নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
পাঁচ জানুয়ারির নির্বাচন এ দেশের রাজনীতির গতিপ্রকৃতি পালটে দিয়েছে। যারা সেটা হজম করতে পারছেন না তাদের বিভিন্নজন বিভিন্ন রকম কথা বলছেন সত্য তবে তা অন্তঃসারশূন্য।
পুরনো ধারায় ফিরিয়ে নিতে বিএনপি জোট সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে, করছে আগামীতেও করতেই থাকবে। কিন্তু এটা নিশ্চিত দিন যতই গড়িয়েছে এই নব ধারার শিকড় ততই গভীরে প্রথিত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তা এমন একটি ভিত্তিও পেয়ে গেছে যে, এই ধারাকে উলটো পথে নিয়ে যাওয়া এখনই দুষ্কর হয়ে পড়েছে। আগামীতে তা যে একেবারেই অসম্ভব হয়ে যাবে। সেটা বলাই বাহুল্য।
এখন বিএনপি জোটের উচিৎ হবে এই ধারার সাথে খাপ খাইয়ে নেয়ার চেষ্টা করা। মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর পরই যেমন দল থেকে তাদের অব্যাহতি দিলে জামায়াতকে বাঁচানো সম্ভব হত। আজ তেমনি বিএনপি থেকেও সত্যিকারের অপরাধীদের বাদ দিয়ে দল গোছানোই হতে পারে দলটির বেচে থাকার একমাত্র রক্ষা কবচ। কেননা উজান বেয়ে খুব বেশী দূর এগোনো যায় না। সে সামর্থ্যও বিএনপির নেই এটাই বাস্তবতা। বাস্তবতাকে অস্বীকার করলে ধ্বংস অনিবার্য। বিএনপিকে বুঝতে হবে এখন ২০১৫ সাল চলছে। আজকের বাংলাদেশ পঁচাত্তরের বা নব্বইয়ের বাংলাদেশ নয়। এমনকি একুশ আগস্টও ইতিহাসের পাতায় স্থায়ী আবাস গেড়েছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের দলে ভেড়ালেই যে সে দলটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারি হয়ে যায় না তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ তো বিএনপি নিজেই। মুখে তাঁরা যাই বলুক মগজে মননে তাঁরা কি লালন করে সেটা স্পষ্ট। নতুন করে ইতিহাস রচনা করা যায় না বিকৃত করা যায়। আর তা বিকৃত মানসিকতারই লক্ষণ। দলীয় ভক্তিতে অন্ধ হয়ে থাকলেই সত্য মিথ্যে হয়ে যায় না। বিএনপিকে সব মিথ্যাচার বর্জন করে সত্যাশ্রয়ী হতে হবে। স্বীকার করে নিতে হবে নিজেদের ভুল ত্রুটি। একাত্ম হতে হবে মুক্তিযুদ্ধের মুল চেতনার সাথে। কেবলমাত্র তবেই তাঁরা জনসাধারণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হবে। আগামীর বাংলাদেশে জনসাধারণই হবে ক্ষমতার নিয়ন্তা বিদেশি প্রভুরা নয়। জামায়াতকে দেশের মানুষ গ্রহণ করেছে এটা যারা ভাবেন তাদের পক্ষে পেট্রোল বোমা মেরে সাধারণ মানুষকে হত্যা করাকেও জনগণ সমর্থন করবে এটা ভাবাই স্বাভাবিক। তারা জনগণের কাতারের লোক নন। তারা যে ভুবনে বাস করেন সেখান থেকে সাধারণ মানুষকে অতি নগণ্য তুচ্ছাতিতুচ্ছ দৃষ্টি গোচর হয়। তাই তারা এর সমর্থন যেমন দিতে পারেন তেমনি এর পক্ষে নির্লজ্জের মত সাফাইও গাইতে পারেন। অবসরপ্রাপ্ত আমলা, ব্যারিস্টার আর রাষ্ট্রবিজ্ঞানী যে দিবাস্বপ্ন বিএনপি জোটকে অনবরত দেখিয়ে চলেছেন বাস্তবে তা বহুদূর। এই সহজ বিষয়টা এতবার ধরা খেয়েও যে কেন তারা উপলব্ধি করতে পারছে না এটাই দুর্বোধ্য।
[email protected]
©somewhere in net ltd.