নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
একজন আকরাম খান একজন আমিনুল ইসলাম বুলবুল একজন দুর্জয় অথবা সুজন হয়ত বিশ্ব ক্রিকেটে অতটা আলো ছড়াতে সক্ষম হননি তবে এ দেশের ক্রিকেটকে বিশ্ব দরবারে তুলে এনেছিলেন একেবারে গহীন থেকে। তারা যে পথটি তিলে তিলে মসৃণ করে দিয়েছেন আজ সে পথ ধরেই সাকিবদের জয় রথ এগিয়ে চলেছে। সাকিবরা আসবে-যাবে; নতুন নতুন সাকিবদের জন্ম হবে, পূর্বসূরিদের গড়ে দেয়া আঁতুড় ঘর থেকেই। তবে এ দেশে ক্রিকেট অন্ত প্রাণ এমন দেশপ্রেমিক আকরাম-বুলবুলদের অহরহ দেখা মিলবে এমনটি আশা করা বাতুলতা মাত্র। আমরা সে আশাও করিনা। তাদের কষ্টার্জিত অর্জনকে পুঁজি করে আজ স্বীয় মেধা বলে যারা তারকা থেকে মহা তারকা বনে গেছেন তাদেরকেও যে আমরা মাথায় তুলেই রাখি তার কারণ একটিই। আর তা হল, তাদের হাতেই দেশমাতৃকার পতাকাটা তুলে দেয়া হয়েছে। এখানে তাকে মাথায় তুলে রাখা বা তার সাফল্যে আত্মহারা হওয়ার মুলে তো ঐ দেশ। সেই দেশকেই যদি কেউ সামান্যতম অবহেলা করার মত ধৃষ্টতা দেখায় তাকে পায়ের তলায় ছুঁড়ে ফেলতেও এ জাতি সামান্যতম দ্বিধা করবে না। হোক সে তারকা বা মহা তারকা।
সাকিবকে নিয়ে কানাঘুষা অনেক দিনের, তার আত্ম অহংকার অতিকথন অশ্লীল শরীরী ভাষা। যা নিয়ে তাকে বেশ কবার শাস্তির সম্মুখীনও হতে হয়েছে। দুর্ভাগ্য তার বা আমাদের এই মেধাবী খেলোয়াড়টি তাতে বিন্দুমাত্র শোধরায় নি বরং দিন দিন আরও বেশি উশৃংখলতার পরিচয় দিয়েছে। যার সর্ব শেষ উদাহরণ তার বাংলাদেশের হয়ে ক্রিকেট না খেলার হুমকি প্রদান!
একজন সাকিব অন্যদের পথ দেখাবে এটাই কাম্য। সে পথ দেখানোটা নিশ্চয়ই এমন নয় যে, 'সাবেকরা কে কেমন খেলছে জানি, কে কতদূর করছে।' এমনতর অকৃতজ্ঞ আচরণ করতে বা কথা বলা শেখাবে?
শোনা যায় দলে মাশরাফির অসম্ভব জনপ্রিয়তা/গ্রহণযোগ্যতায় ঈর্ষান্বিত হয়েই নাকি ২০১১ বিশ্বকাপে সাকিব'দলে কোন চেঞ্জ দরকার নাই' ঘোষণা দিয়ে মাশরাফিকে অচ্ছুৎ করে রাখে। তাছাড়াও পত্রিকায় দেয়া বিবৃতি সহ তার বেশ কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ নানা সময়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
এতদ কিছুর পড়েও তার অশ্লীল শরীরী ভাষা এ দেশের ক্রিকেট অনুরাগীদের অনেকখানি আশাহত করে। তথাপিও এ দেশের ক্রিকেট অনুরাগীরা সাকিবের এত সব ত্রুটিকে যে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেছে দেশের স্বার্থেই। আর আজ যখন সে দেশের স্বার্থকে অবজ্ঞা করে ব্যক্তি স্বার্থকেই বড় করে দেখতে শুরু করেছে তখন তো আর তার ত্রুটিকে মার্জনা করার সুযোগ নেই।
আজকের সাকিবদের এটা মনে রাখা উচিৎ বাংলাদেশ ক্রিকেট-ই তাদের স্রষ্টা। তারা বাংলাদেশ ক্রিকেটের স্রষ্টা নন। একজন সাকিবের অবর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেট রসাতলে যাবে না বরং হয়ত অনেকটাই রাহুমুক্ত হবে। এটা বলছি এজন্য যে, আমরা বেশ কবার দেখেছি দলের মধ্যে সমন্বয়হীনতার, অধিনায়কের অসহায়ত্ব, ক্রিকেটারদের দায়িত্ব হীনতা আর সম্ভবত এ সবই এক সূত্রে গাঁথা। আর তাই যদি হয় তাহলে তো দুষ্টের দমন শিষ্টের পালনই অত্যাবশ্যক। এ ক্ষেত্রে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, সাকিবের আচরণ কোনভাবেই মেনে নেয়া হবে না। সাকিব তারকা খেলোয়াড় হলেও নিয়ম ভঙ্গ করায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং পুরো টিমে মেজর সার্জারি করা দরকার হলেও তাই করা হবে। তার এ কথায় আমরা আশাবাদী হতে চাই। একজন সাকিবকে রক্ষা করতে গিয়ে যেন পুরো দলে স্থায়ী ক্ষতের সৃষ্টি না হয়। এটা যেমন ঠিক তেমনি একইসাথে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যাসত্য নিশ্চিত হয়েই যেন উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হয়। যাতে পরবর্তীতে কখনো বাংলাদেশ ক্রিকেটকে এ অবস্থার সম্মুখীন হতে না হয়।
আমরা বাংলাদেশ দলে অসংখ্য খেলোয়াড় সাকিব চাই; একটিও নির্লজ্জ-বেয়াদব-অকৃতজ্ঞ সাকিব চাই না। আমরা চাই আমাদের প্রতিটি খেলোয়াড়ের দেশপ্রেম থাকবে প্রশ্নাতীত তারপরে আর সব। এটা নিশ্চিত হওয়া যেমন জরুরী তেমনি করাও।
[email protected]
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:১৭
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ধন্যবাদ এম এস ইসলাম আপনাকে।
২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৫০
প্রবাসী প্রান বলেছেন: আপনার সাথে একমত।
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:১৯
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রবাসী প্রান আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:২৫
এমএস ইসলাম বলেছেন: আপনার শিরোনামের সাথে একমত