নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘১৯৭১: ভেতরে বাইরে’বইটির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু নয়, লেখক নিজেকেই বিতর্কিত করেছেন।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫



একাত্তর পরবর্তী প্রজন্মের একাত্তরের ঘটনাপ্রবাহ তথা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সঠিক ইতিহাস জানার একটাই পথ আর তা হল এর ঐতিহাসিক দলিল। এ ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রজদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ! তারা যে সর্বদা সংকীর্ণ দলিয় দৃষ্টিভঙ্গির ঊর্ধ্বে উঠে সত্যি কথাটা বলতে পেরেছেন তার কোন উদাহরণ আমরা আজো খুঁজে পাইনি।



আমরা এমন এক জাতি, যারা অবলীলায় নিজেদের সবথেকে বড় অর্জন মুক্তিযুদ্ধকে ছিনতাই করি, বিক্রি করি, ব্যবহার করি!জাতীর গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করি!পিতাকে অস্বীকার করি!

আমরা এমন এক জাতি, ক্ষমতার জন্য যারা দেশকে বহিঃশত্রুর কাছে বন্ধক রাখে তাদের বন্দনায় বিভোর হয়ে থাকি।



দুর্ভাগ্য আমাদের, এ দেশে সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের ইতিহাসের পাতার লেখাগুলোও পরিবর্তিত হয়ে যায়। এর জন্য দায়ী আমাদের সেই অগ্রজরাই। অনুজদের অধিকার ঐতিহাসিক সত্য জানার। সেই অধিকার বঞ্চিত করে তার পরিবর্তে তাদেরকে এই যে ক্রমান্বয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে এর দায় অগ্রজদেরই।



‘১৯৭১: ভেতরে বাইরে’বইটির লেখক আর কেউ নন ‘মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশ বাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ’ এ কে খন্দকার বীর উত্তম। তাঁর কাছ থেকে নতুন প্রজন্ম সেই ইতিহাসই আশা করবে যা হবে সন্দেহাতীত। যা থাকবে সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে। অথচ আমরা অবাক বিস্ময়ে এই প্রথম লক্ষ করলাম কোন গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরাই গ্রন্থে সন্নিবেশিত কিছু তথ্য সম্পর্কে বলেন এ নিয়ে তর্ক-বিতর্কের অবকাশ রয়েছে! একটি গ্রন্থের কিছু তথ্য যদি অসত্য বা বিতর্কিতই হয় তাহলে সেই গ্রন্থটি কি করে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট হিসেবে আলাদা মর্যাদা পায় তা সেই বিজ্ঞজনেরাই ভাল বলতে পারবেন।

আমরা সাধারণ জ্ঞানে বুঝি কোন মিথ্যেকে যুক্তিগ্রাহ্য করে তুলতে হলে বা সত্য বলে প্রমাণ করতে হলে সেই মিথ্যের সাথে অনেকখানি সত্যের মিশেল দিতে হয়। সেটা নিশ্চয়ই একজন সৎ ইতিহাসবিদ বা কোন সম্মানিত ব্যক্তির কাছ থেকে কেউ আশা করেন না।



ঐ অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী বলেন, বইটি কিছু তথ্য নিয়ে বিতর্ক থাকলেও তাতে ফুটে উঠেছে মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন অংশ। এতে করে নতুন প্রজন্ম অনেক কিছু জানতে পারবে। আমাদের প্রশ্ন হল নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানাতে গিয়ে কেন বিতর্কিত তথ্য উপস্থাপন করতে হবে। এ প্রশ্নটি কেন লেখকের কাছে করা হল না?



বর্তমান সময়ে আওয়ামীলীগের ঘোর বিরোধী বলে পরিচিত বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, “এ কে খন্দকারের লেখা বইটি আমি পড়ছি। তাকে যে মাপের মানুষ বলে মনে করতাম, তার লেখায় তা দেখা যাচ্ছে না। ৭ মার্চের ভাষণকে তিনি যেভাবে বিতর্কিত করেছেন, তা ভবিষ্যতে জাতি তাকে নিন্দা করবে"।



এটা নিশ্চয়ই লেখকের জন্য সম্মানজনক নয়? বঙ্গবন্ধুর রণকৌশল ভুল ছিল কথাটি তখনই প্রযোজ্য হত যদি একাত্তরে তিনি ব্যর্থ হতেন বা তখন যদি দেশ পরাধীনতা মুক্ত না হতে পারত। বাস্তবতা হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এবং তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও রণকৌশলেই একাত্তরে দেশ স্বাধীন হয়েছে । আজ এতদিন পরে কি করে লেখকের মণে হল বঙ্গবন্ধুর রণকৌশল সঠিক ছিল না। তিনি যেমনটি করলে ভাল হত বলে মণে করছেন সেটি তো বুমেরাংও হতে পারত। এখন এ সব কথা বলে বঙ্গবন্ধুর কৃতিত্বকে খাটো করার চেষ্টা কি দুরভিসন্ধিমূলক নয়?



এ প্রসঙ্গে কাদের সিদ্দিকী যথার্থই বলেছেন, “যেভাবে একটি ভূখণ্ডকে স্বাধীন করতে হয়, যখন যেটা বলা দরকার, বঙ্গবন্ধু সেটা পেরেছিলেন বলেই আমরা স্বাধীন হতে পেরেছি"। ইতিহাসও সে সাক্ষী দেয়। আর তাই তিনি বলেন, “এ কে খন্দকার, ৭ মার্চের ভাষণ এবং সেই সময় যুদ্ধ করলে কত ভাল হতো না হতো- এমন যে মূল্যায়ন করেছেন তা তার নির্বুদ্ধিতার শামিল। ওনার বইয়ে কোনো ইতিহাসের ঘটনা নাই। তিনি যা ভেবেছেন, তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন পাকিস্তানি দৃষ্টিভঙ্গিতে। তিনি সেনানিবাসে ছিলেন, সেখানে থেকে সামরিক দৃষ্টি কোন থেকে বিচার করেছেন”। অথচ এই গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তা অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশকে জানতে হলে এ কে খন্দকারের এই বইটি সকলেরই পড়া উচিত!



আমাদের দুর্ভাগ্য এখানেই। আমরা কাকে বিশ্বাস করব, কাকে মিথ্যেবাদী বলে ঘৃণা করব? এ গ্রন্থে সন্নিবেশিত তথ্যের সত্যাসত্য বিশ্লেষণ করতে গিয়ে একাত্তর টিভি কর্তৃপক্ষ আজ পাকিস্তানের জিও টিভীর সাত মার্চের ভাষণ নিয়ে করা ডকুমেন্টারির একটি ক্লিপিং দেখায়। যেখানে দেখান হয়েছে বঙ্গবন্ধু ঐ ভাষণ “জয় বাংলা” বলে শেষ করেছেন। আমাদের অগ্রজ গন আজ এতটাই দেউলিয়া হয়ে গেছেন যে তাদের মিথ্যাচারকে প্রমাণ করতে আমাদের সেই পাকিস্তানের কাছেই হাত বাড়াতে হয়! যাদের সাথে দীর্ঘ নয়টি মাস যুদ্ধ করে পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্ত হতে হয়েছে। এটা লজ্জার, এটা যে কত বড় লজ্জার তা কি তারা বুঝতে পারছেন?



‘১৯৭১: ভেতরে বাইরে’ বইটি এমনই এক সময় প্রকাশ করা হল যখন আওয়ামীলীগ নয় জামায়াত-বিএনপির প্রধান লক্ষ বঙ্গবন্ধু। আর তারও একটিই কারণ বঙ্গবন্ধু তো নিছক একজন নেতাই নন। তিনি একটি জাতির রূপকার। বঙ্গবন্ধু-মুক্তিযুদ্ধ-বাংলাদেশ এ সবই এক সূত্রে গাথা। বঙ্গবন্ধুকে বিতর্কিত করে তুলতে পারলেই মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করা সহজ হয়ে যায়। আর মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করা গেলে যুদ্ধাপরাধ ইস্যু, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এর সবই দুর্বল হতে বাধ্য। যেটি বিএনপি-জামায়াতের বর্তমান রাজনীতির মূল এজেন্ডা। তারা গত কয়েক বছর যাবত যে ভাষায় কথা বলছেন ঠিক একই ভাষায় যখন এই বইটি লেখা হয়েছে তখন আওয়ামী ঘরানার বলে পরিচিত হলেও সঙ্গত কারণেই লেখকের উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন উঠবে এটাই স্বাভাবিক। খন্দকার মুশতাকও তো আওয়ামীলীগেরই নেতা ছিলেন, তাই না? তার কর্মকান্ড নিশ্চয়ই এ জাতি ঘৃণা ভরে চিরকাল মন রাখবে।

আর এই সন্দেহটা আরো পোক্ত হয়েছে যখন দেখা গেল বিএনপির নেতৃবৃন্দ সোৎসাহে লেখকের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। তারা আজ সবাই সমস্বরে বলে উঠেছেন আমরা নিজ কানে শুনেছি। তাদের এই নিজ কানে শোনার কথা শুনে আজকের প্রজন্ম যদি প্রশ্ন ছুড়ে দেয় এই বলে যে, এখন যারা বলছেন "আমি নিজ কানে শুনছি শেখ মুজিবর রহমানকে বলতে " জয় পাকিস্তান"।" তাদের কাছে প্রশ্ন; আপনাদের এই নিজ কান কি এতদিন ধরে খন্দকার সাহেবের কাছে গচ্ছিত ছিল? এই নিজ কানও বুঝি ‘১৯৭১: ভেতরে বাইরে’ গ্রন্থের সাথে একই সাথে অবমুক্ত করা হয়েছে? তার উত্তরে তারা কি বলবেন সেটা তারাই ভাল জানেন।



মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন। যাদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে আমরা তাদের মাথায় তুলে রাখি এটা যেমন ঠিক তেমনি এটাও ঠিক এই মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্য থেকেই কেউ কেউ পনের আগস্টের বিয়োগান্তক ঘটনাটি ঘটিয়েছিলেন। জেলের মধ্যে জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছেন। কর্নেল তাহের, খালেদ মোশাররফদের মত অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছেন। এদেরই কেউ কেউ হত্যাকারীদের সহায়তা করেছেন। পরবর্তীতে বীরের মর্যাদা পর্যন্ত দিয়েছেন। কাজেই দুঃখের সাথে একথা পুনরায় বলতেই হচ্ছে, সব মুক্তিযোদ্ধা সারা জীবন মুক্তিযোদ্ধা থাকেন না। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময় থেকে আজ অবধি এ জাতী তা বার বার দেখেছে আজো দেখছে। এবার অন্তত এর শেষ হওয়া উচিৎ।



সেক্টর ফোরাম ‘১৯৭১ : ভেতরে বাইরে’ বইটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতিতে লিপ্ত দেশী-বিদেশী চক্রান্তকারীদের হাতে বিভ্রান্তি ছড়াবার নতুন অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করে বইটির দ্রুত তথ্য সংশোধন ও পরিমার্জনের আহবান জানিয়েছে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ৭১।এর পরেও যদি কেউ বলেন বইটির সকল তথ্য সঠিক তাহলে তা সত্যের অপলাপ বৈ কি?



কারো সমালোচনা করতে হলে তাকে যোগ্য সম্মান প্রদর্শন করেই করতে হয়। এতে তিক্ততার সৃষ্টি হলেও সাধারণত সত্যের অপলাপ হয়ে ওঠে না। এই গ্রন্থের লেখকের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করেই বলছি তিনি তাঁর লেখায় বঙ্গবন্ধুকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়েছেন। আর তাঁর এই ব্যর্থতাই তাকে বিএনপি-জামায়াত জোটের কাছে মহান করে তুলেছে। প্রকারান্তরে এর মাধ্যমে তিনি নিজেকেই ছোট করেছেন। পঁচাত্তরে তাঁর ভূমিকা যতটা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল এই লেখনীর মাধ্যমে তিনি কেবল তারই ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছেন। কাজেই বলতেই হয়; বঙ্গবন্ধু নয়, তিনি নিজেকেই বিতর্কিত করেছেন।



[email protected]



মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৪

নন্দীত নরকে বলেছেন: কাক নাকি কোন কিছু গোঁজার সময় চোখ বন্ধ করে গোঁজে, সে মনে করে আমি যেহেতু দেখছি না অন্য কেউও তা দেখছে না।

আপনার মহান আম্লীগাররা যে কি তা জাতীর ভাল ভাবেই জানা আছে। মহামান্য আম্লীগের বাচ্ছা আপনারা, অন্ধ হলেই কি প্রলয় বন্ধ হয়? খালি একলা আপনারাই জাতীর অংশ, আমরা কিছুই না? খালি আপনারাই নতুন প্রজন্ম আমরা কি গাঙ্গের জলে ভাইসা আইছি? আপনার কুলাংগার নেত্রী স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা বলেছিল- যার জামাত শিবির করে তারা যেন পাকিস্তান চলে যায়।

ঐ বেশ্যা মাগীর মতো আপনার মতো কুলাংগার আম্লীগের বাচ্ছারাও মনে করে-এই দেশটা আপনাদের বাবার তালুক, তাই না? আপনাদের মন মতো হলে সেটা সঠিক ইতিহাস, আর আপনাদের মতের বিরুদ্ধে গেলে তা দেশদ্রোহ সেটা আমরা জানি না?

আপনারা কোন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মান দেখিয়িছেন? আপনাদের মতো, হাসিনা আর শেখ মুজিব ছাড়া আর কেউ মুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশে আছে নাকি?

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১১

দাকুড়াল বলেছেন: আম্লীগারদের পশ্চাদেশে এ কে খন্দকার বীর উত্তম আগুন দিছে। :) :) ভালোই লাগতাছে।

৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৪

াহো বলেছেন:
বই / ভিডিও প্রয়োজন নেই .বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক কে, প্রথম রাষ্ট্রপতি কে এসবই বলা আছে .
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
মুজিবনগর, বাংলাদেশ ১০ এপ্রিল ১৯৭১
(কার্যকর ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে ১৯৭২ ডিসেম্বর ১৬ তারিখে যখন দেশের নতুন সংবিধান)

১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিব নগর থেকে স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র জারি করা হয় এবং এর মাধ্যমে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়। শপথ গ্রহণ করেন ১৭ এপ্রিল।
স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে কার্যকর । যতদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলেছে ততদিন মুজিবনগর সরকার পরিচালনার অন্তর্বর্তীকালীন সংবিধান হিসেবে এই ঘোষণাপত্র কার্যকর ছিল। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পরও এই ঘোষণাপত্র সংবিধান হিসেবে কার্যকর ছিল। ১৯৭২ সালের ডিসেম্বর ১৬ তারিখে যখন দেশের নতুন সংবিধান প্রণীত হয় তখন সংবিধান হিসেবে এর কার্যকারিতার সমাপ্তি ঘটে।

সেদিন মুজিবনগরে শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গঠিত হয় বাংলাদেশের প্রথম সরকার। তবে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে করা হয় অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।

এপ্রিল ১৭ তারিখে গণপরিষদের সদস্য এম ইউসুফ আলী আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন.


========================

২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষনার বিষয়ে ১৯৭১ সালের অনেক আন্তর্জাতিক নিউজ-মিডিয়া, আমেরিকান বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের নানা রিপোর্ট রয়েছে। যা রিপোর্ট করা হয়েছিল সেটা অবিকৃতভাবে দেয়া হলো
এখানে ।

লিস্টের কয়েকটি নাম উল্লেখ করা হল রিপোর্টিং ডেইটসহ:

১. আমেরিকান ডিফেন্স ইনটেলিজেন্স এজেন্সী (২৬শে মার্চ, ১৯৭১)

২. আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব স্টেইট টেলিগ্রাম (৩১শে মার্চ, ১৯৭১)

৩. আমেরিকান সিনেট রিপোর্ট (জুলাই ২৭, ১৯৭১)

৪. নিউ ইয়র্ক টাইমস ,The Times UK(২৭শে মার্চ, ১৯৭১)

৫. ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল (২৯শে মার্চ, ১৯৭১)

৬. টাইম, নিউজউইক (৫ই এপ্রিল, ১৯৭১)

৭. বাল্টিমোর সান (৪ই এপ্রিল, ১৯৭১)

৮. আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব স্টেইট- রিসার্চ স্টাডি (ফেব্রুয়ারী ২,১৯৭২)
9-Times of India 27 March 1971


===========================

শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন,


যেহেতু উল্লিখিত বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের জন্য উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান; এবং
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
মুজিবনগর, বাংলাদেশ
তারিখ: ১০ এপ্রিল ১৯৭১




=======================



তাজউদ্দীনের ভাষণ ও তার মেয়ের লেখায় গড়মিল

২৫শে মার্চ মাঝরাতে ইয়াহিয়া খান তার রক্তলোলুপ সাঁজোয়া বাহিনীকে বাংলাদেশের নিরস্থ মানুষের ওপর লেলিয়ে দিয়ে যে নরহত্যাযজ্ঞের শুরু করেন তা প্রতিরোধ করবার আহ্বান জানিয়ে আমাদের প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনের যুদ্ধকালীন প্রথম ভাষণ
জিয়া সহ পাঁচ সেনা কর্মকর্তার নাম উল্লেখ তাদের যুদ্ধের জন্য
তাজউদ্দীনের ভাষণ link---http://www.samakal.net/2013/07/23/7512
Click This Link
তাজউদ্দীনের ভাষণ ও তার মেয়ের লেখায় গড়মিল




=========================
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
(কার্যকর ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে ১৯৭২ ডিসেম্বর ১৬ তারিখে যখন দেশের নতুন সংবিধান)


(১০ এপ্রিল, ১৯৭১)

যেহেতু ১৯৭০ সালের ০৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত একটি শাসনতন্ত্র রচনার অভিপ্রায়ে প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশে অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল

এবং

যেহেতু এই নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ১৬৯ জন প্রতিনিধির মধ্যে ১৬৭ জনই আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত করেছিলেন

এবং

যেহেতু জেনারেল ইয়াহিয়া খান একটি শাসনতন্ত্র রচনার জন্য ১৯৭১ সালের ০৩ মার্চ জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অধিবেশন আহ্বান করেন

এবং

যেহেতু আহূত এ পরিষদ স্বেচ্ছাচার ও বেআইনিভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়

এবং

যেহেতু পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তাদের প্রতিশ্রুতি পালনের পরিবর্তে বাংলাদেশের গণপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলাকালে একটি অন্যায় ও বিশ্বাসঘাতকতামূলক যুদ্ধ ঘোষণা করে

এবং

যেহেতু উল্লেখিত বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের জন্যে উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্যে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান

এবং

যেহেতু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী একটি বর্বর ও নৃশংস যুদ্ধ পরিচালনাকালে বাংলাদেশের অসামরিক ও নিরস্ত্র জনসাধারণের বিরুদ্ধে অগুনতি গণহত্যা ও নজিরবিহীন নির্যাতন চালিয়েছে এবং এখনো চালাচ্ছে

এবং

যেহেতু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী অন্যায় যুদ্ধ, গণহত্যা ও নানাবিধ নৃশংস অত্যাচার চালিয়ে বাংলাদেশের জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের একত্র হয়ে একটি শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করতে ও নিজেদের সরকার গঠন করতে সুযোগ করে দিয়েছে

এবং

যেহেতু বাংলাদেশের জনগণ তাদের বীরত্ব, সাহসিকতা ও বিপ্লবী কার্যক্রমের দ্বারা বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডের উপর তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে

সেহেতু

সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পক্ষে যে রায় দিয়েছে, সে মোতাবেক আমরা, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আমাদের সমবায়ে গণপরিষদ গঠন করে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের জন্যে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা আমাদের পবিত্র কর্তব্য বিবেচনা করে আমরা বাংলাদেশকে সার্বভৌম গণপ্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি এবং এতদ্বারা পূর্বাহ্নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা অনুমোদন করছি

এবং

এতদ্বারা আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, শাসনতন্ত্র প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন

এবং

রাষ্ট্রপ্রধান প্রজাতন্ত্রের সশস্ত্র বাহিনীসমূহের সর্বাধিনায়ক হবেন,

রাষ্ট্রপ্রধানই ক্ষমা প্রদর্শনসহ সর্বপ্রকার প্রশাসনিক ও আইন প্রণয়নের ক্ষমতার অধিকারী হবেন,

তিনি একজন প্রধানমন্ত্রী ও প্রয়োজনবোধে মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্য নিয়োগ করতে পারবেন,

রাষ্ট্রপ্রধানের কর ধার্য ও অর্থব্যয়ের এবং গণপরিষদের অধিবেশন আহ্বান ও মুলতবির ক্ষমতা থাকবে এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্যে আইনানুগ ও নিয়মতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অন্যান্য সকল ক্ষমতারও তিনি অধিকারী হবেন।

বাংলাদেশের জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি, যে কোনো কারণে যদি রাষ্ট্রপ্রধান না থাকেন অথবা কাজে যোগদান করতে না পারেন অথবা তাঁর দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে যদি অক্ষম হন, তবে রাষ্ট্রপ্রধানকে প্রদত্ত সকল ক্ষমতা ও দায়িত্ব উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পালন করবেন।

আমরা আরও ঘোষণা করছি যে, বিশ্বের একটি জাতি হিসেবে এবং জাতিসংঘের সনদ মোতাবেক আমাদের উপর যে দায়িত্ব ও কর্তব্য আরোপিত হয়েছে তা আমরা যথাযথভাবে পালন করব।

আমরা আরও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি যে, আমাদের স্বাধীনতার এ ঘোষণা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে কার্যকরী বলে গণ্য হবে।

আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, আমাদের এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী করার জন্যে আমরা অধ্যাপক ইউসুফ আলীকে ক্ষমতা দিলাম এবং রাষ্ট্রপ্রধান ও উপ-রাষ্ট্রপ্রধানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করলাম।

==================================


নিউ ইয়র্ক টাইমস
(২৭শে মার্চ, ১৯৭১)
Click this link for online archive of
নিউ ইয়র্ক টাইমস

Click This Link



LEADER OF REBELS IN EAST PAKISTAN REPORTED SEIZED; Sheik Mijib Arrested After a Broadcast Proclaiming Region's Independence DACCA CURFEW EASED Troops Said to Be Gaining in Fighting in Cities -Heavy Losses Seen

The Pakistan radio announced today that Sheik Mujibur Rahman, the nationalist leader of East Pakistan, had been arrested only hours after he had proclaimed his region independent and after open rebellion was reported in several cities in the East.
New York Times - Mar 27, 197


---------------------====================================================================================================================

1971/1972 সংবাদপত্রে
বিএনপি নেতার নাম খুঁজে পাচ্ছি না.
নিউ ইয়র্ক টাইমস
নিউজউইক
টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ
টাইমস সংবাদপত্র ইউকে

===================

বিশ্ব বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ

1) পাকিস্তান এখন শেষ --শেখ মুজিব---15 মার্চ 1971

2)শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন --Apr. 05, 1971
--The World: Pakistan: Toppling Over the Brink

3)গত মার্চে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর বিশ্বব্যাংকের পরিদর্শকদের একটি বিশেষ টিম কিছু শহর প্রদক্ষিণ করে বলেছিলেন, ওগুলোকে দেখতে ভুতুড়ে নগরী মনে হয়। এরপর থেকে যুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত এহেন ধ্বংসলীলার ক্ষান্তি নেই। ৬০ লাখ ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ২৪ লাখ কৃষক পরিবারের কাছে জমি চাষের মতো গরু বা উপকরণও নেই। পরিবহনব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পুল-কালভার্টের চিহ্নও নেই এবং অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগেও অনেক বাধাবিঘ্ন। ---শেখ মুজিবুর রহমান : বন্দি থেকে বাদশা / টাইম সাময়িকী ১৭ জানুয়ারি ১৯৭২

4)Bangladesh have suffered three consecutive years of natural or man-made disasters—a calamitous cyclone in 1970, the civil war in 1971, and a crop-crippling drought this year. Jan. 01, 1973

5)শেখ মুজিবের সময়কালে ৬০০০ হাজারের ও বেশী মানুষ সহিংসতা নিহত (মুজিব।। স্থপতির মৃত্যু Time Magazine USA আগষ্ট ২৫,১৯৭৫).

6)বাংলাদেশ. "বাস্কেট কেস", নয়, Jan. 01, 1973






লন্ডনের টাইমস পত্রিকায় ২৭শে মার্চ, ১৯৭১
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনার খবর




নিউ ইয়র্ক টাইমস
(২৭শে মার্চ, ১৯৭১)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনার খবর





-Times of India 27 March 1971
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনার খবর






এটা 75 এর 07 November পত্রিকা.Where it said Zia announce 27 March 1971


এটা 75 এর 07 November পত্রিকা.Where it said Zia announce 27 March 1971

৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৬

াহো বলেছেন:


I repeat again

1971/1972 সংবাদপত্রে
বিএনপি নেতার নাম খুঁজে পাচ্ছি না.
নিউ ইয়র্ক টাইমস
নিউজউইক
টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ
টাইমস সংবাদপত্র ইউকে


1971/1972 সংবাদপত্রে
বিএনপি নেতার নাম খুঁজে পাচ্ছি না.
নিউ ইয়র্ক টাইমস
নিউজউইক
টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ
টাইমস সংবাদপত্র ইউকে

৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৭

াহো বলেছেন:


একে খন্দকার স্বীকার করছেন তিনি সঠিক তথ্য ব্যবহার করেননি।
দ্বিতীয় সংস্করণে নিজেই স্বীকার করছেন যে, প্রথম সংস্করণে তিনি সঠিক তথ্য ব্যবহার করেননি।
৩২ পৃষ্ঠার দ্বিতীয় স্তবকে আমি লিখেছিলাম– এই ভাষণের শেষ শব্দ ছিল ‘জয় পাকিস্তান’। আসলে তা হবে ‘এই ভাষণের শেষ শব্দ ছিল ‘জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান’।’’

যিনি জাতিকে ইতিহাসের বয়ান দেবেন তিনি ইতিহাসের ওই সময়টাতে ‘এমএলএ’ ছিল, নাকি এমপিএ ছিল সেটা জানবেন না, তা কী করে হয়? যদি না-ই জানেন, তাহলে তো স্পষ্টত বোঝা যায় তিনি রাজনীতির খবরাদি রাখতেন না, সেই সময়ের সরকারের অনুগত হিসেবে বিমানবাহিনীর চাকরিটিই ঠিকমতো করে গেছেন। তো, যিনি ইতিহাসের মাহেন্দ্রক্ষণের রাজনীতির গতিধারা সম্পর্কে খোঁজখবর রাখতেন না, তিনি জাতিকে ইতিহাসের বয়ান দিতে আসেন কীভাবে?
Click This Link

৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
তৎকালিন বা বর্তমান আওয়ামীলীগের সকল ভাষন শেষ হত 'জয়বাংলা' বলে। ৭ই মার্চের ভাষন সেভাবেই শেষ হয়েছিল 'জয়বাংলা' বলে। উর্দু ভাষায় জিয়ে পাকিস্তান বলে ভাষন শেষ হওয়ার প্রশ্নই আসে না।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ কারা করেছিল?
এখানে রাজাকাররাই সুধু 'কনফিউজ' খুজে বেড়ায়।

মুক্তিযুদ্ধ সুধু ৯ মাসের বন্দুক নিয়ে সামরিক যুদ্ধের ইতিহাস নয়।
৫০ দশক থেকেই দির্ঘ সংগ্রামের ভেতরে বহু ত্যাগ স্বীকার করে জনমত সংগঠিত করতে হয়েছে

যেসব মিথ্যা ইশু নিয়ে রাজাকাররা এতদিন লাফালাফি করেছে, সেইসব মিথ্যা করে সমর্থন করে বই লিখলে তাকে কি বলা যায়?

দেখছেন না ফরমায়েসি বইটি নিয়ে রাজাকাররা আর রাজাকারের বাচ্চারা বইটি নিয়ে কেমন লাফাচ্ছে!!

৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৯

ট্রপিকানা বলেছেন: এই বালবৈশাখীই একটা খাটি রাজাকারের বাচ্চা

৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৩

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: বাংলাদেশে পজিটিভ রাজনৈতিক আদর্শ একটায়।সেটা হল আওয়ামীলীগ(বাংলাদেশ)।আর বাদবাকী যা আছে সব এন্টি আওয়ামীলীগ(এন্টি বাংলাদেশ)।

৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২০

কহেন কবি কালিদাস বলেছেন: আমরা জাতি হিসেবে এখনও ভালো হতে পারিনি । যার যতটুকু সম্মান তাকে সেটা দিতে জানিনা ।

১০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২২

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ

বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ জিন্দাবাদ

জিয়া জিন্দাবাদ

তারেক জিয়া জিন্দাবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.