নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জনাব রিজভী; আমরা নিরাপত্তা চাইব কার কাছে?

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩০



বাহ নেতা বাহ এতদিনে বুঝিয়ে দিলেন এ দেশের সাধারণ মানুষ মানুষের পর্যায়েই পড়ে না । তাদের নিরাপত্তা বা বেঁচে থাকার অধিকারও আপনাদের মত উচ্চ বর্ণের মহানুভবদের(!) কৃপা দৃষ্টির উপরেই নির্ভরশীল। আজ আপনি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন, সে জন্যে আর্তনাদ করছেন। অথচ কিশোর মনিরদের যখন পুড়িয়ে মারা হয় তাদের আর্তনাদ আপনাদের কানেই বাজে না। নাকি সে আর্তনাদ আপনাদের কাছে সুরেলা মনে হয়?



সামান্য জেলে যাওয়ার ভয়ে আজ ভিত হয়ে আপনি মানবাধিকার কর্মী ও সংগঠকদের প্রতি আহবান জানান আপনাদের পাশে এসে দাড়াতে। কোন মানবাধিকার সংগঠনের প্রতি এ আহবান জানালেন, নিশ্চয়ই হিউম্যান রাইটস ওয়াচের কাছে। যাদের বিচারে মানবতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত দের দেয়া শাস্তি ন্যায় সঙ্গত হয়নি, যাদের কাছে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের দেয়া শাস্তি ন্যায় সঙ্গত হয়নি, যারা হরতালে মানুষকে পুড়িয়ে মারা প্রত্যক্ষ করতে ব্যর্থ হয়, চোখে ভু রাজনৈতিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট চশমা আটা থাকে বলে। কোন মানবাধিকার সংগঠনের প্রতি এ আহবান জানালেন, যাদের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে মানবাধিকার বেচাকেনা করার অভিযোগ উঠেছে তাদের কাছে? তাহলে ঠিকই আছে তারা নিশ্চয়ই আপনাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াবে। এটাই তাদের কাজ। কিন্ত আমাদের বলুন তো আপনাদের অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে আমরা কার কাছে আবেদন জানাব?

কেউ কেউ বলেন বিধাতাই সাধারনের একমাত্র ভরসা আমার তা মনে হয় না। বরং মনে হয় বিধাতাও আজ আপনাদের দখলে নয়ত প্রতিকারহিনভাবে আপনারা এত অত্যাচার চালান কি করে?



আশ্চর্য এক সত্য উন্মোচন করলেন আপনি আজ, আর তা হল পূর্বে রাজনীতিবীদগন যেমন সাধারণ মানুষের সাহায্য চাইতেন আজকের দিনে তা অচল। এখন নেতারা সাধারণের সাহায্য নয় অসাধারণদের সাহায্য চান। তার কারণ হয়ত এটাই, নিজেদের ব্যতিরেকে তারা যেটুকু করেন তা সাধারণের জন্য নয় অসাধারণদের জন্যই। তাই তারা সাহায্যটাও প্রতিদান হিসেবে তাদের কাছেই চান।



আজ আমরা সাধারণ মানুষ আপনাদের পাওয়া না পাওয়া এবং অনৈতিক জেদ এর কাছে জিম্মি।

দেশটি কি আপনাদের নিজস্ব তালুক?

ক্ষমতাবানদের বিত্ত-বৈভব, ইচ্ছা-অনিচ্ছার রসদ জোগাতে সাধারণ মানুষ আর কত বিসর্জন দেবে?

আর কত অত্যাচার সইবে?

আপনারা আন্দোলন করছেন ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে। এখানে তো আমাদের কোন স্বার্থ নেই। আমাদের কেন আপনারা জিম্মি করবেন? আপনারা কি দস্যু যে, সন্তানকে বেধে রেখে গৃহকর্তাকে জিম্মি করে সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার মত আচরণ করছেন?



এই সাধারণ মানুষকে জিম্মি করতে যাদেরকে আপনারা সহযোগী বানিয়ে নিয়েছেন সেইসব কাপুরুষ বিবেক বোধহীনেরা একদিন নিজেরাই নিজেদের মধ্যে মারামারি করে পড়ে থাকে রাস্তায় বেওয়ারিশ লাশ হয়ে। শেয়াল–কুকুর তাদের সে সব অভিশপ্ত দেহাবশিষ্ট নিয়ে করে টানাটানি। ওরা অভিশপ্তই, জীবিত কিংবা মৃত। ওদের কাছে নিজ পরিবার যেমন অনিরাপদ। তেমনি এ সমাজ-রাষ্ট্র এমনকি আপনিও অনিরাপদ। এদেরকে প্রশ্রয় দিয়ে, এদেরকে ব্যবহার করে জনমনে ভীতি সঞ্চার করে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করাকে আর যাই হোক অন্তত নেতৃত্ব সুলভ আচরণ বলা যায় না। আজকের এই যুগেও আপনারা মধ্যযুগীয় সামান্তবাদী ধ্যান ধারনা নিয়ে বসে আছেন এটা অবাস্তব, এটা হাস্যকর।



আপনারা বলেন জনস্বার্থের এই আন্দোলন চলবে। এটা কি আন্দোলন না সন্ত্রাস? আপনারা হরতাল আহবান করবেন, হরতালের সহিংসতার দায় নেবেন না এটা কেমন কথা? মানছি আপনাদের সহযোগী সংগঠনের এবং আশ্রিতদের সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা সব সুশীল। কোন অন্যায় আচরণ তারা করতেই পারেন না, তাহলে তো আপনাদেরই পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহবান জানানো উচিৎ যাতে তারা সর্বশক্তি নিয়োগ করে এই সব সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে। তা তো করছেন না বরং কর্মসূচী শেষে দেশ বাসির নামে প্রকারান্তরে ঐ সব সন্ত্রাসীদেরই ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন হরতাল সফল করায়।



আপনারা চাইলেই পারেন অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে কিংবা অনশন কর্মসূচি গ্রহণ করতে কিন্তু তা করছেন না। কেন কষ্ট হয় বলে? তাহলে কি দাঁড়ালো ? গন মানুশকে জিম্মি করে স্বার্থ উদ্ধার; তাই তো? তাহলে একে রাজনীতি বলি কি করে। তাও আবার গণতান্ত্রিক(!) রাষ্ট্র ব্যবস্থায়। আজ রাজনীতির নামে এ দেশে যা হচ্ছে তাকে রাজনীতি নয়, দস্যুবৃত্তি বলা যেতে পারে। যেখানে নীতি নৈতিকতা নয় পেশিশক্তিই আসল।



আজ আপনাদেরই এক সতীর্থ্য হরতালের যথার্থতা প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে বাচ্চাদের লেখাপড়ার ক্ষতির প্রশ্নে যখন একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামে মানুষের ভোগান্তির কথা বলেন তখন তার চৈতন্য নিয়ে যতটা না দুর্ভাবনায় পড়ি তার থেকে অনেক বেশি ভাবিত হই এই লোক যদি কোন দিন কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন তখন সে মন্ত্রণালয়ের অবস্থা কি হবে তা নিয়ে?

আমরা তো দেখেছি গুরু ছাগল চিনতে পারলেই ড্রাইভিং লাইসেন্স দিলে অবস্থাটা কি হয়। অথচ এর সমর্থকও একজন এমনতরই মাননীয়।

আমার এ কথাগুলো হয়ত একপেশে মনে হচ্ছে, আসলে কি তাই? আমি এখানে কোন দলকে অভিযুক্ত করতে চাইছি না বিরোধী দলীয় মানসিকতাকেই উপজীব্য করে কথা বলছি। আমাদের দেশে আপনি আপনারা যেমন এক তেমনি আমি এবং আমরা আমরাও একই। একদল অত্যাচারী অন্যদল অত্যাচারিত।



আজ আমরা দ্বিতীয় শ্রেণির এই নাগরিক গন তাই অনেক সময়ই তাকিয়ে থাকি বিচার বিভাগের দিকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহি উদ্দিন খান আলমগির বলেছেন, হরতালে নাশকতায় মৃত্যুর জন্য হরতাল আহ্বানকারীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করবে সরকার। এছাড়া হরতালের নামে যারা গাড়ি ভাংচুর ও দোকানপাট লুট করে তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের নতুন আইন করা হবে। এই নতুন আইনটি যদি হরতালকে অবৈধ ঘোষণা করে করা হত তাহলে তা হত দেশবাসীর জন্য আওয়ামীলীগের দেয়া সবচেয়ে বড় উপহার। কারণ হরতাল শব্দটি আজ একটি ভয়ংকর সর্বনাশা কর্মসূচীর সমার্থক হয়ে গেছে। গান্ধীজীর অহিংস অসহযোগ থেকে যে হরতালের উদ্ভব তা যখন আজ সহিংস সর্বগ্রাসী রূপ ধারণ করেছে তখন আর তাকে বাঁচিয়ে রাখাই বা কেন?



আওয়ামী লীগ হয়ত হরতালকে একেবারে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার মত এতটা ঝুঁকি নিতে চাইছে না ভবিষ্যতের কথা ভেবে। কিন্তু তারা যদি সৎসাহস নিয়ে এই ঝুঁকিটা নিতে পারত সে ক্ষেত্রে শুধু এ দেশই যে দীর্ঘস্থায়ী একটি ক্ষতির হাত রক্ষা পেত তাই না সেই সাথে তারা যে বলেন আওয়ামীলীগই দেশের জন্য কিছু করে। এ কথাটিরও যথার্থতা প্রমাণিত হত। তবে যে আইনই করা হোক না কেন, মাননীয় আইন প্রণেতারা দয়া করে লক্ষ রাখবেন ফাঁক ফোকরটা যাতে বন্ধ করা হয়। নয়ত আমাদের দল অন্ত প্রান আইন জীবিরা ঠিকই এমন এক ব্যবস্থা বাতলে দিবেন যাতে এই আইন নেতাদের কেশাগ্রটিও ছুতে সক্ষম হবে না। সেক্ষেত্রে এ আইন থাকা স্বত্বেও আমরা এমনই নিরাপত্তা হীনতায় ভুগতে থাকব। এমনই পূড়ে মরব এমনই হিংস্রতার স্বিকার হব বারবার।

আপ ভুবন ব্লগ

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২২

রাজ হাসান বলেছেন: নিঃ সন্দেহে সহমত যে হরতাল বিরোধী আইন হতে পারে দেশবাসীকে দেয়া বর্তমান সরকারের সবচেয়ে বড় উপহার![/sb

কিন্তু কেন জানি মনে হচ্ছে উনারা তা করবে না।আসলে উপরের দিকে থুতু দিলে যে সেটা নিজের উপরেই পরে এটা জানার পরেও আমরা উপরেই থুতু মারি।বিএনপি যদি পয়সার চান হয় তাহলে আলীগ হচ্ছে পয়সার পট।এরা একে অপরে পয়সার এপিঠ আর ওপিঠ।বিএনপি যেমন হরতাল দিচ্ছে আলীগ এর ও এর চাইতে বেশী হরতালের রেকর্ড খাতায় লিপিবদ্ধ আছে।

কথায় আছে কেউ কেউরতে কম না ?? ফালানের যম না।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩১

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আমাদের দেশে আপনি আপনারা যেমন এক তেমনি আমি এবং আমরা আমরাও একই। একদল অত্যাচারী অন্যদল অত্যাচারিত।
ধন্যবাদ রাজ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.