নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধে আইন চান হাজি সেলিম! এই শিরোনামের সামনে যখন একটি আশ্চর্যবোধক চিহ্ন দেয়া হল তখনই আর বুঝতে বাকি থাকে না এই প্রতিবেদক কতটা কপট। কেননা পুরুষ নির্যাতন এখন একটি চরম বাস্তবতা। যা অস্বীকার করা বা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা বাস্তবতাকে পাশ কাটিয়ে চলার মত। আমরা এও জানি এই প্রতিবেদনটি নিয়েও যথারীতি তথা কথিত পৌরুষ দীপ্ত(!) পুরুষ প্রজাতি নানাবিধ ব্যঙ্গ বিদ্রূপে মেতে উঠবেন। আসল সত্যটা লুকাতে চাইবেন।
আসল সত্য তো এই যে, দেশে বর্তমানে পুরুষ নির্যাতনের হার শতকরা ৪৫ ভাগ যা নারী নির্যাতনের তুলনায় ৫ ভাগ বেশী। পুরুষ নির্যাতনের ধরনটি একটু আলাদা যেখানে নির্যাতিত পুরুষকে শারীরিক নির্যাতনের থেকে অনেক বেশী মানসিক নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়। আর তাছাড়া সামাজিক মর্যাদা, লোকলজ্জা এবং সন্তানের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে বেশির ভাগ পুরুষ এই নির্যাতনকে প্রকাশ না করে অমোঘ নিয়তি বলে মেনে নেয়। যা সমাজে এই নির্যাতনকে আরও বেশী বিস্তৃত করে।
উদাহরণ সরূপ আমরা তালাকের প্রসঙ্গটি নিয়ে আসতে পারি। একটি হিসাবে দেখা যায় ৩০ শতাংশ পুরুষের বিপরীতে নারীর তালাকের আবেদন ৭০ শতাংশ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে তালাকও পারিবারিক নির্যাতনের অন্যতম এক হাতিয়ার। এই তালাকের ভয় দেখিয়ে যেমন স্ত্রী তার স্বামীকে তার মা বাবা থেকে আলাদা করে ফেলতে সক্ষম হয় ঠিক তেমনি নানা রকম অন্যায় দাবী মেনে নিতে বাধ্য করতেও সক্ষম হয়। ঠিক একইভাবে পুরুষও তালাকের ভয় দেখিয়ে স্ত্রী নির্যাতন করেও পার পেয়ে যায়। কাজেই তালাককে আমরা পারিবারিক নির্যাতনের একটি হাতিয়ার বলতেই পারি। এর বাইরে স্ত্রীর পরকীয়া প্রেম, উচ্ছৃঙ্খল চলাফেরা, সন্তানদের প্রতি উদাসীনতা, ননদ শাশুড়ির সাথে ঝগড়া বিবাদ, স্বামীর সাথে ঝগড়া করা এমনকি কখনো কখনো মারামারি শুরু করে দেয়া। এসবই পুরুষ নির্যাতনের অংশ। স্ত্রী কর্তৃক অথবা স্ত্রীর প্রেমিকের হাতে স্বামী খুন এসব এখন নিত্য নৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নারী নির্যাতনের মাত্রা ততটাই কমবে নারী যতটা স্বাবলম্বী হবে সচেতন হবে। সেইসাথে আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত হলে নারী নির্যাতনের হার অনেকটাই কমে যাবে বলে আমরা আশা করতে পারি। কিন্তু পুরুষ নির্যাতনের এই যে ক্রমবর্ধমান হার এটা কমবে কি করে বা এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায়টাই বা কি সমাজবিজ্ঞানীদের সেটা ভেবে দেখা জরুরী বলে মনে করি।
নারী নির্যাতন যে একটি বাস্তবতা এটা যেমন নারী নির্যাতনকে প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে ঠিক তেমনি পুরুষ নির্যাতনের এই বাস্তবতাও মেনে নিয়ে একে প্রকাশ্যে আনা উচিত। এটা আমাদের সামাজিক কাঠামোকে সুসংহত করতে সাহায্য করবে। নয়ত সামাজিক অবক্ষয়ের যে ধারা চলছে তা চলতে থাকলে আগামীতে এটা মানবিক মূল্যবোধ হীন একটি ছন্নছাড়া সমাজে পরিণত হতে বাধ্য। হাজি সেলিমের মত অন্যান্য আইন প্রণেতা গন বিষয়টিকে আরও বেশি গুরুত্ব দিবেন সেটাই কাম্য। সে ক্ষেত্রে যদি আইন প্রণয়ন করতে হয় করবেন। সেই সাথে আরেকটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি তা হল নারী নির্যাতন প্রতিরোধ আইনটি পুরুষের জন্য একটি ভয়ঙ্কর আইন এই প্রচারণার পাশাপাশি এটাও প্রচার করা প্রয়োজন যে এই আইনের আওতায় মিথ্যে মামলার জেরে বাদীকেও সাত বছরের জেল দেয়া যেতে পারে। কেননা নারী নির্যাতন আইনের ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাক মেইলের যে প্রবণতা লক্ষ করা যায় এতে অন্তত সেখান থেকে কিছুটা রেহাই মিলবে।
আমরা প্রতিটি পরিবারে একটি সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশ চাই। যা প্রতিটি শিশুকে মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন দায়িত্ববান করে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। স্বামী স্ত্রী একে অন্যের প্রতিপক্ষ না হয়ে পরিপূরক হয়ে উঠুক। নিশ্চিত হোক প্রতিটি শিশুর জন্মগত অধিকার।
[email protected]
২৫ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: জেন রসি, নারীরা মুখ বুঝে অত্যাচার সহ্য করবে এটা আমরা কখনোই চাই না। সেই সাথে পরিবারের মধ্যে একটি অহেতুক রেষারেষি বা প্রতিযোগিতাও চাই না।
আমার এই লেখার মুল উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি বাস্তবতাকে আড়াল না করে তার প্রতিকারে মনোনিবেশ করা।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।
২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৩০
সোহানী বলেছেন: কোন নির্যাতনই গ্রহনযোগ্য নয়.. সেটা পুরুষ হোক বা নারী হোক।
তবে বাস্তবতা হলো এ দেশে নারী নির্যাতন কতটা ভয়াবহ আকার ধারন করেছে তা প্রতিদিন পত্রিকা খুললেই বুঝবেন। হাঁ এটা ও সত্য যে পুরুষরা মানসিকভাবে নির্যাতিত হচ্ছে তবে ভেবে দেখুন নারীরা শুধু মানসিকভাবেই নির্যাতিত হয় না শারীরিকভাবে ও প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হচ্ছে.....
২৫ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৯
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সোহানী ভাল বলেছেন, কোন নির্যাতনই গ্রহনযোগ্য নয়.. সেটা পুরুষ হোক বা নারী হোক।
আপনার সাথে একমত পোষন করেই সংযুক্ত করছি। মানসিক নির্যাতন কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে শারীরিক নির্যাতনের থেকে বেশী ভয়াবহ। শারীরিক নির্যাতনের স্বিকার হয়ে কেউ আত্মহত্যা করে না কিন্তু মানসিক নিপীরনের ফলেই মানুষ এই দুর্ভাগ্যজনক পথে এগিয়ে যায়। কাজেই বাহিরের থেকে অন্তরের রক্তক্ষরনের যন্ত্রনা বেশী বৈ কম নয়।
শেষে আপনার মত করেই বলছি আমরা সব নির্যাতনেরই অবসান কামনা করি।
৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৩২
খোচা বাবা বলেছেন: হাজি সেলিম হয়ত তার স্ত্রীর দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে, তাই তিনি এরুপ একটি আইন চাচ্ছে।
২৫ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৫১
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: হাজি সেলিম তার স্ত্রীর দ্বারা নির্যাতিত হয়েছেন কিনা জানিনা তবে অনেকেই যে হন সেটা মিথ্যে নয়।
৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪০
তার ছিড়া আমি বলেছেন: নারী নির্যাতন প্রতিরোধ আইনটি পুরুষের জন্য একটি ভয়ঙ্কর আইন। নারী নির্যাতন আইনের ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাক মেইল করা একটা সাধারণ ব্যাপার।
ধন্যবাদ হাজী সেলিমকে।
অন্য কেউ এই আইনের কথা বললে, আমি নিশ্চিত সে জঙ্গি, রাজাকার, হানাদার, কাঠমোল্লা, ইত্যাদি ভূষণে ভূষিত হতেন।
আরেকবার ধন্যবাদ হাজী সেলিমকে। সালাম হাজী সাব......
৩০ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ধন্যবাদ হাজী সেলিমকে।
৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৪৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: সমাজে না্রী নির্যাতনের পাশাপাশি পুরুষ নির্যাতনও বেড়ে গেছে উদ্বেগজনক হারে। তবে নারী নির্যাতনের খবর ফলাও করে প্রচার করা হলেও অনেক ক্ষেত্রে অজানা থেকে যায় পুরুষ নির্যাতনের কথা। লোকলজ্জা ও সামাজিক মূল্যবোধের কারনে অজানাই থেকে যায় লোমহর্ষক ও চাঞ্চল্যকর স্ত্রী ও তার বন্ধু কর্তৃক পুরুষ নির্যাতনের কাহিনী। আবার নারী নির্যাতন প্রতিরোধে প্রচলিত আইনের সুযোগে পুরুষকে ফাঁদে ফেলছেন ক্নো কোন নারী। অনেক পরিবারে নারী কর্তৃক অনেক পুরুষ প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হয়ে চলছে যা দু'একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া প্রকাশিত হয়না।
নারীর প্রতি নির্যাতন রোধে নারী নির্যাতন বিরোধী আইন প্রনয়ণ করা হয়েছে। সভা সমাবেশ মানব বন্ধনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে সতঃর্স্ফৃত ভাবে অংশগ্রহণ করছে পুরুষ। নারীর প্রতি সহিংস কোন ঘটনায় নারীদের চেয়ে বেশী সোচ্চার হয়েছে পুরুষ। এটা খুবই ভালো লক্ষণ। আইনের অধিকার সকলের জন্য সমান। আইন অন্ধ সে নারী পুরুষ বিচার করেণা। সুতরাং নারী নির্যাতন বিরোধী আইনে শুধু পুরুষকে সাজা দিবে আর নারী থাকবে ধরা ছোঁয়ার বাইরে তা কখনোই কাম্য হতে পারেনা। নারী নির্যাতন বিরোধী আইনের সাথে সাথে পুরুষ নির্যাতন বিরোধী আইন প্রনয়ণ এখন সময়ের দাবী। যে অন্যায় করলে পুরুষকে সাজা দেওয় যাবে সেই একই অন্যায়ের জন্য নারী থাকবে ধরা ছোঁয়ার বাইরে তা কখননোই কাম্য হতে পারেনা।
আমরা চাই নির্যাতিত সকল পুরুষ একই আইনের ছায়া তলে আসার সুযোগ পাক। অথবা নারী নির্যাতন বিরোধী আইনের পাশাপাশি প্রনয়ণ করা হোক পুরুষ নির্যাতন বিরোধী আইন যেখানে পুরুষ নির্যাতনকারী নারী শাস্তি এড়াতে না পারে। তা না হলে নারী নির্যাতন আইনের অপব্যবহার করে নারী হয়ে উঠবে দুঃসাহসী অনুপ্রাণিত হবে পুরুষ নির্যাতনে। নারী পুরুষের সমান অধিকারের এই সময়ে চাই সত্যিকারের সামঞ্জস্যপূর্ণ বিধান যাতে সুরক্ষিত থাকবে নারী পুরুষ উভয়ে।
৩০ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:০১
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নূরু ভাই।
৬| ২৭ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৫৪
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: চোখ বন্ধ করে থাকলেই প্রলয় বন্ধ হয়না। পোস্টটির বক্তব্যের সাথে পরিপুর্নভাবে সহমত পোষন করছি।
৩০ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মেঘনা পাড়ের ছেলে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:০৬
জেন রসি বলেছেন: আপনার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আপনার লেখার সাথে দ্বিমত পোষণ করছি।পুরুষ শাসিত সমাজে নারী নির্যাতনের সাথে কোন ভাবেই তথাকথিত পুরুষ নির্যাতনের তুলনা করা যাবে না।নারীরা মুখ বুঝে অত্যাচার সহ্য করবে এটা আমাদের দেশে একটা ঐতিহ্যের মত হয়ে গেছে।এই ঐতিহ্য থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা যারা করছেন, পুরুষ শাসিত সমাজ তাদেরকে প্রতিপক্ষ ভাবছেন।