নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
গনতন্ত্র আমাকে কি দেবে?
নাগরিকের সম অধীকার, প্রত্যেকের ক্ষুধা নিবারনের নিশ্চয়তা, বেঁচে থাকার অধীকার, স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নাকি শাসক পরিবর্তনের অধিকার? যদি প্রথমটি হয় শর্ত, তাহলে প্রশ্ন থেকেই যায়। সে শর্তের কতটুকু পুরনে সফল হয়েছেন আমাদের গনতন্ত্রের জন্য কুম্ভিরাশ্রু ফেলা নেতারা। আর তা পুরনে এ পর্যন্ত তারা কতটাই বা আন্তরিকতার পরিচয় দিয়েছেন?
আর গনতন্ত্রের শর্ত যদি হয় শুধুমাত্র শাসক পরিবর্তনের অধিকার তাহলে সে অধিকার পেয়েই বা আমার কি লাভ? মুদ্রার দুই পিঠই যদি এক হয় তাহলে সে মুদ্রা দিয়ে ভাগ্য নির্ধারন নয়, প্রতারনা করা হয়। এভাবে বারংবার প্রতারিত হয়ে কি লাভ।
সবার আগে চাই পেট পূড়ে খেতে তারপরে একে একে অন্যান্য মৌল চাহিদা পূরন। সবশেষে ভাবার অবকাশ পাব। আরও ভাল কি করে রব। হিসেবটা তো সোজা; আগে চাই ক্ষুধা নিবারণ তারপরে গণতন্ত্র। ক্ষুধার্ত মানুষ যেমন গণতন্ত্র ধোয়া পানি খেয়ে পেট ভরবে না। তেমনি স্বাবলম্বী মানুষ সামান্য অর্থে তার ভোটাধিকার বিক্রি করবে না। দেশের আর্থ সামাজিক উন্নতির সাথে সাথে রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তিত হবে এটাই স্বাভাবিক। একটা সময় ছিল যখন পঞ্চাশ/একশ টাকার লোভে মানুষ রাজনৈতিক সভা সমাবেশে যোগ দিত। সে অংকটা এখন হাজারে গিয়ে ঠেকেছে অথচ লোক পাওয়া যায় না। কাড়ন একটাই পুরোপুরি না হলেও মানুষ পূর্বের তুলনায় অনেক বেশী স্বাবলম্বী। যা তাদের অভাব যতটা না মোচন করেছে তাঁর থেকে অনেক বেশী সচেতন করে তুলেছে।
এটাই স্বাবলম্বিতার ধর্ম। মানুষকে আত্মমর্যাদাশীল করে তোলে। দ্বায়িত্ববান হতে শেখায়। কাজেই এখন রাজনৈতিক দল গুলোকে কর্মসূচি সফল করতে সন্ত্রাসীদের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে। ফলে রাজনৈতিক কর্মসুচীগুলি আর সতঃস্ফুর্ত হয় না। হয়ে ওঠে ধবংসাত্নক। আর সেই সব কর্মসূচীতে যে ধবংসযজ্ঞ চালানো হয় তাঁর নিয়ন্ত্রণও সংশ্লিষ্ট দলগুলোর হাতে থাকে না। কাজেই এখন হরতাল আহ্বান করলে হয় সেটি ধবংসাত্নক রূপ নেয়। নয়ত একেবারেই ব্যর্থ রাজনৈতিক কর্মসূচীতে পরিণত হয়। নির্ভর করছে হরতাল সফল করার দায়িত্বটি কাদের উপর ন্যস্ত করা হয়েছে তাঁর উপর।
এই যে মানুষের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতি উদাসীনতা এর মানে এই নয় যে, তারা গণতন্ত্র বিমুখ। তারা একটু গুছিয়ে নিতে চাইছে। সময়টা নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার আর সে সুযোগটিও দেশে বিরাজমান। কাজেই এই সুযোগটিকে তারা কাজে লাগাতে চাইছে তাঁতে যদি কিছুদিন অপ্রিয় অগণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে মেনে নিতেও হয় তাতেও আপত্তি নেই। তবে এই মানসিকতা খুব বেশিদিন স্থায়ী হবে না। আজকের বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে না হতেই গনতন্ত্রপ্রীয় এই জনগোষ্ঠীটি নতুন করে জেগে উঠবে। তখন তাঁরা আর এভাবে চুপ করে বসে থাকবে না তারা তখন আরও ভাল থাকার জন্য আরও বেশী সম অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াইয়ে নামবে।
স্বাবলম্বী মানুষ সাধারণত অসচেতনতার পরিচয় দেয় না। আর গণতন্ত্র সেই সচেতন জনগোষ্ঠীর জন্য যারা সত্যিকার অর্থে জেনে বুঝে তবেই তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে।
২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৪
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: গণতন্ত্র সেই সচেতন জনগোষ্ঠীর জন্য যারা সত্যিকার অর্থে জেনে বুঝে তবেই তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে। সহমত।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫০
শাশ্বত স্বপন বলেছেন: গণতন্ত্র সেই সচেতন জনগোষ্ঠীর জন্য যারা সত্যিকার অর্থে জেনে বুঝে তবেই তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে।