নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
প্রথম খন্ড।
কন্যা-জায়া-জননী এই তিন রূপের নারী একমাত্র জননী রূপেই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে নিজেকে প্রকাশে সক্ষম। কন্যাতে স্বার্থের পর্দা থাকলেও তা ভেদ করা কঠিন নয় তবে জায়াতেই তার যত বিপত্তি। সেখানে কুণ্ঠা, ছলনা, দ্বিধা আর হীনমন্যতা তাকে কিছুতেই প্রকাশিত হতে দেয় না। নারী সেখান কেবলই মায়া।
যুগে যুগে তার সেই মায়া মোহগ্রস্ত করে রেখেছে সমগ্র পুরুষ জাতিকে। নারী যেমন পুরুষকে মোহগ্রস্থ করে তুলতে গিয়ে নিজেকে আরও বেশি ধোঁয়াশা করে তুলেছে পুরুষের আকর্ষণও ততটাই দুর্নিবার করে তুলেছে। এই মায়া কখনো কখনো পুরুষকে এতটাই মোহাচ্ছন্ন করতে সক্ষম হয়েছে যে নির্দিষ্ট পুরুষের কাছে নির্দিষ্ট নারী হয়ে উঠেছে একমাত্র ধ্যান জ্ঞান। তার কাছে মনে হয়েছে ঐ নির্দিষ্ট নারী ছাড়া তার জীবন অর্থহীন। আর তাই নিজের জীবনকে অর্থপূর্ণ করে তুলতে গিয়ে সেই নির্দিষ্ট নারীকে লাভের আশায় পুরুষ তার সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। যার ফলে যুদ্ধ বিগ্রহ থেকে শুরু করে জাতীর ধ্বংস পর্যন্ত হয়েছে। ব্যর্থতায় আত্মহত্যার সংখ্যাও অগণিত।
এতে করে নারী আরও বেশি প্রাণহীন জড় বস্তুতে পরিণত হয়েছে। ফলে ক্ষতি যদি কিছু হয়ে থাকে তা নারীরই। তথাপিও সৃষ্টি জাত বৈশিষ্ট্যে নারী চিরন্তন মায়াময়। নিজেকে প্রকাশের থেকে সে নিজেকে গোপন করতেই বেশি পছন্দ করে। আমি এখানে নারীর আঙ্গিক গোপনের কথা বলছি না বলছি তার মনো জাগতিক গোপন প্রিয়তার কথা। বিষয়টা যেন এমন, তুমি জেনে নাও। আমাকে তুমি জানতেই থাক। আমার আমির মাঝে যে নির্ঝরিনী তাতে নিত্য স্নাত হও।
নারীর সেই গোপন গহীন নির্ঝরিণীকে খুঁজে পাওয়াই যদি তাকে উন্মোচনের শেষ ধাপ হত তাহলেও সমস্যা ছিল না। সমস্যাটা হল সে নির্জরিনীর গতিপথ যে একেবারেই অমসৃণ; উঁচু নিচু আর ভীষণ খরস্রোতা। যা ধরে এগিয়ে যাওয়ার জো নেই। স্খলন অবশ্যম্ভাবী।
মায়ার এই মোড়কে বন্দী থেকে নারী যদিও পুলকিত হয় তবে সে পুলক ক্ষণস্থায়ী। কেননা এই দুর্গম পথের দুর্নিবার টানে পুরুষ ডুব দেয় সত্য। কিন্তু যখন এর অসম্ভবতা তার গোচরে আসে সে তখন রণে ভঙ্গ দেয়।
নারী এভাবেই স্বভাবজাত ঐন্দ্রজালিক মায়ায় ফেলে পুরুষের কাছ থেকে যে একাগ্রতার স্বাদ গ্রহণে বিভোর থাকতে চায়। তা পাওয়া শুরু হতে না হতেই সে হোঁচট খায়। ততোক্ষণে পুরুষ একে কেবলই মায়া ভেবে নারীকে শুধুই দেহ সর্বস্ব ভাবতে শুরু করে। যা নারীকে সারাজীবনের বিড়ম্বনায় ফেলে দেয়। পুরুষ সমুদ্র সেচে মুক্ত লাভের আসায় প্রথম দিকে চেষ্টার ত্রুটি না করলেও খুব দ্রুতই একে পণ্ডশ্রম ভেবে ক্ষান্ত দেয়। তখন পরাজয়টা শুধু পুরুষের নয় একই সাথে নারীরও হয়। বলা যায় আসল পরাজয়টা নারীরই হয়।
চলবে.........।
©somewhere in net ltd.