নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন স্বরূপ বারংবারের এই অত্যাচারটা আর না হয় নাই করলেন।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৫



আমরা যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রীর দুটি প্রস্তাবনাকে পাশাপাশি রেখে পর্যালোচনা করি সবচেয়ে বড় যে পার্থক্যটি চোখে পড়ে তা হল; একটি প্রস্তাবনা স্থায়ী সমাধান নির্দেশ করে অন্যটি অস্থায়ী। আমরা সাধারণ মানুষ কেন প্রতি পাঁচ বছর অন্তর একটি সংঘাতময় পরিস্থিতির সম্মুখীন হব? কেন দুটি প্রস্তাবই স্থায়ী সমাধানকে মাথায় রেখে করা হল না?



আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ কখনোই যে সাধারণ মানুষের চাওয়া পাওয়াকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন না এই প্রস্তাবনাও তারই সর্বশেষ উদাহরণ। এমনতো নয় যে আমরা একটি সংঘাত প্রিয় জাতি। অথচ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মত একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর স্থায়ী সমাধানের বিপক্ষে দেশের প্রায় অর্ধেক মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী দলটির এমন অনীহা সত্যিই দুঃখজনক। যদি বিরোধী দলীয় নেত্রীর দেয়া প্রস্তাবটিকে(চরম অসঙ্গতিপূর্ণ) মেনে নিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তী সংসদ নির্বাচন কিভাবে অনুষ্ঠিত হবে? তখন কি পুনরায় একই ধরনের অচলাবস্থার সৃষ্টি হবে না? সে দায় কে নেবে।



মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রীর দেয়া প্রস্তাবনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে নির্বাচন করবেন না। তিনি নির্বাচন করতে চান এমন কারো অধীনে যাকে সাধারণ মানুষ সমর্থনই করে না। অর্থাৎ তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে এমন একটি স্থানে নামিয়ে আনলেন যাকে কিছুতেই বিশ্বাস করা যায় না। বা যার উপরে কোনভাবেই আস্থা রাখা যায় না অথচ এই ব্যক্তির হাতেই পাঁচটি বছর দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার অর্পণ করে এ দেশের মানুষ স্বস্তিতে ছিল। দেশের দুই তৃতীয়াংশ মানুষ যার উপর আস্থা রাখতে পারলেন এতদিন ধরে তার উপরে প্রধান বিরোধী দল ও তার মিত্ররা কখনোই আস্থাশীল হতে পারলেন না। ঠিক একই রকম অনাস্থা আমরা দেখতে পাই আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে বেগম খালেদা জিয়া ও তার দল বা জোটের ক্ষেত্রেও। তাহলে দেশের মোট ভোটারের ৮০% ভোটার এই দুই নেত্রীর উপর যে আস্থা রাখছেন তারা কি ভুল করছেন। দেশের মানুষের এই ভালবাসা তাদের আস্থার এই কি প্রতিদান।



তারা কাকে ছোট করছেন? নিজেদেরকে না এ দেশের মানুষকে? আজকের বাংলাদেশের এই যে অবস্থান। এই যে এগিয়ে চলা তা কি তথাকথিত নিরপেক্ষ ব্যক্তির হাত ধরে নাকি এই দুই নেত্রীর হাত ধরে। নিশ্চয়ই নেত্রী দ্বয়ের হাত ধরেই এই এগিয়ে চলা। তাহলে আমরা কেন তাদের ব্যতিরেকে অন্য কারো কাছে আমাদের দেশ পরিচালনার ভার অর্পণ করব(যে ক’দিনের জন্যই হোক না কেন) যে ব্যক্তিকে আপনারা নিরপেক্ষ বলে নির্বাচিত করতে চাইছেন তাকে নির্বাচিত করে দেশের সর্বময় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করার অনুমোদন কি সাধারণ মানুষ আপনাদের দিয়েছে? আপনাদের নির্বাচিত অতিমানব সেই ব্যক্তিটিই যদি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করে তাহলে কত পার্সেন্ট জন সমর্থনে লাভে সক্ষম হবে?



সম্মানিত ব্যক্তির কথা বলছেন? এ দেশে দুই নেত্রীর থেকে সম্মানিত আর কে আছে? সম্মান তো দেশের মানুষই দেয়, নাকি তা বিদেশ থেকে ইম্পোর্ট করে আনতে হয়। দেশের মানুষের ভালবাসাকে অস্বীকার করে, তাদের আস্থাকে অবজ্ঞা করে আপনারা সম্মানিত মানুষ খুঁজছেন! এ সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।



নির্বাচনের পূর্বে আপনাদের কাছে যারা সম্মানিত বলে বিবেচিত হন ফলাফল বিপর্যয়ের পরে তারাই তো আবার আপনাদের দারা চরম অসম্মানিতও হন। নিরপেক্ষ সজ্জন সেই একই ব্যক্তি পরিণত হন চরম দুর্জনে। তাহলে সম্মানিত এবং নিরপেক্ষ ব্যক্তির সংজ্ঞাটা কি?



আর তা ছাড়া এক এগার পরবর্তী সময়ে আপনাদের মনোনিত সম্মানিতদের তো আমরা দেখেছি।

এ দেশের প্রশাসন থেকে শুরু করে এমন একটি প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে কর্মরতরা দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়নি। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে নির্বাচন কালীন সময়ে প্রশাসনে রদবদল মানেই ক্ষমতাসীনদের বিপক্ষ শক্তিকে সুযোগ করে দেয়া। ক্ষমতাসীনরা নিজেদের দলের প্রতি আনুগত্য শীলদের যে ভাবে নির্দিষ্ট স্থানে বসিয়ে রাখেন। সেখান থেকে তাদেরকে পরিবর্তন করে দেয়া মানেই ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধ শক্তিকে বসিয়ে দেয়া। কারণ প্রশাসনে এখন আর নিরপেক্ষ কেউ নেই। দুই দলই কৃতিত্বের সাথে এই কাজটি করতে সক্ষম হয়েছেন। আর তারা তা ভালভাবে জানেন বলেই এই ছক উল্টানোর খেলাটা খেলেন। আপনারা যদি সত্যিই নিরপেক্ষ ব্যক্তি দ্বারা নির্বাচন চান তাহলে আগে অঙ্গ সংগঠনের নামে দলবাজিটা বন্ধ করুন। প্রশাসনকে নানা রঙ্গে রঞ্জিত করা বন্ধ করলে কর্মকর্তাদের দাপটটাও কমবে সাধারণ মানুষও উপকৃত হবে। আর আপনারাও তখন নির্বাচনে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড পাবেন। অবশ্য সেটি আপনারা প্রকৃতপক্ষে চান কিনা সে ব্যাপারে জনমনে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।



এ দেশে ক্ষমতায় যারাই আসুক সাধারণ মানুষের ভাগ্যের খুব একটা পরিবর্তন হয় না। এটা তারাও জানে। পরিবর্তন যা হয় তা রাজনীতি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গেরই সাধারণের নয়। আর তাই কে ক্ষমতায় এলো তা নিয়ে তারা যতটা চিন্তিত থাকে তার চেয়ে বেশি চিন্তিত থাকে অশান্তি আরও বাড়বে কিনা তাই নিয়ে। তাই এই খেটে খাওয়া মানুষদের এবার একটু রেহাই দিন। আপনারা রাজা মহারাজারা থাকুন আপনাদের বিবাদ-বিসংবাদ আর রাজকার্য নিয়ে সাধারণকে শান্তিতে থাকতে দিন। আমাদের বেঁচে থাকার অধিকারটুকু হরণ করবেন না দয়া করে। আপনাদের বিবাদ আপনারা যেভাবে ইচ্ছা মিটান আমাদেরকে জিম্মি করবেন না। আমরা যারা আধমরা হয়ে বেঁচে আছি তাদের উপরে মড়ার উপরে খাড়ার ঘা স্বরূপ প্রতি পাঁচ বছর অন্তর অত্যাচার চালানোটা বন্ধ করুন। আপনারা হাসিমুখে হরতালের ঘোষণা দেন। আপনাদের পোষ্যরা আনন্দে নাচতে শুরু করে আর আমরা দেখি ঘরে খাবার নেই। ট্যাঁক খালি টাকা নেই। আমরা তখন মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ি। তাই বলছি, আমাদের নাম ভাঙ্গিয়ে তো চলছেন; চলুন না। অন্তত কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন স্বরূপ বারংবারের এই অত্যাচারটা আর না হয় নাই করলেন। এবার স্থায়ী সমাধানের পথেই হাঁটুন না।

আপন ব্লগ

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.