নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দায়িত্বহীনতার কবলে দেশ

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫

গণতন্ত্রের জন্য চোখের জল ফেলে ফেলে বিশিষ্ট জনরা আরেকটা গঙ্গা বইয়ে দিলেন! এটা খুবই ভাল কথা! নদীমাতৃক এ দেশে যেভাবে নদীগুলোকে মেরে ফেলা হচ্ছে তাতে একটি গঙ্গোত্রী পেলে ভালই হয়। কিন্তু সেই সাথে তারা যদি দাবী আদায়ের নামে দেশ জুড়ে চালানো সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করতে পারতেন।



তাহলে বোধ করি দেশবাসী আরও অনেক বেশি উপকৃত হত। সেইসাথে তাদের দায়িত্ববোধেরও পরিচয় পাওয়া যেত।

যে দেশে নির্বাচিত বিরোধী দল সংসদে যান না। জনগণের পক্ষে কোন কথা বলেন না। সে দেশে বিরোধী দল থেকেই কি লাভ? বরং এই বিরোধী দল না থাকলে বেতন ভাতা, ট্যাক্স ফ্রি গাড়ী ইত্যাদি খাতে ব্যয় করা জনগণের কষ্টার্জিত অর্থের কিছুটা হলেও সাশ্রয় হত!



নির্বাচন হবে, হেরে গেলেই আন্দোলন। বাড়ির নামে, সংসদে বসার আসনের নামে, কথা বলতে না দেয়ার অজুহাতে, নেতার নামে অশালীন বক্তব্যের অজুহাতে আন্দোলন। মোদ্দা কথা আমি পেলাম না কেন, আমাকে দেয়া হল না কেন এই হচ্ছে আন্দোলনের ইস্যু। আর আন্দোলন মানেই হরতাল, অবরোধ, জ্বালাও, পোড়াও, সাধারণের নাভিশ্বাস ওঠানো।

সরকারী সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করবেন আবার জনগণের বিরুদ্ধেই অবস্থান নিবেন। এটা গণতন্ত্র হলেও হতে পারে। তবে সাধারণ মানুষ তা সমর্থন করে কিনা তা ভেবে দেখার কেউ আছেন বলে মনে হয় না।

দেশটাকে নিজেদের তালুক মনে করেন একেক জন! দায়িত্ববোধের ছিটে ফোটাও নেই এদের মধ্যে। দুর্ভাগ্য আমাদের এই দায়িত্ব হীনদের মধ্যে কেউ কাউকে ঠকাল কিনা তা দেখার জন্য লোকের অভাব নেই। অভাব শুধু এদেরকে লাইনে আনার মানুষের।



বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী সর্বজন গ্রাহ্য প্রবীণ মানুষটিকেও দেখি সরকারের কাছে চেয়ে আশাহত হয়ে এখন সরকারবিরোধী হয়ে উঠেছেন। অথচ একই ব্যক্তি প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সরকারের সুহৃদ। এ তো একটিমাত্র উদাহরণ। এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে, এর বিপরীত চরিত্রের লোক খুঁজে পেতে আতশি কাঁচ লাগে।



এতদিন ধরে আওয়ামীলীগদের মুখে শুনে শুনে বিরক্ত হয়েছি। স্বাধীনতার এতদিন পড়েও কেন দেশে স্বাধীনতা পক্ষ বিপক্ষের বিভাজন করা হবে? কিন্তু যখন দেখলাম যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্নে জাতি দ্বিধা বিভক্ত। যখন দেখলাম স্বাধীন দেশে মানবতা বিরোধীদের দোসরের অভাব নেই। যখন দেখলাম প্রধান বিরোধী দলের নেতার উপদেষ্টা কৌসুলি হিসেবে লড়ছেন মানবতা বিরোধীদের বাচাতে। তখন ভাবতে বসি আমরাই কি বিশ্বে একমাত্র? না কি আমাদের মত বেকুব জাতি আরও আছে?



আর যখন এই বিচারিক রায় নিয়ে পাকিস্তানি পার্লামেন্টে নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হয়। এটাকে বিচারিক হত্যা বলে ঘোষণা করা হয়। তখনো সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বর্তমান বিরোধী নেত্রী চুপ, যখন নিয়াজীর প্রেতাত্মা তারই ভ্রাতুষ্পুত্রের কাঁধে ভড় করে কাদের মোল্লাকে নির্দোষ সাব্যস্ত করে। তখনো নেত্রী চুপ। যখন পাকিস্তানী জামায়াত বাংলাদেশে আক্রমণের জন্য তাদের সরকারকে আহবান জানায়। বাংলাদেশের জামায়াত তাদেরই শাখা বলে ঘোষণা করে নেত্রী তখনো চুপ করেই থাকেন। তিনি মুখ খুলেন শুধু গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে, দেশকে নয়। ভালই, ঘর ভেসে যায় যাক। দরজা যেন ঠিক থাকে।



যারা মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে এক হতে পারে না, যারা মানবতা বিরোধীদের বিচারের প্রশ্নে এক হতে পারে না; যারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারে না তাদের কাছে দেশ কি করে নিরাপদ হতে পারে?



যে সব রাজনৈতিক দল সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে, সাধারণ মানুষকে হত্যা করে দাবী আদায়ে সচেষ্ট হয়। তাদের নীতিটা কোথায় থাকে? নৈতিকতা বিবর্জিত সংগঠন কি করে রাজ(নৈতিক) দল হয়?



দেশের প্রতিটি মানুষ আজ জিম্মি যে রাজনীতির কাছে। সে রাজনীতি এ দেশে কোন শান্তিই বয়ে আনতে সক্ষম হবে না। সবার আগে প্রয়োজন সৎ - দায়িত্ববান নেতা, মানবিক মুল্যবোধ সম্পন্ন নেতৃত্ব। তা যতক্ষণে প্রতিষ্ঠিত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এ দেশের মানুষের ললাটলিখন পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই।



মুখে বলেন ক্ষমতার কাঙ্গাল নন অথচ যা কিছু করেন সবই ক্ষমতার জন্য। আমাদের দুর্ভাগ্য, শুধু রাজনীতিবিদ গনই নন তাদের সাথে সমান তালে পাল্লা দিয়ে বকে যাচ্ছেন বুদ্ধিজীবীরা। গলায় সাইনবোর্ড ঝুলানো লাগে না কণ্ঠ নিঃসৃত অমিয় বানী-ই বলে দেয় তিনি কোন আদর্শকে ধারণ করেন। আদর্শ নয় বলা যায় কার তল্পিবাহক।



আজ এ দেশে কি সত্যিকারের ভাল মানুষের আকাল পড়ল নাকি! কেউই দল মতের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে পারেন না! সবার কণ্ঠে দিয়েই তো শুধু নেত্রী বন্দনা শুনতে পাই। সবাই ব্যস্ত নেত্রীর কথাকে, নেত্রীর আচরণকে যৌক্তিক করে তুলতে। এরা যে আর কত চান তা এক আল্লাহই ভাল জানেন। মনে হয় একেক জন নিজেদের চির স্থায়ী ভেবে বসে আছেন। মরলে তো জবাবের প্রশ্ন। মরতেই তো হবেনা কারো! তবে এটুকু বলতে পারি এই জ্ঞানপাপীদের স্থান হবে জাহান্নামের সর্ব নিম্ন স্তরে।



একদল বুদ্ধিজীবী বলছেন দেশের অধিকাংশ এলাকা সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই এটা বলে তারা সরকারকে উস্কে দিচ্ছেন। এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলছেন, আর সহ্য করা হবে না। ফলাফল তো দেখতেই পাচ্ছি। আওয়ামী সমর্থক ছাড়া কেউ দাবী তুলছেন না, সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে। যারা এটা বলছেন তারা আওয়ামী লীগকে বাচাতে বলছেন। জনসাধারণকে বাচাতে নয়।



দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে জনপ্রতিনিধি রয়েছে তারা যে দলেরই নেতা হন না কেন। নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। তিনি কেন দলীয় নির্দেশে এলাকায় সন্ত্রাস চালান? তিনি কি জনস্বার্থ সংরক্ষণের শপথ নেননি?



আজ যদি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা স্থানীয় প্রশাসন এবং জনগণকে সম্পৃক্ত করে সন্ত্রাস বিরোধী কমিটি গঠন করে এই সব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করতেন। তাহলে দেশের কোথাও সাধারণ মানুষকে এতটা দুর্দশাগ্রস্ত হতে হত না। এই কাজটি যে করা হল না সে দায় কার?

রাজনীতি আর সন্ত্রাস সমান তালে চলতে পারে না। আজ আন্দোলনের নামে এ দেশে যা চলছে তা স্রেফ সন্ত্রাস। সন্ত্রাসী এবং সন্ত্রাসের মদত দাতাদের কাছে দেশ কি নিরাপদ?



একটি রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে দেশটি স্বাধীনতা অর্জন করেছে । স্বাধীনতার মাত্র বেয়াল্লিশ বছরের মাথায় সেই জাতি মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিচার করতে গিয়ে এ ধরনের সহিংসতার সম্মুখীন হবে কেন? প্রধান বিরোধী দল ও তাদের দোসর বুদ্ধিজীবীরাই বা তাদের পক্ষাবলম্বন করে এই সহিংসতার বেনিফিসিয়ারী হতে চাইবে কেন। এর থেকে লজ্জার আর কিছু হতে পারে না। এ জাতি কি একদিন এদেরকেও কাঠগড়ায় এনে দাড় করাবে না? আমরা কি এতটাই বেঈমান জাতি হয়ে গেলাম। শহিদের রক্তের সাথে বেঈমানি করতেও যাদের বাধে না!



সরকার মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিচার করছে এর প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে তা তারা অনুধাবনে ব্যর্থ হলেন। ফলে এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে রক্ষায় আগাম সতর্কতা অবলম্বন করা হল না। এটা কি ধরনের দায়িত্বশীলতার পরিচয়?

ঠিক একই ভাবে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা নিয়ে যে এমন একটি অচলাবস্থা সৃষ্টি হবে তা কে না জানত। আজ এর দায়ও সাধারণ মানুষকেই শোধ করতে হচ্ছে জীবন্ত অঙ্গার হয়ে। এই তো আমাদের দায়িত্ববান নেতৃত্ব।

কি আশ্চর্য; আজ যাদের কাছে মিনতি করি দেশের মানুষকে, দেশের অর্থনীতিকে এভাবে শেষ করে দেবেন না। দয়া করে রক্ষা করুন। আবার তাদের হাতেই পাঁচটি বছরের জন্য দেশের দায়িত্ব অর্পণ করে আমরা নিশ্চিন্ত হতে চাই। এর বাইরে আমরা যাবটাই বা কার কাছে? এই আমাদের ললাট লিখন।



আজ দেশের সড়ক পরিবহন খাদের কিনারে।

ঘুরে দাঁড়ানো রেল ফিরে যাচ্ছে পুরনো অবস্থায়।

পোশাক শিল্প ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।

আবাসন শিল্প মুখ থুবরে পড়েছে।

দেশের অর্থনীতির চাকা পেছনে চলতে শুরু করেছে।

মানুষ চরম নিরাপত্তা হীনতায় দিন যাপন করছে।

কেন?

উত্তর একটাই, গণতন্ত্রের জন্য। যে গণতন্ত্র আমার বেঁচে থাকার অধিকার হরণ করে তা দিয়ে আমি কি করব?

আমাদের রাজনীতিবিদ গন কথায় কথায় জনগণের ম্যান্ডেটের কথা বলেন। দেশের জনগণ কি তাদের দেশ ধ্বংসের ম্যান্ডেট দিয়েছে?



মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রী “গণতন্ত্রকে বিপদমুক্ত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন”।

তিনি কোন গণতন্ত্র রক্ষার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন? যে গণতন্ত্র মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বাঁচানোর জন্য ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলকে জ্বালিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়ার মত ধৃষ্টতা দেখাতে সাহস পায়? যে গণতন্ত্র তাদের মন্ত্রী বানানোর নিশ্চয়তা বিধান করে? যে গণতন্ত্র সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে দাবী আদায়ের নামে দেশব্যাপী সন্ত্রাস চালানোর লাইসেন্স প্রদান করে?



আমরাও গণতন্ত্র চাই; কিন্তু গণতন্ত্রের নামে এক নেতা – এক নেত্রীর স্বৈরতন্ত্র কি চাই? মুল দল থেকে শুরু করে অঙ্গ সংগঠন পর্যন্ত কোথায় গণতন্ত্র? যারা নিজ দলের মধ্যেই চালান চরম স্বৈরতন্ত। তারা কি করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবেন? নাকি গণতন্ত্র মানেই ক্ষমতার পালা বদল, লুটপাটের ন্যায্য হিস্যা লাভ?



মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রী ঠিকই বলেছেন “১৯৭১-এ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি শত্রু মুক্ত হলেও শত্রুদের চক্রান্ত আজও বিদ্যমান। আধিপত্য বাদী শক্তি আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে গ্রাস করার অপ্রয়াসে লিপ্ত।” তিনি এটাও ঠিক বলেছেন, “ওই অপশক্তির নীলনকশা বাস্তবায়নে এদেশেরই কিছু চিহ্নিত মহল মদদ যুগিয়ে চলেছে”।

কথা হচ্ছে সে অপশক্তি কারা?

'পাকিস্তানের পার্লামেন্টে নিন্দা প্রস্তাব পাশের মত এমন ধৃষ্টতাপূর্ণ কর্মকাণ্ডের পড়েও যারা তার প্রতিবাদ পর্যন্ত করার নৈতিক সাহস রাখেন না। তারাই কি সেই অপশক্তি নয়?



মাননীয় নেত্রী, আপনার দল থেকে শান্তিপূর্ণ(!) অবরোধ কর্মসূচি ঘোষিত হয়। আর সারা দেশ ব্যাপী ছাত্র দল, জামাত শিবির মিলে তাণ্ডব চালায়। এটা যেমন গণতান্ত্রিক আন্দোলন হতে পারে না। তেমনি এই আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ার পথ প্রস্তুত হতে পারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পেতে পারে না। আগে নিজে গণতন্ত্রী হন, দলের মধ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করুন। তারপরে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার কথা বলুন। নব্বইয়ের পরে আপনারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেননি। স্বৈরতন্ত্রকে গণতন্ত্রের খোলসে আবৃত করেছেন মাত্র। দেশ এক স্বৈরশাসকের কবল থেকে মুক্ত হয়ে তিন স্বৈরশাসকের জাঁতাকলে পিষ্ট হয়েছে এবং আজো হচ্ছে। তখন তো বলা যেত, আমরা স্বৈরশাসকের জাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছি। এখন আর তাও বলার জো নেই। ঐ যে গণতন্ত্রের জুব্বা পড়িয়ে রেখেছেন ধর্মীয় জঙ্গি সংগঠনগুলোর মত। যারা উপরে ধর্মের জুব্বা পড়ে থাকে ভিতরে হিংস্র শকুন পোষে।



যারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবেন তারাই যদি হন চরম স্বৈর তান্ত্রিক তাহলে গণতন্ত্রের স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে। ভিতরে যাই হোক বাইরে যে ভোটের অধিকারের প্রশ্ন নিয়ে আপনি আন্দোলনে নেমেছেন তাতে তো দেশে গণঅভ্যুত্থান হওয়ার কথা। যে গণতন্ত্রের জন্য নব্বইয়ে মানুষ রাস্তায় নেমে এলো আজ তারা কেন নামছে না?

কারণ একটাই বারবার ধোঁকা খেয়ে এই মানুষগুলি আজ বুঝে গেছে গণতন্ত্র নয় আন্দোলনটা ক্ষমতায় যাওয়ার। তত্ত্বাবধায়ক নয় আন্দোলনটা নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার। আপনাদের সেই বৈতরণী পার হওয়ার দায়িত্ব আপনাদের পোষ্যরা নিতে পারে। সাধারণ জনগণ কেন নিতে যাবে?



যদি সত্যিই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চান নিজ দলের মধ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি দেশে আগামীতে স্থায়ী নির্বাচনী ব্যবস্থা কি হতে পারে সেই ফর্মুলা পেশ করুন, প্রধানমন্ত্রী পদটি কি এমনই সব ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু করে রাখবেন নাকি মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনবেন সেটা বলুন। দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে যেভাবে সরকারের আজ্ঞাবহ করে রাখা হয়েছে তাই রাখবেন নাকি সত্যিকার অর্থেই শোষণ-বঞ্চনা মুক্ত একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দেবেন?



এ বিষয় গুলি মাথায় রেখে জাতীর সামনে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা পেশ করুন। এটাই হয়ত আগামীতে আপনার ক্ষমতায় আরোহণের পথকে মসৃণ করে তুলবে। সেই সাথে জামায়াত নামক যে কাঁটাটি পায়ে বিধিয়ে রেখেছেন সেটি একবারেই উপরে ফেলুন। নয়ত ঐ একটি কাটাই বিএনপিতে গ্যাং গ্রিন হয়ে দেখা দিবে। যা বিএনপিকে একেবারেই পঙ্গু করে দিতে পারে।



সঞ্চালক; আপন ভুবন.কম

[email protected]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.