নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
গতকাল দুই জন মাদ্রাসার ছাত্র'র সাথে কথা হল একজনের বয়স ১৩ অন্যজনের ৯। ওরা দুই ভাই।ঢাকার একটি মাদ্রাসায় পড়ে। বড় ছেলেটির এরই মধ্যে ২২ পাড়া পর্যন্ত কুড়ান মুখস্থ হয়েছে। সে আশা করছে ১৫ বছর বয়সের মধ্যেই সে একজন কুরআনে হা-ফেজ হতে সমর্থ হবে। জিজ্ঞেস করলাম এর পরে কি করবে। সে বলল আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হব।
কোন ক্লাসে ভর্তি হতে পারবে?
তৃতীয় অথবা চতুর্থ শ্রেণীতে।
১৬ বছর বয়সে তৃতীয় অথবা চতুর্থ !
ছোটটি বলল ইচ্ছে করলে বাসায় লেখাপড়া করে উপরের ক্লাসেও ভর্তি হওয়া যাবে।
জানতে চাইলাম শুধু কি আরবিতে কুরান মুখস্থ কর না এর অর্থও পড়।
বল্ল আরবিতে কুরান মুখস্থ করি।
এ ভাবে না বুঝে মুখস্থ করলে কি লাভ?
আপনি কি জানেন কুরআনে হা-ফেজ বেহেস্তে যায়?
সেটা কি, না জেনে না বুঝে মুখস্থ করলেও?
ফেরেশতারা এবং আল্লাহ কি আপনার সাথে বাংলায় কথা বলবেন তারা আরবীতে কথা বলবেন?
কিন্তু তুমি তো আরবীতেও কথা বলতে পারছ না। পার কি?
না।
তাহলে? তোমার কথা অনুযায়ী তো আমার মোবাইলের মেমরি কার্ড সবার আগে বেহেস্তে যাবে ওখানে তো পুরো কুরআন সেভ করা আছে।
মেমোরি কার্ড আর মানুষ কি এক হল?
কেন নয়? অর্থ না বুঝে মুখস্থ করায় মানুষ যেমন কুরআনের ব্যবহারিক দিক বাস্তবায়নে অক্ষম। ঠিক তেমনি মেমোরি কার্ডের ব্যবহারিক ক্ষমতা না থাকায় সেও এর বাস্তবায়নে অক্ষম। পার্থক্যটা কি?
আচ্ছা তুমি তো নামাজ পড়। নামাজের শুরুতেই কি বল?
আল্লাহু আকবর।
আল্লাহু আকবর এর অর্থ কি?
জানি না।
তুমি তো জান না এখন যদি কেউ তোমাকে বলে আল্লাহু আকবর(আল্লাহ মহান) শব্দটি আল্লাহর অসম্মান সূচক অর্থ বহন করে তুমি কি তা মেনে নেবে?
না ।
কেন মেনে নেবে না? তুমি তো এর অর্থই জান না।
এবার চরম বিরক্ত হয়ে ছেলেটি বলল; আচ্ছা আপনি যে আমাদের এত কথা বলছেন আপনি নিজেই তো দাঁড়ী রাখেন না। আমি আপনার কথা কেন শুনব?
আমি তো তোমাকে জানতে বলেছি। তাতে দোষের কি হল?
আপনি তো পৃথিবীর জন্য লেখাপড়া করেছেন আমরা আখিরাতের জন্য পড়ছি।
আখিরাতের জন্য কি গাধা হতে হয়? প্রশ্নটি জিভের ডগায় এসেও ওর বয়স বিবেচনায় আঁটকে গেল।
জানতে চাইলাম ব্লগার কারা জান?
বলল জানি তো, ব্লগাররা তো নাস্তিক।
কীভাবে জানলে?
ওস্তাদ জীরা বলেছেন।
শেষ পর্যন্ত না বলে পারলাম না। তোমার ওস্তাদজীর মতই বেশিরভাগ ওস্তাদজীরা যেমন নিজেরা মানুষ হতে পারেনি তেমনি তোমাদেরও মানুষ হতে দিচ্ছেনা।
বলে উঠে দাঁড়ালাম। ভাবছিলাম এই মানুষগুলির সংখ্যা কিন্তু কম নয়। এরাই মসজিদে খুৎবা পাঠ করেন। এদের থেকে কেউ কেউ জেহাদি হয় এরাই ব্লগারের কল্লা চায়। অথচ নিজেরাই জানে না ইসলামের দাবী? মহানবী(সঃ) এর শিক্ষা ?
এদেরকে সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার দায়িত্ব কিন্তু এই রাষ্ট্রেরই।
[email protected]
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১০
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: এবার চরম বিরক্ত হয়ে ছেলেটি বলল; আচ্ছা আপনি যে আমাদের এত কথা বলছেন আপনি নিজেই তো দাঁড়ী রাখেন না। আমি আপনার কথা কেন শুনব?
মুক্তাদীর আপনি ঐ ছেলাটার মত করেই প্রশ্নটি করলেন। সেক্ষেত্রে উত্তরও একই-আমি তো জানতে বলেছি। তাতে দোষের কি হল?
আর হ্যা, আমি বাংলায় কুরআন পড়ি।
২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫১
সোহানী বলেছেন: সহমত
বেশিরভাগ ওস্তাদজীরা যেমন নিজেরা মানুষ হতে পারেনি তেমনি তোমাদেরও মানুষ হতে দিচ্ছেনা......
আমার পরিচিত একটি ছেলে ক্লাস ফোর পর্যন্ত ইংলিশ মিডিয়ামে পড়েছিল। দারুন স্মার্ট ছিল আর চমৎকার ক্রিকেট খেলতো ছেলেটি। হঠাৎ তার মা-বাবার কি মতি হলো, ছেলেকে দিয়ে নিজেদের আখের কনফার্ম করার জন্য ওকে হাফেজে দিল। প্রায় শুনতাম ছেলেটি মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাসায় আসতো। বাবা-মা আবার জোর করে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দিত। একবার ওকে কারন জিজ্ঞাসা করলাম... সে অমানষিক মার/ না খেতে দেয়া/মুখস্থ না হলে কাপড় খুলে মার/ খেলতে না দেয়া/ টিভি দেখতে না দেয়া সহ অসংখ্য কস্টের কথা বললো।
এক সময় ৮ বছর পর ও ঠিকই হাফেজ হলো তারপর আবার ক্লাস ৫ থেকে শুরু করলো পড়া তবে সরকারী বাংলা স্কুলে। আমার সাথে দেখা হবার পর আমি খুব তাজ্জব হলাম তার আমূল পরিবর্তন দেখে। আমি কেন বোরকা পরিনা তাই আমার সাথে কথাই বলবে না.... ঘরে কেন টিভি চলে তাই সে টিভি ভেঙ্গে ফেলে.......। তার সেই আগের উচ্ছল শৈশব মনে পড়ে শুধু নি:শাস ফেলি।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৬
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: শিশুকে যেভাবে মানুষ করতে চাইবেন সে সেভাবেই বেড়ে ঊঠবে। তাকে হা-ফেজ করতে চাইলেই যে নির্যাতন করতে হবে ভয় দেখাতে হবে এটা ঠিক না বরং আজ যে শিশুটি নির্যাতনের মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠছে। ব্যক্তি জীবনে সে এর দ্বারা দারুনভাবে প্রভাবিত হবে তা বলাই বাহুল্য।
শিশু শিখুক আনন্দের সাথে। সে বেড়ে উঠুক নির্ভয়ে। এটা তাঁর অধীকার। সেটা মাদ্রাসা, ইংরেজি মাধ্যম কিংবা বাংলা মাধ্যম যেখানেই লেখাপড়া করুক না কেন।
৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৩
তিক্তভাষী বলেছেন: অর্থ না বুঝলে কুরআনের শিক্ষা সম্পূর্ণ হবে না এটা ঠিক। কিন্তু পুরো কুরআন মুখস্ত করাটা শুরু থেকেই কুরআন অবিকৃতভাবে সংরক্ষণের একটা প্রচলিত ও পরীক্ষিত উপায়। আমার মতে, যারা না বুঝে মুখস্ত করছে তাদের মাধ্যমে বিকৃত হওয়ার সম্ভাবনা বরং যারা বোঝে তাদের চেয়ে কম হবে।
এসব শিশুদের কুরআন মুখস্তের পাশাপাশি প্রচলিত শিক্ষায় শিক্ষিত করা উচিৎ তাতে দ্বিমত নেই।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৬
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: একটি ছেলে কুরআনে হা-ফেজ হবে এটা নিশ্চয়ই সুখবর কিন্তু সে তোতাপাখির মত মুখস্তই করবে এর মর্মার্থ বুঝবে না সেটা কখনোই কাম্য হতে পারে না।
সেইসাথে আপনার ভাষায় "কুরআন মুখস্তের পাশাপাশি প্রচলিত শিক্ষায় শিক্ষিত করা উচিৎ "। এটাই আসল কথা।
৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১১
মোঃ সাকিব সরোয়ার বলেছেন: এটা অবশ্যই আমাদের সম্পূর্ণ শিক্ষাব্যাবস্থার খুবই ছোট একটা অংশ। আমদের ইংরেজি, বাংলা ও অন্যান্য মাধ্যমের শিক্ষার অবস্থাও যে এর চেয়ে খুব একটা ভালো বলে মনে হয়না। সবজায়গায় এখন পাস করাটাই যেন মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গালিব ভাই যথার্থই বলেছেন...এদেরকে সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার দায়িত্ব কিন্তু এই রাষ্ট্রেরই।
কিন্তু, আমিও তো এই রাষ্ট্রেরই একজন, আমারও তো একটু দায়িত্ব আছে বলে মনে হয়। কতটুকু পারলাম, না পারলাম জানিনা, কিন্তু চেষ্টা করে যাচ্ছি।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৫
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সরোয়ার ভাই ঠিকই বলেছেন আমাদের বর্তামান শিক্ষা ব্যবস্থার হতাশার চিত্রটাই বেশী ফুটে উঠছে। এক কথায় বলা যায়, আমরা শেখাচ্ছি না, শেখাতে পারছি না শিখতে দিচ্ছিও না। আর এর দায় ব্যক্তি-সমাজ-রাষ্ট্র কেউই এড়াতে পারে না।
৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২২
মোঃ সাকিব সরোয়ার বলেছেন: সোহানী, আপনি বললেন, তার সেই আগের উচ্ছল শৈশব মনে পড়ে শুধু নি:শাস ফেলি।
একটা ছোট্ট প্রশ্ন করি, আপনার পরিচিত সেই ছেলেটি কি এখন অনেক খারাপ আছে বলে মনে হয়েছে আপনার? তার এই পরিবর্তনটা কি ভালো কিছু নয়?
৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৩
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: মুসলমান হিসেবে কুরআন পড়া এবং সম্ভব হলে অবশ্যই মুখস্ত করে রাখা ভালো। উচিৎই বলবো।
কিন্তু কোন রুপ অর্থ না বুঝে মুখস্থ করে হাফেজ হয়ে কোন লাভ আছে বলে আদৌ মনে হয় না। কুরআন এ কারনেই পড়তে বলা হিয়েছে, যেন তা বুঝে সেই জীবন বিধান অনুযায়ী মানুষ জীবনযাপন করে। এখন কেউ যদি কুরআন না বুঝে মুখস্ত করে তার দ্বারা কুরআনের আসল উদ্দেশ্য হাসিল হবে আমার বুঝে আসে না। না, আমি কোন আলেম বা হাফেজ না। একজন সাধারণ মুসলমান। কিন্তু অন্ধ জ্ঞানী নই।
@সোহানী আপুর মন্তব্যে এই না বুঝে মুখস্থ বিদ্যা ও তার ভয়ঙ্কর বাস্তব রুপের ভয়াবহ কিছু অংশ উঠে এসেছে!
আগের আমলের কুরআনে হাফেজ ও আলেমরা প্রকৃতই জ্ঞানী ছিলেন, তারা জানতেন বুঝতেন। বলেই আমরা এরকম অসংখ্য মুসলিম স্কলার , বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ পেয়েছিলাম। কিন্তু আজ? শুধু সুরা মুখস্থ করা না বুঝা কয়টা হাফেজ, সমাজ বা দেশের উন্নতির জন্য কি করতে পেরেছে? শুধুমাত্র অন্যের বাড়িতে দাওয়াত খেয়ে মুরগীর রান চিবানো ব্যাতিত!
৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৬
মুক্তাদীর বলেছেন: মোঃ গালিব আপনি কি নামাজের মধ্যেও বাংলায় কোরআন পড়েন? আর যদি আরবিতে পড়েন তাহলে অর্থ না বুঝে পড়ে কি কোন লাভ আছে? (আপনার ভাষায়)
তবে যদি নামায না পড়েন তাহলে ভিন্ন কথা।
৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৬
মুক্তাদীর বলেছেন: মোঃ গালিব আপনি কি নামাজের মধ্যেও বাংলায় কোরআন পড়েন? আর যদি আরবিতে পড়েন তাহলে অর্থ না বুঝে পড়ে কি কোন লাভ আছে? (আপনার ভাষায়)
তবে যদি নামায না পড়েন তাহলে ভিন্ন কথা।
৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৯
আহলান বলেছেন: আরজ আলী মাতুব্বারের মতো মনে হলো শুরুটা। আমরা যারা বুঝতে পারছি যে কোরআন শুধু আরবীতে পড়লেই হবে না, বাংলাতেও বুঝতে হবে, তারা কি সেই বুঝ অনুযায়ী কাজ করছি? আমরা কি সুরা ফাতেহার বাংলা তর্জমা মুখস্ত বলতে পারব? জেনারেল লাইনে পড়া শতকরা ৯৯ ভাগ লোকই বলতে পারবে না। তাহলে অপরকে জ্ঞ্যান দিই কিভাবে?
খারাপ লাগলেও এটাই সত্য যে এই দেশে যারা মাদ্রাসয় ছেলে মেয়ে পড়ান, তারা নিতান্তই দারিদ্র জনগোষ্ঠি। সুতরাং অনেক কিছুই তাদের জ্ঞ্যানের বাইরে ... ...
আল্লাহর পবিত্র ৩০ পারা কালাম আরবীতে মুখস্ত করে সেটা মাতায় রাখাটাও কম কষ্টের নয়। অর্থ জানলো না দেখে তাকে ছোট মনে করার কোন অর্থ খুজে পাই না, কারণ আমি তো কিছুতেই ১০ টা সুরার বেশী মুখস্ত করতে পারি না, তাও যেগুলো পারি, সেগুলোর অর্থ পারি না, লেখক কি যে সুরা গুলো নামাজে পড়েন বা মুখস্ত করেছেন সেগুলোর অর্থও মুখস্ত রেখেছেন? এবং তদানুযায়ী আমল করছেন? করলে সাধুবাদ জানাই .....
১০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৯
ছেরা বলেছেন: আপনি যাদের কে এই প্রশ্ন গুলো করসেন তারা নিতান্তই ছোট।তাই হয়তো আপনার সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে নাই। একজন বিজ্ঞ আলেম কে জিজ্ঞেস করলে কিন্তু তিনি আপনার জবাব গুলো দিতে পারতেন।আমি জানি না আপনার মাদ্রাসা শিক্ষা সম্পর্কে কতটুক ধারনা আছে। আমি আপনার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করসি। তিক্তবাসী নামে একজন কেন মখস্ত করেন তা কিন্তু বলসেন।এবার তার পরের বিষয় টা আমি বলি। মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা বাংলাদেশ এ ২ প্রকার। আলিয়া , কওমি। জেখানেই পড়ুক না কেন উদ্দেশ এক্টাই।ইসলাম কে জানা। যারা কোরান মুখস্ত করছেন তারা কিন্তু এই ২ সিস্টেম এর মধ্যে থেকেই পরছেন। এই সিস্টেম এর প্রথম ধাপ হচ্ছে কোরান ভাল ভাবে পড়তে পারা।সম্ভব হলে মুখস্ত করা।(অনেকেই কিন্ত হাফেজ হন না) তার পরের ধাপ হচ্ছে কোরান হাদীস বুঝা। আলিয়া তে জিনি পরেন তিনি জখন কামিল পাশ করেন তখন তিনি সম্পুর্ন কোরান ও হাদীস এর এর পরা অর্থ সহ জানেন। যারা কওমি তে পরেন তারা জখন দাওরা (মাওলানা ) পাশ করেন তিনি ও একি যোগ্যতা অর্জন করেন। আপ্নি শুধু প্রাথমিক ধাপ যে পরসে তার কথা বলসেন। আমরা জারা সাধারন শিক্ষায় শিক্ষিত তারা নিশ্চয় ক্লাস ৩ /৪ এ পরেই ইংরেজি কথা বলতে পারিনা। বা সেই বয়সে সেক্সপিয়র এর উপন্যাস বুঝে যাই না।তারমানে কিন্তু এই না যে আমরা যা পরছি সবই বৃথা। আমি কোন আলেম না। আপনি আপনার মসজিদ এর ইমাম এর সাথে এই বিষয় এ কথা বললে আরো ভাল বুঝতে পারবেন।আর ভুল কিছু বললে ক্ষমা করবেন
১১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৩
আদম_ বলেছেন: আই গট ইউর পয়েন্ট। ইউ আর রাইট। আসলে সমস্যা আমাদের দেশের সিস্টেমের। পবিত্র কুরআন মুখস্ত করাটা দোষের কিছুনা।
১২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৯
তিথীডোর বলেছেন: একটা বাচ্চা ছেলেকে অযথাই হ্যারাস করেছেন!-- পুরো লেখাতে আপনার আত্ম অহংকার ফুটে উঠেছে এবং মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে আপনার নিজস্ব একটা বাইয়াস্ড মনোভাব নিয়ে লাফ ঝাপ করছেন! first of all, you have no rights to harass minor children with your own confined mentality..please open up your mind as you claimed yourself a blogger!
১৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৯
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: একটি কথার যদিও একটাই মানে হওয়ার কথা। তথাপিও দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যের কারণে এক একজন এক এক অর্থ করেন। এখানে কেউ আমার সাথে সহমত পোষণ করেছেন কেউ দ্বিমত কেউ বা আমায় চিহ্নিত করেছেন আত্ম অহংকারী হিসেবে। এটা অস্বাভাবিক নয়। প্রত্যেকের অধিকার আছে নিজের মত করে ভাবার।
আমি শুধু আমার উদ্দেশ্যটি বলছি- আমি জানি দুজন কমবয়সী শিক্ষার্থীকে দিয়ে একটি গোটা সিস্টেমের বিচার করা চলেনা। আর আমি তা করছিও না, আমি শুধু দেখাতে চাইছি। যে সব শিক্ষার্থীর পড়ালেখা হেফজ এ এসে থেমে যায় তাদের শিক্ষার দৌর।
একজন প্রকৃত আলেমকে নিয়ে কিন্তু এখানে কিছু বলা হয়নি। যারা কামিল পাশ করছেন অথবা দাওরা। নিশ্চয়ই তারা যোগ্য বলেই বিবেচিত হবেন। প্রশ্ন হল; তারা মোট মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর কত ভাগ?
আমাদের বিবেচনা করতে হবে সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষার্থীর অবস্থাকে।
কাউকে আঘাত করা বা ছোট করা এই লেখার উদ্দেশ্য নয় বরং একটি সমস্যাকে চিহ্নিত করাই এঁর উদ্দেশ্য। এ নিয়ে বিতর্কে না জড়িয়ে এঁর সমাধানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ মনোনিবেশ করবেন সেটিই কাম্য।
১৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৭
ছেরা বলেছেন: ভাই আমাদের সাধারন শিক্ষা ব্যবস্থায় এখন ও অনেক শিক্ষার্থী ৫ম শ্রেনী বা ৮ম শ্রেনী পাশ করার পর এ ঝরে যায়। তাই বলে কি আমরা পুরা সিস্টেম কে খারাপ বলব??? আপনি নিশ্চয় তাদের জ্ঞানের সীমাবদ্দতা কে সবার সীমাবদ্ধতা বল্বেন না। আপনি জানেন যে এই দেশ এ অসংখ্য মসজিদ মাদ্রাসা আসে। মসজিদ এ যিনি ইমাম তিনি কিন্ত মাওলানা।(খুব অজপাড়া গা যদি না হয়) শহরে আপনি কিন্ত শুধু কোরান এ হাফেজ ইমাম পাবেন না। কারন তারা যতটুকু সম্ভব জেনে তারপর মানুষ কে জানানোর চেষ্টা করেন।আপ্নি কি জানেন মাদ্রাসা গুলো তে যে পরিমান শিক্ষার্থী পরে তার ৪ ভাগের ৩ ভাগ এ হাফেযি পরেনা।তারা কিতাব ( দাওরা / কামিল) পরে।হা এইটা সত্য যে অনেক আছেন যাদের পরা হাফেজি পর্যন্ত এসে শেষ হয়ে যায়।কারন হল আমাদের আর্থ সামাজিক অবস্থা। যার কারনে একজন হাফেজ হয়তো তার ইচ্ছা থাকার পর ও সামনে পরতে পারে না।জেমন একজন ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত পরে কাজে নেমে যায়।অই হাফেজ কিন্তু তার অভস্থানে থেকেই দ্বীন ও দুনিয়ার কাজ করে।তিনি হয়তো কোন মসজিদ এ মুয়াজ্জিন হিসাবে কাজ করেন,অথবা কোন হেফজ খানায় পরান। উনি যে কোরান এর অর্থ জানতে পারছেন না সেটা কিন্তু উনার দোষ না।সেটা আমাদের ব্যর্থতা।
১৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫১
হাবিবুর রাহমান বাদল বলেছেন: অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: মুসলমান হিসেবে কুরআন পড়া এবং সম্ভব হলে অবশ্যই মুখস্ত করে রাখা ভালো। উচিৎই বলবো।
তিক্তভাষী বলেছেন: অর্থ না বুঝলে কুরআনের শিক্ষা সম্পূর্ণ হবে না এটা ঠিক। কিন্তু পুরো কুরআন মুখস্ত করাটা শুরু থেকেই কুরআন অবিকৃতভাবে সংরক্ষণের একটা প্রচলিত ও পরীক্ষিত উপা.য়।
িথীডোর বলেছেন: একটা বাচ্চা ছেলেকে অযথাই হ্যারাস করেছেন!-- পুরো লেখাতে আপনার আত্ম অহংকার ফুটে উঠেছে এবং মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে আপনার নিজস্ব একটা বাইয়াস্ড মনোভাব ।
১৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০২
নতুন বলেছেন: একটা বাচ্চা ছেলের সাথে এই আলোচনা আসলেই বেমানান.... ওরা আর কতটুকুই বোঝে....
একজন মানুষ সারা জীবন ব্যয় করে পুরো কোরআন মুখস্ত করার জন্য.... কিন্তু সে তার অথ` জানে না.... এটা অবশ্যই জটিল একটা বিষয়....
আমাদের সমাজে কেন শুধু গরীবের সন্তানেরাই মাদ্রাসায় পড়ে? ( বিত্ত বানের সংখ্যা খুবই কম হবে)
তাহলে যখন মানুষের আয়ের পরিমান বাড়বে তখন মাদ্রাসায় কারা পড়বে?
সামনের পৃথিবির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে এই শিক্ষায় শিক্ষিতরা কতটা সক্ষম হবে ভবিশ্যতে?
পযুক্তি যত অগ্রসর হবে ততই নতুন চ্যালেন্জে পড়বে মাদ্রাসা শিক্ষা...
১৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১৫
বিজ্ঞান মনস্ক বলেছেন: "তোমার ওস্তাদজীর মতই বেশিরভাগ ওস্তাদজীরা যেমন নিজেরা মানুষ হতে পারেনি তেমনি তোমাদেরও মানুষ হতে দিচ্ছেনা" ------আপনি আপনার অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছেন। অনেকেই হয়তো এরকম কিন্তু আমার সৌভাগ্য হইছে এমন কিছু মাদ্রাসা ছাত্রদের সাথে চলা ফেরা করার যাদের দেখলে মনে হয় এরাই মানুষ হল , আমরা মানুষ হতে পারলাম না ।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২৮
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: বিজ্ঞান মনস্ক, আপনার পরিচিত সেই 'কিছু'র স্থানটি যদি 'বেশিরভাগ' দখল করে নিতে পারত তবেই মাদ্রাসা শিক্ষার উদ্দেশ্য সফল হত। সেটা যে হচ্ছে না এটাই এ লেখার মূল প্রতিপাদ্য।
১৮| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৯
সোহানী বলেছেন: @ মোঃ সাকিব সরোয়ার,
যতটুকু বুঝেছি, এখানে লেখক কিন্তু মাদ্রাসায় পড়া সম্পর্কে বিরুপ কিছু বলেনি শুধু অর্থ বা বুঝে পড়ার কথা বলেছেন।
আর হাঁ, আমার পরিচিত সেই ছেলেটি খারাপ আছে আমার মতে। যেমন, সে তার জীবন থেকে ৮ বছর হারিয়ে ফেলেছে। মুক্ত মানসিকতা যে একটা বিষয় আছে সেটা ও হারিয়ে ফেলেছে। কারন কি? কারন যারা তাকে শিখিয়েছে তাদের শিক্ষাটা ও যে চার দেয়ালে বন্দী ছিল। অথচ দেখুন, আমাদের ধর্ম একটি অসাধারন প্লাটফর্ম। কি নেই সেখানে... বিজ্ঞান, সামাজিকতা, পরিবার সব কিছুই সেখানে চমৎকারভাবে বিশ্লেষন করা আছে।
সরি, আমি ক্যাচাল পোস্ট এড়িয়ে চলি.... তারপর উত্তর দিলাম।
ভালো থাকুন সবসময়।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৩
মুক্তাদীর বলেছেন: যদি কিছু মনে না করেন- আপনি কি আরবি ভাষায় কথোপকথন করতে পারেন? অথবা রিডিং পড়ে অর্থ করতে পারেন?