাদের অংশগ্রহণ দেখা যায় তারা স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়েই এ ধরণের কুকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। যা পরবর্তীতে কোন এক পক্ষ জেদের বসে বা ব্যবসায়িক স্বার্থে বাজারে ছেরে দিচ্ছে কখনো কখনো তৃতীয় কোন পক্ষ এই সব দৃশ্য গোপনে ক্যামেরা বন্দি করে বাজারে ছাড়ছে। মোট কথা যে সব পর্ণ ভিডিও ফুটেজ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে তা আমাদের সন্তানদের চরম অবক্ষয়কেই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।



ফুটেজগুলিতে অংশ নেয়া ছেলে-মেয়েরাও যেমন এ সমাজের অংশ। তেমনি যারা এর ক্রেতা তারাও এ সমাজেরই অংশ; এর সিংহভাগই আবার তরুণ প্রজন্ম। যারা স্বাধীনতার নামে আধুনিকতকতার দোহাই দিয়ে বেলেল্লাপনার শেষ সীমা অতিক্রম করে চলেছে নিত্য। আমরা যেনেও এর প্রতিকারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ না করে বরং তাদের সহযোগিতাই করে চলেছি দ্বায়িত্বজ্ঞানহীন অপদার্থের মত।

যে ছেলেটি তার মোবাইলে এই ভিডিও ফুটেজগুলি দেখে রাস্তায় বের হয় তার কাছে সামনে দিয়ে হেটে যাওয়া মেয়েটি আর ফুটেজে দেখা মেয়েটিকে একই মনে হবে এটাই স্বাভাবিক। আর তখন যে সে ঐ মেয়েটিকে হেনস্তা করতে চাইবে; ইভ টিজিং করবে এটাও কি স্বাভাবিক নয়?



আমাদের নাটক সিনেমা গানে তুমি-আমি ছাড়া কিছু নেই। মোবাইল কোম্পানিগুলো তাদের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সেটাকে উস্কে দিচ্ছে আরও। ভাবখানা এমন যেন বন্ধু পাশে থাকলেই হল আর কারো প্রয়োজন নেই, বন্ধুত্ব মানেই প্রেম। প্রেমের জন্যই জীবন, আর প্রেম মানেই বেলেল্লাপনা। জীবনের আর কোন লক্ষই নেই!

ঠিক একই ভাবে ইন্টারনেট মানেই ফেসবুক, ফেসবুক মানেই ফেক আইডি আর মিথ্যের ছড়াছড়ি। বন্ধুত্ব-প্রলোভন, প্রেম অতঃপর বাস্তবতার ঘায়ে রক্তাক্ত অন্তর। এরপরে নেশা। বলে রাখা ভাল, ফেসবুকেও আছে জ্ঞানগর্ভ অনেক ভাল ভাল পাতা। কিন্তু দুর্ভাগ্য হল তার পাঠক সংখ্যা নেহায়েতই নগন্য।



অনলাইনের বিশাল তথ্য ভাণ্ডারের ধারে কাছেও ঘেঁষে না বেশিরভাগ অনলাইন এ্যক্টিভিষ্ট। এমনকি ব্লগ সম্পর্কেও বেশিরভাগেরই ধারনা নেই। অথচ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশন(বিটিআরসি) প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩ কোটি ১৩ লাখ ৩০ হাজার। এরা সারাদিন অনলাইনে কি করে? এ প্রশ্নের উত্তরই এই নিবন্ধের সারকথা। তারা যদি ব্লগ নিয়ে মেতে থাকত। মেধার অপচয় নয় চর্চায় মনোনিবেশ করত। তাহলে আজকের এই লেখার অবতারনাই হত না। আজকের শিক্ষিত তরুণ যদি অনলাইনের বিশাল তথ্যভাণ্ডারের সাথে পরিচিতই না হতে পারে। যদি সেখান থেকে তারা নিজেদের সমৃদ্ধ করতে না পারে। সর্বোপরি বিশ্ব পরিমণ্ডলে নিজেদের সংযুক্তই করতে না পারে তাহলে তাদের অর্জিত শিক্ষাই যে এ দেশের জন্য বোঝা হয়ে দেখা দিবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।



এর জন্য কি আমরাই দায়ী নই? মধ্যবিত্ত সমাজের বেশির ভাগ অভিভাবকের অনলাইন সম্পর্কে সম্যক ধারনা নেই; সন্তানকে কি গাইডলাইন দিবেন। বরং সন্তানই তাকে শেখায় যতটুকু সে বন্ধু বান্ধবের কাছ থেকে শিখেছে। বলাই বাহুল্য বন্ধুদের কাছ থেকে সে সুস্থ ওয়েবসাইটের চেয়ে অসুস্থ ওয়েবসাইট আইডিই বেশি পেয়েছে। যার ফলে সে আসক্ত হয়ে পরছে অনলাইন পর্নগ্রাফিতে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা জার্নাল, ‘সাইকোলজি টুডে’র গবেষণাপত্রে বলা হয়; ইন্টারনেট পর্ণগ্রাফিতে আসক্ত মাত্র বিশ বছরের তরুণ যুবকও প্রকৃত অর্থে স্বাভাবিক যৌনাচরণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে ফলে তারা একধরণের নপুংসক পুরুষে পরিণত হতে থাকে। ‘সাইকোলজি টুডে’র এই গবেষণাপত্র আমাদের একটি ভয়াবহ দুর্যোগের পূর্বাভাস দিচ্ছে। অবশ্য আমরা যদি তা অনুধাবনে সক্ষম হই।



আমরা সহজ বিষয়টি কেন ভুলে যাই? অবুঝ শিশুকে যেমন মা-বাবা তথা তার অভিভাবক গনই একটি ভাল স্কুলের সাথে-একটি ভাল পরিবেশের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। নয়ত তার পক্ষে কখনোই নিজে থেকে ভাল পরিবেশ খুঁজে নেয়া সম্ভব নয়, ঠিক তেমনি অনলাইন জগতটাকে আপনার সন্তানের সম্মুখে খুলে দেয়ার ক্ষেত্রেও সঠিক পথটা বাতলে দেয়া কি আপনার কর্তব্য নয়? আমি অনেক অভিভাবকের কাছেই শুনি; সন্তান অনলাইনে পড়াশুনা করে। অনলাইনের তথ্যভাণ্ডার আপনার সন্তানকে সমৃদ্ধ করছে এ তো খুবই ভাল কথা। কিন্তু নিজে কি কখনো তার কাছে বসে জানার চেষ্টা করেছেন সে আদৌ কতটা সমৃদ্ধ হচ্ছে, নাকি নিজেকেই ক্ষয় করে চলেছে দিনকে দিন। আর অনলাইনে লেখাপড়া করতে কেন বদ্ধ ঘরের প্রয়োজন সে প্রশ্নটাও আপনার সন্তানের কাছে করুন। দেখুন সদত্তুর মেলে কিনা।



বর্তমান সময়ে নানা কারণেই আমরা আমাদের সন্তানদের হাতে মোবাইল ফোন তুলে দেই; এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেটাকে কেন মাল্টি মিডিয়া হতে হবে? এর সুফলটি কি, আর এর প্রয়োজনীয়তাই বা কি একটিবারও ভেবে দেখছি না। শ্রেণী শিক্ষক এসে ছাত্রের কান থেকে হেড ফোন খুলে দিচ্ছে ছাত্রের হুশ-ই নেই যে সে ক্লাসে। এ তো গেল একটি দিক।



আপনার কিশোর ছেলের হাতের মোবাইল ফোনের মেমোরি কার্ডটি ওপেন করুন। যা দেখছেন তা কি আপনি সমর্থন করেন? ইদানীং আরেকটি ভয়াবহ মানসিক রোগ দেখা দিয়েছে কিশোর কিশোরীদের মধ্যে তারা নিজেরাই নিছক আনন্দোচ্ছলে একে অপরের; এমনকি নিজেদের দেহের বিভিন্ন স্পর্শকাতর অংশের ছবি তুলে বন্ধুদের এমএমএস করছে। এইসব ছবি এক সময় বেহাত হয়ে তারাই আবার এর দ্বারা ব্লাকমেইলের স্বীকার হচ্ছে। কিশোর-কিশোরীদের নির্মল আনন্দের স্থানগুলো দখল করে নিয়েছে এই সব ভায়োলেন্স। আমরা কতটা খোজ রাখছি আমাদের অন্দরের?

আমাদের মগজে ধরেছে পচন তাই সমস্যার মুলে গিয়ে সমাধান করতে পারছি না। নষ্ট হয়ে গেছি আমরা নিজেরাই। তাই সন্তানদের দিকে চোখ তুলে চাইতে পারি না। ফলে উচ্ছন্নে যাচ্ছে একটি প্রজন্ম। যারা নৈতিক অবক্ষয়ের শেষ সীমায় পৌঁছে যাচ্ছে। এরাই কি একদিন আবার আমাদের ঘৃণা করবে না, অভিশাপ দিবে না, আমরা ওদের শেখাইনি বলে?



কেন এই অবক্ষয়?



এই অবক্ষয়ের মুলে রয়েছে ধর্মহীনতা, অসহিস্নুতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের অভাব এবং সর্বগ্রাসী অশ্লীলতা’র মত আরও কিছু বিষয়।



ধর্মহীনতার সংস্কৃতিঃ ধর্মের অনুশীলন কখনোই ধর্মান্ধতা নির্দেশ করেনা বরং ধর্মই পারে ধর্মান্ধতার অভিশাপ মুক্ত করতে। ধর্মই মানুষের জীবন প্রণালী অন্যান্য প্রাণীর থেকে আলাদা করেছে। মানুষকে সভ্য করেছে। আজ ধর্মকে ত্যাগ করে আমরা পুনরায় অসভ্য-বর্বরতার যুগেই ফিরে যাচ্ছি। সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে আমরা ধর্মকে মনে করি এগিয়ে চলার পথের প্রধান অন্তরায়। ধর্ম অন্তরায় সত্য, তবে তা সভ্যতাকে ধ্বংসের অন্তরায়। সভ্যতাকে বিনির্মাণের অন্তরায় নয়। ইতিহাস সাক্ষী দেয় প্রতিটি সভ্যতাই গড়ে উঠেছিল কোন না কোন ধর্মকে আশ্রয় করে। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন একটি সভ্যতার খোজ মেলে না যেটি ধর্মহীনতাকে আশ্রয় করে গড়ে উঠেছে বরং অনেক সভ্যতাই ধংস হয়ে গেছে অধর্ম, সামাজিক অনাচার আর অবিচারের ফলে।



অসহিস্নুতাঃ আজ আমাদের প্রতি পদে পদে। আমরা প্রায় প্রত্যেকেই শুধু নিজেকে নিয়েই ভাবতে শুরু করেছি। অন্যের প্রয়োজনকে আমলে নিতে চাচ্ছি না এতটুকু। কারো জন্য কোন ছাড় নয়। সব কিছুতেই চাই একচ্ছত্র আধিপত্য। যে আধিপত্য ভেঙ্গে ফেলছে পারিবারিক বন্ধন। আজ আমরা সবাই অনাত্মীয় এক অনাথ জীবন যাপন করছি শুধুমাত্র সহিষ্ণুতার অভাবে। যা আমাদের সন্তানদের করে তুলেছে নিঃসঙ্গ। নিঃসঙ্গতা যে মানুষকে হিংস্র করে তোলে তা বলাই বাহুল্য।



পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের অভাবঃ পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের বালাই নেই সমাজের কোথাও এমনকি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যের পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের জায়গাটিও দখল করে নিয়েছি ঈর্ষা আর স্বার্থের দ্বন্দ্ব, যা আনন্দঘন একটি পরিবেশকেও করে তুলেছে রণক্ষেত্র। এ ক্ষেত্রেও সন্তানরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অসুস্থ পারিবারিক পরিবেশে সন্তান অস্বাভাবিক মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠবে এটাই স্বাভাবিক।



সেইসাথে শিক্ষকের ব্যবসায়ী মনো ভাবাপন্ন হয়ে উঠা, সামাজিক বিশৃঙ্খলা, সুশাসনের অভাব, পারস্পরিক দূরত্ব বৃদ্ধি, দায়িত্ব এড়িয়ে চলার প্রবণতা, রাজনৈতিক দুর্বিত্তায়ন, সমাজে পেশি শক্তির প্রভাব, বিচারহীনতার সংস্কৃতি। সর্বোপরি লাগামহীন অশ্লীলতাই আজকের তরুণ সমাজকে চরম অবক্ষয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।



অশ্লিলতাঃ আজ আমরা স্বাধীনতার নামে আধুনিকতার দোহাই দিয়ে অশ্লীলতা জায়েজ করতে চরম বেলেল্লাপনায় মেতে উঠছি। যে কোন উন্মুক্ত উদ্যানে গেলে খুব সহজেই যা চোখে পরে। ছুটির দিনে আপনার ছোট্ট সোনামণিকে নিয়ে একটি পার্কে ঘুরতে যাবেন, সেখানে গিয়ে আপনাকে এমন সব দৃশ্যের মুখোমুখি হতে হবে যে, লজ্জায় যত দ্রুত সম্ভব বেড়িয়ে আসতে চাইবেন। মনে হবে এখানে যেন সবাই নির্লজ্জ হতেই আসে।



এমনি কয়েকটি ঘটনার শিরোনাম:



• “বগুড়ার ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্ক থেকে ২০০জন প্রেমিক-পেমিকাকে আটক করে পুলিশ”।

• কুষ্টিয়ায় গণিতের শিক্ষক পান্না প্রাইভেট পড়ানোর সুবাদে একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে তাদের গোপন কক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন সম্পর্ক করে নগ্ন ভিডিও ধারণ করতেন।

• বনানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তার বন্ধুর সঙ্গে সাইবার ক্যাফেতে বসে গল্প করছিলেন তাদের মধ্যে প্রেমের আলাপের এক পর্যায়ে দুইজন পরস্পরকে জড়িয়ে ধরেন। এ দৃশ্য সাইবার ক্যাফেতে গোপনে স্থাপন করা ক্যামেরায় ধারণ করে হয়। এরপরে ঐ দৃশ্য পর্ণ ছবি আকারে মোবাইল ফোনের দোকানে বিক্রি করে দেয়া হয়।



এমন শত শত ঘটনা ঘটে চলেছে আমাদের চারপাশে। যা অস্থির করে তুলছে যুব সমাজকে। নারীকে করে তুলছে ক্রমশ: অনিরাপদ। অথচ প্রতিটি ঘটনায় নারীর থাকছে স্বেচ্ছা অংশগ্রহণ। তা প্রেমের ফাঁদে পড়ে হোক, কিংবা জৈবিক তাড়নায়। একটি মহা অন্যায় তারা করে যাচ্ছেন অবলীলায়। যাকে শৈল্পিক করে তুলতে আমরা বিশেষায়িত করছি প্রেম বলে । শুধু প্রেম নয় বলছি স্বর্গীয় প্রেম!

স্বর্গীয় প্রেম বলতে জৈবিক তাড়নাকে বোঝায় কিনা তা আমি জানিনা। তবে এটুকু বুঝি যা অনৈতিক; যা অবৈধ তা কখনোই কল্যাণ বয়ে আনে না। আর তা স্বর্গীয় নয়ই বরং নারকীয়।



সামাজিক অবক্ষয়ের হাত থেকে বাঁচতে হলেঃ



এই সর্বগ্রাসী সামাজিক অবক্ষয়ের হাত থেকে বাঁচতে হলে সর্বাগ্রে প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি। সেইসাথে ধর্মীয় অনুশাসনের অনুশীলন, পরমত সহিষ্ণুতা , পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করা সহ সর্বক্ষেত্রে অশ্লীলতাকে শুধু বর্জনই নয় প্রতিরোধ করা আজ আমাদের সকলের দায়িত্ব হয়ে পড়েছে। যার শুরুটা হতে হবে গৃহাভ্যন্তর থেকেই। এটা সকলেরই মনে রাখা উচিত যে, সামাজিক সমস্যা দূর করতে রাষ্ট্রের সহযোগিতার হয়ত প্রয়োজন রয়েছে কিন্তু মুল দায়িত্বটি পরিবার তথা সমাজকেই নিতে হয়। সন্তানকে সময় দিন। তাকে বুঝতে চেষ্টা করুন। তার বন্ধুদের জানুন। তাকে নৈতিক মুল্যবোধের শিক্ষা দিন। মানুষ আর পশুর মধ্যে আচরণগত যে পার্থক্য রয়েছে সে শিক্ষাটি তাকে শৈশব থেকেই দিতে শুরু করুন। তবেই না সে পশুত্বকে ঘৃ্না করতে শিখবে। আর সামাজিকভাবে এই সমস্যাগুলো দূর করতে হলে এগিয়ে আসতে হবে আমাদের সমাজপতিদের। সমাজপতিরা অনেক ভাল ভাল কথা বলেন, সম্মানের সাথে চলেন। পাঁকের মাঝেও থেকেও ধোপধুরস্ত থাকেন! এই সমাজপতিদের গায়ে কখনোই লাগে না কোন পংকিলতার দাগ। তাদের কাছে আমাদের বিনীত নিবেদন এবার এই কাজটি আপনারা করে দেখান। কারন এই সোনার ছেলেরা তো আপনারদেরই আজ্ঞাবহ। তাই চাইলে আপনারাই পারেন এদের মানবরুপটি পুনরায় ফিরিয়ে আনতে। আমরা কৃতার্থ হব।

প্রিয় পাঠক আরও পড়ুন



[email protected]

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪

১১স্টার বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্ট

৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

২| ৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

পাগলামৃদুল বলেছেন: অনলাইনের বিশাল তথ্য ভাণ্ডারের ধারে কাছেও ঘেঁষে না বেশিরভাগ অনলাইন এ্যক্টিভিষ্ট। এমনকি ব্লগ সম্পর্কেও বেশিরভাগেরই ধারনা নেই। অথচ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশন(বিটিআরসি) প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩ কোটি ১৩ লাখ ৩০ হাজার। এরা সারাদিন অনলাইনে কি করে? এ প্রশ্নের উত্তরই এই নিবন্ধের সারকথা। তারা যদি ব্লগ নিয়ে মেতে থাকত। মেধার অপচয় নয় চর্চায় মনোনিবেশ করত। তাহলে আজকের এই লেখার অবতারনাই হত না। আজকের শিক্ষিত তরুণ যদি অনলাইনের বিশাল তথ্যভাণ্ডারের সাথে পরিচিতই না হতে পারে। যদি সেখান থেকে তারা নিজেদের সমৃদ্ধ করতে না পারে। সর্বোপরি বিশ্ব পরিমণ্ডলে নিজেদের সংযুক্তই করতে না পারে তাহলে তাদের অর্জিত শিক্ষাই যে এ দেশের জন্য বোঝা হয়ে দেখা দিবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।

চমৎকার লিখেছেন।

৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।

৩| ৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩

মনুমনু বলেছেন: ১১স্টার বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্ট

৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: "১১স্টার বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্ট"
আপনি কি বলেন?
ভাল থাকুন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮

পরের তরে বলেছেন: ভাল পোষ্ট। সবাইকে সচেতন হতে হবে।

৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সবাইকে সচেতন হতে হবে। এটাই সার কথা। ভাল থাকুন।

৫| ৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১

নীলতিমি বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন । ধন্যবাদ।

৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯

joos বলেছেন: অনলাইনের বিশাল তথ্য ভাণ্ডারের ধারে কাছেও ঘেঁষে না বেশিরভাগ অনলাইন এ্যক্টিভিষ্ট। এমনকি ব্লগ সম্পর্কেও বেশিরভাগেরই ধারনা নেই। অথচ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশন(বিটিআরসি) প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩ কোটি ১৩ লাখ ৩০ হাজার। এরা সারাদিন অনলাইনে কি করে?

-গুরুত্বপূর্ণ অবজারভেশন।

৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।

৭| ৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:০১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চমৎকার পোস্ট ++++

৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৪৫

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: কান্ডারী অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৮| ৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:০৫

রাজীব বলেছেন: প্রকাশ্যে ঘুষ খাওয়া পাপ নয় চুমু খাওয়া পাপ!

এটি আমার নয় একজন লেখকের কথা

৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: রুপক কথার অর্থ এক লাইনে কি প্রকাশ পায়?

৯| ৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: তরুণদের বিপথগামীতার জন্য ধর্মের অভাবের দোহাই দিলেন, ধর্মহীনতার কথা বললেন। কিন্তু আপনার দেওয়া ছবিতেই তো ধার্মিকদের দেখছি। না কি ধর্মের আড়ালে এখন এই সবও হচ্ছে আকছার? এতে আশ্চর্য হবার কিছুই নেই --- আমাদের দেশে ফতোয়া ব্যক্তিগত প্রয়োজনেই বেশি দেওয়া হয়, সামাজিক বা জাতির প্রয়োজনে নয়।

তরুণদের করুন পরণতির জন্য দায়ী আমাদের ধান্ধাবাজ আলেমরা। তারা নিজেদের কাজের মাধ্যমে এমন কোন উদাহরন সৃষ্টি করতে পারেন নাই যে তরুণরা তাঁদের মত ও পথের প্রতি আকৃষ্ট হবে। তাই আমি মনে করি ব্লগে উনাদের জন্য কিছু লিখুন। না কি আলেম সমাজ আপনার-আমার মত নাস্তিকদের [ এখন তো বলা হয় ব্লগার মানেই নাস্তিক ] লেখা পড়বে না!

১০| ৩০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১৯

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আমি কিন্তু বিশেষ কোন ধর্মের কথা বলিনি। সকল ধর্মই বেলেল্লাপনার বিপক্ষে। ধর্ম মানুষকে অসভ্য হতে বাধা দেয়।
ধর্মের আড়ালে এসব হয় না। অসভ্যরা নিজেদের বাচাতে ধর্মিয় লেবাস ধারন করে মাত্র। এখানে ধর্মের বা আলেমদের দোষ দেয়ার কোন কারন দেখি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.