নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিজেদের অজান্তেই আমরা এবার আফগানিস্তান অভিমুখী যাত্রা শুরু করব না তো?

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৫



এবারের নির্বাচনটি আর বিএনপি আওয়ামীলীগের জয় পরাজয়ের মধ্যেই রইল না। এতদিন ধরে যে আশংকা করা হচ্ছিল আজ তাই সর্বৈব সত্য বলে প্রমাণিত হচ্ছে। মুখোসের আড়ালে ঢাকা জামায়াতের মুখখানা যেমন প্রস্ফুটিত হয়ে উঠেছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে দেয়া রায়ের মাধ্যমে। তেমনি আজ ক্ষমতায় যাওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির হিংসাত্মক রূপটিও পরিষ্কার হয়ে এসেছে।



একই সাথে স্বভাবজাত অভিনেতা বুদ্ধিজীবী গনও স্বরূপে আবির্ভূত হওয়ার উৎকৃষ্ট সময় হিসেবে বেছে নিয়েছে এই সময়টাকে। এতে জাতির লাভ বৈ ক্ষতি হয়নি। এখন আমরা খুব সহজে চিনতে পারছি মুখোশ ধারী লোকগুলোকে। কে দেবতা কে অসুর তাও চিনে নিতে পারছি সহজেই।



images.jpgআজ আর কারো মুখ ঢাকা নেই। আজ আর কারো মুখে লাগাম নেই। আজ সবাই স্পষ্ট অবস্থান নিয়ে নিয়েছে। বলা যায় আজ তারা নিরাভরণ আপনি সহজেই চিনে নিতে পারবেন। সাধারনের জন্য এটা একটা সুযোগ বটে। মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রায় অর্ধশতাব্দি পরে দেশবাসীর সম্মুখে সুযোগ এসেছে জাতীর লক্ষ্য নির্ধারণের। দুটি পথই খোলা আছে এখন আমাদের সামনে প্রশ্ন আমরা কোন পথে যাব?



একটি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নির্ভর, অসাম্প্রদায়িক শক্তি অন্যটা এর সম্পূর্ণ উলটো। যদিও প্রথম পথটিতে যাদের অবস্থান তাদের রয়েছে অনেক ত্রুটি; যার কিছু ক্ষমাহীনও বটে। তথাপিও এরাই এখন অন্ধের যষ্টি।

আর উলটো পথের যারা যাত্রী তারা এতদিন ধরে নিজেদের যে ছদ্মাবরনে ঢেকে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন আজ তারা সময়ের প্রয়োজনে হোক আর বাধ্য হয়েই হোক সে আবরন ভেদ করে বেড়িয়ে এসেছেন। এখন এটা স্পষ্ট যে দুটি শক্তির হাতে রয়েছে দুই জিয়ন কাঠি যারা নির্ধারন করবেন, বাংলাদেশ কি আফগানিস্থান হবে না বাঙ্গালীর স্বকীয়তায় একটি অনন্য জাতিসত্তা হিসেবে মাথা উঁচু করে চলতে সক্ষম হবে।



আজকে দেশে নির্বাচন নিয়ে যে অচলাবস্থা বিরাজ করছে তা হয়ত অচিরেই কেটে যাবে। আমার ধারনা এ দেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই হতে যাচ্ছে। তাতে যতই কাঠখড়ই পোড়াতে হোক না কেন। দুই বড় দলের সমস্যা সমাধানের পথে যারা প্রধানত বাধা হয়ে আছে সময়ের প্রয়োজনে সাময়িক ভাবে তাদের সাইড লাইনে চলে যেতে হবে। এরপরেই শুরু হবে আসল খেলাটা।



বিএনপি বা আঠারো দলীয় জোট মাত্র কয়েকমাস আগেও আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে একমাত্র সমাধান হিসেবেই জনসাধারণের সম্মুখে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে রেখেছিল। স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতিতে কেউ কারো চেয়ে কম না হলেও আত্নঅহমিকা আর একগুঁয়েমিতে আওয়ামী লীগ এতটাই এগিয়ে ছিল যে তাতে খুব সহজেই তাদের উন্নয়ন সমূহ ঢাকা পড়ে গিয়েছিল। ফলে তাদের অর্জন সমূহকে ঢাক ঢোল পিটিয়ে জানান দেয়ার ব্যবস্থা করতে হয়েছিল। অথচ মানুষ কিন্তু এসব অস্বীকার করেনি বা ভুলেও যায়নি। তথাপিও আওয়ামী লীগের প্রতি তারা বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছিল। এটাই সত্য। দুর্ভাগ্যজনক হল আওয়ামী লীগ এই বিতশ্রদ্ধতার পিছেনের আসল কারণটি অনুসন্ধান না করে টোটকা চিকিৎসা দিতে শুরু করে। যা ছিল মূলত হাতুড়ে চিকিৎসা মাত্র। অতএব বিএনপি বা আঠার দলীয় জোটের জয় ছিল নিশ্চিত।

আশ্চর্যের বিষয় হল জয় সুনিশ্চিত জেনেও বিএনপি নির্বাচনে না গিয়ে আন্দোলনের নামে হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে বসল। এখানে বিএনপির মেধা কতটা কাজ করেছে সে ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ থাকলেও দায়টা তাদের ঘারেই এসে পড়ল। বিএনপি দ্বিতীয় যে ভুলটি করল তা হল, আন্দোলনের লাগামটি নিজেদের হাতে না রেখে আন্দোলনটি অন্যের ঘারে চেপে এমনকি অন্যের নিয়ন্ত্রণেই করতে শুরু করল। ফলে সহযোগী শক্তিটি নিজেদের মত করেই আন্দোলন পরিচালনা করল। দেখা গেল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে করা আন্দোলন আর তত্ত্বাবধায়কের পক্ষে করা আন্দোলনের চরিত্র এক এবং অভিন্ন। এমনকি উভয় ক্ষেত্রেই দেশের প্রায় একই জেলাগুলোতে সহিংসতা চালানো হচ্ছে । সর্বোপরি এবারের সহিংসতার ভয়াবহতা এবং হিংস্রতাও অন্য যে কোন সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। রাজনৈতিক আন্দোলনটি রূপ পরিগ্রহ করল সন্ত্রাসী আন্দোলনের।



সহিংসতার মাত্রা এবং সাধারণ মানুষকে টার্গেট করে এই আন্দোলন চালানোকে যখন সব মহলে তালেবানি আন্দোলনের সাথে তুলনা করা হচ্ছিল। ঠিক তখনি বিএনিপির নবনিযুক্ত মুখপাত্র আত্মগোপনে চলে গেলেন এবং ভিডিও বার্তা প্রেরণ করে আন্দোলনের ঘোষণা দিতে শুরু করলেন। এমনকি তিনি এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে দেশের পরিস্থিতিকে আফগানিস্তানের সাথে তুলনা করলেন। যা মানুষকে আরও বেশি শঙ্কিত করে তুলল। এখন এটা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠল যে ক্ষমতায় যেতে তারা কতটা মরিয়া।



বিএনপির মুখপাত্র নিজেই ঘোষণা দিয়েছেন দাবী না মানা হলে তারা আরও কঠোর আন্দোলনে যাবেন। দিনের পর দিন অবরোধ, হরতাল, গান পাউডার-পেট্রোল বোমা ছুড়ে নির্বিচারে মানুষ হত্যা, বোমা-ককটেলের মাধ্যমে মানুষ মারা, সারে চার কোটি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তোলার পড়েও আন্দোলনের কঠোরতা বাকি থাকে? তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে সে কঠোর আন্দোলন তবে কেমন? তা কি ঘরে ঘরে ঢুকে মানুষ হত্যা করা নাকি মা-বোনের সম্ভ্রম নিলামে তোলাকে বোঝায়? এবারের আন্দোলনের সহিংসতায় ঐ টুকুনই-তো বাকি আছে।



যদিও বিএনপি এই সহিংসতার জন্য সরকারকেই দায়ী করেছে। কিন্তু তা তো ধোপে টিকছে না। যখন ছাত্রদল এবং জামায়াত শিবিরের পক্ষ থেকে দায় স্বীকার করে টিভি চ্যানেলে ভিডিও টেপ পাঠানো হয়। তারপরেও যদি তাদের কথাই মেনে নেই তাহলেও প্রশ্ন থেকে যায়। প্রতিটি সহিংসতা ঘটছে যে অবরোধকে কেন্দ্র করে সে দায় সেই অবরোধকারীদেরই নিতে হবে। কেননা তারা অবরোধ ডেকে মাঠে থাকেন না, তারা চোরাগোপ্তা হামলা চালান। যদি তারা মাঠে থাকতেন তাহলে নিশ্চয়ই এই এজেন্টদের ধরতে পারতেন। বিরোধী দল যদি মনে করে জনগণের উপর তাদের কোন দায়িত্ব নেই তাহলে তাদেরই বা কি অধিকার আছে রাজনীতি করার?



বিএনপি ক্ষমতায় যেতে যাদের কাঁধে সওয়ার হয়েছে তারা বিএনপিকেই যে হজম করে ফেলেছে তা বোধ হয় বিএনপির নিতি নির্ধারকরা এখনো ঠাহর করতে পারেননি। অথবা তারা সব বুঝে শুনেই চুপ করে আছেন। আজকের বিএনপিতে তো এরশাদের সেই সব অনুষদরাই আসন গেরে বসে আছেন যারা এরশাদের পতনের পর রাতারাতি স্বৈরাচার বিরোধী হয়ে গিয়েছিলেন। বিএনপি ধ্বংসের পর যে তারা পুনরায় জাতীয়তাবাদ বিরোধী হয়ে উঠবেন না সে নিশ্চয়তা কে দিচ্ছে?

বিএনপি আজ আর নিজেদের কথা বলছে না। নিজেদের আদর্শে চলছে না। সর্ব সাধারণের মোডারেট এই দলটি আজ বিলুপ্ত হয়ে যেতে বসেছে একটি চরম সাম্প্রদায়িক শক্তির মাঝে তাও আবার যারা এ দেশের মানুষের প্রাণের চৈতন্যকেই অস্বীকার করে। জিয়াউর রহমানের বিএনপি বা নব্বইয়ের কিংবা দুই হাজার এক এর বিএনপি আর বর্তমানের বিএনপির মধ্যে যে পার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে তা কি আর কখনোই তারা ঘোচাতে সক্ষম হবে?



একদা ক্ষমতাকে সুসংহত করতে, প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করে রাখতে বিএনপি যে বিষবৃক্ষ রোপণ করেছিল কালের বিবর্তনে আজ তা মহীরুহ। ক্ষণিকের ঝরে নড়বরে হয়ে যাওয়া বিএনপি তাদেরই লালিত বিষবৃক্ষকে আশ্রয় করে শক্তি সঞ্চয় করতে যাওয়ায় নিশ্চয়ই কোন ভুল ছিল না। তবে তা করতে গিয়ে নিজেই তাদের ক্রীড়নক হয়ে যাওয়ার মাশুল হয়ত বিএনপিকে আত্মবিসর্জনের মাধ্যমেই দিতে হবে।



তার থেকেও বড় কথা হলে আজ এ দেশে স্পষ্ট দুটি ধারা তৈরি হয়ে গেল। মাঝে আর কেউ থাকল না, যা আমাদের চরম বিপাকে ফেলে দিল। আমরা যেমন কখনই চাইব না সাম্প্রদায়িক শক্তির কাছে মাথা নত করতে। আমরা যেমন চাইব না প্রিয় মাতৃভূমি অগ্নিগর্ভ আফিগানিস্থান হয়ে যাক তেমনি কোন স্বেচ্ছাচারীর কাছে দেশটি জিম্মি হয়ে থাক তাও চাইনা। মন্দের ভাল বলতে ভাল কিছুকে বোঝায় না। অতএব সে ভালও কাম্য নয়। অথচ বিএনপি আজ এমন এক রূপে ধরা দিল যেখানে সাম্প্রদায়িকতা, হিংস্রতা আর অনৈতিকতা বৈ আর কিছুই প্রতিফলিত হয়না।



বাকি রইল আওয়ামীলীগ হয়ত আম আদমির মত যতদিনে এ দেশে আরেকটি নতুন শক্তির উদ্ভব না হবে ততদিন পর্যন্ত এই আওয়ামী লীগই শেষ ভরসা হয়ে থাকবে। কারণ আত্মশুদ্ধি আমাদের নেতাদের ধাতে নেই। কাজেই সে আশা দুরাশা। কিন্তু কথা হচ্ছে সাধারণ মানুষ এই বিএনপিকে চিনতে পারছে তো? নাকি নিজেদের অজান্তেই বিএনপিতে আস্থা রাখতে গিয়ে সাম্প্রদায়িক শক্তিকেই সমর্থন দিয়ে আরেক আফগানিস্তান অভিমুখী যাত্রা শুরু করবে?



দলকানাদের ভিড়ে আমাদের সর্বশেষ সম্ভাবনা হয়ে দেখা দিয়েছে এদেশের সেই বিশ ভাগ জনগোষ্ঠী। যাদেরকে কোন সমীক্ষাতেই পাওয়া যায় না। যারা কখনোই অন্ধের মত দলবাজি করে বেড়ায় না। যারা সত্যিই বিবেকবান। যারা শেষ পর্যন্ত দেখে তবেই সিদ্ধান্ত নেয় কাকে সমর্থন যোগাবেন। আমরা চেয়ে আছি সেই সচেতন মানুষগুলোর দিকে। আশার কথা হল এদের দল ক্রমশই ভাঁড়ি হচ্ছে। আজ যে বিশ ভাগ ভোটার দলকানার অভিশাপ মুক্ত। এরাই এ দেশকে চালিত করবে সঠিক পথে। এরাই নির্ধারণ করবে আগামীর বাংলাদেশের গন্তব্য।



সঞ্চালক, আপন ভুবন.কম

[email protected]

মন্তব্য ৪৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৪

জানা বলেছেন:

দারুণ লেখা, চমৎকার পর্যালোচনা। ধন্যবাদ।

বিজয় মাসের শুভেচ্ছা।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: জানা বিজয় মাসের শুভেচ্ছা আপনাকেও। ভাল থাকুন।

২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৭

provat বলেছেন: "আশেকে হাসিনা"

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: মোল্লা ভাই ভুল বললেন আশেকে হাসিনা নয়, আশেকে বাংলাদেশ।

৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩২

HHH বলেছেন: এতো বড় ব্লগ লিখে কি আওয়ামীলীগের পতন ঠেকাতে পারবেন বলে মনে করেন?

|-) |-)

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আওয়ামীলীগের পতন হয় হোক। আফগানী কুশিলবরা যেন জিতে না যায়।

৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪

সেজুতি_শিপু বলেছেন: সুন্দর লেখা ।

আমরা সত্যি এক ক্রান্তিকালে এসে দাড়িয়েছি । সচেতনভাবে পা ফেলতে না পারলে সমূহ বিপদ ।

ভাল থাকুন ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩০

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সেজুতি_শিপু অসংখ্য ধন্যবাদ।

৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯

শফিক আলম বলেছেন: আমাদের অজান্তে না তো, আমরা তো জানিই। জানি বলেই আমরা প্রতিদিন সিরাম কথা বলছি।

৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪

মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: জনগনের ন্যায় সংগত দাবী নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: জনগনের ন্যায় সংগত দাবী নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। আড়ালের ষড়যন্ত্রটাই বেশি ভাবিত করে।

৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১১

HHH বলেছেন: বালের বড়াই করো নাকো
বাল দিয়ে কি হয় ?
বালের মাঝে পাবে নাকো
বাপের পরিচয়” l

৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯

সোজা কথা বলেছেন: মানুষ আজ না বুঝেই সাম্প্রদায়িক শক্তিকে সমর্থন জানাচ্ছে।আর এভাবে চলতে থাকলে দেশ একসময় আফগানিস্তান হতে সময় লাগবে না।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩০

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: মানুষ আজ না বুঝেই সাম্প্রদায়িক শক্তিকে সমর্থন জানাচ্ছে। ভয়টা এখানেই। ধন্যবাদ আপনাকে।

৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩

ধূর্ত উঁই বলেছেন: প্রধান দু্ই দল আন্তরিক হলে প্রচেষ্টা নিলে এমনটি হতো না। ব্যাপারটা খুব কষ্টদায়ক। সকালে ঘুম ভাঙে ককটেলের বিস্ফোরণ শুণে । এটা কতটা কষ্টদায়ক। মানুষ মারা যাচ্ছে প্রতিদিন। তাদের জীবনের দাম কতটুকু?

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩১

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: প্রধান দু্ই দল আন্তরিক হলে প্রচেষ্টা নিলে এমনটি হতো না। শুধুমাত্র তারা যদি নিজেদের আদর্শেই স্থির থাকত।

১০| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৮

আলোকন বলেছেন: "নিজেদের অজান্তেই আমরা এবার ভারতের করদ রাজ্য হয়ে যাবো না তো?" - শিরোনামে একটা পোষ্ট আশা করছি আপনার কাছে থেকে B-)

পাকিদের সাথে আমাদের বাংলাদেশিদের হিসাব-নিকাশ ১৯৭১ সালেই শেষ হয়ে গেছে। এখন পাকিরা যতই চেষ্টা করুক, বাংলাদেশ পাকিস্তান একত্র হওয়া তো অনেক দুরের কথা। পাকিরা আমাদের একটা বালও ছিড়তে পারবে না।

ইদানিং দেখা যাইতেসে, আপনারা পাকিস্তানের জুজু দেখানো বন্ধ করে আফগানিস্তানের জুজু দেখানো শুরু করসেন :-*
পাকিস্তানের জুজুতে কি মানুষ এখন আর ভয় পাইতেসে না? :>

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: এবার ভারতের করদ রাজ্য হয়ে যাক এটা যেমন কাম্য নয় তেমনি বাংলাদেশ জঙ্গিবাদের আস্থানায় পড়িনত হোক এটাও চাই না।
আফগানিস্তানের জুজু নয় ভয়টা একই পড়িনতির। নিশ্চয়ই আপনিও সেটা কামনা করেন না?

এ দেশ আমার আপনার আমাদের সবার। আমরা কেউই চাইনা এমন অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। ভাল থাকুন।

১১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৭

HHH বলেছেন: ওরা চায় ছলে বলে কৌশলে আমাদের ভারতের মধ্যে নিয়ে আজীবন মুখ্যমন্ত্রী হয়ে বাংলাদেশ শাসন করতে

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: বাংলাদেশ ভারতের করদ রাজ্য হয়ে যাক এটা যেমন কাম্য নয় তেমনি বাংলাদেশ জঙ্গিবাদের আস্থানায় পড়িনত হোক এটাও চাই না।

১২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট ও আফগানিস্তানের প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ আলাদা। আসলে আমরা অতি উৎসাহী কিছু লোক বাংলাদেশকে জঙ্গীদেশে রুপায়িত করে বিশেষ ফায়দা লুটতে চাই।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪২

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: প্রেক্ষাপট ভিন্ন ঠিক আছে। কুশিলবদের চরিত্র অভিন্ন। তাই আফগানিস্তানের জুজু নয় ভয়টা একই পড়িনতির। নিশ্চয়ই আপনিও সেটা কামনা করেন না?

এ দেশ আমার আপনার আমাদের সবার। আমরা কেউই চাইনা এমন অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। ভাল থাকুন।

১৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪১

নিয়ানডার্থাল বলেছেন: কাদের মোল্লার ফাঁসী ঠেকাতে অন্লাইন স্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু করেছে।
আসেন সবাই মিলে এই ছাগু সাইটের বিরূদ্ধে স্প্যাম রিপোর্ট করি।
এখানে দেখুন ছাগুদের অনলাইন তৎপরতা।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: এটা স্টেট মার্ডার নয়। আর একে ঠেকানোর সাধ্যও এদের নেই।

১৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪২

চাঁন মিঞা সরদার বলেছেন:
পাকিস্তান-আফগানিস্তানের জুজুর ভয় দেখায়া লাভ নাই। পাবলিক সব বুঝে। আপনার দালালী পোষ্ট দিয়াও লাভ নাই। আওয়ামিলীগের পতন কেউ ঠেকাতে পারবে না।

নির্দলীয় সরকার ৯০% জনগন চায়। আওয়ামিলীগ এটাই ভয় পায় সেজন্যই তত্বাবধায়ক দিচ্ছে না।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৫

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ভিন্নমত তো থাকবেই।
আপনার সাথে আমার মতের মিল না থাকতেই পারে। তবে জয়টা যেন এ দেশের হয় এটাই কামনা করি।

১৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮

HHH বলেছেন: ফালতু আলাপ কইরেন না তো। গত পাঁচ বছর আপনাদের সরকার বলে আসছে যে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে নাকি বাংলাদেশ পাকিস্তান আফগানিস্তান হয়ে যাবে। এখন দেখতেছি আপনাদের আমলেই বাংলাদেশ আফগানিস্তান হয় কিনা এই ভেবে আপনাদের ঘুম হচ্ছে না। তাহলে এতদিন কার বাল্টা ফেললেন শুনি? এইসব বললে কি জনগণ ভোট দিবে মনে করেন? নাকি ভোট ছাড়াই ক্ষমতায় থাকার কথা ভাবছেন? X( X(

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৫

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আপনার ক্ষোভের সাথে আমি একমত।
দ্বিমত পোষন করছি শুধুমাত্র "আপনাদের আমল" কথাটির সাথে। আমি আওয়ামী লিগার নই। এমনকি অন্ধ সমর্থকও নই। তবে ঘোর বিরোধী নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের। এটা যদি আমার দোষ হয় তবে সে দোষে আমি দুষ্ট।

১৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৫

HHH বলেছেন: একবালছাল পাইছে, জঙ্গিবাদ-জঙ্গিবাদ-জঙ্গিবাদ-জঙ্গিবাদ।

জামাত শিবির জঙ্গিরা কি এমন করছে যা গত ৫ বছত আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগ করে নাই।

পার্থক্য করতে পারবেন? জামাত আর আওয়ামীলীগের পার্থক্য কি? ২ টাই তো চড়ম জঙ্গি দল।

আম্লীগ যখন কোপাকুপি করে, অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে সন্ত্রাস করে, বোমাবাজি করে, চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মানুষ হত্যা করে তখন তারা হয় চেতনাবাজ, আর একই কাজ জামাত শিবির করলে হয় জঙ্গি। এই ভন্ডামী কি মানুষ বুঝে না মনে করেছেন?

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩০

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আম্লীগ যখন কোপাকুপি করে, অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে সন্ত্রাস করে, বোমাবাজি করে, চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মানুষ হত্যা করে তখন তাদের জন্যও আমাদের সমান ঘৃনা। আশা করি এই পোষ্টটি পড়বেন।

বিশ্বজিৎ-এর হত্যাকারীরাও মানবতাবিরোধী; নয়?

Click This Link

১৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯

িবশুদ্ধ এটম বলেছেন: আওয়ামী মূত্র যারা একবার পান করিয়াছে তাদের কোন দ্বারা কোনক্রমেই আওয়ামীদের কুকামের চিত্র প্রকাশ পাবে না। স্বাধীনতা ও চেতনা দ্বারা এক ধরনের ব্যবসা করে যাচ্ছে। চেতনার নামে জঙ্গিবাদ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, জামায়াত শিবিরের জুজু দিয়া মানুষের মস্তিস্ক ভরাট করা চেষ্টা করে। শুধু আওয়ামী ইতিহাস পড়লে হবে না, আগে ও পরের ইতিহাস পড়তে হবে। আমার বিশ্বাস যার ভিতরে বিন্দুমাত্র ইমান বিদ্যমান সে কখনো এ আওয়ামী প্রপাগান্ডা ও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবে না। কিছু কিছু লোককে দেয়া যায় চোখ বুজে অন্ধ হয়ে যায়। কানা হওয়ার একটা সীমা রেখা আছে তাই বলে এতো কানা?

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: যার ভিতরে বিন্দুমাত্র ইমান বিদ্যমান সে কখনো এ আওয়ামী প্রপাগান্ডা ও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবে না।

এই একটি মাত্র কথাতেই আপনি স্বরুপে প্রকাশিত হলেন। আওয়ামীলীগ এবং বিএনপি অনেক দোষেই দুষ্ট। কিন্তু ধর্ম ব্যবসায়ী নয়।
কিন্তু এ দুই দলের যারাই ধর্ম ব্যবসায়ীদের দ্বারা চালিত হবে তারাই সমান দোষে দুষ্ট হবে এটাই স্বাভাবিক।

১৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: " আওয়ামীলীগের পতন হয় হোক। আফগানী কুশিলবরা যেন জিতে না যায়।"

আপনার এই কথাটাই সবচেয়ে ভাল লাগলো। তবে কি, আমি তো বাল আর বিএনপির মধ্যে নিতিগত কোন পার্থক্যই খুঁজে পাইনা। এরা উভয়েই দেশের জন্য প্রচণ্ড ক্ষতিকর - এবং মনে প্রাণে এদের উভয়েই পতন কামনা করি।

তবে কি, বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বানানো মোটামুটি ভাবে অসম্ভব - এটা ভৌগলিক, জাতিগত, সংস্কৃতিগত কারনেই সম্ভব নয়। তবে ভারতের তাবেদার রাষ্ট্রে পরিনত করা সম্ভব - যেভাবে বালেরা তা করছে তাতে অচিরেই হয়ত আমরা ভারতের ময়লা ফেলার ডাস্টবিনে পরিনত হব। দেশ হিসেবে ভারতের যে অজস্র অর্জন আছে তার ফল ভোগী নয়, বাল শাষনে আমরা হয়ে উঠছি তার চাকর বিশেষ - তাও খুব নিম্ন শ্রেণির চাকর, সুইপার টাইপের। এখন যুক্তির খাতিরে যদি ধরেও নেই, মানুষ আফগানী রাস্তায় হাটছে - তাহলে আপনিই বেছে নিই - তালেবানী ডাকাতের শাসন, আর কালো বোরখার অন্ধকার নাকি সুইপারের জীবন আপনি কোনটা বেছে নেবেন?

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: শ্রাবণধারা আপনার এই হতাশা শুধু আপনার নয়। সত্যিই আমাদের কাছে মন্দের ভাল দল বিএনপি আজ যখন আর নিজেদের কথা বলছে না। নিজেদের আদর্শে চলছে না। সর্ব সাধারণের মোডারেট এই দলটিই যখন আজ বিলুপ্ত হয়ে যেতে বসেছে একটি চরম সাম্প্রদায়িক শক্তির মাঝে তাও আবার যারা এ দেশের মানুষের প্রাণের চৈতন্যকেই অস্বীকার করে। তখন হতাশ হতেই হয়।
তাই লিখেছি, ভারতের আম আদমির মত যতদিনে এ দেশে আরেকটি নতুন শক্তির উদ্ভব না হবে ততদিন পর্যন্ত এই আওয়ামী লীগই শেষ ভরসা হয়ে থাকবে। কারণ আত্মশুদ্ধি আমাদের নেতাদের ধাতে নেই।

১৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪

রক্ত পলাশী বলেছেন: ” সম্ভাবনা হয়ে দেখা দিয়েছে এদেশের সেই বিশ ভাগ জনগোষ্ঠী। যাদেরকে কোন সমীক্ষাতেই পাওয়া যায় না। যারা কখনোই অন্ধের মত দলবাজি করে বেড়ায় না। যারা সত্যিই বিবেকবান।”

অথাৎ সময় এসেছে নিজের বিবেক বিবেচনাকে সত্যিকার অথে ব্যবহার করে দেশকে রক্ষা করা।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সময় এসেছে নিজের বিবেক বিবেচনাকে সত্যিকার অথে ব্যবহার করে দেশকে রক্ষা করা।

২০| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০০

িবশুদ্ধ এটম বলেছেন: আমি যাই কই?....ইমান শব্দটা ব্যবহার করার কারণে ধর্ম ব্যবসায়ী হইয়া গেলাম। অার যদি সুরা ফাতিহা পড়া শুরু করি তাহলে না জানি আর কত কি। আর যদি দেখেন আমার বাবার দাড়ি আছে তাহলে তো কোন কথা নাই। সোজা রাজাকার, আলবদরের পোলা, আরো কত কি। ভাই আমি আগেই বলছি আগে ও পরের ইতিহাস পড়েন।

২১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৮

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:

আমাদের দেশের রাজনীতি মানেই হতাশা। :( /:)

২২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯

মদন বলেছেন: আপনি যেমন যেনে শুনে টেনে টুনে আওয়ামী দোষ ঢেকে ঢুকে বিএনপিরে হালকার উপর ঝাপসা সুশীল স্টাইলে সাইজ দিলেন। তেমনি আরেকজন আওয়ামীলীগরে সাইজ দিচ্ছে। হরতাল-অবরোধ মারপিটে পুলিশের গুলিতে বিএনপি-জামায়াত মরলে আওয়ামীপ্রেমীরা বলছে যাক, একটা সন্ত্রাসী কমলো। আবার বিএনপি-জামায়াত মিলে আওয়ামীলীগের কাউকে মারতে পারলে দাত কেলিয়ে বলছে যাক, মানুষ নয় আওয়ামীলীগ মরছে।

গনতন্ত্র আর সংবিধানের দোহাই দিয়ে হাসিনা যেমন স্বৈরশাসক হয়ে উঠেছে। তেমনি বিএনপি বিগত ৫ বছর গতানুগতিক আন্দোলনে ফল না পেয়ে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী জ্বালাওপোড়াও আন্দোলন শুরু করেছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আপনি কাউকে ১৯ আর কাউকে ২০ দিতে পারেন না। দুটোই ইবলিশ।

এবার আসুন অজান্তেই আমরা আফগানিস্তানের দিকে যাচ্ছি কি না?

সাগর-রুনী হত্যার কথা ভুলে গেছেন? স্বয়ং রাষ্ট্রযন্ত্র এর বিচার ধামা চাপা দিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রুনীর চরিত্রে কালিমা লেপনের চেষ্টা করেছে।

বিশ্বজিতকে কুপিয়ে মারার পরে স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খুনিদের বাচানোর আপ্রান চেষ্টা করেছে। প্রথমে বলেছে খুনিরা আওয়ামীলীগের কেউ না। যখন দেখলো তারা আওয়ামীলীগেরই। তখন বলা শুরু করলো তারা আওয়ামীলীগের কিন্তু তাদের পরিবার বিএনপি-জামায়াত।

রানা প্লাজার কথা মনে আছে? রানা প্লাজা ভেংগে যাবার পরে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সেখানে আগেই লোক সরিয়ে নেয়া হয়েছে, দু-চারজন গেছে গুরুত্বপূর্ন মাল সরাতে। সেই দু-চারজনের জায়গায় যখন হাজার টা লাশ আর হাজার হাজার পঙ্গু লোক বের হয়ে আসে তখন কি বলবেন??

বিগত দিনগুলোতে বিএনপিকে সভা সমাবেশ করতে তো দেয়ইনি আবার মই বেয়ে তালা ভেংগে অফিস থেকে ধরে নিয়ে গেছে, যা সুষ্পষ্ট ভাবে বাকশালকে মনে করিয়ে দেয়।

শেয়ার বাজারের হাজার হাজার কোটি টাকা মেরে দেয়া কুশীলবদের রাস্ট্রিয় সহযোগিতা দিয়ে ভুক্তভোগীদের ফটকা বাজারের ফড়িয়া বলা হয়।

সোনালীব্যাংকের হাজার কোটি মেরে দেয়ার পরেও স্বয়ং অর্থমন্ত্রী বলেন এটি কিছুই না।

যেখানে গোটা বিশ্ব বলছে পদ্মাসেতুতে দুর্নিতি হয়েছে সেখানে যার বিরুদ্ধে এতো অভিযোগ তাকেই প্রধানমন্ত্রী দেশের সবচেয়ে বড় দেশ প্রেমিক উপাধি দিয়ে দেন।

এবারের নির্বাচনের মনোনয়ের দিকে তাকান, গডফাদার-সন্ত্রাসীদের আবার মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।

দোষ কার? আওয়ামীলীগের? বিএনপির?
না
দোষ আমাদের...

আমরা দলকানা, আমরা দল অন্ধ, আমরা বিবেকহীন, আমরা স্বার্থপর। আমাদের কারনেই নেতা-নেত্রীরা তাদের অপকর্ম বেশি বেশি করার সুযোগ পাচ্ছে, অপকর্ম করে পার পেয়ে যাচ্ছে। আর তাই ১০০০লাশের উপরে দাড়িয়ে রানা একদিন মন্ত্রী হবে। লক্ষ লক্ষ লোককে বেকার করে আবারো অর্থমন্ত্রী হবে। তারেকের নামে কোটি টাকা লুপাটের অভিযোগ পানিতে ভেসে যাবে। বাসে যাত্রী পুড়িয়ে মারা অভিযোগ থেকে নানক-আযম খালাস পাবে। রাজাকার-আলবদর এক সময় আবুলের মতো বড় দেশপ্রেমিক হবে।

সব হবে আমাদের জানার মধ্যেই, আমাদের ইছ্ছেতেই। কারন আমরা এটিই চাই।

২৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৮

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: আফগান হতে আর বাকি কই? বিম্পির ভাড় নেতারা "অজ্ঞাত" স্থানে থেকে আল-কায়দা, তালিবান স্টাইলে "হরতালে"র নির্দেশ দেয়...এটা আফগান না তো কি?? আজকে ওয়েস্ট ইন্ডিস গেছে, কাল সবাই-ই যাবে। এক সময় পুরা দেশ একঘরে হয়ে যাবে, মিডিল-ইস্ট এর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোর মত। মাঝে সাঝে একটু ড্রোণ চলবে, ছাগুরা হাউকাউ করবে জিহাদের কথা বইলা, এই তো!!

"আওয়ামী লীগ যখন জেতে, তখন শুধু আওয়ামী লীগের কিছু নেতাই জেতে। কিন্তু আওয়ামী লীগ যখন হারে তখন গোটা জাতি পরাজিত হয়।" কথাটা আমার না, আহমদ ছফা'র। উপরের ছাগুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

২৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২০

HHH বলেছেন: কুত্তারা যখন ডাকে তখন তার আওয়াজ শুনেছেন? একটা আওয়াজই খালি বের হয়।

ঘেউ।। ঘেউউউউউউউউউউউউ, ঘেউ ঘেউ

ঠিক সেরকম বালদের আওয়াজ হল

ছাগু, ছাগুউউউউউউউউ ছাগু ছাগু

এদেরকে যতই যুক্তি দেওয়া হোক, যতই সত্য কথা শুনানো হোক, একটা ডাক ছাড়া এরা অন্য কোন শব্দ শিখে নাই।

২৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫

আছিফুর রহমান বলেছেন: অর্দেক পইরা পুরাখানি পরার ইচ্ছা হারালাম। আরে বিএনপিতো জিতবে সেটা জানাকথা, মাগার আওয়ামী লীগ কিভাবে নির্বাচনটা সুষ্ঠ হতে দিবে সেটা আমার প্রশ্ন।
আজ গাড়ি পুড়িয়ে মানুষ হত্যার কথা আসে।
এই ঐতিহ্যটা চালু করেছে কে।
আজ শেরাটনের সামনে ১১ মানুষের কাবাব হওয়ার জন্য দায়িদের পুলিশ খুজে পায় না।
বাট ঘটনা যে ঘটেছিল সেটা ২০১৩ সালে এসে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আজ কেউ লগি বৈঠার তান্ডবের কথা বলে না। আরে ভাই টিনের চশমা পড়া বাদ দিয়ে সাদা চশমা না হোক অন্তত কালো চশমাটা পড়েন।
সাদাকে সাদা না বলেন অন্তত কালো বইলেন না।

২৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৪

তৌফিক মাসুদ বলেছেন: হুজির রমনা বটমূলের হামলা বুঝি আওয়ামী লীগের আমলে হয়েছিল!! তাও মনে রাখতে হবে।

আমাদের ব্লগে 0 point থেকে কথা বলতে হবে। এখন কারো পা চাটা সঠিক কাজ নয়।

২৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯

তৌফিক মাসুদ বলেছেন: বার বার একই Comment এলো কিভাবে তা বুঝলাম না!!!!!!

মাফ করবেন এবং মুছে দিবেন শেষটি ছাড়া ।

২৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

নীল জানালা বলেছেন: অনেক জ্ঞানগর্ভ লেখা। কিন্তু বুদ্ধির এই কচকচানিতে পেট্রোল বোমায় আহতদের ঘা শুকাবেনা। ত্রাসের রাজত্বে বসবাসকারী আম জনতার ক্ষোভও মিটবেনা। আমরা চাই হাসিনা খালেদা এরশাদের এক দড়িতে ফাঁসি। এইসব হারামজাদা হারামজাদিদের গগনচুম্বী লোভ আর নস্টামির কারনে দেশের বিশ কোটি মানুষ আজকে ভুগছে।

২৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

নিষ্ঠুর পৃথিবী বলেছেন: আফগানিস্তান অভিমুখী যাত্রা শুরু করবে ?...।
..।
আমার তো মনে হয় আমি এখন...পাকিস্থান- আফগানিস্তানের চেয়েও খারাপ অবস্থায় আছি।বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর বর্বোরচিত হামলাগুলো তার স্বাক্ষী বহন করে।

৩০| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০১

নিষ্ঠুর পৃথিবী বলেছেন: সহমত B-) B-) B-) B-) নীল জানালা

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৯

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সবাইকে ধন্যবাদ। শেষ কথাটাই আবার বলি-দলকানাদের ভিড়ে আমাদের সর্বশেষ সম্ভাবনা হয়ে দেখা দিয়েছে এদেশের সেই বিশ ভাগ জনগোষ্ঠী। যাদেরকে কোন সমীক্ষাতেই পাওয়া যায় না। যারা কখনোই অন্ধের মত দলবাজি করে বেড়ায় না। যারা সত্যিই বিবেকবান। যারা শেষ পর্যন্ত দেখে তবেই সিদ্ধান্ত নেয় কাকে সমর্থন যোগাবেন। আমরা চেয়ে আছি সেই সচেতন মানুষগুলোর দিকে। আশার কথা হল এদের দল ক্রমশই ভাঁড়ি হচ্ছে। আজ যে বিশ ভাগ ভোটার দলকানার অভিশাপ মুক্ত। এরাই এ দেশকে চালিত করবে সঠিক পথে। এরাই নির্ধারণ করবে আগামীর বাংলাদেশের গন্তব্য।

৩১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১

ধূর্ত উঁই বলেছেন: আমারও এইআশংকা। এমনটা যেনো না হয় ।দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.