নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্যার প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই গেল

২৬ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০


টিভি টক শো'তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী এবং সুলতানা কামাল বলছিলেন তারা তথ্য প্রযুক্তির এই সময়ে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ঠেকাতে টিভী চ্যানেল বন্ধের পক্ষপাতী নন। তাদের কথা হল আমরা শেখাব; মানুষ তার ইচ্ছামত গ্রহণ করবে বর্জন করবে।
তাই যদি হয় তাহলে আমার জানামতে বিশ্বে বেশ কিছু ফ্যাশন চ্যানেল সহ ন্যুড চ্যানেল আছে যে গুলি দেখার অধিকার থেকে এ দেশের মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে। তাদের সেই বঞ্চনা নিরসনে এখনই দাবী জানানো উচিৎ!

তাদের কথা হল চ্যানেল বন্ধ হলে মানুষ ইউটিউবে দেখবে। কি আশ্চর্য ইন্টারনেটে তো মানুষ পর্ণ সাইটও ভিজিট করে। সেটার পরিমাণ কত? আর তা সমাজে কতটাই বা প্রভাব ফেলতে সক্ষম?
ইউটিউবে বা অন্য কোন মাধ্যমে একটি অনুষ্ঠান দেখা আর টিভি রিমোট চেপে চ্যানেল পরিবর্তন করা কি এক?
এই সব রথী মহারথীদের কথার উপরে কথা চলেনা। আর চলেনা বলেই স্টার প্লাসের নোংরামি আর জি বাংলা, জলসার কুটনামিতে আমরা নিত্য বিমোহিত হই। যা দেখি যা শিখি তার প্রায়োগিকতায় পরিবারে অশান্তি এখন তুঙ্গে।

এ দেশে এক সময় পরিবারে ভাবির স্থান ছিল মা'র পরে এখন তিনি চিত্রিত হচ্ছেন সবচেয়ে বড় কুটনি হিসেবে। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটা চলছিল পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ মিশ্রিত ভালবাসার মধ্য দিয়ে। এখন শেখানে শ্রদ্ধাবোধের জায়গাটা দখল করে নিয়েছে স্বার্থপরতা। যে স্বার্থপরতা ক্রমশই ফিকে করে দিচ্ছে ভালবাসার বন্ধনকে। ভাঙ্গছে সংসার।
এর পেছনে এই চ্যানেলগুলির কোন ভূমিকা নেই এটা যদি কেউ বলেন তাহলে আর কিছুই বলার থাকে না।

উপাচার্য স্যার যখন বললেন আমরা তাদের মূল্যবোধ শেখাব, কোনটা গ্রহণীয় কোনটা বর্জনীয় সেটা শেখাব। তাই বলে উন্মুক্ত মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ কেন করব?
তখন মনে হল আমি একজন রাজনীতিবিদের কথা শুনছি কোন শিক্ষকের নয়। যারা নিজেরা যা বলেন তা তারা নিজেরাই বিশ্বাস করেন না। আমাদের পাঠ্যসূচী থেকে মানবিকতা, মূল্যবোধ অনেক আগেই হারিয়ে গেছে। সেখানে কীর্তিমানের ছায়াটিও খুঁজে পাওয়া যায় না। আমাদের পাঠ্যপুস্তক প্রনয়নের উদ্দেশ্যটাই তো প্রশ্নবিদ্ধ। এর থেকে না কেউ প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠছে না স্বাবলম্বী হওয়ার রসদ পাচ্ছে। সনদপত্র সর্বস্ব এই যে শিক্ষাব্যবস্থা; পাঠ্যপুস্তকের দৈন্য দশা এর দায় কিন্তু স্যার আপনারাও এড়াতে পারেন না।

যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্ররা ভোগে রাজনীতির নামে পেশিশক্তির মহরার কারনে নিরাপত্তাহিনতায়। যেখানে ছাত্রীরা হন নিগৃহীত। যেখানে শিক্ষকরা সব নীল-সাদায় বিভক্ত। ছাত্র রাজনীতির নামে চলে রাজনীতির লেজুড়বৃত্তি। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক যখন বলেন, আমরা নিতি নৈতিকতা শেখাব, আমরা মূল্যবোধ শেখাব, আমরা শেখাব কোনটা গ্রহণীয় আর কোনটা বর্জনীয়।
তখন এ প্রশ্ন তো উঠতেই পারে যে, তিনি বা তারা কি এ সব শেখাতে সক্ষম হচ্ছেন?
যদি বলেন সক্ষম হচ্ছেন তাহলে প্রশ্ন উঠবে আমরা তার ফলটা কেন দেখতে পাচ্ছি না?
আর যদি তিনি সক্ষম হচ্ছেন না বলে মেনে নেন, সে ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠবে তাহলে তারা কেন এ সব কথা বলে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন রোধে চিহ্নিত চ্যানেলগুলি বন্ধের পক্ষে মত দিচ্ছেন না।

ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এটা তো সবাই জানে, ক'জন পরিহার করছে? পরিহার করছে না বলেই তো তামাক সেবন এবং প্রচারণার ক্ষেত্রে সামাজিক ভাবে এমনকি সরকারী ভাবেও নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। আপনারা কি এরপরে অধিকারের নামে এর বিরুদ্ধেও অবস্থান নেবেন?

মানুষে মানুষে বিশ্বাস এবং আস্থার সম্পর্কটা যে কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যে কারণে পরিবার থেকে, সমাজ থেকে উঠে যাচ্ছে শ্রদ্ধা বোধ, ভেঙ্গে পড়ছে পারিবারিক কাঠামো। মুছে যাচ্ছে হাজার বছরের প্রচলিত সামাজিক মুল্যবোধ। সব জেনে বুঝেও আমরা তারই পক্ষাবলম্বন করছি। এটা কতটা সুবিবেচনা প্রসূত, সে প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যায়।

[email protected]

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:৫২

সালমা শারমিন বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন ভাই,
কিযে শিক্ষা উনারা শিখাচ্ছেন তা আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।

২৬ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:২৩

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মাদ্রাসা কোরআন মুখস্থ করায়। যে করায় সেও জানেনা সে কি মুখস্থ করাচ্ছে আর যাকে করাচ্ছে সেও জানছে না সে কি মুখস্থ করছে। যদিও উভয়ের জন্যই এর মাঝে আছে পুর্নাংগ জীবন বিধান।
আর যে স্কুলে পড়ছে সে জানে না সে যা পড়ছে তা কোন কাজে লাগবে। পাঠ্যসূচী থেকে মানবিকতা, মূল্যবোধ অনেক আগেই হারিয়ে গেছে। সেখানে কীর্তিমানের ছায়াটিও খুঁজে পাওয়া যায় না।
মাদ্রাসা বলুন আর সাধারণ শিক্ষা বলুন আমাদের পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের উদ্দেশ্যটাই প্রশ্নবিদ্ধ।
এর থেকে না কেউ প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠছে না স্বাবলম্বী হওয়ার রসদ পাচ্ছে। সনদপত্র সর্বস্ব এই যে শিক্ষাব্যবস্থা এ থেকে আমরা প্রতি বছর কিছু সনদ প্রাপ্ত অশিক্ষিত মানুষ পাচ্ছি। সমস্যাটার গোড়াটা সম্ভবত এখানেই।

২| ২৬ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: মুক্তির রাস্তাটা সত্যিই মেধার জ্বালে আড়ষ্ঠ।

২৬ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:২৫

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন সত্যিই আমাদের "মুক্তির রাস্তাটা সত্যিই মেধার জ্বালে আড়ষ্ঠ"।

৩| ২৬ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:৫৯

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: ইনারা পারেন শুধু দালালী করতে৷ শিক্ষক হওয়ার কথা ছাত্রছাত্রীদের আদর্শ৷ কিন্তু তাদের কাছ থেকে শেখে লেজুড়বৃত্তি৷

২৬ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:২৭

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: এতটা কঠিন ভাবে বলব না তবে এটা তো ঠিক। সাদা নিলের মাঝে মেধাবীরা বিক্রি হয়ে যান তখন শিক্ষার গলদটাই কুৎসিত হয়ে ফুটে উঠে। ধন্যবাদ প্রবাসী ভাবুক আপনাকে।

৪| ২৬ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৪

রাজ হাসান বলেছেন: আসলেই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাটা এমন ভাবে গড়ে উঠেছে যাতে অন্য একটা পক্ষের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য যেটা সার্বিক ভাবে আমাদের কোনো লাভ নেই।২০০০ সাল পরবর্তী সময়টাতে ইলেকট্রনিক মিডীয়ার মাধ্যমে যেইভাবে আমাদের ব্রেইন ওয়াশ করতেছে তাতে করে অনেক কিছু আমরা হারিয়ে ফেলেছি বা ফেলব।

৫| ২৬ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৭

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাজ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.