নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
খবরটি খুবই ছোট আর খুব একটা গুরুত্বপূর্ণও নয়। তবে অনেক বেশি স্বস্তি দায়ক। আজ থেকে প্রায় মাস তিনেক আগের। গত ৭ ডিসেম্বর, ২০১৩ তারিখে রাজধানীর লালবাগে ককটেল বিস্ফোরণ করতে গিয়ে মোহাম্মদ শামী (৩০) নামে এক ব্যক্তি গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছে। ঠিক একই ভাবে ৭ ডিসেম্বর যাত্রাবাড়ীতে গাড়ী ভাংচুর করতে গিয়ে এক শিবির কর্মী গণধোলাইয়ের স্বীকার হয়েছিল। এভাবেই একের পর এক ছোট ছোট প্রতিরোধের খবর পাওয়া যাচ্ছিল প্রায় প্রতিদিনই। কেউ একজন গণধোলাইয়ের স্বীকার হয়েছে এটা কোন স্বস্তি দায়ক খবর নয়। তবে এটা নিশ্চয়ই স্বস্তির যে, নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ ফুসে উঠেছে। এ দেশটাকে গুটিকয়েক মানুষ বাপ দাতার তালুক মনে করেন। তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে হাজারটা নিরপরাধ মানুষকে মেরে ফেলতেও দ্বিধা করেননা। আর এদের মদদ দেয় তাদেরই বশংবদ কিছু উচ্ছিষ্ট ভোগীর দল। চাই কি শিক্ষিত কি অশিক্ষিত। উচ্ছিষ্ট ভোগীরা দেখতে যেমন একরকম তেমনি তাদের ভাষা গতও অমিল নেই। এই রাহুর কবল থেকে এ দেশকে মুক্ত করতে হলে প্রয়োজন সাধারণ মানুষের রুখে দাঁড়ানো। নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীরা যে পরিচয়েই সামনে আসুক না কেন তাদের সন্ত্রাসী বলেই চিহ্নিত করতে হবে। আর এর কোন নমুনা দেখা গেলে তাকে তো স্বস্তি দায়ক বলতেই হয়। সাধারণ মানুষ গণতন্ত্রের প্রত্যাশা করে সন্ত্রাসের নয়।
দাবী আদায়ের নামে যারা মানুষ হত্যার মহতসবে মাতে তাদের আর যাই হোক দেশের অবিভাবক হিসেবে মেনে নেয়া কঠিন। এখানে দল মত বড় কথা নয় । যে দল বা গোষ্ঠিই এই হত্যাজজ্ঞ চালাবে আমরা তাদের সর্বান্তকরনে ঘৃ্না করি। আজকের এই সময়ে এসেও এই কথাগুলো বলতে হচ্ছে বিএনপি তথা উনিশ দলীয় জোটের চুপ করে বসে না থাকার হুংকার শুনে। স্বাধীনতার তেতাল্লিশ বছর পরে এসে যখন এ দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি জিয়াকে বানানোর কথা বলে দেশের রাজনীতিকে পুনরায় বিষাক্ত করে তোলার চেষ্টা করতে দেখি তখন মনে শঙ্কা জাগতে বাধ্য।
রাজনীতি যদি হয় জনগনের নিমিত্তে তাহলে জনগনের নিরাপত্তা প্রদানই হতে হবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে। আর এই দায়িত্বও নিতে হবে জনগনের নামে যারা রাজনীতি করেন তাদের। সরকারের যেমন দায়িত্ব রাষ্ট্রীয় সম্পদ এবং জনসাধারনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তেমনি বিরোধীদল সমূহেরও এই নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয় সে ব্যাপারে সচেষ্ট হতে হবে। দাবী আদায়ের নামে জনসাধারনকে হতাহত করে। এ ওর ঘারে দায় চাপাবেন তা হবে না।
আপনারা জানোয়ার পুষবেন, তাদের লেলিয়ে দিবেন সাধারন মানুষ হত্যা করার জন্য অথচ দায় নেবেন না। তা হতে পারে না। একদিকে আপনাদের পরস্পরের বিরুদ্ধে ব্লেম গেমের স্বিকার হয়ে প্রান হারাবে সাধারন মানুষ আর অন্যদিকে বিবেক বন্ধক দেয়া কতগুলো নরপশু নিত্য তার পক্ষে সাফাই গেয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবে আর সাধারন মানুষ চিরটাকাল মুখ বুঝে তা সয়ে যাবে এটা কেন ভাবছেন?
এ দেশে রাজনীতিবীদ, তাদের পোষা জানোয়ার, পেইড স্বজ্জন(!) যেমন বাস করে তেমনি মানুষও তো বাস করে। যাদের আগে পিছে কোন বিশেষন নেই। তারা শুধুই মানুষ, সাধারন মানুষ। যাদের কষ্টার্জিত অর্থে আপনাদের শান শওকত-বিলাস ব্যসন! আর এই লোক গুলির যখন ধৈর্য্যের বাধ ভেঙ্গে যায় তখনই সৃষ্টি হয় বায়ান্ন, উনসত্তর, একাত্তর, নব্বই, এক-এগারোর মত নতুন নতুন ইতিহাস।
রাষ্ট্রিয় সম্পদ ধ্বংস করে, সাধারন মানুষ হত্যা করে নেতা হওয়া যায় না, গডফাদার হওয়া যায়। আর গডফাদারের রাজনীতি করার কোন অধিকার থাকে না। আজ এদেশের মানুষের এই যে ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটতে শুরু করেছে তা রাজনীতিবিদদের জন্য কোন সুখকর বার্তা নয়। তবে সুখকর এ দেশের জন্য। সাধারন মানুষ শুভ শক্তিকে যেমন স্বর্বান্তকরনে স্বাগত জানায় তেমনি অশুভ শক্তির বিনাশ সর্বদাই কামনা করে। আর এই শুভ-অশুভ নির্ধারনের একমাত্র মাপকাঠি রাজনৈতিক শক্তি সমুহের কর্মকান্ড।
কে জানে তাদের ছোড়া তীর নিজেদের বুকেই বিদ্ধ হবে না!
কাহাতক সয়? আটষট্টি বছরের বৃ্দধাকেও যখন রাজনীতির আগুনে পূড়ে মরতে হয়, যখন অন্তসত্বা মাকেও রেহাই দেয়া হয়না, সাধারন মানুষ যখন নিত্য কুলষিত রাজনীতির স্বিকার হয়ে ধুকে ধুকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে। তখন তাদের স্বজনদের প্রতিবাদী হয়ে ওঠা ছাড়া আর কিইবা করার আছে। যারা বলছেন দেশটা আফগানিস্থান হয়ে গেছে অতএব আমাদের আড়ালে থেকেই আন্দোলনের ডাক দিতে হবে। তাদের পক্ষে সাফাই গাইতে যারা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় উপস্থিত হয়ে বলেন এ দেশে আন্দোলন করতে গেলে কিছু ক্যাজুয়াল্টি হবে এটাই স্বাভাবিক তাদের থেকে বড় সন্ত্রাসী আর কারা।
অথচ আশ্চর্যের বিষয় হল এরা এমন একটি দলের পক্ষে সাফাই গান যে দলটি এদেশকে শাষন করেছে সব থেকে বেশি সময় ধরে। এমন একটি দল কি করে এতটা উগ্রপন্থি হয়ে উঠে তা একমাত্র তারাই জানেন।
একটি বিষয় তারা কেন ভাবছেন না। এ দেশের মানুষ কখনোই উগ্রবাদকে প্রশ্রয় দেয়নি। শাঁন্তিপ্রিয় একটি জাতিকে ক্রমশ দমন পিড়ন করলে তার ফলটা যে কি হয় তা তো একাত্তর থেকে শুরু করে বেশ ক’বার দেখেছে। তারপরেও যারা শিখেনি তাদের মনে হয় আরেকটি শিক্ষা প্রয়োজন। একাত্তরে দেশ বিদেশী শক্তির হাত থেকে মুক্তি পেলেও দেশিয় জঞ্জাল মুক্ত হয়নি। যে শুদ্ধি অভিযানটা অনেক পূর্বেই চালানো প্রয়োজন ছিল সময়মত তা না চালানোর ফলেই আজ এ দেশে এমন কিছু আগাছা এত গভিরে তাদের শেকর প্রথিত করতে সক্ষম হয়েছে যে এখন তারা ভুসন্তানকেই মারতে উদ্যত। এদের একমাত্র রক্ষাকবচ তথাকথিত গনতন্ত্র। এখন যত রাজনৈতিক অনাচার তা ঐ গনতন্তের নামেই চালান হয়।
বর্তমান সরকার যেমন স্পষ্ট করে বলছে না আগামি নির্বাচন কিভাবে হবে বা আদৌ তারা কোন পরিবর্তন আনবে কিনা ঠিক তেমনি বিএনপিও স্পষ্ট করছে না যে, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে কতটা ছাড় দিবে।
সরকার চাচ্ছে বিএনপি যাতে আন্দোলন জমাতে না পারে, নতুন ইস্যু না পায়। অন্যদিকে বিএনপি চাচ্ছে নতুন ইস্যু সৃষ্টি হোক, তারা চাইছে প্রয়োজনে ইস্যু সৃষ্টি করে হলেও আন্দোলনের আবহ তৈরী করতে। বেগম জিয়ার লক্ষ আন্দোলন করে গিনেজ বুকে রেকর্ড করবে। এমন অদ্ভুত খেয়াল আর কোন রাজনীতিবিদের কখনো হয়েছে কিনা জানিনা। তবে সেই আন্দোলন যদি আর একটিও নিরপরাধ মানুষের মৃত্যুর কারন হয়। সে দায়ভার থেকে যে তিনি নিজেকে আড়াল করতে পারবেন না তা বলাই বাহুল্য।
ক্ষমতা কেন্দ্রিক এই আন্দোলন-আন্দোলন খেলা সাধারন মানুষকে যে নিত্যই অসহিস্নু করে তুলছে সে খবর কি তারা রাখেন? তাদের গুনধর পোষ্যরা সে খবর নেত্রীর কান অব্ধি পৌছুতে দেন? অবস্থাদৃষ্টে অন্তত তা মনে হচ্ছে না। পরিশেষে নেত্রী দ্বয়ের মনে শুভবুদ্ধির উদয় হোক। মানুষের জন্য মানুষের, অধীনস্তদের প্রতি দায়িত্বপ্রাপ্তদের উপরে ন্যস্ত দায়িত্ব বোধের উন্মেষ ঘটুক সে কামনাই করি। নয়ত এই হিংসার অনল যে, একদিন শতগুন বেড়ে তাদেরই পোড়াতে উদ্যত হবে তাতে সন্দেহ নেই।।
Kmgmehadi@gmail .com
৩১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫৩
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ইতিহাসের একমাত্র রক্ষাকবচ ঘটনার পরম্পরা। তাই জোর করে যা কিছুই এর সাথে যুক্ত করা হোকনা কেন তা কখনোই ইতিহাসের অংশ হয়ে উঠে না। এক সময় সত্যই স্পষ্ট হয়ে উঠে। এটাই ঐতিহাসিক সত্য। অসংখ্য ধন্যবাদ আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ভাই। ভাল থাকবেন। অনেক ভাল।
২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:১৯
মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: "বেগম জিয়ার লক্ষ আন্দোলন করে গিনেজ বুকে রেকর্ড করবে" ভাই গালিব এটা কি উনি আপনাকে বলেছেন?? আন্দোলনের রেকর্ড তো হয়ে গেছে অনেক আগেই। ১৭৩ হরতাল করে আলীগ রেকর্ড করে ফেলছে, জ্বালাও-পোড়াও কম করেনি। আবার দিগম্বর করার একমাত্র রেকর্ডধারীও আলীগ।
ইস্যু খোজার দরকার আছে নাকি!! গত ৫ বছর ও ৫ তাঃ নির্বাচন এবং বর্তমান সময়ে যে পরিমান লিগ্যাল ইস্যু ছিলো তাতে যদি আলীগ বিরোধীদলে থাকতো তাহলে কয়েকবার সরকারের পতন হতো। সহিংসতা কাকে বলে তা আলীগ ছারা আর কোন দল জানেনা।
চুতিয়া বিএনপি দিয়ে কিছুই হবেনা। তাইবলে জন-প্রতিনিধিহীন এই সরকারকে বাহাবা দেয়ার কোন কারন নেই। জন-প্রতিনিধিহীন বললাম কারন আমি নিজে ভোট দিতে পারিনি, ১৫৪ জন এমপি জনগনের প্রতিনিধি নয়, তারা আলীগ সভাপতি শেখ হাসিনার একার প্রতিনিধি।
ধন্যবাদ চমৎকার পোষ্টের জন্য।
৩১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪৫
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মিঠু ভাই আপনাকে। আন্দোলনের নামে মানুষ মারার এই রাজনীতির বিরুদ্ধে আমাদের স্পষ্ট অবস্থান। সে বিএনপি বা আওয়ামীলীগ যে দলই হোক না কেন। আমরা গনতন্ত্র চাই কিন্তু সন্ত্রাস নয়। ভাল থাকুন অনেক ভাল।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:২৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সত্যি বলতে কী, এ দেশের মানুষ কখনোই উগ্রপন্থাকে মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও মেনে নেবে না। ইতিহাস বিকৃতির কোন অপচেষ্টাও কখনো সফল হবে না। সুতরাং, কিছু উন্মাদ ও ক্ষমতালোভী মানুষের অসংলগ্ন কথাবার্তা ও কার্যকলাপে চিন্তার কিছু নেই। সময়ের সাথে সাথে ইতিহাসের চাকা ঠিকই তার সঠিক গতিপথে চলতে থাকবে। আমি আশাবাদী।
ধন্যবাদ, ভাই গালিব মেহেদী খান।